

বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস পানিতে ডুবে নিহত ৭ জনের দাফন
সম্পন্ন হয়েছে।
আজ রোববার সকালে মাদারীপুর জেলার শিবচরের ভদ্রাসন ইউনিয়ন ও ভান্ডারিকান্দি ইউনিয়নের
পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে রাত তিনটার দিকে মরদেহ বাড়িতে
পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শনিবার রাত তিনটার দিকে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে পৌঁছায় দুর্ঘটনায় নিহত
৭ জনের মরদেহ। এ সময় জড়ো হন প্রতিবেশীরাও। পরে রোববার সকালে ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহা
পাড়া, ওমেদপুর ও ভান্ডারিকান্দি ইউনিয়নের ক্রোকচর গ্রামে জানাজা শেষে নিজ নিজ গ্রামের
পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় শিবচর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের দাফন কার্য সম্পন্ন করতে ১০
হাজার করে মোট ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
জানা যায়, বরগুনার আমতলীতে বোনের মেয়ে হুমায়রা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ
দিতে বুধবার রাজধানী ঢাকা থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মাদারীপুরের শিবচরের ভদ্রাসনের
গ্রামের বাড়িতে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ভাগ্যক্রমে
তিনি বেঁচে গেলেও প্রাণ হারায় তার স্ত্রী শাহানাজ আক্তার মুন্নী ও দুই মেয়ে তাহিয়া
ও তাসদিয়া। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় ব্যাংক কর্মকর্তার বোন, ভাবী, দুই ভাগ্নেসহ
একই পরিবারের ৭ জনকে।
নিহতরা হলেন - শিবচরের ভদ্রাসনের গ্রামের আবুল কালাম আজাদ-এর স্ত্রী শাহানাজ
আক্তার মুন্নী (৪০) ও তার দুই মেয়ে তাহিয়া (০৭) এবং তাসদিয়া (১১)। একই এলাকার মৃত ফকরুল
আহম্মেদের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি আক্তার (৩০), বাবুল মাদবরের
স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০) এবং রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রুমি বেগম (৪০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , আমতলীর কাউনিয়ার মনিরুল ইসলামের মেয়ে হুমায়ারার সঙ্গে
একই এলাকার সেলিম ইসলামের ছেলে সোহাগের বিয়ে শুক্রবার দুপুরে সম্পন্ন হয়। শনিবার দুপুরে
কনেপক্ষ আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় বহনকারী মাইক্রোবাসটি লোহার সেতু ভেঙে পানিতে ডুবে
যায়। এ ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ৭ জনই মাদারীপুরের শিবচরের।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ
দিতে গিয়ে একসঙ্গে একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। শোকবহ পরিবারের পাশে থাকবে
জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিকেও বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৪০ কেজি গাঁজা এবং ৩৯৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম মডেল থানাধীন আব্দুল্লাপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী মোঃ সাকিবুল ইসলাম (২২) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে মাদক পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিসহ ৪০ কেজি গাঁজা ও ৩৯৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সাকিবুল ইসলাম (২২) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার কাঠালিয়া গ্রামের আব্দুল মোমেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে সিএনজি যোগে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা
জেলার সদর দক্ষিণ থানার ইপিজেট পুলিশ ফাড়িঁ আওতাধীন শাকতলা সার্ভে ইনস্টিটিউটের পিছনে
ডিসি গলির মাথায় বিসমিল্লাহ ডিমের আরত দোকানের সাথে টিনশেড রুমের ভিতরে অবৈধ দেশীয় অস্ত্র (কাটিং প্লাস, বড় দা, রামদা, ছোট দা, চাকু,ছোরা)
সহ ১১ মামলার আসামি ছিনতাইকারী ডাকাত সাজ্জাদ হোসেন খোকা (২৭) কে গ্রেফতার করেন ইপিজেট
পুলিশ ফাড়িঁর এসআই নিয়াজ মোহাম্মদ খান ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স।
গতকাল
সোমবার (৯ জুন) রাত অনুমান ৯টা ৩০ মিনিটের সময় কুমিল্লা মহানগর ২১নং ওয়ার্ডের শাকতলা
সার্ভে ইনস্টিটিউটের নতুন ভবনের পিছনে সেনাবাহিনীর
সহায়তায় ইপিজেট পুলিশ ফাড়িঁ টিম একটি অভিযান পরিচালনা করেন। এই সময় ছিনতাইকারী, ডাকাত,
চাদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ১১ মামলার আসামি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন খোকাকে দেশীয় অস্ত্র সহ
আটক করে।
গ্রেফতারকৃত
আসামি হলো- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন ২১নং ওয়ার্ড মধ্যম আশ্রাফপুর এলাকার মৃত
আঃ খালেক এর ছেলে মোঃ সাজ্জাদ হোসেন খোকা।
এই
বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানাধীন ইপিজেড ফাঁড়ীর ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই নিয়াজ মোহাম্মদ
খান জানান, ১টি ধারালো বড় দা, লোহার বাট, ১টি ধারালো রাম দা, কাঠের বাট, ১টি স্টীলের
ধারালো চাকু, ১টি ধারালো ছোরা, কাঠের বাট, ১টি ধারালো দা লোহার বাট, ১টি ধারালো কাটিং
প্লাস জব্দ করা হয়। এই সময় তার সহযোগী একজন পালিয়ে যায়। পলাতক আসামী হলো-কুমিল্লা কোতয়ালী
মডেল থানাধীন গোবিন্দপুর এলাকার মশু। আসামীর বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ থানায় মামলা দায়ের
করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লায় বকশিশের টাকা
ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক সহকর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে আরেক সহকর্মীকে
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরবেলা
এ রায় ঘোষণা করেন কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছাঃ
ফরিদা ইয়াসমিন।
দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি
হলেন- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন কৃষ্ণপুর গ্রামের মোঃ শাহজাহান মিয়ার ছেলে মোঃ
রাব্বি হোসেন (২২)।
মামলার বিবরণে জানা যায়-
২০২৩ সালের ১০ মে বিভিন্ন যানবাহনের মালিক/চালকের কাছ থেকে প্রাপ্ত বকশিসের টাকা ভাগাভাগি
নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মোঃ রাব্বি হোসেন (২২) এর হাতে থাকা ছুরি দিয়ে মোঃ মারুফ
হোসেন (১৯) কে এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঘাই মারিলে রক্তাক্ত জখম অবস্থায়
মাটিতে লুটাইয়া পড়ে। তার আত্ম চিৎকার শুনে ফিলিং স্টেশনের স্টাফরা তাঁকে উদ্ধার করে
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নিহতের মা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন ঘোষগাঁও কাজী বাড়ীর মৃত মোঃ হাফিজুর
রহমানের স্ত্রী মোসাঃ মিনুয়ারা বেগম (৫০) বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি হত্যা
মামলা দায়ের করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আহসান হাবীব ২০২৩ সালের ১৩ মে আসামি
মোঃ রাব্বি হোসেনকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করিলে আসামি
রাব্বি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার বিধানমতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
তৎপর আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার
বিধানমতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব ২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতে
অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং-৪২২)। তৎপর মামলাটি বিচারে আসলে ২০২৪ সালের
৪ নভেম্বর আসামি মোঃ রাব্বি হোসেন এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জগঠন করলে রাষ্ট্রপক্ষে
১৯জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ
সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ
অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়া।
মন্তব্য করুন


ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লা অংশের নাঙ্গলকোট পৌরবাজার এলাকায় রেলসীমানা দখল করে গড়ে ওঠা প্রায় শতাধিক অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রশাসন। আজ বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত একটানা এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
নাঙ্গলকোট পৌরবাজার রেলগেট থেকে শুরু করে রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পূর্ব পাশের বিশাল এলাকা জুড়ে এই অবৈধ স্থাপনাগুলো গড়ে উঠেছিল।
উচ্ছেদ অভিযানে রেলওয়ের কঠোর পদক্ষেপ
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন রেলওয়ের বিভাগীয় স্টেট অফিসার মো. খোরশেদ আলম। অভিযানে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।
এ সময় নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিল্টন চাকমা উপস্থিত ছিলেন। ভ্যাকুয়াম মেশিন (Vaccum Machine) ব্যবহার করে একে একে সব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়।
দখলদারদের অভিযোগ ও কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
এদিকে, উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা অভিযোগ করেছেন যে, তাদের কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ দেওয়া হয়নি। ফলে হঠাৎ চালানো এই অভিযানে তারা মালামাল সরানোর সুযোগ পাননি, যার কারণে তারা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
তবে রেলওয়ে স্টেট অফিসার মো. খোরশেদ আলম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে রেলওয়ের জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া তুলছিল। তিনি নিশ্চিত করেন, "দখলদারদের কয়েক দফা লিখিত নোটিশ ও মাইকিং করা হয়েছিল, কিন্তু তারা স্থান ছাড়তে রাজি হননি। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাধ্য হয়েই এই উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হয়েছে।"
তিনি আরও জানান, দেশের সমস্ত রেলওয়ের জমি দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের অভিযান ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বালিগাঁও এলাকায় দুর্বৃত্তরা রেললাইনের উপর স্লিপার ফেলে দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে দ্রুত রেলওয়ে কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেললাইনের উপর থাকা স্লিপারগুলো সরিয়ে ফেলে সম্ভাব্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেন।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোরে কোনো একসময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার পলাশ। স্থানীয়রা জানান, অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত কিন্তু সেটা হয়নি। ট্রেনের ধাক্কায় স্লিপার সরে যায়। পরে স্থানীয়রা সেটা রেললাইন থেকে সরিয়ে ফেলে। এ ধরনের নাশকতামূলক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টার “পলাশ দাস” বলেন, আমি জানতাম না এমন ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানলাম। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করেছি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
২০ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল
(২৬ জানুয়ারী) রাতে কোতয়ালী মডেল থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) মোহাম্মদ আশিকুর রহমান ও সঙ্গীয়
ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ৬ নং জগন্নাথপুর
ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড রাজম্ঙ্গলপুর সাকিনস্থ কাশফুল ফ্যাক্টরির সামনে রাস্তার উপর থেকে
২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সুজন মিয়া কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো: মোঃ সুজন মিয়া(৩১), পিতা-মন্তু মিয়া ,স্থায়ী-১: গ্রাম- রাজমঙ্গলপুর ( হাবিল
কবিরাজের বাড়ির পাশে ০৮ নং ওয়ার্ড) , উপজেলা/থানা- কুমিল্লা কোতয়ালী, জেলা –কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার আদর্শ সদরে সীমান্ত রক্ষী
বাহিনী বিজিবি (১০ ব্যাটালিয়ন) অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক চোরাকারবারিকে
আটক করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টায়,
কুমিল্লা সদরের পালপাড়া এলাকায় অভিযানটি পরিচালিত হয়।
আটককৃতরা হলেন, কালীকৃষ্ণনগর গ্রামের
বাসিন্দা আবু ইউসুফের ছেলে মো. রাসেল (২২) এবং একই এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে মো. বাহার
মিয়া (২০)।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বিজিবি কুমিল্লা
১০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ইফতেখার হাসান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত
করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে পালপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। অভিযানে ব্যবহৃত
একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাও জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং সিএনজির মোট
বাজারমূল্য প্রায় ৬ লাখ ৫ হাজার টাকা। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের
প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় মাদক এবং চোরাচালান দমনে বিজিবির এমন অভিযান
নিয়মিত চলবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা
জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযানে
সাতজন মাদক ব্যবসায়ীকে গাঁজা ও ইয়াবা সহ আটক করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
আজ
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন জগমোহনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের
কাছ থেকে এক কেজি গাঁজা ও ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট
উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত
আসামীরা হলো: ১। কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন জগমোহনপুর এলাকার মোঃ জসিম উদ্দিন’র
ছেলে মোঃ মাসুদ রানা (২৪), ২। বুশতল এলাকার আবুল কাশেম’র ছেলে আব্দুল খালেক (১৯),৩।
২ নং বদরপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলম’র ছেলে মোঃ জাকির হোসেন (২৭), ৪। বরুড়া থানাধীন দেওড়া
এলাকার আব্দুছ ছাত্তার’র ছেলে শরীফ হোসেন (৩৯), ৫। চৌদ্দগ্রাম থানাধীন নারায়ণপুর এলাকার
ছায়েদ মিয়ার ছেলে মোঃ পারভেজ (৩৫),৬। কেছকী মোড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেম‘র ছেলে মোঃ
নূর নবী (২৮),৭। বি-বাড়িয়া জেলার সরাইল থানাধীন তেরকান্দা এলাকার মোঃ আনোয়ার হোসেন’র
ছেলে মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম (১৯)।
র্যাব জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ধৃত আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী খাবারের হোটেল গুলোতে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেল্পারদের নিকট মাদক বিক্রয় করে আসছিল। কিছু হোটেলের মালিক/ম্যানেজারগণ খাবার হোটেলের ব্যবসার সাথে সাথে মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। ট্রাকের চালকেরা খাবার খাওয়া এবং বিশ্রামের জন্য উক্ত খাবার হোটেল গুলোতে বিরতি নিয়ে থাকে। বিরতিকালে ড্রাইভার এবং হেলপাররা হোটেল গুলো থেকে মাদকদ্রব্য ক্রয় করে এবং সেবন করে। মাদক সেবী ট্রাকের ড্রাইভাররা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় রাতে মহাসড়কে গাড়ি চালায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনার হার আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রয়কালে অবৈধ মাদক সহ আসামীদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
৩৪ বোতল বিদেশী মদসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৬
ফেব্রুয়ারী রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন লালবাগ চৌমুহনী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান
পরিচালনা করে মোঃ সজীব হোসেন (১৯) নামক ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় ৩৪
বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী মোঃ সজীব হোসেন (১৯) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানার লালবাগ গ্রামের মোঃ ফিরোজ
মিয়া এর ছেলে।
র্যাব
জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য বিদেশী মদ সংগ্রহ
করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয়
করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর:
চাঁদপুরে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের আয়োজনে বৃক্ষ মেলা ২০২৪ উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই বৃক্ষ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিএম মোহাম্মদ কবির, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডঃ মোঃ সাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়। এছাড়াও দর্শনার্থী ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মেলায় মোট চাঁদপুর জেলার২২ টি স্টল অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন