

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীতে ক্যানসার রোগীর নাম ভাঙিয়ে চাঁদার টাকা তোলার সময় এক নারীসহ তিন ভুয়া সমন্বয়ককে আটক করে পুলিশ দিয়েছে স্থানীয়রা।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে পৌরসভার মুল বাড়ী রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সমন্বয়ক দাবি করা ব্যক্তিরা হলেন- সরিষাবাড়ী মাহমুদা সালাম মহিলা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বৈশাখী আক্তার। পোগলদিঘা ইউনিয়নের চর পোগলদিঘা গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে রিফাদ হাসান। তিনি সরবান হাসান টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী, একই ইউনিয়নের রুদ্র বয়ড়া একুশে মোড় এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে সিফাত আহমেদ। তিনি আলহাজ্ব মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: চাঁদ মিয়া জানান, বিকেলে তারা তিনজন সমন্বয়ক পরিচয়ে একজন ক্যানসার রোগীর সাহায্যের জন্য বিভিন্ন জায়গায় টাকা উত্তোলন করছিলেন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে তাদের থানায় আনা হয়। তারা সরিষাবাড়ীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থী। এমন প্রতারণা আর করবে না, এ মর্মে অভিভাবকরা তাদের জিম্মায় সন্ধ্যায় মুচলেকা দিয়ে আটকদের নিয়ে যান। এ সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে ও জেলা ক্রীড়া
সংস্থার সহযোগীতায় মাস ব্যাপী ডেভেলপমেন্ট
কাপ অনূর্ধ্ব ১৫ (বালক) ফুটবল
প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(২৫ জানুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ
দত্ত স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার
সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন।
জেলা
ক্রীড়া অফিসার নাজিম উদ্দিন ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের
সাধারণ সম্পাদক বাদল খন্দকার, জেলা
ফুটবল এসসোয়িশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাহের চৌধুরী সেন্টু ও জেলা ফুটবল
এসোসিয়েশনের সদস্য সারোয়ার জাহান।
প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন জেলা ফুটবল দলের কোচ সুজিত হালদার ও মাহাবুবুল আলম তুহিন। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের জন্য ৩০ জন খেলোয়াড়কে বাছাই করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৩২.৫ কেজি গাঁজাসহ তিনজন মাদক
ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ সোমবার (১৮ আগষ্ট)
দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার বরুড়া থানাধীন বগাবাড়িয়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ১।
বেবী বেগম (৫০), ২। শিল্পী বেগম (৩০) এবং ৩। মোঃ সোহেল (২৫) নামক তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে।
এ সময় আসামীদের কাছ
থেকে ৩২.৫ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা
হলেন- ১। বেবী বেগম (৫০) মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার হঠাৎপাড়া গ্রামের মৃত ফজল করিম
এর মেয়ে, ২। শিল্পী বেগম (৩০) ডিএমপি ঢাকা এর রূপনগর থানার মিরপুর ৬ নং ট ব্লকের মোঃ
রবু মাতবর এর মেয়ে এবং ৩। মোঃ সোহেল (২৫) একই ব্লকের মোঃ জহুরুল ইসলাম মুন্সী এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়,
তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে ঢাকা,
মানিকগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয়
করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার সদর দক্ষিণে মা ও মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ছেলে ও ছেলের বউয়ের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা দায়রা জজ আদালতে এই আবেদন করা হয়।
সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানাধীন ইপিজেড ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ খাজু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে (৩১ আগস্ট) রবিবার রাতে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় নিহতের বড় মেয়ে হাছিনা আক্তার শিউলি বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
নিহতরা হলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর গ্রামের মৃত আবু তাহের স্ত্রী লুৎফা বেগম (৭০) ও তার মেয়ে আয়েশা আক্তার শিল্পী (৩৮)। গ্রেপ্তাররা হলেন নিহত লুৎফা বেগমের ছেলে শাহিন আলম ও তার স্ত্রী লাকি আক্তার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত লুৎফা বেগম ও তার মেয়ে আয়েশা অভিযুক্ত শাহিনের সঙ্গে একই ঘরে থাকতেন। মা-ছেলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহের জেরে মতবিরোধ চলছিল।
এ নিয়ে ছেলে শাহিন তার মা ও বোনকে প্রকাশ্যে একাধিকবার মারধরও করেছিলেন। বিষয়টি স্থানীয়দের জানালেও শাহিনের স্ত্রী লাকীর ভয়ে কেউ নিরসনে এগিয়ে আসেনি।
এসআই মোহাম্মদ খাজু মিয়া জানান, খবর পেয়ে রবিবার সন্ধ্যায় নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় মেয়ে বাদী হয়ে রাতেই একটি হত্যা মামলা করেন।
তিনি আরো বলেন, সোমবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা দায়রা জজ আদালতের মাধ্যমে আসামি শাহিন ও তার স্ত্রী লাকিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। পরবর্তীতে এর শুনানি হবে। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় আহলে হাদীসের উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনভর উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এছাড়া চাঁদপুর জেলা আহলে হাদীসের পক্ষ থেকে নোয়াখালী,ফেনী,লক্ষীপুর,কুমিল্লা,চাঁদপুরের কচুয়া,ফরিদগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সমাগ্রী বিতরন করেন নেতৃবৃন্দ। এদিকে আহলে হাদীসের নেতৃবৃন্দ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁধে করে বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সামগ্রী পৌছে দেন।
এসময় বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের চাঁদপুর জেলা জমঈয়তের সেক্রেটারী দুলাল মিয়া,জামিয়া দারুত তাওহীদের সভাপতি মাসুদ রানা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক মো. মাসুদ রানা মিয়াজী,আশ্রাফপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম সহ আহলে হাদীসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


আনন্দ
ভ্রমণে ৬০ জন যাত্রী নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের পয়সাখোলা থেকে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার
স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পটে যাচ্ছিল হাই চোয়েস পরিবহনের একটি বাস।
আর
সেই বাসের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধানক্ষেতে উল্টে গেলে আনন্দ মুহূর্তেই বিষাদে
পরিণত হয়, এতে আহত হন ৫৫ জন।
সোমবার
(৪ মার্চ) দুপুরে নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের
মধ্যে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পয়সাখোলা গ্রামের লায়লা বেগম (৩৫), মতিয়ার রহমান (৩৮),
তার মেয়ে মৌসুমি পারভিন (১২) ও মোজ্জামেল হকের মেয়ে মোস্তাকিমার নামে ৪ যাত্রীকে ফুলবাড়ী
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ
জানায়, সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের পয়সাখোলা গ্রামের প্রায় ৬০ জন বাসে করে স্বপ্নপুরীর
উদ্দেশে রওনা দেন। পথে নবাবগঞ্জের আফতাবগঞ্জ বাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে চলন্ত বাসটির
সামনের ডান পাশের চাকা ফেটে যায়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি রাস্তার পাশের ধানক্ষেতে
উল্টে গেলে ৫৫ জন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
নবাবগঞ্জ
থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা
সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় যৌথভাবে একটি চেকপোস্ট স্থাপন করেছে।
এ সময় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে দুটি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
এ
সময় মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
আজ
সোমবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এত তদারকি অভিযান পরিচালিত হয়।
যৌথভাবে
পরিচালিত এই চেকপোস্টে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। যান চলাচলে শৃঙ্খলা নিশ্চিত
ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর এই তৎপরতা স্থানীয়দের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন


সুশৃঙ্খল সুরক্ষিত মহাসড়ক - এ লক্ষ্যকে নিয়ে দিনরাত কাজ করে যায় হাইওয়ে পুলিশ কারণ মূল উদ্দেশ্য থাকে একটাই দিনশেষে সুরক্ষার সাথে বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা সুনিশ্চিতকরণ ।
শনিবার (২০ এপ্রিল ২০২৪) সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের নেতৃত্বে কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক কুমিল্লা রিজিয়নের ২২টি হাইওয়ে থানা পুলিশের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা এবং স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার সহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট সহ সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বডি ওয়ার্ন ক্যামেরায় সজ্জিত হয়ে সারাক্ষণ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থেকে চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা ও স্পিড গান ব্যবহার করাসহ আজ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘন কারী গাড়ির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় গাড়ি আটক ও গ্রেফতার করা হয়।
আজকের এই বিশেষ অভিযানের সময় কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে ফিটনেস বিহীন বাস, ফিটনেস বিহীন পণ্যবাহী ট্রাক সহ সকল ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
শুধু তাই নয়, পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করার অপরাধেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পাশাপাশি মহাসড়কে অবৈধভাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে থ্রি হুইলার চালানোর অপরাধে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪৩টি থ্রি হুইলার আটক, ফিটনেস বিহীন ১টি পিকআপ আটক, দুর্ঘটনায় জড়িত ১টি সাউদিয়া বাস আটক ও গাড়ি ১ ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়াও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্ন ধারায় মোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দেওয়া হয় এবং একই সাথে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ও গণপরিবহন চালানোর অপরাধে ২৮টি, ৭৫ ধারায় ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে মোটরযান চালানোর অপরাধে ০৬টি, ৮৭ ধারায় নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে মোটরযান চালানো বা স্পীড ডিটেক্টরের সাহায্যে মোটরযানের গতি চিহ্নিত অপরাধে ৫৯টি, ৮৯(১) ধারায় কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী মোটরযান নিষিদ্ধ হর্ণ স্থাপন/ব্যবহার ইত্যাদির অপরাধে ০৭টি, ৮৯(২) ধারায় ঝুঁকিপূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষিত মহাসড়কের চলাচলের অনুপোযোগী যান চালনা ইত্যাদির অপরাধে ৫১টি, ৯২(১) ধারায় মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী সংক্রান্ত (১ম অংশ) অপরাধে ২০টি এবং ৯২(২) ধারায় (২য় অংশ) অপরাধে ০২টি সহ কুমিল্লা রিজিয়ন কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো: শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কুমিল্লা রিজিয়ন জোরদার ভাবে স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে ।
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে হাইওয়ে পুলিশের বডি ওয়ার্ণ ক্যামেরার মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অভিযান সংক্রান্ত এ কার্যক্রম কুমিল্লা রিজিয়নে অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে ৮০ কি:মি গতিসীমার মধ্যেই যানবাহন সমূহ চালানোর নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি সদা সর্বদা থাকবে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ এর । এসময় কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম উল্টোদিকে গাড়ি চালানো এবং মহাসড়কে থ্রি হুইলার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পাশাপাশি তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নের্তৃত্ব এবং সংশ্লিষ্ট সকল গাড়ির ড্রাইভারদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি পরিহার এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা গাড়ি গুলোকেই গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন


সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে নীলফামারীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ওষুধসহ নানা অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসনের নেতৃত্বে এ অনুসন্ধান অভিযান পরিচালিত হয়। দুদকের রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে করা কয়েকটি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হাসাপাতালটিতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অভিযানকালে, অনুসন্ধান দলটি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও স্টোর রুমে সরকারিভাবে সরবরাহ করা ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জামের কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করে। পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসকের অনুপস্থিতি হাজিরা মেশিনের তথ্য সংগ্রহ করে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ বেলাল হোসেন জানান, পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন এবং আগত সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে সেবার মানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। হাসপাতালের হাজিরা খাতা ও বায়োমেট্রিক হাজিরা পর্যালোচনায় এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও অন্যান্যদের বক্তব্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় সেবাদান ব্যহত হচ্ছে বলে তারা মনে করেন। রিপোর্ট দাখিলের পর কমিশন যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
হাসাপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার আবু আল হাজ্জাজ জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল (দুদক) দুপুরে হাসপাতালে এসে বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধানের কথা আমাকে জানিয়েছে। পরবর্তীতে তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ স্টোর রুমের ওষুধ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি যাচাই করেছেন। এছাড়া দুজন চিকিৎসকের অনুপস্থিতি বিষয়টি তারা অবগত করেছেন।
