১০৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ অর্থসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

১০৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ অর্থসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
সংগৃহীত

র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ এর অভিযানে ১,০৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী  গ্রেফতার।

৩১ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখ রাতে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন অশোকতলা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোঃ শাহ আলম শাহজাহান (৪০) নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

 এ সময় আসামীর কাছ থেকে  ১,০৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত নগদ ৪,১৮,০৮০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাহ আলম শাহজাহান (৪০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শুভপুর গ্রামের মোঃ আলী মিয়া এর ছেলে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

স্বামী-স্ত্রী নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে করতো শিশু অপহরণ

স্বামী-স্ত্রী নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে করতো শিশু অপহরণ
সংগৃহীত

অপহরণের জগতে এ যেন এক নতুন মোড়।


রাজধানীর হাজারীবাগের নিউ মডেল টাউন এলাকায় থাকেন নুরুল ইসলাম। পেশায় রিকশাচালক। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। ২১ মার্চ বিকেলে বাসার সামনে তার ছয় বছর বয়সী মেয়ে তাবাসসুম ও আড়াই বছর বয়সী ছেলে তাওসীন খেলতে যায়।এসময় শিশুদের সঙ্গে যায় তাদের নানী। কিছুক্ষণ পর একজন বোরকা পরা নারী বাসার সামনে এসে শিশুদের নানীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।এর কিছু সময় পর বাচ্চাদের রেখে বাসার ভেতরে যান নানী। এই সুযোগে বোরকা পরা ওই নারী শিশুদের ডেকে নিয়ে দুজনকে চিপস কিনে দেন। চিপস নিয়ে তাবাসসুম বাসায় ফিরে গেলেও তাওসীনকে নিজের কাছে রেখে দেন ওই নারী। একপর্যায়ে শিশুটিকে কোলে নিয়ে ঝাউচর মেইন রোডের দিকে চলে যান তিনি। এভাবেই নিখোঁজ হয়ে যায় শিশু তাওসীন।


বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে শিশু অপহরণ চক্রের বিষয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।


তিনি জানান, স্বামী-স্ত্রীর এই চক্রটি নিঃসন্তান কোনো দম্পতির কাছে বাচ্চার অর্ডার পেয়ে শিশু অপহরণ করতো। এরপর শিশুটিকে বিক্রি করে দিতো তারা। তারা হলেন অপহরণকারী সুলতানা আক্তার ওরফে নেহা (২২) ও তার স্বামী শিশু বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম (২৭) এবং ক্রেতা মো. শাহজাহান (৩৪)। বুধবার (২৭ মার্চ) কুমিল্লার লালমাই ও বরুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।



তাওসীন অপহরণের মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য পায় ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে শাহজাহানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। শাহজাহান ৫০ হাজার টাকায় সাইফুল-নেহা দম্পতির কাছ থেকে ওই শিশুকে কিনে নিয়েছিলেন।


ডিবি জানায়, চক্রটি নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণের জন্য মাঠে নামতো। পরে চাহিদামতো শিশু পেলে কৌশলে অপহরণ করে বিক্রি করে দিতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছে। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের ঘটকদের মতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে শিশু চুরি করে বিক্রি করতো। অপহরণের কাজটি করতেন সাইফুলের স্ত্রী নেহা। তিনি বোরকা পরে বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের টার্গেট করতেন। এরপর কৌশলে তাদের চকলেট, চিপসসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে কোলে করে নিয়ে সটকে পড়তেন। 


ভুক্তভোগী শিশু তাওসীনকে তারা অপহরণ করে কুমিল্লার শাহজাহানের কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলেন।


global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ ক-র্ত-ন, স্ত্রী আটক

ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ ক-র্ত-ন, স্ত্রী আটক
সংগৃহীত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :


টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ দা দিয়ে কেটে নিয়ে পালিয়ে যায় স্ত্রী জাকিয়া। এ ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামী ফিরোজকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনেরা। এদিকে পলাতক স্ত্রীকে আটক করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।   

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত ফিরোজ (২৯)  উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান ছেলে এবং জাকিয়া (২৬) একই উপজেলার জিগাতলা গ্রামের মো. জামিলের মেয়ে। ফিরোজ পেশায় একজন এক্সকেভেটর (বেকু)  চালক।  এ ঘটনায় আহত ফিরোজকে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে এবং পরে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকে (কলেজ) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। 

