আগামীকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর
কয়েকটি এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) তিতাস গ্যাস
ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে
এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্যাস পাইপলাইনের
মেরামত কাজের জন্য আগামীকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শনির আখড়া, বড়ইতলা,
ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস
সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের সাময়িক
অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
মন্তব্য করুন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, জাতির প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। তবে সবাই এক বিষয়ে একমত, সেটি হলো গ্রহনযোগ্য নির্বাচন।
আর ঐক্যমত কমিশন যদি সব দলের থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আচরনবিধি পালনের বিষয়ে লিখিত নেয়, তাহলে ইসির কাজ সহজ হবে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন আলোচনায় নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনকে একটি চ্যলেঞ্জ হিসেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন।
মানুষের মনে ভোট দেওয়ার আগ্রহ তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সামনে আমাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে, আমরা সেটি প্রতিষ্ঠা করবো।
এসময় নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, দেশকে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এই নির্বাচনে কর্তৃপক্ষের কোনো প্রভাব দেখতে চাই না।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে হানাহানি দেখতে চাই না, রাতের সিলমারা দেখতে বা শুনতে চাই না। এছাড়াও কর্তৃপক্ষের প্রভাব দেখতেও চাই না। শুধুমাত্র একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চাই।
নির্বাচনে কোন অনিয়ম হলে দায় কমিশন এড়াতে পারে না উল্লেখ করে নির্বাচনার কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন,
জুলাই আগস্ট বীরদের রক্তের সাথে যেন বেইমানি না হয সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, সেই প্রথম পরীক্ষায় হবে আগামী নির্বাচন।
রোববার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্তব্য করুন
তথ্য
ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানের বিশিষ্ট
সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খান।
আজ
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতকালে
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, রাহাত ফাতেহ আলী খান একজন গুণী ব্যক্তি। তিনি শুধু
পাকিস্তানের নন, তিনি উপমহাদেশ তথা সারাবিশ্বের সংগীত জগতের সম্পদ। বাংলাদেশে তার অনেক
ভক্ত রয়েছে।
শনিবার
ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্টের জন্য রাহাত ফাতেহ আলীকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর এ ধরনের একটি কনসার্ট আয়োজনের প্রয়োজন ছিল।
সাক্ষাতকালে
রাহাত ফাতেহ আলী খান বাংলাদেশের সংগীত নিয়ে একসাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়নেও কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে আমন্ত্রণের
জন্য তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
সাক্ষাতকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ ওয়াসিফ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মাদারীপুরের শিবচরে নিজ ক্লিনিকের নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে শিবচরের বাহাদুরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আপেল মাহমুদ শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পশ্চিম সেনেরচর এলাকার মৃত চান মিয়া শিকদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এর আগে শিশু ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলাও রয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্সকে বিভিন্ন সময় হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদ কুপ্রস্তাব দিতেন। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর ওই নার্স হাসপাতালে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সেদিন বাড়ি ফেরার পথে তার গতিরোধ করে আপেল মাহমুদ জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তাকে তুলে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যান।
সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে তাকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।
পরে ২৫ ডিসেম্বর তাকে শিবচর এনে একটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে ভুয়া বিয়ের নথি তৈরি করে ওই নার্সকে ছেড়ে দেন আপেল মাহমুদ। এ ঘটনার পর গত ৩০ ডিসেম্বর নার্সের পরিবার শিবচর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় মাদারীপুর আদালতের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী পরিবার।
আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি শিবচর থানায় আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার পর আপেল মাহমুদ পলাতক ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিবচর থানার এসআই রেনুকা আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্লিনিক মালিক আপেল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়
শিবচর থানার ওসি মো. রতন শেখ (পিপিএম) বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামি আপেল মাহমুদের নামে এর আগেও শিশু ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলায় রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক নার্সকে ধর্ষণের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা সিটির সঙ্গে ৯ মার্চ পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও আছে। পরিস্থিতি ভালো আছে।
তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বুধবার (৬ মার্চ) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। যে সব জায়গা থেকে চাহিদা এসেছে সেখানে বেশি ফোর্স দিয়েছি। অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেটও দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের মূল্যায়ন পরিবেশ ভালো। আশাকরি নির্বাচন ভালোভাবেই হবে। আমাদের প্রস্তুতি সব দিক থেকেই ভালো।
তিনি বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়টা হলো আমাদের প্রকল্পে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। জনবল রাখা হয়নি। এজন্য নিয়মিত কর্মকর্তাদের দিয়েই বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সহায়তায় রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকি। আমাদের আর্থিক, জনবলের সীমাবদ্ধতা আছে। এজন্য অনেকগুলো ইভিএমই কাজ করছে না। অচল হয়ে যাচ্ছে। ইভিএম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেগুলো সচল পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোই ব্যবহারের জন্য পাঠানো হচ্ছে।
সিটি ভোটে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না, সে ধরনের কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ভোটের ক্ষেত্রে উত্তেজনা থাকেই। সব প্রার্থীই চায় নির্বাচনে জেতার জন্য। তবে এরকম কোনো ইয়ে নাই ওখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হবে, এ ধরনের তথ্য আমাদের কাছে নাই। তারপরও সতর্কতা হিসেবে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন থেকে তারা যে অতিরিক্ত ফোর্স চেয়েছে সেভাবে দিয়েছি। নিয়ন্ত্রণের বাইরে পরিস্থিতি চলে গেলে কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা বন্ধ না করলে আমরা (কমিশন) বন্ধ করে দেবো।
মন্তব্য করুন
মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইনের অধীনে দ্রুততম সময়ে বিচার শেষ করা হবে
বলে জানিয়েছেন- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
আইন
উপদেষ্টা শনিবার
(১২ জুলাই) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে এবং ধারা ১০-এর অধীনে দ্রুততম সময়ে বিচার নিশ্চিত করা হবে।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো
নেই।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মব জাস্টিসের ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কাল দেখলাম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যা হয়েছে। তারা তো সবচেয়ে শিক্ষিত, তাদের সচেতনতা আসতে
