আইন
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, শিগগিরই সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে।
বৃহস্পতিবার
(৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ
কথা বলেন।
উপদেষ্টা
আসিফ নজরুল বলেন, পর্যায়ক্রমে দেশের সব কালাকানুন বাতিল করা হবে। ডিজিটাল সার্ভিসেস
অ্যাক্টে (ডিএসএ) হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এর
আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সাইবার আইনে হওয়া ‘স্পিচ
অফেন্স’ (মুক্তমত প্রকাশ) সম্পর্কিত মামলাগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের দায়িত্বশীল বৈশ্বিক
ভূমিকাকে আরও সুদৃঢ় করেছে। এতে গণতান্ত্রিক শাসন, মানবিক সংহতি ও গঠনমূলক আন্তর্জাতিক
সহযোগিতার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি নতুনভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে
পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি প্রধান উপদেষ্টার ইউএনজিএ সফরের সাফল্যগুলো তুলে ধরেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অধ্যাপক ড. ইউনূস গত
সপ্তাহে নিউইয়র্কে ইউএনজিএ-র উচ্চপর্যায়ের অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব
দেন। সেখানে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্দেশ করে বক্তব্য রাখেন, বিশ্বনেতাদের
সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং গণতন্ত্র, মানবিক নেতৃত্ব ও ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সহযোগিতা
নিয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন। ইউএনজিএ-র ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে
গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থার প্রতি অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
করেন। তিনি স্বাধীন, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে বৈশ্বিক
মহলকে আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশ জনগণ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের লালিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
রক্ষায় প্রস্তুত।
শফিকুল আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফরে
তিন রাজনৈতিক দলের ৬ প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘এটাই প্রথমবার এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ
প্রতিনিধিদল একসঙ্গে সফরে যোগ দিল। তারা কূটনীতিক, প্রবাসী নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের
সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব যোগাযোগ বিশ্বের কাছে শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে গোটা
বাংলাদেশই গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে একসঙ্গে এগোচ্ছে।’
বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কৌশলগত বৈঠক
প্রসঙ্গে আলম বলেন, অধ্যাপক ড. ইউনূস উচ্চপর্যায়ের একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, যা
বাংলাদেশের বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার ও যৌথ অগ্রাধিকারের প্রসারে ভূমিকা রাখে।
তিনি জানান, ইতালি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান,
অস্ট্রেলিয়া, আলবেনিয়া, কসোভো ও ভুটানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে গণতান্ত্রিক শাসন, বাণিজ্য,
জলবায়ু সহনশীলতা ও মানব উন্নয়নের বিষয় গুরুত্ব পায়।
আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও
গুতেরেস, ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি, ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল,
জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা,
নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা এবং আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার
সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া অধ্যাপক ড. ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড
ট্রাম্প আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নিয়ে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। যুক্তরাষ্ট্রের
বিশেষ দূতের সঙ্গেও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়, যেখানে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বহুপাক্ষিক
কূটনীতিতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ভূমিকা উঠে আসে।
রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক নেতৃত্ব প্রসঙ্গে আলম বলেন,
প্রধান উপদেষ্টার সফরের মূল বিষয় ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু। সেখানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া
এক মিলিয়নের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রতি অব্যাহত মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া
যায়। জাতিসংঘ সংস্থা ও দাতা দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা নিরাপদ, স্বেচ্ছায়
ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সংকট যেন বৈশ্বিক মনোযোগ থেকে
হারিয়ে না যায় সে আহ্বান জানান। প্রেস সচিব জানান, এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য
থেকে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি আনতে সক্ষম হন।
শফিকুল আলম বলেন, জবাবদিহি ও উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি
তুলে ধরতে অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘকে অনুরোধ জানান বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি)
থেকে উত্তরণের অগ্রগতির একটি স্বাধীন মূল্যায়ন পরিচালনা করতে। এ অনুরোধ ঢাকার অর্থনৈতিক
যাত্রাপথে আস্থা ও গঠনমূলক আন্তর্জাতিক মূল্যায়নের প্রতি উন্মুক্ততা প্রকাশ করে।
প্রেস সচিব জানান, ইউএনজিএ সফরে বিদেশে কর্মসংস্থান
ও শ্রমশক্তি রপ্তানির নতুন সুযোগও উন্মোচিত হয়। কসোভো, আলবেনিয়া ও ইউরোপের আরও কয়েকটি
দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য শ্রমবাজার সম্প্রসারণের
বিষয়ে সম্ভাবনা খোঁজা হয়েছে। তিনি বলেন, এসব সুযোগ প্রবাসী আয় বাড়াতে ও নতুন অংশীদার
দেশের সঙ্গে জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সহায়ক হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তাপপ্রবাহে বন্ধ থাকার পর শনিবার থেকে
যথারীতি মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলবে
বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার থেকে যথারীতি মাধ্যমিক
পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলবে।
তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার জন্য আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছিল আদালত। সে
অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বন্ধ রাখা হয় মাধ্যমিক স্তুরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
মন্তব্য করুন
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ১৮৭ জনের মৃত্যুর তথ্য জানাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর চলতি সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ২০ ডেঙ্গু রোগীর।
একই সময়ে সারা দেশে ৬৬৮ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এযাবৎ মোট ৪১ হাজার ৬৩৮ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২৯৩ জন, বরিশাল বিভাগের ১৫৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০৬ জন, খুলনা বিভাগের ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৩০ জন, রাজশাহী বিভাগের ৩৫ জন, রংপুর বিভাগের ৫ জনের রোগী রয়েছেন।।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮৭ জনের। যাদের মধ্যে পুরুষ ৯৫ জন এবং নারী ৯২ জন।
মন্তব্য করুন
বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আসছে।
নিয়োগ পদ্ধতি শিক্ষক নিবন্ধন সনদের পরিবর্তে সরাসরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া করবে সরকারি কর্ম কমিশনের আদলে গঠিত একটি কর্তৃপক্ষ।
তবে এ নিয়ে বর্তমানে আইন তৈরির কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সনদের ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। এজন্য প্রিলিমিনারি, লিখিত, মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। আর উত্তীর্ণ প্রার্থীরা বিজ্ঞপ্তির পর সনদের ভিত্তিতে আবেদন করলে আবেদনপত্রের ভিত্তিতে নিয়োগে সুপারিশ করে থাকে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম মাসুদুর রহমান বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন আইন তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আইনটি পাস হলে শিক্ষক নিয়োগে আর কোনো নিবন্ধন সনদের দরকার হবে না। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর এনটিআরসিএর জন্য নতুন আইন তৈরি সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়।
শিক্ষক নিয়োগে নতুন আইন প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক অনুবিভাগ-২) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন আইন তৈরির কাজ চলমান। আশা করছি, আইনটি পাসের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তোলা হবে।
এদিকে এনটিআরসিএর একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নির্বাচন এবং নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে সুপারিশ কর্তৃপক্ষ সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে। তবে এই নতুন আইন কার্যকর হতে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আর এই সময় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আগের নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে হবে।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে এনটিআরসিএর সনদধারীরা গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আবেদন করলে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। এ ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব-৩৫ বা নিবন্ধন সনদের মেয়াদ ৩ বছর রয়েছে এমন সব প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পান। ফলে অনেকেই বঞ্চিত হয়ে থাকেন। তবে নতুন আইন কার্যকর হলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বয়স উল্লেখ থাকবে। এতে বঞ্চিত হতে হবে না কাউকে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধন সনদ দিয়ে আসছে এনটিআরসিএ। প্রথম দশকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি। তবে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর এতে পরিবর্তন আসে। সনদ দেয়ার পাশাপাশি নিয়োগের জন্য সুপারিশের ক্ষমতা দেয়া হয় এনটিআরসিএকে।
মন্তব্য করুন
সারাদেশে
চলমান তীব্র দাবদাহে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। টানা ২৬ দিনের
ছুটি কাটিয়ে আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) খুলতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তীব্র দাবদাহে
মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত
বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শনিবার
(২০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশজুড়ে
বিরাজমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার
নির্দেশ দিয়েছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দেশজুড়ে
বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন। এ পরিস্থিতি বিবেচনায়
দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত
বন্ধ থাকবে।
এই
অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়ে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) অভিভাবক
ঐক্য ফোরাম গণমাধ্যমে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠান। বলা হয় দেশে হিট অ্যালার্ট জারি
করা হয়েছে। মানুষ জনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল
কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বলে মত সংগঠনটির।
এই
পরিস্থিতিতে সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা সাত দিনের
জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানায় তারা।
মন্তব্য করুন
তীব্র
তাপদাহকালীন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখা
সংক্রান্ত নতুন কিছু নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
রোববার
(১৯ মে) দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও স্কুল এন্ড কলেজ এবং বেসরকারি নিম্ন
মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও স্কুল এন্ড কলেজের প্রধানদের কাছে এই
নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায়
বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন মাধ্যমিক
পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তীব্র তাপ প্রবাহকালীন শ্রেণি কার্যক্রম চালু অবস্থায়
নিম্নে বর্ণিত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো-
১।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রাত্যহিক সমাবেশ বন্ধ রাখা।
২।
শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালীন শ্রেণি কক্ষের সব দরজা-জানালা খোলা রাখা।
৩।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক পাখা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (যদি
থাকে) সচল রাখা।
৪।
পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা রাখা।
৫।
শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীদের প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা করা।
৬।
নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা, যেন কোন শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক
জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা যায়।
৭।
প্রয়োজনীয় খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা রাখা।
৮।
শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক শ্রেণিকক্ষে অবস্থান নিশ্চিত করা।
৯।
বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীরা যেন যথাসম্ভব
সূর্যের আলো থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা।
মন্তব্য করুন
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সচিবালয় অবরুদ্ধ করে ভাঙচুর ও হামলার মামলায় রাজধানীর পৃথক চার থানার মামলায় গ্রেপ্তার ৩৯০ জন আনসারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
৩৯০ জন এর মধ্যে রমনা, শাহবাগ, পল্টন ও বিমানবন্দর থানার পৃথক চার মামলায় তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে জানা গেছে, শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার ১৯১ জন, রমনা থানায় ৯৮ জন, পল্টন থানায় ৯৫ জন ও বিমানবন্দর থানার মামলায় ৬ আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে আনা হয়। এ চার থানার মামলায় অন্তত ৪২৬ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। এছাড়াও অন্তত দশ হাজার অজ্ঞাতপরিচয় আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
এসব মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে সচিবালয়ের সামনে সাধারণ আনসার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় কিছু আনসার সদস্যরা পল্টন মডেল থানাধীন জিরো পয়েন্ট এলাকায় চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজপথ অবরোধ করে রাখে। এসময় পুলিশ তাদের ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুরোধ অমান্য করে রাস্তা অবরোধের মাধ্যমে যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
এদিকে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা তাদের দাবি-দাওয়ার
প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাধারণ আনসারদের পক্ষে কয়েকজন প্রতিনিধির
সঙ্গে তাৎক্ষণিক বৈঠক করেন এবং আংশিক দাবি পূরণ করেন। এছাড়াও অন্যান্য যৌক্তিক দাবিগুলো
একটি কমিটি গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নে আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন
ই-পাসপোর্ট পরিষেবায় পুলিশ ভেরিফিকেশন পদ্ধতি বাতিল করা
হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এক পরিপত্র জারির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এর মাধ্যমে এখন থেকে কোনো প্রার্থীকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল
আইডি (এনআইডি) কার্ডে থাকা তথ্য অনুযায়ী সরাবরাহ করা হবে ই-পাসপোর্ট।
এদিকে
অপ্রাপ্তবয়স্ক ও প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের অধিকাংশ সময়ই জাতীয় পরিচয়পত্র করার সুযোগ
থাকে না। এ জন্য এই দুই শ্রেণির নাগরিকদের পাসপোর্টের ক্ষেত্রে তাদের আবেদন নিরীক্ষার
মাপকাঠি হবে অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদ। এবার তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ছাড়া
ই-পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া জেনে নেয়া যাক।
কাদের জন্য কোন নথি
প্রয়োজন
ই-পাসপোর্ট পেতে আবেদনকারীদের বয়স
অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নথি দিতে হবে:
১৮ বছরের নিচে: অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC,
ইংরেজি ভার্সন)।
১৮-২০ বছর: এনআইডি কার্ড বা
অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC, ইংরেজি ভার্সন)
২০ বছরের বেশি: শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড। তবে বিদেশি
মিশনের মাধ্যমে আবেদনকারীরা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিতে পারবেন।
শিশুদের ক্ষেত্রে: পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড।
ঠিকানার প্রমাণ: সাম্প্রতিক ইউটিলিটি বিল (গ্যাস, বিদ্যুৎ
বা পানি)।
বিশেষ পরিস্থিতি: দত্তক বা অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অনুমোদন।
পেশাভিত্তিক প্রয়োজনীয় নথি
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার: সংশ্লিষ্ট কারিগরি
সনদপত্র।
শিক্ষার্থী: সর্বশেষ শিক্ষাগত
যোগ্যতার সনদ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র/স্টুডেন্ট আইডি
বেসরকারি চাকরিজীবী: প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র।
সরকারি চাকরিজীবী: সরকারি আদেশ (জিও), অনাপত্তি পত্র (এনওসি),
প্রত্যয়নপত্র, পিআরএল অর্ডার বা পেনশন বই।
কৃষক: জমির পর্চা।
ব্যবসায়ী: ট্রেড লাইসেন্স।
আবেদনের সময় জমা দিতে হবে
বায়োমেট্রিকের জন্য
নির্ধারিত সময়সহ আবেদনপত্রের সারাংশ (প্রিন্ট কপি)।
অনলাইনে নিবন্ধিত পূর্ণ
আবেদনপত্র (প্রিন্ট কপি)।
পাসপোর্ট ফি জমার রশিদ।
৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য
ল্যাব-প্রিন্টেড সদ্য তোলা ছবি (গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে)।
ধারাবাহিকভাবে
ই-পাসপোর্টের আবেদনের নিয়ম :
অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ : প্রথমেই ইন্টারনেট ব্রাউজার
ওপেন করে সরাসরি www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর
‘অ্যাপ্লাই অনলাইন’ ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। এবা আঞ্চলিক ই-পাসপোর্ট কার্যালয় নির্ধারণ
করতে হবে। স্ক্রিনে ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে প্রার্থীর অবস্থানরত জেলা ও থানার নাম নির্বাচন
করতে হবে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অধিভুক্ত ই-পাসপোর্ট কার্যালয়ের নাম নির্ধারিত হবে।
এছাড়া
আলাদাভাবে নিকটস্থ ই-পাসপোর্ট কার্যালয় চেনার জন্য প্রবেশ করতে পারেন এই লিঙ্কে- https://dip.gov.bd/site/page/4d4ea063-50df-46ee-a326-492d8ef2dbb0/-।
পাসপোর্ট
অফিস নির্ধারণের পর ই-পাসপোর্ট অনলাইন নিবন্ধন পোর্টালে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এ জন্য
প্রয়োজন একটি ই-মেইল ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে
একটি ব্যতিক্রম পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। তারপর অ্যাকাউন্ট খোলা হলে পরবর্তীতে ই-মেইল
বা মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে পারবেন।
আবেদন
ফর্মের প্রতিটি তথ্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী উল্লেখ করতে হবে। ন্যূনতম তারকা
চিহ্নিত তথ্যগুলো অবশ্যই সফলভাবে প্রদানের পর পাসপোর্ট ফি প্রদানের অপশন আসবে। ফি তাৎক্ষণিকভাবে
অনলাইনে পরিশোধ করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রশিদ নম্বর সংযুক্ত হবে। পরবর্তীতে বায়োমেট্রিক
নিবন্ধনের জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে হবে। স্ক্রিনে প্রদর্শিত ক্যালেন্ডার থেকে উপলব্ধ
তারিখগুলো থেকে পছন্দসই একটি তারিখ নির্ধারণ করতে পারবেন প্রার্থী। এরপরই চূড়ান্ত পর্যায়,
যেখানে সাবমিট সম্পন্ন করার পর অ্যাপয়েনমেন্টসহ পুরো আবেদনের একটি সামারি প্রদর্শিত
হবে। এই সামারি এবং সাবমিটকৃত পুরো অনলাইন নিবন্ধনের প্রিন্ট কপি অন্যসব কাগজপত্রের
সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে জমা দিতে হবে।
ই-পাসপোর্ট ফি পরিশোধ: ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে
ফি পরিশোধের জন্য পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের অনুমোদিত কিছু পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে।
এসব হচ্ছে- ভিসা, মাস্টার ও অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউপে,
ডিমানি, ওকে ওয়ালেট এবং এমবিএল রেইন্বো। আর অনুমোদিত ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ব্যাংক এশিয়া,
ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, আরব-বাংলাদেশ
ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক।
৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদনের খরচ: পাসপোর্ট বইয়ের পৃষ্ঠা, পাসপোর্টের
মেয়াদ ও বিতরণের সময়সীমার ভিত্তিতে ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। মূলত রেগুলার, এক্সপ্রেস
এবং সুপার এক্সপ্রেস, এই তিন ক্যাটাগরিতে সরবরাহ করা হয় ই-পাসপোর্ট।
অধিকতর
দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট পাওয়ার মাধ্যম হচ্ছে সুপার এক্সপ্রেস মাধ্যম। এতে বায়োমেট্রিক
সংগ্রহের তারিখ থেকে মাত্র ২ কার্যদিবসের পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এক্সপ্রেস ক্যাটাগরিতে
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের তারিখ থেকে ৭ থেকে সর্বোচ্চ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া
যায়। আর রেগুলার ক্যাটাগরিতে সর্বাধিক সময়সীমা লাগে, যেখানে বায়োমেট্রিক প্রদানের দিন
থেকে ন্যূনতম ১৫ কার্যদিবস বা ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
আবেদনপত্রসহ নথিপত্র জমা ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া: উল্লেখিত সব কাগজপত্র
নিয়ে পূর্বনির্ধারিত দিন উপস্থিত থাকতে হবে পাসপোর্ট অফিসে। এদিন আবেদনকারীর ছবি তোলা,
হাতের আঙুলের ছাপ নেয়া হয়। বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ছবি উঠাতে প্রার্থীকে অবশ্যই
রঙিন পোশাক পরে আসতে হবে পাসপোর্ট অফিসে। সব কাজ শেষে প্রার্থীকে বিতরণের সম্ভাব্য
তারিখ সম্বলিত একটি স্লিপ দেয়া হবে। স্লিপটি আবেদনকারীর বায়ো নিবন্ধনের প্রমাণপত্র,
এ জন্য এটি পাসপোর্ট সংগ্রহের দিন অবশ্যই সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা যাচাইয়ের উপায়: বায়ো নিবন্ধনের দিন
থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের সম্ভাব্য দিনটির আগে পাসপোর্ট আবেদনের অবস্থা অনলাইনের মাধ্যমে
যাচাই করা যায়। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট কোন প্রক্রিয়ায় রয়েছে, তা দেখা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট
প্রিন্ট এবং তা সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত কিনা, সেটিও দেখা যায়। এ জন্য প্রবেশ করতে
হবে এই লিঙ্কে- https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status- লিঙ্কে।
পাসপোর্ট
অফিস থেকে দেয়া বিতরণ স্লিপে ১৩ সংখ্যার একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি রয়েছে। আবেদনের বর্তমান
অবস্থা যাচাইয়ের জন্য এই আইডি বা আবেদন ফর্মে থাকা ওআইডি (অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি)
ব্যবহার করতে হবে।
আগে
বায়োমেট্রিক দেয়ার কিছুদিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদনকারীকে ফোন করা হতো। কিন্তু
এখন থেকে এই কার্যক্রম থাকছে না। ই-পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য একদম প্রস্তুত হলে যথারীতি
আবেদনপত্রে উল্লেখিত ফোন নম্বর ও ই-মেইলে নির্দিষ্ট তারিখ সম্বলিত বার্তা পাঠানো হবে।
আর সেই তারিখে বিতরণ স্লিপ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে
হাজির হতে হবে।
মন্তব্য করুন
রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
১৮৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ।
তবে
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। সুনীল নারিন শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। এরপর তিনে নামা তাওহিদ হৃদয় লিটন দাসকে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। তাদের অসাধারণ এক জুটিতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় রংপুর। পরে ৪৩ বলে ৬৪ রানে আউট হন হৃদয়। চারে নামা জনসন চার্লস ৩ বলে ১০ রানে ফেরেন। এর পরের ওভারে ৫৭ বলে ৮৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন লিটন। ততক্ষণে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
এর আগে, সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে সাকিব আল হাসানের দল।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। মাত্র ২৭ রান তুলতেই প্রথম ৩ ব্যাটার রনি তালুকদার (১৩), শামিম হোসেন (০) ও সাকিব আল হাসান (৫) ফিরেছেন দ্রুতই। পরে ঘুরে দাঁড়ায় নিশামের ব্যাটে। প্রথমে তাকে সঙ্গে দেন মাহেদী হাসান। ব্যাটিং অর্ডারের উপরে উঠে আসা মাহেদী ১৭ বলে ২২ রান করে ফেরেন ক্যারিবীয় স্পিনার সুনীল নারিনের বলে।
মাহেদীর পর নিশামের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন পুরান। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। তবে নিশাম একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে শুরু করেন। ৩১ বল খেলে ফিফটি তুলে নেন। এরপরও চলতে থাকে তার আগ্রাসী ব্যাটিং। রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ২৪ বলে ৩০ রান করে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন। তবে ১৯তম ওভারে তাকে ফেরান ক্যারিবীয় পেস অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।
অপরপ্রান্তে উইকেট পতন হলেও নিশাম থামেননি। শেষ ওভারে মুশফিক হাসানের ওভারে ৩ ছক্কা ও ২ চারে তুলে নেন ২৮ রান। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন নিশাম।
মন্তব্য করুন