এদিকে ঘটনার পর স্ত্রী জাকিয়া পালিয়ে যায়। এছাড়া কর্তনকৃত পুরুষাঙ্গটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ডাক্তারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কর্তন হওয়া পুরুষাঙ্গ উদ্ধার করে জোড়া লাগাতে না পারলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান , প্রায় এক যুগ আগে  ফিরোজ ও জাকিয়া ভালবেসে বিয়ে করেন।

তাদের ঘরে পাঁচ বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই একে অপরকে পরকীয়া প্রেমের সন্দেহে নিয়ে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে একাধিক গ্রাম্য শালিস হয়। সম্প্রতি গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানার মাধ্যমে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। সেখানে শালিসে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও পরবর্তীতে ৩ লাখ টাকা না দিতে পেরে ফিরোজ স্ত্রীকে আবারও বাড়িতে নিয়ে আসে। 

এদিকে কিছুদিন যাইতে না যাইতে আবারও তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এর ফলশ্রুতিতে বুধবার সকালে স্ত্রী জাকিয়া তার স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিখণ্ডিত করে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে পলাতক স্ত্রী জাকিয়াকে  উপজেলার জিগাতলার নিজ গ্রাম থেকে আটক করে পুলিশ।  

প্রতিবেশী আলমগীর বলেন, ঘরের ভিতর গিয়ে দেখি স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে। ঘর রক্ত দিয়ে ভেসে গেছে। পরে স্বজনেরা উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকেই স্ত্রী পলাতক রয়েছে। 

ফিরোজের ফুফাতো ভাই রবিন জানায় ,আমি পুকুরের পাড়ে গোসল করতেছিলাম, তখন কেরু কাকার বউ এসে এ দুর্ঘটনার কথা জানায় । পরে আমরা ৪-৫ জন এসে ভাইকে ধরে নিয়ে সিএনজি করে ভূঞাপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল নিয়ে যাওয়া হয়। 

ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বলেন, সকালে ফিরোজকে ঘুমে দেখে আমি তার ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বের হই। হঠাৎ সাড়ে ৯ টার দিকে ফিরোজের বৌ আমাকে ফোন দিয়ে বলে, তাড়াতাড়ি বাড়িতে যান। আপনার ছেলে যেন কেমন করছে। একথা বলেই সে ফোন কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। আমার ছেলের সাথে যা করেছে তার উপযুক্ত বিচার চাই।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ বলেন, ঘটনাটি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

পাচারের ৩০ বছর পর উদ্ধার হলেন নারী

পাচারের ৩০ বছর পর উদ্ধার হলেন নারী
সংগৃহীত

আর দশজন সাধারণ গৃহবধূর মতই জীবন ছিল মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সুবিধপুর গ্রামের রেজিয়া খাতুনের। কিন্তু হঠাৎ তার জীবনে নেমে আসে ভয়াবহতা।

৩০ বছর আগে এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে অচেতন অবস্থায় সীমান্ত পার করে ভারতে বিক্রি করে দেয়া হয় । 

আর এই দীর্ঘ সময় পরিবার ও গ্রামবাসী জানতেন, রেজিনা মারা গেছেন। 

কিন্তু এখন হঠাৎ তিনি ফিরে আসায় তাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ।

গত ১০ নভেম্বর ৫০ বছর বয়সী রেজিয়া বাড়ি ফিরে জানতে পারেন মা-বাবা মারা গেছেন। ভাই-বোনরা বৃদ্ধপ্রায়; সন্তানরা সংসার পেতেছেন।এরপর সোমবার তিনি মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। তারা হলেন- রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী এবং তার সহযোগী জয়নাল। 

শুনানি শেষে আদালত দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে থানা থেকে বলা হয়েছে। 

এদিকে রেজিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর বয়সে গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার আলীর সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সেই সংসারে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। পরে সাত্তারের সঙ্গে রেজিয়ার বিচ্ছেদ হয়।

এরপর রেজিয়া নিজ গ্রামের আজগর আলীকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর শুরু হয় রেজিয়ার উপর আজগরের নির্যাতন।

১৯৯৩ সালের এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে প্রতিবেশী জয়নালের সহযোগিতায় আজগর সীমান্তের কাঁটাতার পার করে ভারতের কাশ্মিরে নিয়ে যান এবং কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।

রেজিয়া বলেন, ৩০ বছর সীমাহীন কষ্টে বন্দিজীবন পার করেছি। ছেলেমেয়েরা তাদের মায়ের আদর- ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে বড় হয়েছে। নিখোঁজ অবস্থায় মা-বাবাকে হারিয়েছি। তাদের মরা মুখটাও আমি দেখতে পাইনি।

আমি চাই না আর কারো জীবন যেন এভাবে ধ্বংস হোক সেজন্য মামলা করেছি। আদালত আমার মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।  

যদিও রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, বিয়ে হওয়ার পর কয়েক বছর আমরা সংসার করি। তারপর সামাজিকভাবে রেজিয়ার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পাচারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

এদিকে জয়নালের দাবি, যড়যন্ত্র করে রেজিয়ার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাকে জড়ানো হচ্ছে।  

দেশে কীভাবে ফিরে আসলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিয়া জানান, তিন মাস আগে তিনি ভারতের জম্মু-কাশ্মির থেকে ভারতের নদীয়া জেলার পণ্ডিতপুর গ্রামে পায়ের চিকিৎসা নিতে আসেন। সেখানে কথা হয় সুবিধপুরের পাশের কসবা হিন্দি গ্রামের আমিরুল ইসলাম বাবলুর সঙ্গে।তখন রেজিয়া তাকে পুরো ঘটনা জানান এবং গ্রামে পরিবারের কাছে তার বেঁচে থাকার খবর পৌঁছে দিতে বলেন। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাকে কাশ্মির থেকে মেহেরপুর ফিরিয়ে আনেন।

কসবা হিন্দি গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বাবলু বলেন, রেজিয়ার মুখে সব শুনে মেহেরপুর ফিরে তার ভাইদের সন্ধান করে ঘটনাটি জানান তিনি। পরে রেজিয়ার দেওয়া মোবাইল নম্বর ও কাশ্মিরের ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে গিয়ে ফারুকের কাছ থেকে রেজিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তার পরিবার।

রেজিয়ার বড় ভাই আনারুল ইসলাম বলেন,রেজিয়ার স্বামী আজগর এতদিন বলেছে, আমার বোন ওই রাতে কাউকে না বলে নিখোঁজ হয়ে যায়। দেশের প্রায় সব জেলায় বোনের সন্ধান করেছি। কিন্তু কোথাও হদিস না পেয়ে ভেবেছি, বোন হয়ত মারা গেছে। তিন মাস আগে পাশের গ্রামের আমিরুলের মাধ্যমে বোনের সন্ধান পেলে আমরা ভারতের কাশ্মিরে গিয়ে বোনকে ফিরিয়ে আনি।

রেজিয়ার মেয়ে সালেহা খাতুন বলেন, মাকে ফিরে পেয়ে জীবন ফিরে পেয়েছি মনে হচ্ছে। যারা আমার মাকে এতদিন আমার কাছ থেকে দূরে রেখেছিল আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।”

কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সুমিতপুর গ্রামের ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতাম রেজিয়া মারা গেছে। তার ফিরে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েক গ্রামের মানুষ রেজিয়াকে দেখতে ভিড় করছে। আমরা রেজিয়ার পাশে আছি। তাকে সব ধরনের আইনি সহায়তা করা হবে।

রেজিয়ার দায়ের করা মামলার বিষয়ে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আছাদুজ্জামান জানান, ঘটনাটি মানবপাচার প্রমাণ হলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে আইন মন্ত্রণালয়

হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে আইন মন্ত্রণালয়
সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলার ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দিতে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, “যদি কোনো ব্যক্তি গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলার শিকার হয়ে থাকেন, তবে তাকে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার লিগ্যাল এইড হেল্পলাইন কল সেন্টারের ১৬৪৩০ নম্বরের (টোল ফ্রি) মাধ্যমে ভিকটিম সাপোর্ট বা আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”

সমাজের দরিদ্র ও দুঃস্থদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে ২০১৬ সালে এই হেল্পলাইন সেবার কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণ আন্দোলনে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দায়িত্ব নিয়ে তার প্রথম কর্মদিবসে এই হেল্পলাইন নম্বর ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ

আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ
সংগৃহীত

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষায় ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।


বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ফল প্রকাশ করে বলা হয়, আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষা গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এছাড়াও তৃতীয় পরীক্ষকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে ৩৪৫ জনকে।


উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এখন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।


বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে সনদ পেতে তিন ধাপে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। 


প্রথমত, আইনের উপর স্নাতক উত্তীর্ণের পরপরই আইনজীবী হিসেবে ন্যূনতম ১০ বছর পেশায় রয়েছেন এমন একজন সিনিয়রের অধীনে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়। 


দ্বিতীয়ত, ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার পর ছয় মাস অতিক্রম হলে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ করে এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। 


এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পান। 


আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন। 


সবশেষে সনদ লাভের পর সংশ্লিষ্ট জেলা বার এ যোগদানের মধ্য দিয়ে আইন পেশা শুরু করতে পারেন।


আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।


global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা

কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা
সংগৃহীত

কেউ গাড়ির হেলপার-ড্রাইভার, কেউ দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, কেউবা পুরাতন মালামাল ক্রেতা কিংবা রাজমিস্ত্রী। আছে সবজি বিক্রেতাও। কিন্তু ভিন্ন পেশা হলেও সন্ধ্যা নামতেই বদলে যায় তাদের পেশা-পরিচয়। বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর রূপ।


এসব ভিন্ন ভিন্ন পেশার আড়ালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় তারা ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিতে জড়িত। প্রত্যেকের নামে রয়েছে একাধিক মামলা। প্রত্যেকেই জেল খেটেছেন। বেরিয়ে আবারো জড়িয়েছেন গ্যাং কালচারে।


পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) রাজধানীর মোহাম্মাদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ এলাকায় কিশোর গ্যাং এর বিভিন্ন গ্রুপের ছিনতাই, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৩৬ জনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ।


গ্রেফতারকৃত কিশোর গ্যাং পাটালি গ্রুপের অন্যতম মূলহোতা সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীব এবং লেভেল হাই এর অন্যতম মূলহোতা মো. শরিফ ওরফে মোহন ও চাঁন গ্রুপ,মাউরা ইমরান গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গ্রেফতারদের মধ্যে ৫ জন পাটালি গ্রুপের, ৬ জন লেভেল হাই, ৬ জন চাঁন গ্রুপ, ৫ জন লও ঠ্যালা গ্রুপ, এবং ৭ জন মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। বাকি ৭ জন অন্য গ্রুপের সদস্য। এদের গ্রুপে প্রায় ২০-২৫ জন সদস্য থাকে।


র‌্যাব-২ অধিনায়ক বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি ও মামলা হয়েছে। সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পেয়ে র‌্যাব টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে।


র‌্যাব-২ অধিনায়ক আরও বলেন, পাটালি গ্রুপটি সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। নিজেদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের কারণে তারা ২/৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়। লেভেল হাই গ্রুপটি গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। গ্রেফতাররা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এসব গ্রুপের গ্রেফতাররা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। মাদক সেবনসহ এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত তারা। মূলত তারা মোহাম্মদপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত।


গ্রেফতারদের পেশা সম্পর্কে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, বিভিন্ন গাড়ির হেলপার ও ড্রাইভার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে তারা মূলত মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো।


অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, গ্রেফতার সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীব পাটালি গ্রুপ এর মূলহোতা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করে। সে এই সন্ত্রাসী গ্যাং এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবারি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছিল।


গ্রেফতার রানা শিকদার, জুয়েল মিয়া ও সাগর গ্রেফতার ফর্মা সজীবের সহযোগী। তারা গ্রেফতার পাটালি গ্রুপ এর ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ১১টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে।


র‌্যাব-২ এর সিও আরও বলেন, গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহন লেভেল হাই গ্রুপের মূলহোতা ও সন্ত্রাসী হায়াত ওরফে টাকলা হায়াত অন্যতম প্রধান সহযোগী। আগে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় মাদকের ব্যবসা করতো। সে টাকলা হায়াতের অন্যতম সহযোগী হিসেবে মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছিল।


টাকলা হায়াতের অবর্তমানে সে গ্যাংটি পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতার দুলাল, সোহাগ ও তারেক তারা লেভেল হাই গ্রুপের সদস্য। তারা গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। শরিফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৮টির বেশি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।


গ্রেফতার সাকিব ওরফে প্রকাশ রিয়াম চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী সদস্য। সে ২০১৮ সালে বরিশাল হতে ঢাকায় এসে ঢাকা উদ্যান এলাকায় বসবাস শুরু করে। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি করেছে।


২০২১ সালে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে চাকরির সময়ে চাঁন গ্রুপ নামে একটি কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। পরে মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সে চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৩টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।


ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদকের কারবারে গ্রেফতার ইমরান ওরফে মাউরা ইমরান মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করে। আগে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো।


২০২১ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সময়ে নিজেই একটি কিশোর গ্যাং মাউরা ইমরান গ্রুপ গঠন করে। মাউরা ইমরান মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৪টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।


মুরগী রাকিব লও ঠ্যালা গ্রুপের সদস্য । র‌্যাব-২ এর সিও অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন খান আরও বলেন, রাকিব ওরফে মুরগী রাকিবের জন্ম বরিশাল এলাকায়। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি ও ডিসের লাইনে চাকরি করতো। ২০২০ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চাকরির সময় লও ঠ্যালা গ্রুপে যোগ দেয়। সে বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক সংগ্রহ ও মাদক পৌঁছে দেয়ার কাজ করতো। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত দুটির অধিক মামলায় কারাভোগ করেছে। 


গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

প্রতারণা করে যেভাবে ফাঁদে ফেলতেন এহসান

প্রতারণা করে যেভাবে ফাঁদে ফেলতেন এহসান
সংগৃহীত

এহসান আহমেদ (৩০) নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া এলাকার আব্দুর রবের ছেলে যিনি নিজেকে কানাডায় স্থায়ী বসবাসের গ্রিনকার্ড হোল্ডার ও পিএইচডিধারী এবং দেশের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকের সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতেন।


এহসান টার্গেট করতেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্চবিত্ত পরিবারের তরুণীদের । বিশেষত যারা বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যেতে ইচ্ছুক এমন তরুণীদের সঙ্গে পরিচিত হতেন। এরপর সরাসরি দেখা করতেন। দেখা করার সময় নিজের পরিচয় বিশ্বাসযোগ্য করতে ভালো বেশভূষা ও নামিদামি গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে যেতেন।


ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যয়নরত এক তরুণীকে টার্গেট করেন এহসান। কানাডায় স্ত্রী হিসেবে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভনে গড়ে তোলেন প্রেমের সম্পর্ক। নানা কৌশলে হাতিয়ে নেন ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও। এরপরই শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। সেসব ছবি-ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ও পরিচিতদের কাছে প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন এহসান।


এ ঘটনায় সম্প্রতি রাজধানীর মুগদা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। এরপর বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রমনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এহসানকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।


বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান,তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সাবেক এক ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় প্রতারক এহসানের। তিনি নিজেকে কানাডা প্রবাসী, পিএইচডি ডিগ্রিধারী ও বড় শিল্পপতি পরিবারের সন্তান পরিচয় দেন। তাদের গুলশানে বাড়ি ও বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে এমন তথ্য দেন। এসব পরিচয় ব্যবহার করে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রেমের সুযোগে ভুক্তভোগী তরুণীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও। পরে সেগুলো সামাজিক মাধ্যম ও স্বজনদের কাছে প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন।

      

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এর আগেও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ফারদিন ও সাকিবের মতো এ ধরনের অনেক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। এসব প্রতারক নিজেদের মন্ত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সচিব, বড় ব্যবসায়ীর সন্তান দাবি করে মেয়েদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নামিদামি বাড়ি-গাড়ির প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক ও আর্থিকভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন , গ্রেফতার এহসান পড়াশোনা না করেও নিজেকে পিএইচডিধারী পরিচয় দিতেন। এমনকি কোনোদিন বিদেশে না যাওয়া এহসান বলতেন তার কানাডায় গ্রিনকার্ড রয়েছে। বিভিন্ন তরুণীকে কানাডায় নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখাতেন। গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর আমরা এখন পর্যন্ত তার শতাধিক নারীকে ফাঁদে ফেলার তথ্য পেয়েছি।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ বড়লোক, ব্যবসায়ী বা সরকারি চাকরিজীবী পরিচয় দিলে যাচাই করা উচিত। এছাড়া অনলাইনে বন্ধুত্বের নামে ব্যক্তিগত ছবি আদান-প্রদানে সতর্ক হতে হবে। তবে কেউ যদি কারও মাধ্যমে প্রতারিত হন তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিতে হবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
সংগৃহীত

কুমিল্লায় বিএসটিআই, কুমিল্লা ও উপজেলা প্রশাসন, সদর দক্ষিণ, কুমিল্লার যৌথ উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পরিচালিত অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে 'মুড়ি' পণ্যের গুণগত মান সনদ গ্রহণ ব্যতীত প্রস্তুত, বিক্রয়-বিতরণ করায়  "বিএসটিআই আইন-২০১৮" অনুযায়ী কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ এর বেলতলীর কৃষ্ণপুরে মেসার্স খোরশেদ চিড়া ও মুড়ি মিল প্রতিষ্ঠানটিকে  ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার টাকা) এবং কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ এর গোপিনাথপুরের মেসার্স মমতা মুড়ি মিল প্রতিষ্ঠানটিকে  "বিএসটিআই আইন-২০১৮" এবং "ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন-২০১৮" অনুযায়ী ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার টাকা) অর্থদণ্ড করা হয়।

উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত সদর দক্ষিণ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সৈয়দ রেফাঈ আবিফ এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।

প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএসটিআই, কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা জনাব ইকবাল আহম্মদ, ফিল্ড অফিসার (সিএম) এবং প্রকৌ: আরিফ উদ্দিন প্রিয়, পরিদর্শক (মেট্রোলজি)।

জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

টাঙ্গাইলে নিখোঁজ শি-শুর বস্তাবন্দি দ্বিখণ্ডিত লা-শ উদ্ধার

টাঙ্গাইলে নিখোঁজ শি-শুর বস্তাবন্দি দ্বিখণ্ডিত লা-শ উদ্ধার
নিখোঁজ শি-শু

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের ভূঞাপু‌রে মাদরাসার শিক্ষার্থী নিখোঁজের ৯ দিন পর বা‌ড়ির পা‌শের ধান ক্ষেত থে‌কে বস্তাব‌ন্দি দ্বিখণ্ডিত গলিত লাশ উদ্ধার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহটি পচে যাওয়ায় মাথার খুলি শরীরের হাড়গুলো বস্তায় পাওয়া গেছে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বলা যাচ্ছে না এটা ওই নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ কিনা।

সোমবার (৩ জুন) সকা‌লে উপ‌জেলার গো‌বিন্দাসী ইউনিয়‌নের চিতু‌লিয়াপূর্বপাড়া এলাকার এক‌টি ধান‌ক্ষেত থে‌কে বস্তাব‌ন্দি মর‌দেহ উদ্ধার করা হয়। 

এরআগে ওইগ্রা‌মের সুমন মিয়ার মে‌য়ে এবং স্থানীয় হাফি‌জিয়া মাদরাসা ও নুরানী কিন্ডারগা‌র্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী নও‌শিন ইসলাম শ‌র্মিলা (১০) গত ২৬ মে দুপু‌রে নি‌খোঁজ হয়। ওই শিক্ষার্থী নি‌খোঁজ হওয়ার পর তা‌কে উদ্ধা‌রে থানায় সাধারন ডায়রী ক‌রেন শ‌র্মিলার বাবা সুমন মিয়া। 


এদিকে ধানক্ষেতে শিশু শিক্ষার্থীর বস্তাব‌ন্দি দ্বিখ‌ন্ডিত গলিত মরদেহ উদ্ধার হওয়ার খবরে আশপা‌শের শতশত মানুষ সেটি দেখ‌তে ভীড় করেছে। এছাড়া ঘটনাস্থল প‌রিদর্শন ক‌রে‌ছেন জেলা পু‌লিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারসহ জেলার উধ্বর্তন কর্মকর্তারা।

শর্মিলার চাচা কাইয়ুম মিয়া জানান, এটি শর্মিলার লাশ কি না আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি। লাশের অধিকাংশ পচে গেছে, কুকুরে টানাটানি করে সমস্ত দেহ লন্ডভন্ড করে ফেলেছে। তবে তার পড়নের লাল পায়জামার অংশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটিই শর্মিলার দেহ।

নিহত শ‌র্মিলার বাবা সুমন মিয়া ব‌লেন, কা‌রোর সা‌থে কোন শত্রুতা নেই। কেউ টাকা পয়সাও পায় না। মে‌য়ে নি‌খোঁজ হওয়ার পর কেউ মু‌ক্তিপণ বা টাকা পয়সা চায়‌নি। বা‌ড়ির আশপাশসহ বি‌ভিন্ন আত্মীয় স্বজ‌নের বা‌ড়ি‌তে খোঁজ ক‌রেও তার সন্ধান পায়‌নি। এরপর ৩ জুন সকা‌লে বা‌ড়ির পা‌শে ধান ক্ষে‌তে বস্তাব‌ন্দি মর‌দেহ দে‌খে লোকজন খবর দেয়। এরআগে ওই বস্তা‌টি কুকুর টানাটা‌নি কর‌ছিল। যে নৃশংস হত‌্যাকান্ড ঘ‌টি‌য়ে‌ছে তার ক‌ঠোর শা‌স্তি দাবী ক‌রি।


এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহ জানান, বন্তাব‌ন্দি একটা মর‌দেহ উদ্ধার করা হ‌য়ে‌ছে। ফ‌রেন‌সিক টিম ঘটনাস্থল প‌রিদর্শন ক‌রে‌ছে। তদন্ত চল‌ছে। 

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

অবৈধভাবে মাটি চুরি করে বিক্রির অপরাধে তিনজনকে কারাদন্ড

অবৈধভাবে মাটি চুরি করে বিক্রির অপরাধে তিনজনকে কারাদন্ড
সংগৃহীত

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ফসলি জমি ও সরকারী জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে একটি সংঘবদ্ধ মাটি চোর চক্র। 

এতে মাটিবাহী ট্রলি, ট্রাক ও ডাম্পারের দাপটে ভাঙছে রাস্তাঘাট। 

এ মাটি চুরির হিড়িক চলছে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলির চক মৌজায়। এতে করে বিনিস্ট হচ্ছে আশপাশের ফসলি জমি নস্ট হচ্ছে পরিবেশ।

প্রতিদিন মাটি চোর চক্রের সদস্যরা প্রায় অর্ধাশতাধিক সন্ত্রাসী  পাহারায় একদল শ্রমীক দিয়ে ভেকরু সাহায্যে মাটি কেটে ট্রাকে ভরে নিয়ে যায়। এই ট্রাকের মাটি যাচ্ছে আশপাশের যত ইট ভাটায়। প্রতি ট্রাকের মাটি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। প্রতিদিন মাটি চোরেরা কমপক্ষে তিন শতাধিক মাহেন্দ্রা ট্রাক দিয়ে মাটি চুরি করে বিক্রি করে। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু হয় এ মাটি কাটার লুট পাট চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। কেউ বাধা প্রদান করলে তার উপর চলে নির্যাতন, হতে হয় বাড়িঘর ছাড়া। আর এসব মাটি চোর চক্রকে সাহায্য করেন স্থানীয় দলীয় নেতারা। 

দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার খবরে ঢাকা জেলা প্রশাসক নির্দেশে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ওই এলাকায় সোমবার সকাল ১১টায় অভিযান পরিচালনা করা হয় । অভিযানে কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনটি মাহেন্দ্রা ট্রাক ও একটি সেলো মেশিন জব্দ করেন। 

এ সময় ভ্রম্যমাণ আদালত মাটি চুরি করার সহযোগিতা করার কারনে মোঃ মোতাহার (৫৫) ,মোঃ শামীম (১৯) ও আতিক (২৭) নামের তিনজনকে হাতেনাথে আটক করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ০৪ ধারা অপরাধ লঙ্গন করায় প্রত্যেককে ১৫ ধারায় ৩০ দিনের বিনা শ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রম্যমান আদালত। 

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ । এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল দক্ষিন সহকারী কমিশনার ভূমি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনিজা খাতুন, উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ শেরিফ হোসেন খান, মোঃ খোরশেদ আলম ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। ভ্রম্যমান আদালত শেষে পুলিশের সহযোগিতায় জব্দ করা মাহেন্দ্রা ট্রাক ও সেলো মেশিন থানা হেফাজতে নিয়েছেন এবং সাজা প্রাপ্ত তিনজনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে হস্তান্তর করেছেন। 

ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারি যে তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজায় একদল মাটি চোর চক্র দিনে ও রাতে মাটি চুরি করে বিক্রি করে আসছে। এ সংবাদের ভিত্তিত্বে আমি ঢাকা জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে এ বিষয় নিয়ে আলাপ করে আজ সকালে উক্ত কুমলিরচক মৌজায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান পরিচালনা করার সময় মাটি চুরি করে কাটার সহযোগিতা করার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অপরাধে তিনজনকে হাতে নাতে আটক করি। পরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করি। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০