

মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে বার্ষিক দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কলেজ মিলনায়তনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম।
কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. জসীম উদ্দিনের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান মজুমদার জয়।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন মোল্লা, আবুল খায়ের,রঙ্গলাল দত্ত, প্রভাষক সিহাদ হোসেন শিহাব ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সৌরভ সহ আরো অনেকে।
এসময় পালাখাল ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবুল কাশেম ভুইয়া, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোজাম্মেল তালুকদার, সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান অভিসহ কলেজের শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে শিক্ষার্থীদের সফলতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পালাখাল বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম আজিজুল হক।
মন্তব্য করুন


বিবেক হচ্ছে কুমিল্লাস্হ একটি সামাজিক সংগঠন। সমাজের মানুষের সহযোগিতার কল্যাণে এ প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ বছর ধরে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে কাজ করে আসছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান হলেন ইউসুফ মোল্লা টিপু যিনি কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব।
শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এর উদ্যোগে বিবেকের একটি টিম কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের বারেশ্বর গ্রামে অসহায় মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
বন্যায় কুমিল্লার আমড়াতলি ইউনিয়নের একটি পরিবার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পরিবারটির ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু ।
সহযোগিতার
হাত নিয়ে বিবেকের এই উদ্যোগ সামনের দিনগুলোতেও চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন


রাঙামাটিতে চুরি ও হারিয়ে যাওয়া ৩২টি মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
৭ নভেম্বর সোমবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মারুফ আহমেদ উদ্ধার করা ৩২টি হারানো মোবাইল প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মারুফ আহমেদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় ৩২টি চুরি হওয়া কিংবা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রকৃত মালিকদের কাছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশের কাজ। সেই লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা।
মন্তব্য করুন


র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর পৃথক অভিযানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম
ও সদর দক্ষিন এলাকা হতে ইয়াবা ও গাঁজা সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।
৪ মে রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম
থানাধীন পূর্ব কাশিপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে মোঃ সুমন
মিয়া (২৮) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৫ কেজি গাঁজা
উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে
৪ মে রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন জগপুর (পশ্চিম পাড়া) এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা
করে। উক্ত অভিযানে আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ
সময় আসামীর কাছ থেকে ৪২ পিস ইয়াবা ও ১২০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা
হলো, ১। মোঃ সুমন মিয়া (২৮) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার পূর্ব কাশিপুর গ্রামের
মোঃ আঃ মালেক এর ছেলে এবং ২। আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন মডেল থানার
জগপুর (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের মৃত সরাফত আলী এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা
হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ইয়াবা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় পৃথক অভিযানে ৬৮ কেজি গাঁজাসহ
২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২। মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত
একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ।
সোমবার ১৮ মার্চ রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চিওড়া
সুজাতপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা সুপন বড়ুয়া (৩০) নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ২৮ কেজি গাঁজা ও ১ টি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা
হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে ১৮ মার্চ রাতে
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন নবগ্রাম এলাকায় মাদক বিরোধী
অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ মনির হোসেন (৪৩) নামক ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৪০ কেজি গাঁজা ও ১ টি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। সুপন বড়ুয়া (৩০)
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার ফতেহপুর গ্রামের মৃত দুলাল বড়ুয়া এর ছেলে এবং আসামী
২। মোঃ মনির হোসেন (৪৩) কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার কলাকান্দি গ্রামের মৃত জাফর মোল্লা
এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর:
চাঁদপুরে নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের নির্দেশে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর মতলব উত্তর থানাধীন নাসিরাকান্দি এলাকায় মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় ১০টি ড্রেজার ১টি বাল্কহেড, ২টি স্পিডবোটসহ ৪৩ জন আটক করেছে নৌ পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে অবৈধ বালু বিক্রয়লব্দ ১১ লক্ষ ৪১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মতলব উত্তর উপজেলার হিল্লোল চাকমা সহকারী কমিশনার ভুমি, মতলব উত্তর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান, মোঃ শফিকুল ইসলাম, কোস্ট গার্ডের চীফ পেটি অফিসার।
চাঁদপুর নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রীয়াধীন আছে।
মন্তব্য করুন


সারাদেশে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের
পদত্যাগ করানোর হিড়িক পড়েছে তখন ঠিক এর উল্টো ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ে। জোর করে পদত্যাগ
করানো প্রধান শিক্ষকসহ চার শিক্ষককে ফিরিয়ে এনে তাদের চেয়ার বসিয়েছেন চখমিল বহুমুখী
উচ্চ বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায়
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে চখমিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। যা
রিতিমত প্রশংসার ঝড় তুলেছে।
এর আগে গত রবিবার (২৫ আগস্ট) এলাকার
কিছু উশৃংখল ও দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিদের উস্কানিতে প্রধান শিক্ষকসহ চার জনকে জোরপূর্বক
পদত্যাগ লিখে স্বাক্ষর করে নেয় এক দল শিক্ষার্থী।
জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের
হাতিয়ার করে তাদের ভুল বুঝিয়ে গত রবিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: সেলিম
উদ্দীন, সহকারী শিক্ষক মো: ইয়াছিন আলী, মো: নুরে আলম এবং শরণ শিংকে জোরপূর্বক পদত্যাগ
পত্রে স্বাক্ষর করে নেয় এক দল শিক্ষার্থী। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে নিন্দা
জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। জোর
করে পদত্যাগ করানোর খবর শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্র-জনতা।
গত মঙ্গবার সকালে তারা বিদ্যালয় মাঠ
সমবেত হয়ে প্রিয় শিক্ষকদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরাতে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে বুধবারে
স্থানীয় এলাকাবাসী এবং কমিটির সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেয় বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট ) তারা
স্বসম্মানে শিক্ষকদের বরণ করে নেবেন।
তারই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে
প্রাইভেট কারে করে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে ফুলের মালা গলায়
দিয়ে তাদের বরণ করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের পা ধরে
ক্ষমা চায় এবং আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এই কাজ মূলত কিছু
উশৃংখল ও দুষ্কৃতিকারী করেছে। এটার জন্য আমরা দায়ী না।
উল্লেখ্য, গত (২৫ আগস্ট) রবিবার সদর
উপজেলার উশৃংখল ও দুষ্কৃতিকারীদের একদল ব্যক্তি ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রদেরকে উস্কিয়ে
দেয় এবং তারা শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রেখে পদত্যাগের দাবিতে। এ সময় শিক্ষকদের দুটি
গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে তারা উল্লাস করতে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশসহ সেনাবাহিনী একটি
দল এসে শিক্ষকদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এসময় শিক্ষকদের পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে
নেওয়ার পরেই তাদেরকে রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষকদের হত্যার হুমকিও
দেন তারা।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ উপজেলা ও সেনানিবাস এলাকা) আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দিনব্যাপী ব্যাপক গণসংযোগ ও একাধিক উঠান বৈঠকে অংশ নেন।
বিকাল ৩টা থেকে তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের দিশাবন্দ লক্ষিনগর চৌমুহনী এলাকায় গণসংযোগ করেন। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে দিশাবন্দ এলাকায় আয়োজিত উঠান বৈঠকে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা বিশ্বরোড অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কুমিল্লা মহানগরীর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান।
ওয়ার্ড সভাপতি ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরামের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি ও দিশাবন্দের কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান, দিশাবন্দ কেন্দ্র পরিচালক আরিফুর রহমান, জামায়াত নেতা মাওলানা হারিস, ওমর ফারুক, মাস্টার এনায়েত উল্লাহ, সগির আহমদ, আব্দুর রহিম, জামাল হোসেন, রবিউলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্যে কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন— “দেশের রাজনীতি থেকে অন্যায়, দুর্নীতি ও অবিচার দূর করতে হলে ইসলামী মূল্যবোধের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে। আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই, যেখানে ন্যায়, সাম্য ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা দুর্নীতি করব না, কাউকে দুর্নীতি করতে দেব না। বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অঙ্গীকারবদ্ধ।”
এরপর তিনি কুমিল্লা নগরীর ১২নং ওয়ার্ডে আয়োজিত আরেক উঠান বৈঠকে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ১২নং ওয়ার্ড আমীর জাফর আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ওয়ার্ড সেক্রেটারি হাফেজ হুমায়ুন কবির।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অঞ্চল সহকারী পরিচালক মো. নুরে আলম বাবু, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল নোমান, মনিরুজ্জামান, আকবর হোসেন, কাইয়ুম খন্দকার, মাহবুবুর রশিদ, এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এছাড়া একই দিন সন্ধ্যায় সদর দক্ষিণ উপজেলার ৩নং গলিয়ারা ইউনিয়নের বাটেরা গ্রামে অনুষ্ঠিত এক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর দক্ষিণ উপজেলা আমীর মো. মিজানুর রহমান এবং ইউনিয়ন আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান।
বৈঠকে ১নং ওয়ার্ড সভাপতি আবু তাহের, ২নং ওয়ার্ড সভাপতি মনিরুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল হালিম, ১নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি আবুল কালাম, শ্রমিক কল্যাণ ওয়ার্ড সভাপতি জিয়াউর রহমান, সমাজসেবক সফিকুল ইসলাম, আব্দুল মুমিন মাস্টার, মগবুল মিয়া, ফিরোজ মিয়া, মাওলানা আব্দুল মুমিনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় পৃথক অভিযানে ২৬ কেজি গাঁজা ও ১৪৯
বোতল ফেন্সিডিল’সহ ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
শনিবার (৮ জুন) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন উত্তর রামপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। সবুজ খান (২৩), ২। সবুজ হাওলাদার (২৩) এবং ৩। মোঃ রাহাত খান (২০) নামক তিন জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে অদ্য ৮ জুন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন উত্তর রামপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ হালিম শেখ (৪৮) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৬ কেজি গাঁজা, ১৪৯ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১। সবুজ খান (২৩) ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার আরুয়া সোনারগাঁও গ্রামের বাবুল খান এর ছেলে, ২। সবুজ হাওলাদার (২৩) গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার গচাপাড়া গ্রামের আলীম হাওলাদার এর ছেলে, ৩। মোঃ রাহাত খান (২০) ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানার উত্তর চড়াইল গ্রামের সোহরাব খান এর ছেলে এবং ৪। মোঃ হালিম শেখ (৪৮) নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম দেওভোগ গ্রামের মৃত মোঃ করিম শেখ এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য সংগ্রহ করে ঝালকাঠি, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার ১৭টি উপজেলায় এ বছর ৭শ ৭৭টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সবচেয়ে বেশি পুজামন্ডপ রয়েছে মুরাদনগর উপজেলায় ১শ ৪৪টি। সবচেয়ে কম পূজামন্ডপ রয়েছে মেঘনা উপজেলায় ৯টি। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখা সূত্রে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।
জানা যায়, কুমিল্লা মহানগরীতে ৬৮টি পূজা মন্ডপ রয়েছে, আদর্শ সদর উপজেলায় পূজা মন্ডপ রয়েছে ২৬টি, সদর দক্ষিন উপজেলায় ৩০টি, লালমাই উপজেলা ১৮টি, বরুড়া উপজেলায় ৯১টি, লাকসাম উপজেলায় ৩৫টি, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ১২টি, নাঙ্গলকোট উপজেলায় ১১টি, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ২২টি, বুড়িচং উপজেলায় ৩৬টি, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ১৩টি, চান্দিনা উপজেলায় ৬৫টি, দেবিদ্বার উপজেলায় ৯৫টি, দাউদকান্দি উপজেলায় ৪০টি, হোমনা উপজেলায় ৪৯টি এবং তিতাস উপজেলায় ১৩টি।
পূজাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী নানা উদ্যোগ গ্রহন করেছে। দুর্গোৎসবকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে আর যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর থাকবে।
আর এসব বিষয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় শারদীয় দুর্গাপূজা নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে প্রশাসন উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুমিল্লা সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উৎসবমুখর দুর্গাপূজা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। কিন্তু আমরা সতর্ক আছি। আমি আপনাদের এই বার্তা দিতে এসেছি যে আমি আপনাদের সাথে আছি। আপনাদের সাথে সেনা বাহিনীর প্রতিটি সৈনিক আছে, প্রতিটি অফিসার আছে। আপনারা শুধু আমাদের তথ্য দিবেন-আমরা সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আমরা প্রতিটি জিনিস ঠিক করার চেষ্টা করবো। এ সময় জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও বিভিন্ন উপজেলার পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এসময় আগত অতিথিরা সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে পুজা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে পরামর্শ ও নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। জেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে দুর্গোৎসব সবার মাঝে আনন্দ আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধন বাড়িয়ে তুলবে বলে প্রত্যাশা সবার।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ শামসুল ইসলাম বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাবাডি খেলা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। কিন্তু এই খেলাটি আমাদের জাতীয় খেলা। অথচ কাবাডি হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির খেলার তালিকা থেকে। এই কাবাডিকে রক্ষা করতে হবে। গ্রাম-বাংলার জনপ্রিয় কাবাডি খেলার ঐতিহ্য রক্ষায় আমাদেরকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার (২৪মে) সকাল ১০টায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের আয়োজনে আন্তঃকলেজ কাবাডি প্রতিযোগিতা উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কুমিল্লা স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে আন্তঃকলেজ কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
ক্রীড়া নৈপুন্যে গড়বো দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ”ক্রীড়াঙ্গন’ স্লোগানে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড আয়োজিত আন্তঃকলেজ কাবাডি প্রতিযোগিতার ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক আবু সালেহ মোঃ তারিক মাহমুদ,জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা সুমন কুমার মিত্র। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের উপ-সচিব (একাডেমি) ও ক্রীড়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাফায়েত মিয়া।সভাপতিত্ব করেন কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ নূরুন্নবী আলম।
উপস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক আবুল হাসনাত বাবুল ও ক্রীড়া সংগঠক দরুল হুদা জেনু।
আন্তঃকলেজ কাবাডি প্রতিযোগিতায় ৯টি কলেজ অংশগ্রহণ করে। কলেজগুলো হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ, সোনার বাংলা কলেজ,কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ, শশীদল আলহাজ মুহাম্মাদ আবু তাহের কলেজ,ক্যান্টনমেন্ট কলেজ,মোশারফ হোসেন খান চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ, কুমিল্লা রেসিডেন্সিয়াল কলেজ, চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। একই দিনে বিকেলের পর্বে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের উপ-সচিব (একাডেমি) ও ক্রীড়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাফায়েত মিয়া।
মন্তব্য করুন