মন্তব্য করুন


আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪) দুপুর ১২:৪০ মিনেটে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, ১০ পদাতিক ডিভিশন এর উপস্থিতিতে রামু সেনানিবাসের গ্যারিসন মসজিদে শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন এর প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে দুপুর ১:১০ মিনিটে উক্ত অফিসারের মৃতদেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে নিজ বাড়ি টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, ১৯ পদাতিক ডিভিশন এর উপস্থিতিতে সন্ধ্যা ৬ টায় অফিসারের নিজ বাড়ি জেলা সদরের বেতকা গ্রামে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে যথাযোগ্য মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়।
মন্তব্য করুন


রুবেল মিয়া স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য
কবিরাজের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই কবিরাজ চিকিৎসার নামে তার স্ত্রীকে সম্ভ্রমহানি
করেন। এমন সন্দেহে কবিরাজকে গলা কেটে হত্যা করেন রুবেল মিয়া।
চুয়াডাঙ্গার কবিরাজ রাজ্জাক শেখ রাজাই
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মূল আসামি হিসেবে রুবেল ও সহযোগী হিসেবে সোহেল রানাকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য
জানিয়েছেন।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজাই আলী
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের সুবদিয়া গ্রামে কাচারীপাড়ার মরহুম দেসের
আলীর ছেলে। তিনি কবিরাজি পেশায় যুক্ত ছিলেন এবং চাষাবাদ করতেন। নিহতের ভাইপো সানোয়ার
হোসেন এ হত্যাকাণ্ডের পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা করে।
জানা যায়, শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যা
সাড়ে ৭টার দিকে রাজাই কবিরাজ জিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে রুবেল ও তার স্ত্রীকে
সদর উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের নবগঙ্গা নদীর ব্রিজের পাশে পান বরজের কাছে নিয়ে যায়।
এরপর রুবেলকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠায়। কিছুক্ষণ পর রুবেল ফিরে এসে তাদের না পেয়ে
তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সেটা বন্ধ পায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ৩৫-৪০ মিনিট
পর রাজাই কবিরাজ ও তার স্ত্রী পানবরজের কাছে ফিরে আসলে, রুবেল তার স্ত্রীকে দেখে সন্দেহ
করে। পরে রুবেল বাড়ি ফিরে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে কান্নাকাটি করে বলে যে,
রাজাই কবিরাজ তার সম্ভ্রমহানি করেছে। এটা জানার পর রুবেল তার সহযোগী সোহেল রানাকে নিয়ে
বাড়ি থেকে বের হয়। রাজাই কবিরাজকে তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর জিন তাড়ানোর কথা বলে কৌশলে
সুবদিয়া ভুট্টা ক্রয় কেন্দ্রের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে বসিয়ে কালীভান্ডারদহের দিকে
নিয়ে যায়। এ সময় মোটরসাইলের পেছনে বসা রুবেল তার হাতে থাকা ধারাল ছুরি দিয়ে রাজাই কবিরাজের
গলায় পোঁচ দিয়ে তাকে মোটরসাইকেল থেকে নির্জন রাস্তায় ফেলে দেয় এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত
করে। মরদেহটি রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে গাছপালা দিয়ে ঢেকে দিয়ে তারা বাড়ি ফিরে যায়।
পুলিশের তদন্তের পর আলোচিত কবিরাজ হত্যাকাণ্ডের
ঘটনাটি গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে এভাবেই তুলে ধরেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর
রহমান।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকর চন্দ্র
ইউনিয়নের কালিভান্ডারদহ পিরতলি মাঠ থেকে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজাই আলী (৪৮) নামের
এক কবিরাজের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের দিনই পুলিশি তদন্তে হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত রুবেল মিয়া ও সোহেল রানাকে আটক করেছে পুলিশ। তারা আদালতের বিচারকের
কাছে তাদের দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর ১টায় চুয়াডাঙ্গা
পুলিশ সুপার কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে
জানান, চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-১ বিচারক রিপন হোসেনের কাছে স্বেচ্ছায়
জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে আটক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সুবদিয়া
পূর্বপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া (২৩) ও একই পাড়ার আনিসের ছেলে সোহেল রানা
(২০)। এদের কাছ থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত আলামত ধারাল ছুরি, ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল
ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন