

মুন্সীগঞ্জে স্বামী ও শাশুড়ির দেওয়া আগুনে ১ মাস ১৬ দিন (৪৭ দিন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বর্ণা রানী (২৪) নামের এক গৃহবধূর নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেন নিহতের স্বামী ও শাশুড়ির দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে গৃহবধূ সোমবার (১৬ সেপ্টেমর) বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।
নিহত স্বর্ণা টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের নসংঙ্কর গ্রামের কৃষ্ণ সরকারের মেয়ে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার গ্রামের বাড়ি টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের নসংঙ্কর নিয়ে আসে স্বজনরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর উত্তর কামারখাড়া মিজি বাড়ি এলাকার দিলিপ রায়ের ছেলে দিপ্ত রায় পরিবারের অমতে স্বর্ণা রাণীকে বিয়ে করে। দিপ্ত রায় বেকার থাকায় বিয়ের কিছুদিন পর থেকে দিপ্ত ও তার মা ঝর্ণা রানি রায় গৃহবধূ স্বর্ণাকে বাবার বাড়ি হতে যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য চাপ ও মারধর করে। স্বর্ণা বিষয়টি তার পরিবার ও আত্নীয় স্বজনকে একাধিকবার জানায়। পরে গত ৩০ জুলাই সকালে যৌতুকের দাবিতে স্বর্ণাকে মারধর করে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় তার স্বামী ও শাশুড়ি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। সেখানে ১ মাস ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা কৃষ্ণ সরকার জানান, আমার মেয়েকে তারা অনেক মারধর করতো। আগুন দেওয়ার ৫ দিন আগে তারা ৪/৫জন মিলে আমার মেয়েকে খুব মেরেছে। পরে গত ৩০ জুলাই মারধর করে রান্না ঘরে নিয়ে তার স্বামী ও শাশুড়ি গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমার মেয়ে মৃত্যুর আগে আমার ছোট মেয়ের কাছে সব বলে গেছে এবং সেটি রেকর্ড রয়েছে। আমি তার স্বামী ও শাশুড়ির বিচার চাই। মেয়ের সৎকাজ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করবো।
এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি মহিদুল ইসলাম জানান, আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। নিহতের পরিবারের অভিযোগ তার স্বামী ও শাশুড়ি নাকি নিহতের শরীরে আগুন দিয়েছে। ওই নারী মারা যাওয়ার পরে আমাকে ঢাকা থেকে ফোন দিয়েছিল। আমি বলেছি যেহেতু পরিবারের অভিযোগ রয়েছে তাই মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে হবে। পরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) সীমান্ত নিরাপত্তা ও চোরাচালান প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার অংশ হিসেবে এক বিশেষ অভিযানে দুইটি বিদেশী পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি ও ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে।
বিজিবি জানায়, মহাপরিচালক কর্তৃক ঘোষিত “বিজিবি হবে সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক” এই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় অস্ত্র, মাদকদ্রব্যসহ সকল প্রকার চোরাচালান প্রতিরোধে সর্বদা তৎপর। এ লক্ষ্যে টহল কার্যক্রম ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের নির্দেশনায়, ০৩ নভেম্বর সোমবার ভোররাতে ৩টা ৩০ মিনিটে যশপুর বিওপি’র একটি বিশেষ টহল দল সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনপুর মাঠ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। সীমান্ত শূন্যরেখা থেকে প্রায় ২০০ গজ ভেতরে পরিচালিত ওই অভিযানে উল্লিখিত অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সফল অভিযান বিজিবির পেশাদারিত্ব ও সীমান্ত সুরক্ষায় অবিচল অঙ্গীকারের প্রতিফলন। কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) জানিয়েছে, সীমান্তে যে কোন প্রকার অপরাধ দমনে তারা সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


ঠাকুরগাঁওয়ের মুদি দোকানি সওদাগর বর্মন প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি করছেন দৃষ্টিনন্দন বাড়ি । সদর উপজেলার ঢোলারহাটে তার এই বাড়ি দেখতে প্রতিদিনই ভীড় অনেকে। আগ্রহ নিয়ে দেখছেন বৈচিত্র্যময় এই বাড়িটি। বাড়িটি এখন ‘বোতল বাড়ি’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মুদি ব্যবসায়ী সওদাগর বর্মন তার দোকানে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল এবং সংগ্রহ করা দেড় মণ বোতল দিয়ে শুরু করেছেন বাড়ি নির্মাণ। ইটের বদলে প্লাস্টিকের বোতলে বালু ভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে পরিবেশবান্ধব বাড়ি তৈরির কাজ করছেন তিনি। বর্তমানে ঘর তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। ১ কক্ষের বাড়িটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।
স্থানীয় অনেকে বলেন, ইটের বদলে যে বোতল ব্যবহার করে বাসা তৈরি করা যায় তা আগে জানা ছিলো না। বিষয়টি ভিন্ন রকম। ইট দিয়ে যে দেয়াল করা হতো এটা তার থেকে বেশি শক্ত মনে হচ্ছে।
এদিকে সওদাগর বর্মণ বলেছেন, ইউটিউব দেখে শিখেছেন বোতল বাড়ি তৈরির কাজ। তিনি আগামী মাসের মধ্যে বাড়িটির কাজ সম্পূর্ণ করার ব্যাপারে আশাবাদী।
মন্তব্য করুন


দিনাজপুরের খানসামায় অনুকূল পরিবেশে আশানুরূপ লাভজনক হওয়ায় চলতি বছর বেড়েছে পপকনের চাষ। পপকনকে ঘিরে কৃষক দেখতে শুরু করেছেন রঙিন স্বপ্ন। ধান, সরিষা, আলু ও ভুট্টার পাশাপাশি এ ফসল অধিক লাভজনক।
অন্য ফসলের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচ, উৎপাদন ভালো, লাভজনক হওয়ায় স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য ও সরাসরি পাইকারি বাজার সৃষ্টি হওয়ায় পপকন চকষে ঝুঁকেছেন সাধারণ কৃষকরা। এছাড়া নিয়মিত কৃষি বিভাগ থেকে উদ্বুদ্ধকরণ, পরার্মশ প্রদান, সরকারি সহায়তার ফলে চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েই চলছে। সব মিলিয়ে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় প্রতি মৌসুমে বাড়ছে পপকন চাষ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ১৫২০ হেক্টর জমিতে পপকন চাষের লক্ষমাত্রা থাকলেও ১৬৬০ হেক্টর অর্জন হয়েছে।
গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পপকন চাষি মোস্তফা কামাল ডাবলু শাহ্ বলেন, আমি এ এলাকায় সর্বপ্রথম পপকন চাষ করি। আমাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এখন চাষ করছেন পপকনের। প্রথমের দিকে ৬০ থেকে ৬৫ বিঘা চাষ করেছি। গতবার ও এইবার ২০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। গতবার ২০ বিঘা জমিতে শুকনা দেড় টন পপকন পেয়েছি। আশা করছি এবার আরো বেশি পাবো।
একই এলাকার পপকন চাষি লতিফ হাজ্বী বলেন, পপকন চাষে বেশ লাভবান হয়েছি। গতবারের ন্যায় এবারো ৫ বিঘা চাষ করেছি। সব কিছু ঠিক থাকলে ভাল ফলন হবে বলে মনে করছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোপাল রায় বলেন, পুরো উপজেলার মধ্যে গোয়ালডিহি ইউনিয়নে ৭০ ভাগ ও বাকী ৫ ইউনিয়নে ৩০ ভাগ পপকন চাষ হয়। পপকন চাষে চাষিদের পাশে থেকে ভালো ফলন পেতে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, দিনাজপুরের শস্যভান্ডারখ্যাত এ উপজেলা। ভুট্টার পাশাপাশি এ অঞ্চলের কৃষক পপকন চাষে বেশ আগ্রহী। পপকন চাষে উদ্ভুদ্ধকরণসহ সার্বক্ষণিক কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


মাগুরায় বাংলাদেশ
টেলিভিশনের মহাপরিচালক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তানভীর হাসান
জোহার মালিকানাধীন মাগুরার বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
গত শুক্রবার
রাত সাড়ে ১০টার পর শহরের জেলা জজ আদালতের সামনে অবস্থিত ‘জোহা ভবনে’ এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী
প্রতিবেশী তরুণ কুমার জানান, রাত ১১ টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত বোতলে পেট্রোল ভরে এনে
ভবনের পেছনের দিকে প্রবেশ করে। তারা মূল ফটক ও জানালার অংশে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত
পালিয়ে যায়। আগুন দেখে প্রতিবেশীরা এসে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার ব্যাপারে
তানভীর হাসান জোহা একটি গণমাধ্যমকে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা
বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আমি দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনার
দাবি জানাচ্ছি। জজ আদালতের মতো সুরক্ষিত এলাকায় এ ধরনের হামলার পর স্থানীয়দের মধ্যে
নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ ব্যাপারে
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত
সংগ্রহ করেছে। এই নাশকতার পেছনে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং
জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


ভূমিকম্পে
কেঁপে উঠেছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা।
বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
রাজধানী ঢাকার অনেক বাসিন্দা ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার কথা জানিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
জানা গেছে,
ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট,
যশোর ও চট্টগ্রাম অঞ্চলেও ভূমিকম্প হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা থেকে ৪২০ বোতল
ফেনসিডিল এবং একটি সিএনজিসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)
সদস্যরা।
আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ভোরে চাঁনপুর
এলাকা থেকে আটক করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আরাফাত হোসেন অনি।
বিজিবি জানায়- মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর)
ভোর ৬টায় কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ কটকবাজার পোস্ট এর টহলদল মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত
অভিযানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক সীমান্ত পিলার ২০৮০/এম হতে ০৪ কি. মি. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে
চাঁনপুর মসজিদ নামক স্থান হতে ৪২০ বোতল ফেন্সিডিল এবং একটি সিএনজি সহ এক জন মাদক চোরাকারবারিকে
আটক করে। আটককৃত সিএনজি এবং মাদকদ্রব্যের সর্বমোট মূল্য ৬,৬৮,০০০/- (ছয় লক্ষ আটষট্টি
হাজার) টাকা বলে ধারণা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফরা গ্রামে হৃদয়বিদারক ও আনন্দঘন এক ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ২৮ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া শিশু সাইফুল ইসলাম অবশেষে ফিরে এসেছে তার বাবা-মায়ের কোলে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সন্তানকে ফিরে পেয়ে পরিবার ও আত্মীয়স্বজন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন।
সাইফুল দরিদ্র কৃষক পরিবার আব্দুল লতিফ ও আমেনা বেগম দম্পতির চতুর্থ সন্তান। নয় বছর বয়সে পরিবারের অভাব অনটনের কারণে প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে চট্টগ্রামে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হয় সে। কিন্তু পথে ট্রেন থামলে শৌচকর্ম সারতে নেমে যায় সাইফুল। মুহূর্তেই ট্রেন ছেড়ে গেলে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। এরপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি ছোট্ট সাইফুলের।
ভাগ্যের খেলায় সাইফুল আশ্রয় পায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি রেলস্টেশনের এক চায়ের দোকানে। সেখানেই কাটে তার দীর্ঘ ২৮ বছর। সম্প্রতি নেফরা গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতায় নিজের বাবা-মায়ের নাম ও গ্রামের নাম বলতে পারায় ধীরে ধীরে সাইফুলের খোঁজ মেলে।
পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তার বড় ভাই মাহফুজার রহমান ভাটিয়ারি গিয়ে সাইফুলকে বাড়ি নিয়ে আসেন। শনিবার সকালে বাড়ি ফেরার পর শতশত মানুষ ভিড় জমায় তাদের বাড়িতে।
অশ্রুসিক্ত বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, “ছেলেকে পেয়ে আমি আল্লাহর দরবারে সেজদায় পড়েছি। বহু বছর দোয়া করেছি, আজ আল্লাহ তা কবুল করেছেন।”
মা আমেনা বেগম বলেন, “সংসারের অভাবে ছেলেকে কাজে পাঠিয়েছিলাম। পথে হারিয়ে যায়। খুঁজেছি বহু জায়গায়। আজ আল্লাহর রহমতে সন্তানকে ফেরত পেলাম।”
এলাকাবাসী জানান, সন্তান হারিয়ে পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। দাদী আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে নাতির ফেরার প্রার্থনা করলেও তা আর দেখে যেতে পারেননি।
চায়ের দোকানের মালিক মোস্তাকিন জানান, সাইফুল দীর্ঘদিন তার দোকানে কাজ করেছে। পরবর্তীতে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর লিখিতভাবে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বলেন, “পরিবারটি অসহায়। সরকারি-বেসরকারি সহায়তা খুবই প্রয়োজন।”
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, “২৮ বছর পর সন্তানকে ফিরে পাওয়া সত্যিই আনন্দের বিষয়। জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন


রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর:
চাঁদপুরে পরকীয়া প্রেমের বলি হলো দুই সন্তানের জননী
তাসলিমা বেগম। পরকীয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করায় রাতের আঁধারে শ্বাসরুদ্ধ ও অতর্কিত হামলা
চালিয়ে স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে স্বামী। এই ঘটনায় চাঁদপুর আদালতে মামলা হওয়ার
পর অবশেষে মূল হোতা পাল বাজারে ব্যবসায়ী মোঃ সরোয়ার হোসেন সেলিমকে আটক করেছে চাঁদপুর
মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্ত্রী হত্যা মামলার
আসামি স্বামী সেলিমকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এই ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিকা বাবুরহাট রয়েল তাইবা ট্রাবলস
গ্রুপের অ্যাকাউন্ট অফিসার সালমা মিয়াজি প্রেমিক মায়া এখনো পলাতক রয়েছে।
গত ৮ জুলাই বুধবার গভীর রাতে চাঁদপুর শহরের জে.এম.
সেনগুপ্ত রোড সাবেক মন্ত্রী দীপু মনির বাসার চতুর্থ তলায় ভাড়াটিয়া বাসায় পাল বাজারের
ব্যবসায়ী সেলিম তার স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে ও অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যা করে।
পরবর্তীতে তার বাবা মোঃ ইদ্রিস মিয়া বাদী হয়ে আদালতে
সরোয়ার হোসেন সেলিম তার পরকীয়া প্রেমিকা সালমা মিয়াজি মায়াকে আসামি করে মামলাটি দায়ের
করেন।
অবশেষে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি সেলিমকে আটক করতে
সক্ষম হয়।
মামলার বাদী ইদ্রিস মিয়া জানান, কচুয়া থানার প্রসন্নকাপ
এলাকার কলিম উদ্দিনের ছেলে সরোয়ার হোসেন সেলিমের সাথে ১১ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে
তাসলিমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সেলিম বিভিন্ন মেয়েদের সাথে পরকীয়ায়
জড়িয়ে পড়ে। কিছুদিন পূর্বে শহরের মিতালী নামের একটি মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক
করলে সেই মেয়ের পেটে অবৈধ সন্তান জন্ম হয়। সেই ঘটনায় সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা হলে
২৭ দিন জেল খেটে বেরিয়ে আসে।
পরবর্তীতে সেলিম রয়েল তাইবা গ্রুপের অ্যাকাউন্ট অফিসার
সালমা মিয়াজি মায়ার সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনা প্রতিবাদ করলে ঘটনার
দিন রাতে সেলিম তার স্ত্রী সালমা বেগমকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলে। অবশেষে ঘটনাটি ধামাচাপা
দেওয়ার জন্য তারা চেষ্টা করে ও মামলা না দেওয়ার জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।
পরবর্তীতে আদালতে মামলা হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার
করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় সেলিম ও তার পরকীয়া প্রেমিক মায়ার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত
ব্যবস্থা গ্রহণ করা জোর দাবি জানান পরিবারের স্বজনরা।
মন্তব্য করুন


মো. মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া বটতলা এলাকায় মাস ব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলার বর্ণাঢ্য উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার কচুয়া পৌরসভার আয়োজনে এ মেলায় ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ।
কচুয়া পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপনের সভাপতিত্বে এসময় উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, আহসান হাবিব জুয়েল, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ডা. মাসুদুর রহমান বাবুল, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রিয়তুষ পোদ্দার, সাবেক সভাপতি মানিক ভৌমিক, কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম রাজু, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের রশিদ দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। এসময় তার কাছ থেকে নগদ টাকা, সিটি কর্পোরেশন অনুমোদিত অবৈধ ভুয়া রসিদ বহি জব্দ করা হয়।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ২৩ বীর সেনাবাহিনী ক্যাপ্টেন রাকিন।
সেনাবাহিনী জানায়, কুমিল্লা নগরীর চকবাজার থেকে তেলিকোনা ও জাঙ্গালিয়া বাসট্যান্ড থেকে টমছমব্রীজ সড়কের উপর অবস্থান করে বাস, মিনিবাস, মিনি ট্রাক, ইজিবাইক, মিশুকসহ যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহন চালকদের হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে গতিরোধ করে অবৈধ রশিদের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ২টায় জাঙ্গালিয়া বাসট্যান্ড সড়কে চাঁদা নেয়ার সময় একজন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী টহল দল।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো কুমিল্লা সদর দৌলতপুর গ্রামের মান্নান এর ছেলে মোঃ জুলহাস (২৪)।
এসময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ২/৩ জন চাঁদাবাজ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। সেনাবাহিনী গ্রেফতারকৃত আসামীর কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ৩টি,সীল প্যাড ২টি, গোলাপি ও হলুদ রঙের চাঁদা আদায়ের ভুয়া ৩৫ টি রসিদ বই জব্দ করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে কুমিল্লা মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সিটি কর্পোরেশনের নাম ব্যবহার করে অবৈধ চাঁদা উত্তোলন করে আসছে।
পরে গ্রেফতারকৃত আসামীকে সদর দক্ষিণ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন