

পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব
পৌঁছেছেন ১৩০ বছর বয়সী সারহোদা সাতিত নামের এক নারী। তিনি আলজেরিয়া থেকে হজ করতে গেছেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) জেদ্দা বিমানবন্দরে
সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ওই নারী পৌঁছলে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময়
তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন সৌদি কর্মকর্তারা।
সৌদি সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার খবরে
বলা হয়, হজ পালনে প্রবীণ এ নারীর দৃঢ়তা সবাইকে
মুগ্ধ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার হজযাত্রার প্রশংসা করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের ভিডিওতে
দেখা যায়, বিমানবন্দরে ওই নারীকে হুইলচেয়ারে করে নেওয়া হচ্ছে।
এ সময় বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের তাকে
ফুলের মালা পরিয়ে দিতে দেখা যায়। তখন সংশ্লিষ্টদের কল্যাণ চেয়ে ওই নারী বলতে থাকেন,
মহান আল্লাহ সৌদি আরব ও এর জনগণের সুরক্ষা করুন।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজ করবেন ৮৫
হাজার ২৫৭ জন।
মন্তব্য করুন


পবিত্র রমজান উপলক্ষে অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীসহ বিশ্ব মুসলিম
উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ।
আজ শনিবার পবিত্র রমজান উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই শুভেচ্ছা
জানান।
বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সিয়াম সাধনা ও সংযমের মাস রমজান আজ
আমাদের মাঝে সমাগত। পবিত্র এ মাসে আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে;
সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, নৈকট্য লাভ ও ক্ষমা লাভের অপূর্ব সুযোগ হয়।
ধনী-গরিব সবার মাঝে
পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়ে প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগবিলাস,
হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছৃঙ্খলতা ও সংঘাত পরিহার এবং জীবনের সর্বস্তরে পরিমিতিবোধ,
ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করি। সিয়াম পালনের
পাশাপাশি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করি এবং ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকি।
তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের জাতীয় জীবনে পবিত্র মাহে
রমজানের শিক্ষা কার্যকর করার তাওফিক দান করুন। মাহে রমজান আমাদের জীবনে বয়ে আনুক
অনাবিল শান্তি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ক্ষমা ও হেফাজত করুন, আমিন।
মন্তব্য করুন


বিশ্ব ইজতেমা মুসল্লিদের জন্য ১১ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
মঙ্গলবার(২৩ জানুয়ারি)
রাজধানীর রেল ভবনে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিশ্ব ইজতেমা ১ম পর্ব
২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি এবং ২য় পর্ব ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
এরমধ্যে ২ ও ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা রুটে জুম্মা স্পেশাল-২ নামে ১
জোড়া ট্রেন চলাচল করবে।
৩ ও ১০ ফেব্রুয়ারি
জামালপুর-টঙ্গী রুটে স্পেশাল-১ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। আখেরি মোনাজাতের দিন (৪ ও
১৯ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন রুটে যে স্পেশাল ট্রেন গুলো চলাচল করবে সগুলো হল:
ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা রুটে ৫ জোড়া স্পেশাল, টঙ্গী-ময়মনসিংহ-টঙ্গী রুটে ১ জোড়া ও
টঙ্গী-টাঙ্গাইল-টঙ্গী রুটে ১টি স্পেশাল ট্রেন। আর ঈশ্বরদী-টঙ্গী-ঈশ্বরদী রুটে ২ট
জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে।
ট্রেনের যাত্রাবিরতি:
১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪
ফেব্রুয়ারি এবং ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা অভিমুখী সকল আন্তঃনগর, মেইল
ও কমিউটার ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে ৩ (তিন) মিনিট করে থামবে।
আগামী ৪ ও ১১
ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের দিন (সুবর্ণ, সোনারবাংলা, কক্সবাজার ও পর্যটক
এক্সপ্রেস ব্যতিত) সকল আন্তঃনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেন সমূহ (আপ ও ডাউন) টঙ্গী
স্টেশনে ৩ (তিন) মিনিট করে থামবে।
মন্তব্য করুন


আজকের এ রাত মহিমান্বিত এক রাত। এ রাতে অসংখ্য বান্দা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও কল্যাণ লাভ করেন। প্রতিবছর হিজরি ক্যালেন্ডারের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে শবে বরাত পালন করা হয়।
ফারসি ভাষায় শব অর্থ রাত এবং বরাত অর্থ মুক্তি। শবে বরাত অর্থ মুক্তির রাত। এই রাতে মহান আল্লাহ মুক্তি ও মাগফিরাতের দুয়ার খুলে দেন। সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। এটি নিঃসন্দেহে বরকতময় রাত। রাতটি শাবান মাসের মধ্যবর্তী হিসেবে হাদিসে এই রাতকে লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান তথা অর্ধ শাবানের রাত বলা হয়েছে। বিশ্ব মুসলিমবাসীর বিশ্বাস, এ রাতে অসংখ্য বান্দা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও আশীর্বাদ লাভ করে থাকে। এ কারণে এ রজনীকে ‘মুক্তির রজনী’বলা হয়।
হযরত মোহাম্মদ (সা.) এ রজনী সম্পর্কে বলেছেন, এই রাত্রিতে এবাদতকারীদের গুণাহরাশি আল্লাহ তালা ক্ষমা করে দেন। তবে কেবল আল্লাহর সঙ্গে শিরককারী, সুদখোর, গণক, যাদুকর, কৃপণ, শরাবী, যিনাকারী এবং পিতা-মাতাকে কষ্টদানকারীকে আল্লাহ মাফ করবেন না।
প্রকৃত অর্থে শবে বরাতের নামাজ বলে আলাদা কিছু নেই, যেহেতু এই রাতটি ইবাদত বন্দেগি করে কাটাতে হবে তাই হাদিসেই এই সমাধান দেয়া হয়েছে। আর বিশ্ব মুসলিম এই বিশেষ কিছু ইবাদত পালন করে থাকেন।
সন্ধ্যায়- এই রাতে মাগরিব নামাজের পর হায়াতের বরকত, ঈমানের হেফাযত এবং অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য দুই রাকাত করে মোট ৬ রাকাত নফল নামায পড়া উত্তম। এই ৬ রাকাত নফল নামাজের নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা এরপর যে কোন একটি সূরা পড়তে হবে। দু’রাকাত নামাজ শেষ করে সূরা ইয়াছিন বা সূরা এখলাছ ২১ বার তিলাওয়াত করতে হবে।
শবে বরাতের নফল নামাজ :
দুই রাকাত তহিয়াতুল অজুর নামাজ, নিয়ম- প্রতি রাকাতে আল হামদুলিল্লাহ (সূরা ফাতিহা) পড়ার পর, ১ বার আয়াতুল কুরসি এবং তিন বার ক্বুলহু আল্লাহ (সূরা এখলাছ)। ফজিলত: প্রতি ফোটা পানির বদলে সাতশত নেকী লিখা হবে।
দুই রাকাত নফল নামাজ, নিয়ম- ১ নম্বর নামাজের মত, প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর, ১ বার আয়াতুল কুরসি এবং ১৫ বার করে সূরা এখলাছ, অতঃপর সালাম ফিরানোর পর ১২ বার দুরূদ শরীফ। ফজিলত: রুজিতে বরকত, দুঃখ-কষ্ট হতে মুক্তি লাভ করবে, গুনাহ হতে মাগফিরাতের বকশিস পাওয়া যাবে।
আট রাকাত নফল নামাজ দু্রাকাত করে পড়তে হবে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর, সূরা এখলাছ ৫ বার করে। একই নিয়মে বাকি সব। ফজিলত: গুনাহ থেকে পাক হবে, দু’আ কবুল হবে এবং বেশি বেশি নেকী পাওয়া যাবে।
১২ রাকাত নফল নামাজ দু’রাকাত করে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর, ১০ বার সূরা এখলাছ এবং এই নিয়মে বাকি নামাজ শেষ করে, ১০ বার কালেমা তওহীদ, ১০ বার কলেমা তামজীদ এবং ১০ বার দুরূদ শরীফ।
১৪ রাকাত নফল নামাজ দু’রাকাত করে, নিয়ম- প্রতি রাকাত সূরা ফাতিহার পর যে কোন একটি সূরা পড়ুন। ফজিলত - যে কোনো দু’আ চাইলে তা কবুল হবে।
চার রাকাত নফল নামাজ এক সালামে পড়তে হবে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পর ৫০ বার সূরা এখলাছ শরীফ। ফজিলত: গুনাহ থেকে এমনভাবে পাক হবে যে সদ্য মায়ের গর্ভ হতে ভূমিষ্ঠ হয়েছে।
আট রাকাত নফল নামাজ এক সালামে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ১১ বার সূরা এখলাছ শরীফ। ফজিলত: এর ফজিলতে সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, হযরতে সৈয়্যদাতুনা ফাতেমা রাদিআল্লাহু আনহা এরশাদ করেছেন, ‘আমি ওই নামাজ আদায় কারীর সাফায়াত করা ব্যতীত জান্নাতে কদম রাখব না।
রোজার ফজিলত হুজুর সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে শাবানে ১ দিন রোজা রেখেছে, তাকে আমার সাফায়াত হবে। আরো একটি হাদিস শরীফে আছে যে, হুজুর সালল্লাহু তালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি শাবানের ১৫ তারিখে রোজা রাখবে, তাকে জাহান্নামের আগুন ছোঁবে না। এছাড়াও পড়তে পারেন সালাতুল তাসবীহ এর নামাজ। এই নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চাচা হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহুকে এই নামায শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এই নামাজ পড়লে আল্লাহ আয-যাওযাল আপনার আউয়াল আখেরের সগীরা কবীরা জানা অজানা সকল গুণাহ মাফ করে দেবেন।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত : নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার।
বাংলায় নিয়ত করলে এই ভাবে করতে পারেন: শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ/ সালাত কিবলামুখী হয়ে পড়ছি, আল্লাহু আকবর।
সতর্কতা
মনে রাখতে হবে ফরজ নফলের চেয়ে অনেক বড় শবে বরাতের নামাজ। যেহেতু নফল সেহেতু নফল পড়তে পড়তে ফরজ পড়া ভুলে গেলে বা ঘুমের কারণে পড়তে না পারলে হবে না । অর্থাৎ ঠিক সময় মত ফজর নামাজ যেন পড়তে পারা যায় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে ।
মন্তব্য করুন


সোমবার (১২ আগস্ট) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হটলাইন সেবা চালু করা নিয়ে বলা হয় ।
একটি অনুরোধ জানিয়ে আরো বলা হয় যে,
মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা বা অন্য কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা হলে তার তথ্য জানাতে
অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এতে আরো বলা হয়, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা
বা অন্য কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দুর্বৃত্ত কর্তৃক হামলার শিকার বা আক্রান্ত হলে তার
তথ্য ০১৭৬৬-৮৪৩৮০৯ এই মোবাইল নম্বরে ফোন বা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানানোর জন্য অনুরোধ
করা হলো।
এর আগে গতকাল দুপুরের দিকে অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ঠেকাতে হটলাইন চালুর
কথা বলেন। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চালু হলো এই সেবা।
মন্তব্য করুন


ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
বলেছেন, এ দেশ আমাদের সকলের। দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা ও উজ্জ্বল করার দায়িত্বও সকল ধর্মের
মানুষের।
আজ (১০ অক্টোবর) বিকেলে শারদীয় দুর্গাপূজা
উপলক্ষে রাজধানীর বনানী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সমবেত ভক্ত ও পূজারিদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা
বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা খালিদ হোসেন বলেন, আমরা
একটি পরিবারের মতো। আমাদের সকলের সাংবিধানিক অধিকার সমান। দেশের ভাবমূর্তি যাতে নষ্ট
না হয় সেবিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে হবে। শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্ন করতে
সকল ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ,
আনসার-ভিডিপি, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ধর্ম
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। কোন দুর্বৃত্ত পূজামণ্ডপে হামলা
কিংবা প্রতিমা ভাংচুর করতে আসলে তাদেরকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে
হবে। সরকার প্রচলিত আইনে এই দুর্বৃত্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করবে। আমাদের অন্তর
সংকীর্ণ। আমরা সকলেই প্রচন্ড রকম আত্মকেন্দ্রিক। আমরা অন্যদেরকে আমাদের অন্তরে স্থান
দিতে পারিনা। আমাদের অন্তরকে বড় এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করতে হবে। আমাদের পারস্পরিক
সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াতে হবে। আগের সরকারগুলো দুর্গাপূজাতে পূজামণ্ডপগুলোতে সহযোগিতা
করার জন্য সাধারণত দুইকোটি টাকা বরাদ্দ দিতো।
কিন্তু বর্তমান সরকার এবছর চার কোটি টাকা বরাদ্দ
দিয়েছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে ধর্মীয়
ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করতে পারে সেবিষয়ে
সরকার সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ বহু ধর্ম ও গোত্রের মানুষের সমন্বয়ে
একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। একটি বাগানে নানা প্রজাতির ফুল থাকলে বাগানটি যেমন দৃষ্টিনন্দন
ও বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠে। বাংলাদেশও ঠিক মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন ও ক্ষুদ্র
নৃগোষ্ঠীর সম্মিলনে বৈচিত্র্যময়। আমরা এই সৌন্দর্যকে লালন করতে চাই। আমরা পারস্পরিক
সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে দৃঢ় করতে চাই। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা
অর্জন করেছি। আমাদের সকলের অধিকার সমান। ধর্মচর্চা, ধর্ম পালন ও ধর্ম অনুশীলন আমাদের
সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।
এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা
বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন,
ধর্মসচিব মু.আ. হামিদ জমাদ্দার, গুলশান বনানী পূজা ফাউন্ডেশনে সাধারণ সম্পাদক
অসীম কুমার জোয়ার্দারসহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান ও আবু সায়েম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিকেলে বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান ও আবু সায়েম জানান, প্রতি বছরের মতো ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে। আগামী ৩১ জানুয়ারি আম বয়ানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। পরে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্ব। এবারও বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আয়োজন করবেন তাবলিগ জামাতের মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের অনুসারী (শুরায়ী নেজাম)।
৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। দ্বিতীয় পর্ব পরিচালনা করবেন তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ অনুসারীরা। ৯ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। ১ম পর্বের আয়োজনকারীরা তাদের আয়োজন শেষে ইজতেমার মাঠ ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত বিশ্ব ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতি সংক্রান্ত কমিটিকে ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার মধ্যে বুঝিয়ে দেবেন। পরে ২য় পর্বের আয়োজনকারীরা ওইদিন বিকেলে ওই কমিটির কাছ থেকে ইজতেমার মাঠ বুঝে নেবেন। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শেষে ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আয়োজকগণ কমিটির কাছে মাঠ হস্তান্তর করবেন।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান ও আবু সায়েম আরও জানান, এবার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদ উপস্থিত থাকবেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করেছেন।
মন্তব্য করুন


পবিত্র কাবা নতুন গিলাফ বা কিসওয়ায়
মোড়ানো হয়েছে । হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে পুরান গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আরব নিউজের
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হজের মওসুম শুরুর আগে কাবার গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে। বুধবার
এটি নতুন করে কারুকার্যমণ্ডিত কিসওয়া দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় প্রেস
এজেন্সি এসপিএ জানিয়েছে, কিসওয়া পরিবর্তনে ১০টি ক্রেন ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া এ
কাজে অংশ নিয়েছেন ৩৬ জন বিশেষ কর্মী। পবিত্র কাবার কিসওয়ার প্রস্থ আড়াই মিটার এবং দৈর্ঘ্য
৫৪ মিটার।
পবিত্র কাবার গিলাফ পরিবর্তন
ঐতিহাসিক পরম্পরা। আগে হজের দিন এটি পরিবর্তন করার রীতি ছিল। তবে বর্তমানে ১ মহররম
হিজরি নববর্ষের প্রথম প্রহরে করা হয়ে থাকে।
বিশেষভাবে তৈরি এ গিলাফে প্রতি
মিটারে দশ ধাপে ৯৯০০ সুতা লাগানো হয়। গিলাফের বাইরের কালো কাপড়ে স্বর্ণমণ্ডিত রেশম
সুতা দিয়ে ক্যালিগ্রাফি করেন দক্ষ কারিগররা। এরপর ঝারনিখ কালি দিয়ে প্রথমে কাপড়ে ক্যালিগ্রাফির
আউটলাইন দেওয়া হয়। পরে কারিগরদের দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় হরফের ভেতর রেশম সুতার মোটা লাইন
বসিয়ে স্বর্ণের সুতা দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে হরফ ফুটিয়ে তোলা হয়।
মক্কার উম্মুদ জুদ এলাকায় বিশেষ
কারখানায় কাবা শরিফের গিলাফ নির্মাণের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তৈরি করা হয়। গিলাফ তৈরির
কাজে ১২০ কেজি সোনার সুতা, ৭০০ কেজি রেশমি সুতা এবং ২৫ কেজি রুপার সুতা ব্যবহার করা
হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবার
গিলাফ কয়েক ধাপে উত্তোলন করা হয়। এটি হজযাত্রীদের কাবা প্রদক্ষিণের সময় কাবাকে ক্ষতিগ্রস্ত
এবং ময়লা থেকে রক্ষা করে। প্রতিবছর হজের আগেই গিলাফ বা কিসওয়া পরিবর্তন করা হয়।
মন্তব্য করুন


প্রতি
বছরের ন্যায় এবছরও পবিত্র রমজান মাসের আগেই প্রায় ৯০০ পণ্যের দাম কমালো মধ্যপ্রাচ্যের
ধনী দেশ কাতার।
২১ সালে দেশটি প্রায় ৬৫০ পণ্যের দাম কমিয়েছিল। ২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০০তে, ২৩ সালে সেটি আরও বাড়িয়ে ৯০০র বেশি পণ্যের দাম কমায় দেশটি। এ বছরও প্রায় একই সংখ্যক পণ্যের দাম কমিয়েছে কাতারি কর্তৃপক্ষ।
কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ বছর রমজান মাস শুরু হতে পারে আগামী ১১ মার্চ থেকে। তার আগেই কাতারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে নয় শতাধিক পণ্যে বিশেষ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে। গত ৪ মার্চ থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন মূল্য তালিকা, চলবে পবিত্র রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত।
দেশটির বড় বড় খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাতার সরকার।
রমজান মাস উপলক্ষে মূল্যছাড় দেওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- দুধ, দই, দুগ্ধজাত পণ্য, টিস্যু পেপার, পরিচ্ছন্নতা উপকরণ, রান্নার তেল ও ঘি, পনির, হিমায়িত সবজি, বাদাম, বোতলজাত পানি, জুস, মধু, মুরগি, রুটি, টিনজাত খাবার, পাস্তা, ভার্মিসেলি, গোলাপ জলসহ ইত্যাদি।
কাতারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পবিত্র রমজান মাসে সেগুলো কম দামে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে আরাফার ময়দান মুখরিত হয়ে উঠেছে। নানা বয়সের মানুষ আল্লাহর ঘরে হাজিরা দেওয়ার জন্য পবিত্র মক্কা নগরীতে জড়ো হয়েছেন। তাদের মধ্যেই এমন এক দম্পতি আছেন, যারা বিয়ের পর নিজেদের প্রথম বিদেশ সফরে হজ করতে এসেছেন। হানিমুনের পরিবর্তে হজ করতে আসা এই দম্পতি, এই মুহূর্তকে স্মৃতি হিসেবে রেখে দিতে চাইছেন।
হেরা গুহায় জড়ো হয়েছেন একদল হজযাত্রী। কেউ কেউ তুলছেন ছবি। আবার দাঁড়িয়ে আছেন কেউ কেউ। তাদের মধ্যে দেখা মিলল এক দম্পতি। এক নারী গুহার ভেতর থেকে বের হচ্ছেন। পেছন পেছন তার স্বামী বের হচ্ছেন। এই দম্পতির নাম সুআইবা ও মোহাম্মদ আকমল রাজা। বিয়ের পর যখন সবাই হানিমুনে ছোটে, তখন এই দম্পতি এসেছেন আল্লাহর ঘরের মেহমান হয়ে।
সুআইবা জানান, আমরা একসঙ্গে এবারই প্রথম হজ করতে এসেছি। আমরা একে অপরকে উৎসাহ দিতে পেরেছি। বিবাহিত দম্পতি হিসেবে আমাদের প্রথম ভ্রমণ এটি। তাই এটা আমাদের কাছে খুবই বিশেষ। এটা আমাদের জন্য স্মৃতিময় একটি সফর হবে।
আকমল রাজা জানান, পাহাড়ের উপরে উঠতে ১ থেকে ২ ঘণ্টা লাগে। সম্প্রতিই আমাদের বিয়ে হয়েছে। এটা আমাদের ধর্মীয় এবং বৈবাহিক জীবনের আধ্যাত্মিক সংযোগ। মানুষ বিয়ের পর হাইকিংয়ে যায়। আমাদের এটাই এক ধরনের হাইকিং, তবে এটা আধ্যাত্মিক প্রকৃতির। এটা দারুণ অনুভূতি।
ভারতের গণমাধ্যম নিউজ১৮ উর্দু এক ভিডিও নিউজে জানিয়েছে, সুআইবা ও আকমল রাজা পাকিস্তানের বাসিন্দা। তারা বিয়ের পর হজ করতে এসেছেন। তবে কোনো আন্তর্জাতিক বা পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। তাদের কবে বিয়ে হয়েছে বা ভিডিওটি এ বছরের কি না তা-ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন


শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাদ আসর গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে যৌতুকবিহীন ৭২টি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
বিয়ে পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা জুহাইরুল হাসান।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্ব ইজতেমায় যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর আম বায়নের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শুরায়ে নিজাম অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা।আজ বাদ আসর ৭২টি বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতের আগের দিন যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করা হয়। এ বছরও বিয়ের আয়োজন করা হয়।
এবার ১৪২ জন নারী-পুরুষের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
আগামী রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শুরায়ে নিজাম অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
মন্তব্য করুন