চট্টগ্রামে এখন টেলিভিশনের দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুকের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, সাবেক সভাপতি মাসুক আলতাফ চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর শাহ আলম, সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুল আহসান মানিক, এখন টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান খালেদ সাইফুল্লাহ, ব্যুরো রিপোর্টার মাসুদ আলম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন কুমিল্লা সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ওমর ফারুক তাপস।
এছাড়া কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা সাংবাদিকেরা।
উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সেলিমপুর এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এখন টিভির চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিহাদ ও ক্যামেরা পার্সন পারভেজের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় ক্যাডার শুক্কুরের নেতৃত্বে চলানো হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা ক্যামেরা ভাঙচুর করে ও ছিনিয়ে নেয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে কুমিল্লার সাংবাদিকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন।
মন্তব্য করুন
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর পৃথক অভিযানে ৪০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন উত্তর দূর্গাপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত
অভিযানে জেরিন আক্তার (২২) নামক একজন মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেয়। এ সময় আসামীর
কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে
দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন দূর্গাপুর দীঘির পাড় এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা
করে। উক্ত অভিযানে মনির (৪২) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর
কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি অটো ট্রলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। জেরিন আক্তার (২২) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার দূর্গাপুর গ্রামের আব্দুর
রশিদ এর মেয়ে এবং ২। মনির (৪২) একই থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের দুদু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী
এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক
সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক
অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে
র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে দেড় কোটির
বেশি মূল্যমানের চোরাইপণ্য জব্দ করেছে বিজিবি।
আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রেস
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাহিদ
পারভেজ।
বিজিবির এই কর্মকর্তা জানান, জেলার
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা বিওপির বিশেষ টহলদল সীমান্ত এলাকায় একটি চোরাচালান বিরোধী
অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক সীমান্ত হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের
অভ্যন্তরে নোয়াপুর নামক স্থান হতে মালিকবিহীন অবস্থায় ১০৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয়
মোবাইলফোন এবং ২৭০০টি মোবাইলফোনের ডিসপ্লে আটক করা হয়। যার মূল্য- ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৩
হাজার ৭০০ টাকা। জব্দকৃত সকল অবৈধ দ্রব্যসামগ্রী আইনি প্রক্রিয়া শেষে কাস্টমসে জমা
করা হবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল,প্রতিবেদক:
কুমিল্লা জেলার পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেট শহীদ আরআই এ.বি.এম আবদুল হালিম মিলানায়তনে কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কল্যাণ সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় এবং কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোঃ শামিম কুদ্দুস ভুঁইয়া , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) পংকজ বড়ুয়া ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) সহ কুমিল্লা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যবৃন্দ ছিলেন।
কল্যাণ সভায় সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ পুলিশ সুপার এর নিকট নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে বিভিন্ন ইউনিট থেকে আগত পুলিশ সদস্যদের সমস্যার কথা শোনেন। এসময় পুলিশ সুপার সমস্যা সমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। উক্ত কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার সবাইকে অত্যন্ত সতর্কতা এবং পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি উপস্থিত অফিসার ও ফোর্সদের নৈতিক স্খলন রোধ, প্রশাসনিক বিষয়ে শৃঙ্খলা, দক্ষতা, কর্তৃপক্ষের আদেশ নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ, বুদ্ধিমত্তা, সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং সকলের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনসহ সার্বিক বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
শারদীয় দুর্গাপূজা যথাযথভাবে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকার অংশ হিসেবে আজ বুধবার কুমিল্লা নগরীর মহেশাঙ্গন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোঃ নাজিম-উদ-দৌলা, এসপিপি, এনডিসি, পিএসসি, পিএইচডি।
তিনি বুধবার (১ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২ টায় পূজামন্ডপে পৌঁছে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনগণ ও সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং পূজামন্ডপ প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন।
সভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ শ্যামল কৃষ্ণ
সাহা (আহ্বায়ক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট, কুমিল্লা মহানগর), সনজিৎ দেবনাথ (সদস্য
সচিব), রাজীব সাহা (যুগ্ম আহ্বায়ক) ও প্রদীপসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাদের
সাথে মুক্ত আলোচনা করে সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সিভিল প্রশাসনের
মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের বিষয়টি জিওসি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন।
তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং সমাজের সকল ধর্মাবলম্বীর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী সবসময় পাশে থাকবে বলে মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ঈশ্বর পাঠশালার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ছেলেদের ও মেয়েদের হোস্টেলে দুটি ফ্রিজ উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
পরিদর্শনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইফুল মালিক এবং কোতয়ালি থানা অফিসার ইনচার্জ
(ওসি) মহিনুল ইসলাম। সিভিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদরের সহকারী
কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান।
পরিদর্শনকালে জিওসির সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এনামুল হক এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মেহেদী হাসান। পরিদর্শনের সার্বিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ছিলেন ২৩ বীর এর কমান্ডিং অফিসার ও ইউনিট সদস্যবৃন্দ।
মহেশাঙ্গন পূজামন্ডপে জিওসি মহোদয়ের এ সফর হিন্দু
সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা, নিরাপত্তাবোধ ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে
বলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা শিশু পার্ক এমন এক জায়গায় যেখানে আনাগোনা সব বয়সী মানুষের হয়, ছোট থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত।
শিশুরা এসে ঘুরে বেড়ানোর জন্য এখানে অনেক রাইড,দোলনা সহ অনেক কিছু যেমন আছে বয়সী ব্যক্তিরা এসেও যেন এখানে দু'দন্ড গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে পারে তেমন পরিবেশ রয়েছে।
সারা দেশের দেয়ালগুলো শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্রাফিতিতে সুন্দরভাবে সেজে উঠেছে।
কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই শিশু পার্কের দেয়ালগুলো এর ব্যতিক্রম নয়।
বর্ণিল ক্যালিগ্রাফি আর গ্রাফিতিতে ভরে উঠেছে শিশু পার্কের প্রবেশের তোরণ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দেবীদ্বারে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ হল রুমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা- ৪ দেবীদ্বার আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিগার সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ হোসেন, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মুনীর হোসাইন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি কাজী মোঃ মতিউল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকা থেকে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা মোঃ সাব্বির
হোসেন সহ ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২। এ সময় পাসপোর্ট,
পাসপোর্ট ডেলিভারী স্লীপ, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-২
এর একটি আভিযানিক দল সোমবার (২২ জানুয়ারী) সকালে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
নোয়াপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা সহ সর্বমোট
১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে। পাসপোর্ট দালাল চক্রের আসামীদেরকে কাছ থেকে ৪ টি
পাসপোর্ট, ৮৭ সেট ডেলিভারি স্লীপ, ১২ টি মোবাইল সেট ও নগদ ১২,৬০০ টাকা সহ পাসপোর্ট
সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীগণ হলোঃ-
১। মোঃ সাব্বির
হোসেন (২৪), পিতা-মোঃ নজরুল ইসলাম, সাং-হাড়াতলী, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
২। মোঃ সাফি মাহমুদ
(২৮), পিতা-মৃত মঈন উদ্দিন, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৩। মোঃ সুজন
(৪২), পিতা-মৃত ইদ্রিস মিয়া, সাং-ছোটরা, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৪। তানজিদ হাসান
(৩০), পিতা-তোফাজ্জল হোসেন, সাং-শিকারপুর, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
৫। মোঃ জয়নাল
আবেদীন (৫৩), পিতা-মৃত সুলতান মিয়া, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৬। মোঃ ইমরুল
হক (৩২), পিতা-মোঃ মঞ্জুরুল হক, সাং-মোনসেফ বাড়ী, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৭। মোঃ আলী (২৭),
পিতা-সুলতান আহমেদ, সাং-মোহনপুর, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা।
৮। মোঃ শাহাদাত
হোসেন প্রিন্স (২৮), পিতা-মোঃ দেলোয়ার হোসেন রোমান, সাং-নতুন চৌধুরী পাড়া, থানা-কোতয়ালী
মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৯। মোশারফ হোসেন
সাকিব (২০), পিতা-মৃত আব্দুল মতিন, সাং-শাসনগাছা, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১০। মোঃ রনি
(২৩), পিতা-মোঃ রুক মিয়া, সাং-শংকরপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১১। ফয়সাল আহমেদ
ইমন (২১), পিতা-বিল্লাল হোসেন, সাং-রাজাপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১২। জহির আহম্মেদ
(২৬), পিতা-খোরশেদ আলম, সাং-দক্ষিণ ধনপুর, থানা-লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
১৩। পারভেজ (২২),
পিতা-আবুল হোসেন, সাং-বরহাতুয়া, থানা-বরুড়া, জেলা-কুমিল্লা।
১৪। সিয়ামুল ইসলাম
সৈকত (২০), পিতা-আলাউদ্দিন, সাং-মানিকারচর, থানা-মেঘনা, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান,
তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার নাম করে ভুক্তভোগী লোকজনের নিকট থেকে
সরকার নির্ধারিত রেট এর অধিক বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে।
মূলতঃ তারা ৩টি গ্রুপে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার একটি গ্রুপ সাধারণ মানুষকে সহজভাবে
পাসপোর্ট তৈরী করার নাম করে বিভিন্ন এজেন্টের নিকট নিয়ে আসে। এই এজেন্টের গ্রুপ ভুক্তভোগীদের
অনলাইন আবেদন ও ব্যাংক ড্রাফট করে দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুতসময়ে পাসপোর্ট দিবে বলে ডেলিভারী
স্লীপ নিজেদের নিকট রেখে দেয়। অপর গ্রুপ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাসপোর্ট ডেলিভারী
করার নির্দিষ্ট তারিখ নিধারণ করে। এভাবেই তাদের কাছে টাকা জমা দিলে তারা বিভিন্নভাবে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জালিয়াতি মাধ্যমে প্রস্তুত করে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে পাসপোর্ট
অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করে আসছিল।
উক্ত
বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গত ২৬ জুন কুমিল্লা মুরাদনগরের পঞ্চকিট্রি
ইউনিয়নের বাহারচর গ্রামে এক হিন্দু নারীর সাথে অশোভনীয়
ঘটনা ঘটে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ভাইরাল হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত ও স্থানীয় সূত্রে জানা
যায় যে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। এ সময়ে একই
গ্রামের এবং পূর্বপরিচিত মোঃ ফজর আলী (৩২) এর সাথে উক্ত নারী ব্যক্তিগত সম্পর্কে জড়িয়ে
পড়েন। একই সাথে ফজর আলীর ছোট ভাই শাহপরান এর সাথেও তার (ভুক্তভোগী) সখ্যতা গড়ে উঠে।
ঘটনার দিন রাতে বড় ভাই ফজর আলী উক্ত
নারীর ঘরে অবস্থানকালে ছোট ভাই শাহপরান ও কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি ঘরে ঢুকে তাদেরকে
মারধর করে এবং ভিডিও ধারণ করে।
উক্ত মারধরের ফলে ফজর আলী আহত হয়ে
প্রথমত কুমিল্লা এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে
গত ২৭ জুন উক্ত নারী মুরাদনগর থানায় ধর্ষণের
অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য যে, এ বিষয়ে তিনি (ভুক্তভোগী)
ডাক্তারী পরীক্ষা করাতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে প্রশাসন ও যৌথ বাহিনী যথেষ্ট তৎপর রয়েছে
এবং মোঃ ফজর আলীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আটক করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
এছাড়া ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশোভন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে
ইতোমধ্যে সর্বমোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে, বিষয়টি
ব্যক্তিগত সম্পর্কজনিত এবং পারস্পারিক সমঝোতার মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে।
এখানে
বল প্রয়োগ, দরজা ভাঙ্গা বা ধর্ষণের সরাসরি কোন সম্পৃক্ততা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত
হয়নি। তথাপি প্রকৃত ঘটনাটি তদন্তের পূর্বেই অশোভন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ছড়িয়ে দিয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে
অনাকাঙ্খিত। তবে আইন প্রযোগকারী সংস্থা কর্তৃক দুত তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন
পূর্বক দোষীদের অচিরেই শাস্তির আওতায় আনা
হবে বলে আশা করা যায়।
মন্তব্য করুন
ভারতীয় সীমান্তে পাচারের সময় ৪৪০ কেজি
ইলিশ মাছ জব্দ করেছে বিজিবি।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন ৬০ বিজিবির অধিনায়ক এ এম জাবের বিন জব্বার।
তিনি বলেন, প্রথম প্রহরে কুমিল্লা জেলার
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী মনোরা নামক স্থানে পাওয়া যায় এসব ইলিশ।
তিনি জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্ত
পিলার ২০৫৭২-এস হতে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মনোরা নামক স্থানে এসব ইলিশ পাওয়া
যায়৷ এসময় কাউকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বিজিবি আসার খবরে এসব ইলিশ ফেলে পালিয়ে
যায় চোরাকারবারিরা।
৪৪০ কেজি ইলিশ মাছের মূল্য ৯ লাখ ৬৮
হাজার টাকা। ইলিশগুলো বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর বুড়িচংয়ের আনন্দপুর
সীমান্তে সাড়ে ৬০০ কেজি ইলিশ জব্দ করেছিলো বিজিবি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অটো মিশুক চালক সৈকত হত্যার ঘটনা জড়িত অন্যতম আসামি তুহিন মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২ সদস্যরা।
গ্রেফতার হওয়া তুহিন মজুমদার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের বাবুল মজুমদারের ছেলে। ৭ আগস্ট রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৩ জুলাই রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল পাড়ে সৈকত (১৯) নামে এক অটোমিশুক চালক নৃশংসভাবে খুন হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ভিকটিম তাফরুল ইসলাম সৈকত (১৯) অটো মিশুক চালানোর উদ্দেশ্যে গত ০২ জুলাই বিকাল ৫ টায় বাড়ী থেকে বের হয়। রাত ১১ টা অতিবাহিত হওয়ার পরও সৈকত বাড়ীতে না ফেরায় তার পরিবার তাকে বিভিন্ন স্থানে খোজ করতে থাকে। পরবর্তীতে বিকাল সাড়ে ৫ টায় চৌদ্দগ্রামের মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল পাড়ে ভিকটিম সৈকত (১৯) এর লাশ পাওয়া যায়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-০৭। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে।
গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অন্যতম আসামী তুহিন মজুমদার (৩২) এর অবস্থান চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ০৭ আগষ্ট রাতে র্যাবের অভিযানে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন বসন্তপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম আসামী তুহিন মজুমদারকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী সহ অন্যান্য আসামীদের সাথে ভিকটিমের সু-সম্পর্ক ছিল। সে সূত্র ধরে গত ০১ জুলাই রাতে গ্রেফতারকৃত আসামী সহ তার অন্যান্য সহযোগী আসামীরা একত্রে মিলিত হয়ে ভিকটিমকে হত্যা করে তার অটো মিশুকটি ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ০২ জুলাই রাত ১১ টায় আসামীরা অটো মিশুকসহ ভিকটিমকে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল এলাকায় গিয়ে সবাই মিলে বসে গল্প করে। এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রেফতারকৃত আসামীর নির্দেশে ঘটনাস্থলের পাশে লুকিয়ে রাখা চাপাতি দিয়ে অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমকে কুপিয়ে হত্য করে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে ভিকটিমের কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল এবং অটো মিশুকটি নিয়ে লাশ খালে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১১, সিপিসি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন