

খুলনার কয়রায় ৪৮ কেজি হরিণের মাংসসহ ০১ শিকারিকে গ্রেপ্তার করেছে বনরক্ষীরা।
আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে সুন্দরবন থেকে অবৈধভাবে হরিণ শিকার করে মাংস পাচারের সময় ৪নং কয়রা সংলগ্ন শাকবাড়িয়া নদীতে এ বিশেষ অভিযান চালানো হয়। কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা “ মো. নাসির উদ্দী “ এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ২টি নৌকা, ১১৫ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও হরিণ ধরার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। আটক দিদারুল ইসলাম (৩৫) কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের হামিদ গাজীর ছেলে।
খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) “ মো. শামীম রেজা মিঠু “ বলেন, এ ব্যাপারে ০২ জনের নাম উল্লেখ করে বন্যপ্রাণী আইনে মামলা করা হয়েছে। জব্দ হরিণের মাংস ও মাছ পচনশীল হওয়ায় আদালতের অনুমতিক্রমে মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হরিণ শিকারিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা চান্দিনা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ শে মে ) দূপর পৌনে ১২টার দিকে চান্দিনা থানাধীন চান্দিনা পৌরসভার ০৫ নং ওয়ার্ড খান বাড়ীর মোঃ নজরুল ইসলাম খান এর তিন তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর ২য় তলার পশ্চিম পার্শ্বর ফ্লেটের দঃ পশ্চিম রুম হইতে অফিসার্স ইন্চার্জ চান্দিনা থানার নেতৃত্বে এসআই মো রায়হান হোসেন এর সর্গীয় ফোর্স এসআই মোঃ ইমাম হোসেন সহ আরো কয়েক জনের অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলো–(১) মো হুমায়ন কবির প্রঃ জুয়েল (৪৫) পিতা ফজলুল হক ব্যাপারী মাতা হোসনেয়ারা বেগম সাং গোপালপুর ব্যাপারী বাড়ী থানা তিতাস।( ২) আব্দুল আজিজ পিতা আবুল হোসেন মোল্লা মাতা আমেনা বেগম সাং বুধাইরকান্দি পো উজানচর থানা বাঞ্ছারামপুর, (৩)মো খাইরুল ইসলাম প্রঃ পারভেজ পিতা শামীম প্রধাান মাতা খাদিজা বেগম সাং তালতলী থানা দাউদকান্দি , (৪)মাসুদ রানা পিতা জসিম উদ্দিন ভূইয়া মাতা পারভীন বেগম সাং রাগদৈল ভুঁইয়া বাড়ী ইউপি সাচার থানা কচুয়া(৫) মো হাসান খান পিতা কাশেম খান মাতা সেফালী বেগম সাং পশ্চিম শ্যামপুর( আটরশী দরবার ) থানা সদরপুর ,(৬) মোঃ মোহর আলী পিতা হরমুজ সাং ঘোলঘর সূরমা ইউপি থানা সুনামগন্জ( ৭) মো নজরুল ইসলাম খান পিতা আশ্রাফ খান মাতা হাসিনা বেগম সাং চান্দিনা খান বাড়ী চান্দিনা পৌরসভা থানা চান্দিনা, শুক্রবার (৩০ মে ) দুপুরে চান্দিনা থানার ওসি প্রেস এর মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শুক্রবার দুপরে গোপন সংবাদে জানা যায়, চান্দিনা পৌরসভার মো নজরুল ইসলাম খান এর বাড়ীতে কিছু দুষ্কৃতকারী ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে থানা-পুলিশ অভিযান চালায়।
অভিযানকালে পালানোর সময় সাত জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। এ সময় অজ্ঞাত চার-পাঁচ জন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। গ্রেফতার কৃত সাত জনসহ অজ্ঞাত আরো চার-পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চান্দিনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।’মামলা নং ২৪ তাং ৩০/৫/২০২৫ ইং ধরা ৩৯৯/ ৪০২ পেনাল কেড ১৮৬০ রজু করা হয়। এমামলার তদন্তবার এসআই ইমামের হাতে তদন্তবার দেওয়া হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানায়, গ্রেফতার কৃত ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা ইলিয়টগঞ্জ দাউদকান্দি এলাকাসহ কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছিল। তাদের মধ্যে , আজিজ, মাসুদ, খাইরুল, এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, মাদক, হত্যা চেষ্টা, মারামারি সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
৫৪ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গতকাল
(১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ
অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানাধীন কৃষ্ণপুর মধ্য পাড়া সাকিনস্থ মৃত
লুতু মিয়ার বাড়িতে আসামী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এর বসত ঘরের ভিতর থেকে ৫৪ কেজি গাঁজা
সহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী
হলো: মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০), পিতা-আবুল হাসেম, মাতা-অজুফা খাতুন, গ্রাম-কৃষ্ণপুর
(মধ্য পাড়া-মৃত লুতু মিয়ার বাড়ী), থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন


চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ফেলে যাওয়া সেই কন্যা সন্তানের বাবা-মায়ের সন্ধান মিলেছে। তারা নিজেরাই সন্তানের কাছে ফিরে এসেছেন। প্রশাসনের মাধ্যমে শুক্রবার রাতে কন্যা সন্তানকে ফিরে পান প্রকৃত বাবা-মা। বর্তমানে ওই নবজাতক ও মা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল পৌঁনে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় পাপিয়া খাতুন। সেখান থেকে তাকে গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওয়ার্ডে থাকা অবস্থায় বাচ্চাকে পাশের আরেক রোগীর স্বজন বিলকিস বানুর কাছে রেখে পালিয়ে যান মা ও স্বজনরা।
সেসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাপিয়া-আলমগীর দম্পতির ঘরে আরও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থবার কন্যা সন্তান হওয়া নাবজাতককে পরিত্যাগ করেন তারা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ, প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর নবজাতককে হাসপাতালের তত্বাবধায়নে রাখে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই।
এর পরদিন গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফামেত তুজ জোহরার সাথে যোগাযোগ করেন নাবজাতকের বাবা। পরে সকল প্রক্রিয়া ও যাচাই-বাছাই শেষে নবজাতককে প্রকৃত বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করে প্রশাসন। বর্তমানে নবজাতক ও মা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে নিজেদেরকে আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের পাপিয়া-আলমগীর দম্পতি হিসেবে পরিচয় দেন। সে পরিচয় অনুসন্ধান করে কাউকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। পরে দেখা যায় তাদের নাম ঠিক থাকলেও ঠিকানার তথ্য ভুল দেয়া হয়েছে। তাদের প্রকৃত ঠিকানা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিহি কেষ্টপুর গ্রামে। আর এটি তাদের চতুর্থ কন্যা সন্তান নয়, তৃতীয় কন্যা সন্তান।
নবজাতকের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, গর্ভবতী অবস্থায় আমার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন তার মায়ের বাড়ি আলমডাঙ্গার পুটিমারী গ্রামে ছিল। হাসপাতালের আসার সময় তারা আমাকে জানিয়েছে যে, আমার বাচ্চাটি আর বেঁচে নেই। আমি ধরেই নিয়েছি আমার বাচ্চা মরে গেছে।
নবজাতকের মা পাপিয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে বোঝানোর জন্য বাচ্চার মৃতের কথা বলেছিলাম। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, প্রকৃত অভিভাবকের কাছে নবজাতককে হস্তান্তর করা হয়েছে। এজন্য তাদের কাছ থেকে লিখিত নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ওই নবজাতকের খোঁজখবর রাখবে প্রশাসন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার
চাঞ্চল্যকর ৩য় শ্রেণীর পড়ুয়া ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ এর ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মাওলানা
নাছির পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গত ৪ জুলাই
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন খালিশা এলাকায় ৮ বছরের এক মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশুকে
ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দিাদ থানায় নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হলে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। উক্ত
ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ ও র্যাব-১০
এর যৌথ অভিযানে গত ১১ জুলাই রাতে ঢাকা জেলার হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা
করে ধর্ষক মাওলানা নাছির পাটোয়ারী কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো- কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন খালিশা এলাকার মৃত আব্দুস সামাদ পাটোয়ারীর
ছেলে মাওলানা নাছির পাটোয়ারী (৪২)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে
গ্রেফতারকৃত আসামী ধর্ষণের ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
স্থানীয় সূত্রে
জানা যায়, ভিকটিমের পিতা মালেশিয়া প্রবাসী এবং তার মা একজন গৃহিনী। ভিকটিম এবং তার
ভাই স্থানীয় খালিশা মোহাম্মাদিয়া মিসবাউল উলুম মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত
রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী মাওলানা নাছির পাটোয়ারী উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালক।
প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন গত ৪ জুলাই ২০২৪ইং তারিখে ভিকটিম ও তার ভাই মাদ্রাসায় যায়।
ঘটনার দিন প্রবল বর্ষণের কারণে মাদ্রাসার অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল। গ্রেফতারকৃত
আসামী নাছির পরিবারসহ মাদ্রাসার পিছনের একটি বাড়িতে বসবাস করতো এবং ঘটনার দিন আসামীর
পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে অনুপস্থিত ছিল। মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের কম উপস্থিতি এবং
গ্রেফতারকৃত আসামীর পরিবারের অনুপস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসামী নাছির মাদ্রাসার
পিছনে অবস্থিত তার বাসা ঝাড়ু দেয়ার জন্য ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে যায়। ভিকটিম বাসায় প্রবেশ
করলে গ্রেফতারকৃত আসামী তার বাসার দরজা লাগিয়ে দেয় এবং ভিকটিমকে তার খাটের উপর নিয়ে
ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের একপর্যায়ে ভিকটিম চিৎকার করলে
গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে উক্ত ঘটনা গোপন রাখতে বলে এবং প্রকাশ করলে তাকে মেরে ফেলার
হুমকি দেয়। বাড়িতে আসার পর ভিকটিমের কান্নাকাটির কারণ ভিকটিমের পরিবার জানতে চাইলে
একপর্যায়ে ভিকটিম মাদ্রাসায় ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা বর্ণনা করে। ঘটনার পর গ্রেফতারকৃত
আসামী নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে যায় এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে সেখানে
আত্মগোপন করে।
উক্ত বিষয়ে
গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা:
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের শংকুচাইল এলাকায় মসজিদের ভেতরে এশার নামাজের সময় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন সায়মন (২৮) নামে এক মোবাইলফোন ব্যবসায়ী।
শনিবার (২ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে শংকুচাইল উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন মসজিদের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সায়মন শংকুচাইল বাজারের মোবাইলফোন ব্যবসায়ী এবং সাবেক সেনা সদস্য আলী হায়দারের ছেলে। অভিযুক্ত সুমন শংকুচাইল কালিমুদ্দিন বাড়ির বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক। তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা তদন্ত করেছি এবং ছুরিকাঘাতের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সত্য বলে জানা গেছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আহত সায়মনের ভাই সজীব জানান, কয়েকদিন আগে স্থানীয় যুবক সুমন তার ভাইয়ের দোকান থেকে একটি মোবাইলফোন মেরামত করান। তবে টাকা না দিয়েই সেটি নিয়ে যেতে চাইলে সায়মন তাকে মেরামতের মূল্য পরিশোধ করার কথা বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। শনিবার (২ আগস্ট) রাতে সায়মন মসজিদে এশার নামাজ পড়তে গেলে সুমন পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
মসজিদের ইমাম হাফেজ কাজী মো. হানিফ লিকসন বলেন, এশার জামায়াতে দ্বিতীয় রাকাতের দ্বিতীয় সেজদারত অবস্থায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা দ্রুত সায়মনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রাতেই তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লায় ধর্ম উপদেষ্টা প্রফেসর ডঃ আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতে জুলাই সনদ যথাসময়ে স্বাক্ষরিত হবে, এ নিয়ে কোন আশঙ্কা নেই।
আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নব শালবন বৌদ্ধ বিহারে আয়োজিত ২৪ তম দানো ত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠানে শালবন বৌদ্ধ বিহারে ইন্টারন্যাশনাল মেডিটেশন সেন্টার ও ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিক এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।তিনি আরও বলেন সুশাসনের জন্য নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি,এ লক্ষ্যে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে।এছাড়াও তিনি আরো বলেন, এই মাতৃভূমি আবহাওয়ামান কাল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সোহার্দ্য লালন করে আসছে এটাই তার বাস্তব প্রমাণ।
ড.আ.ফ.ম.খালিদ হোসেন বলেন- সরকার ঘোষিত তারিখে ফেয়ার ফ্রী ইনভারসিয়াল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে,লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করার কাজও সরকার করে যাচ্ছে। এ নির্বাচন এর মাধ্যমে ম্যান্ডেট প্রাপ্ত দলকে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাবো। এর মাধ্যমে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বহাল থাকবে।নির্বাচন না হলে নানা ধরনের অস্তিরতা দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডঃ মোঃ হায়দার আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোঃ সাইফুল মালিক,সাবেক বার্ড পরিচালক বাবু বিজয় কুমার বড়ুয়া,সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা বাবু সুরসেন সিংহ,সাংবাদিক অশোক বড়ুয়া,উদযাপন পরিষদ সভাপতি স্বপন সিংহসহ অনেকে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে আদর্শ সদর উপজেলার সদর হাসপাতাল রোড এলাকায় রবিবার (১ জুন) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটি অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে “পদ্মা মেডিকেল সার্ভিসেস” নামক একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মূল্য তালিকার চেয়ে অধিকমূল্যে রোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন টেস্টের ফি আদায়ের প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে “তাইফ মেডিকেল সার্ভিসেস”-এ সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রিএজেন্ট সংরক্ষণ না করা এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মানসম্মত সেবা প্রদান না করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
সবমিলিয়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৫,০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অভিযানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভবিষ্যতে সেবার মান বজায় রাখতে ও ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি সহযোগী দল।
মন্তব্য করুন


যশোরের
ঝিকরগাছায় স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের জেরে বন্ধুকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে কিসমত
বাবু ওরফে ক্যাসেট বাবুর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে কিসমত বাবু ও তার স্ত্রী রিয়া
খাতুন (২০) পলাতক রয়েছেন।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে যশোরের ঝিকরগাছা পৌর
এলাকার আফিল রোডের ক্যাসেট বাবুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তৌফিক হাসান (২২)
ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের কারিগরপাড়ার শাহাদৎ হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাসেট বাবুর
স্ত্রী রিয়া খাতুনের সঙ্গে তৌফিকের পরকীয়া সম্পর্ক চলছি। শুক্রবার রাতে রান্না ঘরে
স্ত্রীর সঙ্গে তৌফিককে দেখে ফেলেন বাবু। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার সকালে মুঠোফোনে
তৌফিককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ছুড়িকাঘাত করে ক্যাসেট বাবু। পরে তৌফিককে উদ্ধার করে
ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎকরা তাকে যশোর ২৫০ শয্যা
বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা
করেন।
নিহতের খালা রত্না খাতুন বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় আফিল ফার্মে কাজে যাচ্ছিল তৌফিক।
বাবুর ফোন পেয়ে আফিল রোডে তাদের বাড়িতে যায় তৌফিক।
চাচাতো ভাই মো. শাহিন বলেন, ক্যাসেট বাবু ও তৌফিকের মধ্যে বন্ধুত্ব সম্পর্ক ছিল,
দুজনের দুজনার বাড়িতে যাতায়াত ছিল।
ঝিকরগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, পরকীয়ার জের ধরে এক বন্ধুর
ছুড়িকাঘাতে আরেক বন্ধু নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান
চলছে। দ্রুত তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
কুমিল্লার
মুরাদনগরে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে রাহাত (১৯) ও সুজন
মৃধা (২১) নামের দুই যুবককে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার
(৪ মে) দুপুরে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন বেগম সুফিয়া শওকত কলেজ কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ
আদালতের মাধ্যমে এ শাস্তি দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
সাকিব হাছান খান।
দণ্ডপ্রাপ্ত
রাহাত উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মো. শাহিন মিয়ার ছেলে এবং সুজন মৃধা একই গ্রামের মো.
মতিউর রহমানের ছেলে।
পাবলিক
পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন-১৯৬০ অনুযায়ী তাদের প্রত্যেককে ২০০ টাকা করে মোট ৪০০ টাকা
অর্থদণ্ড এবং ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পরে বিকেলে পুলিশি নিরাপত্তায়
তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঘটনার
বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাছান খান জানান, “পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে
বহিরাগত দুই যুবক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নকল সরবরাহ করছিল। ঘটনাস্থলেই তাদের আটক করে
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
তিনি
আরও বলেন, “পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্টকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এই ধরনের অপরাধ
প্রতিরোধে আমরা সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে আছি।”
স্থানীয়
প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে সচেতন মহল সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং পরীক্ষার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর
নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি কোপের শিকার মেহেবুল হাসান ও মোছা. নাসরিন আক্তার ইপ্তির সম্পর্ক গণমাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে প্রকাশ করা হলেও মূলত তারা স্বামী-স্ত্রী নন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রকৃত স্ত্রী দাবি করে গণমাধ্যমে এমনটি জানিয়ে এক নারী সাংবাদিকদের বলেন, উত্তরায় হামলার শিকার মেহেবুল হাসান আমার স্বামী। পাশে থাকা ওই নারীকে (ইপ্তি) আমি চিনি না। তবে কিছুদিন ধরে বুঝেছি আমার স্বামী অন্য কারও সঙ্গে কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। হামলায় আহতরা হলেন মেহেবুল হাসান (৩৬) ও মোছা. নাসরিন আক্তার ইপ্তি (৩০)। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মেহেবুলের আঘাত গুরুতর হলেও আশঙ্কামুক্ত।
আর হামলা করা নিয়ে নারী বলেন, যেহেতু ওখানে আমি ছিলাম না, সেহেতু ওই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমার স্বামীর সঙ্গে কারও বিরোধের কথাও জানি না। কারণ তিনি (স্বামী) আমার কাছে কোনো কিছুই শেয়ার করতেন না।
নাসরিন আক্তার ইপ্তির সঙ্গে মেহেবুল হাসানের কোনো বিয়ের ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে ওই নারী জানান, আমার স্বামী গোপনে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। তবে ওই ঘটনার পর থেকে তারা নিজের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। ওই ঘটনা যখন আমি ফেসবুকে দেখেছি, সঙ্গে সঙ্গে তাকে কল দিই। কিন্তু তিনি কোনো রেসপন্স করেনি। পরে হাসপাতালে গিয়ে তার সঙ্গে আমার কথা হয়। তিনি আমাকে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই নারী তার শাশুড়ির সঙ্গে লাউড স্পিকারে ফোনে কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, আমার শ্বশুর-স্বামী সবাই আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। আমার স্বামী আমাকে বলছে, সে সুস্থ হলে আমাকে দেখে নেবে।
ওই দিন রাতেই ঘটনার বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মোটরসাইকেলে উচ্চশব্দ করে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা একটি শিশুকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পাশ দিয়ে আরেকটি মোটরসাইকেলে যাওয়া দম্পতি প্রতিবাদ করে। এরপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের লোকবল ডেকে দম্পতির ওপর রামদা দিয়ে হামলা চালায়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ওই নারীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে মো. মোবারক হোসেন (২৫) ও রবি রায় (২২) নামে কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা দুজনকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
মন্তব্য করুন