জাহাঙ্গীর আলম,কুড়িগ্রাম
উত্তর প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর ভুরুঙ্গামারী, চিলমারী ও ফুলবাড়ী পাঁচটি উপজেলার ইউপি সদস্যদের অংশগ্রহণে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণের
উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে চারটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব
করেন।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য়
পর্যায়) প্রকল্প ও স্থানীয় সরকার বিভাগ স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের
বাস্তবায়নে ১৭ মে শনিবার সকাল সাড়ে দশটায়
উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন ফুলবাড়ী
থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা
সোহেলী পারভীন,উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন
কর্মকর্তা আব্দুর রহমান সহ আরো অনেকে।প্রশিক্ষণ
পরিচালনা করেন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পে রাজারহাট কুড়িগ্রামের সমন্বয়কারী রুকুনুজ্জামান।এতে বড়ভিটা,ভাঙ্গামোড়
ও শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত
মহিলা সদস্যগণ গ্রহণ করেন।
রাজারহাট উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত গ্রাম আদালতের উদ্বোধন
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান
জানান, উচ্চ আদালতের মামলার জট কমানো, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের শক্তিশালী করা, এবং প্রান্তিক
জনগোষ্ঠীর ছোট ছোট বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গ্রাম
আদালত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এখন গ্রাম আদালতে ন্যায্য
বিচার পেয়ে অনেকটাই সন্তুষ্ট।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে এক কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ মোবাইল ফোনসহ চোরাচালানী পণ্য আটক করেছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
সোমবার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম
ও আদর্শ সদর উপজেলার সীমান্ত এলাক থেকে এসব মালামাল আটক করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা সীমান্ত এলাকার নোয়াপুর কাচিগাং মাঠ থেকে মালিক বিহীন অবস্থায় ৫২ লাখ টাকা মূল্যর অবৈধ ১২১টি মোবাইল ফোন আটক করে।
অন্য অভিযানে আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে ৫৬ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রকার বাজি, শাড়ীসহ অন্যান্য চোরাচালানী পণ্য আটক করা হয়।
মন্তব্য করুন
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে মেঘনা নদীতে বরযাত্রীসহ একটি ট্রলার ডুবিতে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন বরসহ আরও তিনজন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, জলি আক্তার (২৩) ও সাহানা আক্তার (৫০)। এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন বর শান্ত, শাওন ও হৃদয়। তারা সবাই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে রওনা হয়ে লঞ্চযোগে আটজনের একটি বরযাত্রীর দল শরীয়তপুরের কোদালপুর লঞ্চঘাটে পৌঁছান আজ শুক্রবার সকালে। সেখান থেকে একটি ট্রলার ভাড়ায় নিয়ে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে মাঝের চরের উদ্দেশ্যে রওনা করেন বরযাত্রীসহ ১১ জন। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ট্রলারটি মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। পরে চালকসহ স্থানীয় তিনজন সাঁতার কেটে ডাঙায় উঠতে পারলেও বরযাত্রীদের কেউ সাঁতার জানতেন না। খবর পেয়ে স্থানীয় জেলে ও পুলিশ পাঁচজনকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জলি ও সাহানাকে মৃত ঘোষণা করেন। উদ্ধারকৃত বাকি তিনজনের মধ্যে পারভীন ও সুফিয়া চিকিৎসাধীন থাকলেও সুস্থ রয়েছেন আকাশ। অন্যদিকে, বর শান্তসহ নিখোঁজ তিনজনকে উদ্ধার করতে কাজ করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুষ্পেন দেবনাথ বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এখনও বরসহ তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ কাজ করছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করা তিনটি শিক্ষাবর্ষের ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে 'ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড'।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, পিএইচডি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী।
আনুষ্ঠানিকভাবে স্নাতক (সম্মান) শেষ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোট ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় । অ্যাওয়ার্ড হিসেবে শিক্ষার্থীদের নগদ ১০ হাজার টাকাসহ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। ৬ টি অনুষদের ১৯ টি বিভাগ হতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসামান্য কৃতিত্ব, অনুকরণীয় নিষ্ঠা এবং একাডেমিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উৎকর্ষতায় ব্যতিক্রমী অবদান রাখা শিক্ষার্থীদের এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন," তোমরা চিন্তাটা সীমাবদ্ধ রাখবে না। তোমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে কিংবা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক হবে এরকম চিন্তাধারা রাখিও না। এটা এক প্রকার গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ থাকা। তোমাদের গণ্ডীটাকে আরো ছড়িয়ে দিতে হবে। তোমরা দেশেও থাকবে এবং বাইরেও থাকবে। প্রথমত, তোমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। আমার একটাই কথা, আমরা লেখাপড়া শিখি বা না শিখি আমাদের প্রথমে ভালো মানুষ হতে হবে। আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে, জিপিএ নির্ভর হলে চলবে না। পেয়ে গেছি এই আত্মতুষ্টিতে নিয়ে বসে থাকলে চলবে না, পথ এখনো বাকি আরো এগিয়ে যেতে হবে। "
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন," আসলে বৃত্তিটা শুধু অনুপ্রেরণা না, এটা হলো ভবিষ্যতে সত্য ও ন্যায়ের সাথে জীবন পরিচালনা করার পথ নির্দেশক। খারাপ কিছুকে ভালো কিছু দিয়ে জয় করবে। আমি আশা করবো তোমরা বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণী ও মহর্ষীদের জীবনিগুলো পড়বে এবং তা অনুসরণ করবে। ধর্মীয় দিকনির্দেশনাগুলো মনে চলবে।"
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন," তোমরা তোমাদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের স্বীকৃতি পেয়েছো আজকে। নিশ্চয় এটা তোমাদের জন্য আনন্দের। তোমাদের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। শিক্ষাজীবনে তোমরা সফল হয়েছো এটার প্রতিফলন যাতে তোমাদের কর্মজীবনেও ঘটে।"
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন," আমি চাই, তোমরা শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডীর মধ্যে না থেকে সারাবিশ্বে তোমাদের পদচারণা থাকবে৷ যার মাধ্যমে তোমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিবে। তোমাদের কাছে আমার প্রত্যাশা, তোমাদেরকে সত্য উন্মোচনের জন্য কাজ করে যেতে হবে এবং তোমরা সর্বদা ন্যায়ের পথে থাকবে।"
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন," আজকে যারা এখানে উপস্থিত আছেন, তারা মেধাবীদের মেধাবী। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জন করায় আপনাদেরকে অভিনন্দন জানাই। এই অ্যাওয়ার্ডকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে সামনের দিনে আরো ভালো করার চেষ্টা করবেন এই প্রত্যাশা রাখি।"
তিনি আরো বলেন," মেধাকে শুধু সিজিপিএর মধ্যে আবদ্ধ রাখবেন না। আপনাদের আরো বেশি পরিশ্রম করতে হবে। এ্যাভারেজ স্টুডেন্টসের থেকে আপনাদের ইউনিক হতে হবে। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। আশা করি আপনাদের মাধ্যমেই এগিয়ে যাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।"
উল্লেখ্য, মেধা বৃত্তি, অসচ্ছল ও মেধাবী স্টাইপেন্ড এবং স্পোর্টস স্কলারশীপ চলতি মাসেই প্রদান করা হবে।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর।
সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, গত শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। এতে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি, পাকা ধান, ঘরবাড়ি ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেদিনের ঝড়ে উড়ে যায় সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের পশ্চিম চরজুবলী গ্রামে অবস্থিত আবদুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরপর থেকে খোলা আকাশের নিচে তাদের ক্লাস চলছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বার্ষিক পরীক্ষা কার্যক্রমও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আব্দুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভিন আক্তার বলেন, শুক্রবার ঝড় হইসে। আমাদের ধানের জমি ও বাড়ি ঘরের ক্ষতি হইসে। সকালে গিয়ে দেখি স্কুলটাও নেই। ঝড়ে আমাদের স্কুল উড়ে গেছে। খোলা মাঠে ক্লাস করতেসি। সামনে আমাদের পরীক্ষা আছে।
ফাতেমা নামের আরেক শিক্ষার্থী জানান, সামনে আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আমাদের সামনের দিন গুলো নিয়ে শঙ্কায় আছি। ভবন নির্মাণ না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছে। রোদ আর গরমে বসে থাকা যায় না। আমাদের একটা স্থায়ী ভবন চাই।
অভিভাবক ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পুরো স্কুলটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা। তাই এখন শিক্ষার্থীদেরকে খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. পারভেজ বলেন, এই চরাঞ্চলের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য ২০০৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। যার নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আবদুল মালেক উকিলের নামে। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ঝড়ে পুরো বিদ্যালয় উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে অনিরাপদ পাঠদান চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে সহযোগিতা চেয়েছি। যেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পাঠদানে অংশ নিতে পারে।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ম্পিকার মরহুম মালেক উকিলের পুত্র ও সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলন বলেন, আমি ঊর্ধ্বতনকে অনুরোধ করছি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ভবন নির্মাণ করার জন্য। সেই সাথে বিদ্যালয়টি জাতীয় করণেরও দাবী জানান তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, শিক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয়টি দেখা হবে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল মাদ্রাসাতুস সাহাবা ও হাজী মর্জিনা মহিলা মাদ্রাসায় পবিত্র কুরআন শরীফ বিতরণ ও পানির মোটর প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার সামাজিক সংগঠন রেড রিলেশন যুব সমাজকল্যান সংস্থার উদোগে এসব কুরআন শরীফ বিতরণ করা হয়।
তাছাড়া এ সংগঠনের মাধ্যমে গরীব অসহায় মানুষকে আর্থিক সহায়তা,ঘর নির্মান,খাদ্য সহায়তা,বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয়,রক্তদান, অসুস্থ রোগীদের আর্থিক সহায়তা সহ নানান কর্মসূচী করে আসছেন। বিশেষ করে করোনার সময়ে প্রান্তিক পর্যায়ে অক্সিজেন সেবা,খাদ্য সহায়তা সহ বিভিন্ন সেবার কার্যক্রম করেছেন।
এসময় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হাজী আব্দুর নুর মজুমদার,অধ্যক্ষ মুফতী মাহাবুবুর রহমান মজুমদার,রেড রিলেশন যুব সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি আশরাফুল আলম রিজন পাটওয়ারী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, চাঁদপুর
প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের কচুয়ায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ১৩ হাজার ৩০ হেক্টর লক্ষমাত্রা নির্ধারন
করা হয়েছিল কিন্তু কৃষি বিভাগের সার্বিক সহায়তা এবছর ১৩ হাজার ২শ ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো
ধানের আবাদ করা হয়।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং
কোন ধরণের রোগ বালাই না দেখা দেয়ায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়
ইতিমধ্যে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান দ্রুত পেকে যাচ্ছে।
আগাম বন্যা, ঝড় শিলা বৃষ্টি না থাকায় প্রচন্ড রোদে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই ধান টাকা,
মাড়াই ও শুকিয়ে কৃষকরা তাদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের ফসল ঘরে তুলতে পারছেন।
কৃষকরা জানান, কৃষি কাজে
যান্ত্রিকী করণের কারণে এবার শ্রমিক সংকট নেই। বিভিন্ন জমিতে বেশীর ভাগ কৃষকরা হারভেস্টার
মেশিন দিয়ে তাদের জমির ধান দ্রুত কেটে ফেলছেন।
প্রান্তিক চাষীরা বছরের খোরাকির
জন্য ধান সংরক্ষণ করছেন। সাড়ে ৯ শত টাকা থেকে ১ হাজার টাকা মন দরে ধান বিক্রি করছেন
তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মেজবাহ
উদ্দিন বলেন, কচুয়া উপজেলায় পুরোদমে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কম্বাইন হারভেস্টার
মেশিন দিয়ে কচুয়ার বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং
সময়মতো প্রয়োজনীয় সার বীজ কীটনাশক প্রয়োগ করায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। খুব কম
সময়ে মেশিনের সাহায্যে ধান কাটা ও মাড়াই করা হয় বলে কৃষকরা তাদের বোরো আবাদ সহজেই ঘরে
তুলতে পারছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে
দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও পাঁচ জনকে কুপিয়ে
জখম করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর)
রাতে উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাতেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা
মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর)
সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত তরুণের নাম বাবুল
মিয়া (২৭)। তিনি সাতেশ্বর গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। বাবুলের
আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা
গেছে, রবিবার বেলা ১১টায় সাতেশ্বর গ্রামের নড়াই বাড়ির পাশ দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন
একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিমন হৃদয়। দ্রুতগতিতে অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ায় ওই
বাড়ির শিশুদের গায়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে ওই বাড়ির বাসিন্দাসহ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে
অটোরিকশাচালকের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে হৃদয় ফেরার সময় বিষয়টি নিয়ে ওই বাড়ির
লোকজনের সঙ্গে আবার ঝামেলা হয়। ঘটনাটি সমাধানের জন্য সন্ধ্যার পর সাতেশ্বর পূর্বপাড়ার
একটি দোকানের সামনে সালিশ বৈঠক বসে।
এ সময় ইউনিয়ন যুবদলের
সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল
মতিন, ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এমরান হোসেনসহ গ্রামের গণ্যমান্যরা দুই পক্ষকে মিলিয়ে
দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার পক্ষে থাকা সুমন, রুবেল, অন্তর,
রিপন, আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি।
তারা অপর পক্ষের ওপর
হামলা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে বাবুলসহ স্থানীয় লোকজন তাদের থামাতে
গেলে হৃদয়সহ তার লোকজন চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় বাবুলের পায়ে, পিঠে
ও হাতে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার
করে লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি
হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুলাল মিয়া, আবদুল মান্নান, মনির
হোসেন, যুবদল নেতা এমরান হোসেনসহ পাঁচ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।
মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার পর রাতেই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। এতে ১০ জনের নাম ও অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার মূল আসামি ও বাবুলকে ছুরিকাঘাত করা সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন
‘আজকের দিনেও তোমার যন্ত্রণা নিতে পারছি
না। আমার পরিবার থেকে যে যৌতুকের টাকা তোমাদের দিয়েছে, সেগুলো শোধ করে দিও। তুমি আমাকে
বাঁচতে দিলে না। পোস্টমর্টেম করিয়ে
আমার সব যন্ত্রণা ধুয়ে-মুছে আমাকে কবরে পাঠিও।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে ছিল রীমা আক্তার এর মেহেদী অনুষ্ঠান। প্রেমের পরিণতি হিসেবে বিয়ের মাত্র এক দিন আগে ‘আত্মহত্যা’র পথ বেছে নেওয়া রীমা আক্তার (২০) এ কথা লিখে গেছেন।
চট্টগ্রামের পটিয়া থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। রীমা উপজেলার হাইদগাঁও এলাকার হীরা তালুকদারবাড়ির বাচা মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চার বছর ধরে নারায়ণগঞ্জে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত মিজানুর রহমানের সঙ্গে রীমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মিজানুর একই এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে। উভয় পরিবার ছেলেমেয়ের সম্পর্ক জেনে পারিবারিকভাবেই আজ শুক্রবার বিয়ের তারিখ ঠিক করে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ছিল তাদের মেহেদী অনুষ্ঠান। বিকেল ৫টায় রীমার বিউটি পারলারে যাওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠান উপলক্ষে দুপুরে রীমা ও মোরশেদ মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে কথা বলেন কয়েক দফা। এর পরপরই দরজা বন্ধ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রীমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, রীমার লাশ উদ্ধারের পর পাশেই কাগজে
একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।
সেখানে হবু স্বামীকে উদ্দেশ্য করে রীমা লিখেছেন, ‘প্রিয় শখের পুরুষ, তুমি করো তোমার বিয়ে, অনেক ভালোও বেসেছ এবং অতিরিক্ত যন্ত্রণাও দিয়েছ। আমি পারছি না এত যন্ত্রণা নিতে। বাকি জীবনটা সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারলাম না। তুমি আমাকে বাঁচতে দিলে না। আমার পরিবার থেকে যৌতুকের যে টাকা তোমাদের দিয়েছে, সেগুলো শোধ করে দিও।’পোস্টমর্টেম করিয়ে আমার সব যন্ত্রণা ধুয়ে-মুছে আমাকে কবরে পাঠিও।’
রীমার চাচা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘তিন দিন আগে যৌতুক হিসেবে আমরা ২ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি ছেলের পরিবারকে। এর পরও ছেলে রীমাকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে মেহেদী অনুষ্ঠানের দিন।’
রীমার ভাই আজগর হোসেন জানিয়েছেন, তার বোনের কাছে যৌতুক হিসেবে ফুল সেট ফার্নিচার, টিভি, ফ্রিজ ও বিয়ের খরচ হিসেবে টাকা দাবি করেন মিজানুর রহমান মোরশেদ। উভয়ের প্রেমের সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও যৌতুক দাবি করায় তাঁর বোন অপমানিত হয়ে রাগে-ক্ষোভে আত্মহত্যা করেন। রীমা পটিয়া সরকারি কলেজে অনার্সের মেধাবী ছাত্রী ছিল। ছেলে যে এতটা যৌতুকলোভী হবে আমরা জানতাম না। প্রাণ দিয়ে আমার বোন তার মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে। অথচ আমরা এত দিন তা বুঝতে পারিনি। মৃত্যুর আগে আমার বোন সুইসাইড নোটে এসব লিখে রেখে গেছে।
পটিয়া থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, বিয়ের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে তরুণীর আত্মহত্যার বিষয়টি দুঃখজনক। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা নগরীতে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে উজিরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোঃ নাঈমুর রহমান মজুমদার মাছুমকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নগরীর দক্ষিণ চর্থার ইপিজেড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া মাছুম চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘাসি গ্রামের মৃত. মোখলেসুর রহমান মজুমদাের ছেলে । তিনি দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চিহ্নিত আসামি এবং চৌদ্দগ্রামে সংঘটিত এইট মার্ডার হত্যাকাণ্ডের মামলার ৮৮ নং আসামি।
সূত্রে জানা যায়, নাঈমুর রহমানের কাছ থেকে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নাশকতা পরিকল্পনার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তার স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে যে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ ঢাকা শহরের ৮/৯টি স্থানে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সকাল ৬ টা থেকে ৭টার মধ্যে ভয়াবহ নাশকতা চালানো হবে।
অভিযুক্ত নাঈমুর রহমান আরও জানায়, এবার শুধু মহাসড়ক অবরোধেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা এক্সকাভেটর ব্যবহার করে রাস্তাঘাট কেটে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।এর পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করার কৌশলও হাতে নেওয়া হয়েছে।
সেনা অভিযানে গ্রেফতারের পর নাঈমুর রহমানকে ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে কুমিল্লা সিআইডিকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
এই গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নাশকতার যেকোনো পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
সারাদেশে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের
পদত্যাগ করানোর হিড়িক পড়েছে তখন ঠিক এর উল্টো ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ে। জোর করে পদত্যাগ
করানো প্রধান শিক্ষকসহ চার শিক্ষককে ফিরিয়ে এনে তাদের চেয়ার বসিয়েছেন চখমিল বহুমুখী
উচ্চ বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায়
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে চখমিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। যা
রিতিমত প্রশংসার ঝড় তুলেছে।
এর আগে গত রবিবার (২৫ আগস্ট) এলাকার
কিছু উশৃংখল ও দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিদের উস্কানিতে প্রধান শিক্ষকসহ চার জনকে জোরপূর্বক
পদত্যাগ লিখে স্বাক্ষর করে নেয় এক দল শিক্ষার্থী।
জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের
হাতিয়ার করে তাদের ভুল বুঝিয়ে গত রবিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: সেলিম
উদ্দীন, সহকারী শিক্ষক মো: ইয়াছিন আলী, মো: নুরে আলম এবং শরণ শিংকে জোরপূর্বক পদত্যাগ
পত্রে স্বাক্ষর করে নেয় এক দল শিক্ষার্থী। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে নিন্দা
জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। জোর
করে পদত্যাগ করানোর খবর শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্র-জনতা।
গত মঙ্গবার সকালে তারা বিদ্যালয় মাঠ
সমবেত হয়ে প্রিয় শিক্ষকদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরাতে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে বুধবারে
স্থানীয় এলাকাবাসী এবং কমিটির সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেয় বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট ) তারা
স্বসম্মানে শিক্ষকদের বরণ করে নেবেন।
তারই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে
প্রাইভেট কারে করে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে ফুলের মালা গলায়
দিয়ে তাদের বরণ করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের পা ধরে
ক্ষমা চায় এবং আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এই কাজ মূলত কিছু
উশৃংখল ও দুষ্কৃতিকারী করেছে। এটার জন্য আমরা দায়ী না।
উল্লেখ্য, গত (২৫ আগস্ট) রবিবার সদর
উপজেলার উশৃংখল ও দুষ্কৃতিকারীদের একদল ব্যক্তি ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রদেরকে উস্কিয়ে
দেয় এবং তারা শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রেখে পদত্যাগের দাবিতে। এ সময় শিক্ষকদের দুটি
গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে তারা উল্লাস করতে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশসহ সেনাবাহিনী একটি
দল এসে শিক্ষকদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এসময় শিক্ষকদের পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে
নেওয়ার পরেই তাদেরকে রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষকদের হত্যার হুমকিও
দেন তারা।
মন্তব্য করুন