হবে। একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার
কারও নেই। একজন অন্যায় করলে আইনের হাতে তাকে তুলে দেন। নিরপরাধ লোক যেন কোনো অবস্থায়
হেনস্তা না হয় জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে দায়ের করা মামলাগুলোয়
বিপুল সংখ্যক আসামি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর
আলম চৌধুরী বলেন, এখন পুলিশ মামলা করছে না, করছে সাধারণ জনগণ। আগে পুলিশ মামলা দিতো,
এই সময়ে কোনো পুলিশ একটা মামলা দিয়েছে? আগে পুলিশ ১০ জনের নাম দিয়ে ১০০ জনের নাম দিতো
অজ্ঞাত। আজ পর্যন্ত কিন্তু পুলিশ (মামলা) দিচ্ছে না। এটা কিন্তু সাধারণ পাবলিকরা দিচ্ছে।
মিডিয়াতেও বলছি, পেপারে দিয়েছি যে সাধারণ লোক যেন হেনস্তা না হয়। তদন্ত ছাড়া কাউকে
এরেস্ট করা হবে না। ডিবিকে আজকেই নির্দেশনা দিয়েছি। পরিচয় তারা নিজেরা দেবে, তারপর
ধরবে। এখানে ধরার কথা শুধু অপরাধীদের সাধারণ মানুষদেরকে তো ধরবে না। বাংলাদেশ পুলিশকে
পুরোনো রূপে মানবিক পুলিশ হতে উজ্জীবিত করে কীভাবে তাদের পুরোনো গৌরব ফিরে পাওয়া যায়
এবং জনবান্ধব পুলিশ যেন বাস্তবে হয় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। থানা পর্যায়ে লোকজনকে অনেক
সময় বিভিন্ন কাজের জন্য গিয়ে তাদের যে সমস্যা সেটা সমাধান করতে পারে না, সবসময় সমাধান
সম্ভবও নয়। কিন্তু তারপরেও কীভাবে সমাধান করা যায় এটা বলা হয়েছে। প্রধানত আলোচনা হয়েছে
তাদের যে পুরোনো ফর্মে যেন পুলিশ যতো তাড়াতাড়ি ফিরে যেতে পারে। তারা যেন জনবান্ধব পুলিশ
হতে পারে। জনগণের একটা আশা, তারা যেন জনবান্ধব পুলিশ হতে পারে। সবার একটা আশা জনবান্ধব
পুলিশ। ট্রাফিকে যে একটা সমস্যা হচ্ছে, এই ট্রাফিকটা কীভাবে উন্নত করা যায়, চাঁদাবাজি
কীভাবে বন্ধ করা যায় এ সম্পর্কে বলা হয়েছে। চাঁদাবাজিটা যদি বন্ধ হয় জিনিসপত্রের দামটা
একটু সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। এই চাঁদাবাজি যেন না হয়, প্লাস এই ঘুষ এবং দুর্নীতিতে
আমাদের সমাজটাকে গ্রাস করে নিছে। এটাকে কীভাবে বন্ধ করা যায় এগুলো সম্পর্কে তাদের সঙ্গে
আলোচনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় নির্বাচন
কমিশন (ইসি) ছয় কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে ।
আইডিইএ দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (প্রশাসন)
মেজর মাহমুদুল হাসান তালুকদার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি নিয়ে জানা গেছে
, উক্ত ছয় কর্মচারী এনআইডি সংশ্লিষ্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস
টু সার্ভিসেসের (আইডিইএ) দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন।
ছয় কর্মচারী হলেন- অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর মো. বুলবুল
আহমেদ ও মো. সজীব আহমেদ, অফিস সহায়ক মো. নুরুজ্জামান, মো. জুলফিকার আলী ও সরদার
আবুল কালাম পাভেল এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মাহবুবুর রহমান।
আদেশে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকল্প কার্যালয়ে কর্মরত ছয়
কর্মচারীর বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এবং এতদসংক্রান্ত বিভিন্ন অনৈতিক
কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রকল্পের চাকরি থেকে অব্যাহতি
দেওয়া হলো।
সম্প্রতি এক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ অন্তত ছয় কর্মচারীকে
বরখাস্ত করেছে ইসি।
মন্তব্য করুন
ই-পাসপোর্ট পরিষেবায় পুলিশ ভেরিফিকেশন পদ্ধতি বাতিল করা
হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এক পরিপত্র জারির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এর মাধ্যমে এখন থেকে কোনো প্রার্থীকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল
আইডি (এনআইডি) কার্ডে থাকা তথ্য অনুযায়ী সরাবরাহ করা হবে ই-পাসপোর্ট।
এদিকে
অপ্রাপ্তবয়স্ক ও প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের অধিকাংশ সময়ই জাতীয় পরিচয়পত্র করার সুযোগ
থাকে না। এ জন্য এই দুই শ্রেণির নাগরিকদের পাসপোর্টের ক্ষেত্রে তাদের আবেদন নিরীক্ষার
মাপকাঠি হবে অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদ। এবার তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ছাড়া
ই-পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া জেনে নেয়া যাক।
কাদের জন্য কোন নথি
প্রয়োজন
ই-পাসপোর্ট পেতে আবেদনকারীদের বয়স
অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নথি দিতে হবে:
১৮ বছরের নিচে: অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC,
ইংরেজি ভার্সন)।
১৮-২০ বছর: এনআইডি কার্ড বা
অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC, ইংরেজি ভার্সন)
২০ বছরের বেশি: শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড। তবে বিদেশি
মিশনের মাধ্যমে আবেদনকারীরা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিতে পারবেন।
শিশুদের ক্ষেত্রে: পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড।
ঠিকানার প্রমাণ: সাম্প্রতিক ইউটিলিটি বিল (গ্যাস, বিদ্যুৎ
বা পানি)।
বিশেষ পরিস্থিতি: দত্তক বা অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অনুমোদন।
পেশাভিত্তিক প্রয়োজনীয় নথি
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার: সংশ্লিষ্ট কারিগরি
সনদপত্র।
শিক্ষার্থী: সর্বশেষ শিক্ষাগত
যোগ্যতার সনদ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র/স্টুডেন্ট আইডি
বেসরকারি চাকরিজীবী: প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র।
সরকারি চাকরিজীবী: সরকারি আদেশ (জিও), অনাপত্তি পত্র (এনওসি),
প্রত্যয়নপত্র, পিআরএল অর্ডার বা পেনশন বই।
কৃষক: জমির পর্চা।
ব্যবসায়ী: ট্রেড লাইসেন্স।
আবেদনের সময় জমা দিতে হবে
বায়োমেট্রিকের জন্য
নির্ধারিত সময়সহ আবেদনপত্রের সারাংশ (প্রিন্ট কপি)।
অনলাইনে নিবন্ধিত পূর্ণ
আবেদনপত্র (প্রিন্ট কপি)।
পাসপোর্ট ফি জমার রশিদ।
৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য
ল্যাব-প্রিন্টেড সদ্য তোলা ছবি (গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে)।
ধারাবাহিকভাবে
ই-পাসপোর্টের আবেদনের নিয়ম :
অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ : প্রথমেই ইন্টারনেট ব্রাউজার
ওপেন করে সরাসরি www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর
‘অ্যাপ্লাই অনলাইন’ ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। এবা আঞ্চলিক ই-পাসপোর্ট কার্যালয় নির্ধারণ
করতে হবে। স্ক্রিনে ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে প্রার্থীর অবস্থানরত জেলা ও থানার নাম নির্বাচন
করতে হবে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অধিভুক্ত ই-পাসপোর্ট কার্যালয়ের নাম নির্ধারিত হবে।
এছাড়া
আলাদাভাবে নিকটস্থ ই-পাসপোর্ট কার্যালয় চেনার জন্য প্রবেশ করতে পারেন এই লিঙ্কে- https://dip.gov.bd/site/page/4d4ea063-50df-46ee-a326-492d8ef2dbb0/-।
পাসপোর্ট
অফিস নির্ধারণের পর ই-পাসপোর্ট অনলাইন নিবন্ধন পোর্টালে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এ জন্য
প্রয়োজন একটি ই-মেইল ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে
একটি ব্যতিক্রম পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। তারপর অ্যাকাউন্ট খোলা হলে পরবর্তীতে ই-মেইল
বা মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে পারবেন।
আবেদন
ফর্মের প্রতিটি তথ্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী উল্লেখ করতে হবে। ন্যূনতম তারকা
চিহ্নিত তথ্যগুলো অবশ্যই সফলভাবে প্রদানের পর পাসপোর্ট ফি প্রদানের অপশন আসবে। ফি তাৎক্ষণিকভাবে
অনলাইনে পরিশোধ করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রশিদ নম্বর সংযুক্ত হবে। পরবর্তীতে বায়োমেট্রিক
নিবন্ধনের জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে হবে। স্ক্রিনে প্রদর্শিত ক্যালেন্ডার থেকে উপলব্ধ
তারিখগুলো থেকে পছন্দসই একটি তারিখ নির্ধারণ করতে পারবেন প্রার্থী। এরপরই চূড়ান্ত পর্যায়,
যেখানে সাবমিট সম্পন্ন করার পর অ্যাপয়েনমেন্টসহ পুরো আবেদনের একটি সামারি প্রদর্শিত
হবে। এই সামারি এবং সাবমিটকৃত পুরো অনলাইন নিবন্ধনের প্রিন্ট কপি অন্যসব কাগজপত্রের
সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে জমা দিতে হবে।
ই-পাসপোর্ট ফি পরিশোধ: ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে
ফি পরিশোধের জন্য পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের অনুমোদিত কিছু পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে।
এসব হচ্ছে- ভিসা, মাস্টার ও অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউপে,
ডিমানি, ওকে ওয়ালেট এবং এমবিএল রেইন্বো। আর অনুমোদিত ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ব্যাংক এশিয়া,
ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, আরব-বাংলাদেশ
ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক।
৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদনের খরচ: পাসপোর্ট বইয়ের পৃষ্ঠা, পাসপোর্টের
মেয়াদ ও বিতরণের সময়সীমার ভিত্তিতে ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। মূলত রেগুলার, এক্সপ্রেস
এবং সুপার এক্সপ্রেস, এই তিন ক্যাটাগরিতে সরবরাহ করা হয় ই-পাসপোর্ট।
অধিকতর
দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট পাওয়ার মাধ্যম হচ্ছে সুপার এক্সপ্রেস মাধ্যম। এতে বায়োমেট্রিক
সংগ্রহের তারিখ থেকে মাত্র ২ কার্যদিবসের পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এক্সপ্রেস ক্যাটাগরিতে
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের তারিখ থেকে ৭ থেকে সর্বোচ্চ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া
যায়। আর রেগুলার ক্যাটাগরিতে সর্বাধিক সময়সীমা লাগে, যেখানে বায়োমেট্রিক প্রদানের দিন
থেকে ন্যূনতম ১৫ কার্যদিবস বা ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
আবেদনপত্রসহ নথিপত্র জমা ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া: উল্লেখিত সব কাগজপত্র
নিয়ে পূর্বনির্ধারিত দিন উপস্থিত থাকতে হবে পাসপোর্ট অফিসে। এদিন আবেদনকারীর ছবি তোলা,
হাতের আঙুলের ছাপ নেয়া হয়। বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ছবি উঠাতে প্রার্থীকে অবশ্যই
রঙিন পোশাক পরে আসতে হবে পাসপোর্ট অফিসে। সব কাজ শেষে প্রার্থীকে বিতরণের সম্ভাব্য
তারিখ সম্বলিত একটি স্লিপ দেয়া হবে। স্লিপটি আবেদনকারীর বায়ো নিবন্ধনের প্রমাণপত্র,
এ জন্য এটি পাসপোর্ট সংগ্রহের দিন অবশ্যই সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা যাচাইয়ের উপায়: বায়ো নিবন্ধনের দিন
থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের সম্ভাব্য দিনটির আগে পাসপোর্ট আবেদনের অবস্থা অনলাইনের মাধ্যমে
যাচাই করা যায়। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট কোন প্রক্রিয়ায় রয়েছে, তা দেখা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট
প্রিন্ট এবং তা সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত কিনা, সেটিও দেখা যায়। এ জন্য প্রবেশ করতে
হবে এই লিঙ্কে- https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status- লিঙ্কে।
পাসপোর্ট
অফিস থেকে দেয়া বিতরণ স্লিপে ১৩ সংখ্যার একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি রয়েছে। আবেদনের বর্তমান
অবস্থা যাচাইয়ের জন্য এই আইডি বা আবেদন ফর্মে থাকা ওআইডি (অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি)
ব্যবহার করতে হবে।
আগে
বায়োমেট্রিক দেয়ার কিছুদিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদনকারীকে ফোন করা হতো। কিন্তু
এখন থেকে এই কার্যক্রম থাকছে না। ই-পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য একদম প্রস্তুত হলে যথারীতি
আবেদনপত্রে উল্লেখিত ফোন নম্বর ও ই-মেইলে নির্দিষ্ট তারিখ সম্বলিত বার্তা পাঠানো হবে।
আর সেই তারিখে বিতরণ স্লিপ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে
হাজির হতে হবে।
মন্তব্য করুন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রেসিডেন্ট ও ডা. জুবাইদা রহমানকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এর বোর্ড অব ডাইরেক্টরস কমিটি গঠন করা হয়।
আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিএনপির ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) গঠনতন্ত্র মোতাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির পরিবর্তে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি বোর্ড অব ডাইরেক্টরস কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির
তালিকা-
• তারেক রহমান (প্রেসিডেন্ট)
• ডা. জুবাইদা রহমান (ভাইস প্রেসিডেন্ট)
• অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর
• অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান ডাইরেক্টর (এডমিন)
• অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহা. শামীম ডাইরেক্টর (ফাইন্যান্স)
• ডা. সৈয়দা তাজনীন ওয়ারিস সিমকী ডাইরেক্টর (প্ল্যানিং)
ডাইরেক্টর
(প্রোগ্রাম)
• ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ
• ডা. মোস্তফা আজিজ সুমন
• প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম
• কৃষিবিদ ড. খন্দকার মাহফুজুল হক বাচ্চু
• অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান
• অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী
• আমিরুল ইসলাম কাগজী
ডাইরেক্টর
• ব্যারিস্টার জাইমা রহমান
• অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম
• কৃষিবিদ আনোয়ারুননবী মজুমদার বাবলা
• কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম
• ব্যারিস্টার মীর হেলাল
• অধ্যাপক ড. শেখ মনির উদ্দিন
• প্রকৌশলী একেএম জহিরুল ইসলাম
• কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার
• প্রকৌশলী উমাশা উমায়ন মনি চৌধুরী
• সাংবাদিক হাফিজ আল আসাদ সাঈদ খান।
মন্তব্য করুন
বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত সাত কলেজের
ছাত্রদের ভেতরে বহিরাগত প্রবেশ করছে এমন অভিযোগ আসছে। তাই কোনো ধরনের উসকানির ফাঁদে
না পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকারবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আজ বুধবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরেন
সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। সকালে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের
বৈঠকে হওয়ার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাতে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, যখন সাত
কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করল, তখন তাদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমাদের শিক্ষা উপদেষ্টা
এবং আমি সেই আলোচনায় ছিলাম। সেখানে যথেষ্ট ভাল আলোচনা হয়েছে এবং তারা সন্তুষ্ট ছিল।
সেখানেই বিষয়টি শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেখানে সমাধানের পথটা দেখানো হয়েছিল। এ দ্রুত শিক্ষার
ব্যাপারে এমন দাবি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সেই জায়গা থেকে তাদের সঙ্গে একটা কনসালটেশন
হয়েছিল।
তিতুমীর কলেজের আন্দোলন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ বলেন, তিতুমীর কলেজে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা বলছেন অনুপ্রবেশকারীরা,
আমরা দেখেছি কীভাবে ট্রেনের ভেতরে পাথর ছুড়ে একটা বাচ্চার পর্যন্ত মাথা ফেটে গেছে।
এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। আজও ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এখনও স্পষ্ট
না কি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ অঞ্চলটাতে প্রায়ই এমন ঘটনা দেখে থাকি।
এক্ষেত্রে ছাত্রদের প্রতি আহ্বান থাকবে কোনো ধরনের উসকানির ফাঁদে না পড়ার, যেন আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি বজায় থাকে। আহ্বান জানাচ্ছি, ছাত্ররা যেন নিজেদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করে।
আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বে দিয়েছে ছাত্ররা। তাই তাদের মধ্যে
অনেক আশঙ্কা রয়েছে। তাদের দাবির প্রতি আমরা সহনশীল। তবে সেই দাবি দাওয়া নিয়ে আমাদের
সঙ্গে আলোচনা করার আহ্বান জানাই। চাইলে সমাধান করতে পারি। সরকার এ ব্যাপারে খুব পজিটিভ।
আসুক কথা বলব। সরকার কথা শুনছে চাইলে সমাধান করা যায়। যারা আন্দোলন করছেন তাদের কাছে
দাবি থাকবে আপনারা আসুন, আলোচনা করি। কোনো উসকানিতে পা দেবেন না। সরকার আপনাদের শুনতে
ইচ্ছুক। যেহেতু ছাত্ররা গণঅভ্যুত্থান সফল করেছে আমি মনে করি ছাত্ররা দায়িত্বশীলতার
পরিচয় দেবেন।
এ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
বলেন, রাতারাতি এক কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে ফেলার জন্য রাস্তা বন্ধ করে জনমানুষের
ভোগান্তি তৈরি করবেন, এটা কতটুকু সমীচীন, সেটা একটু বিবেচনা করে দেখতে ছাত্রদের প্রতি
আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন