জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীতে ক্যানসার রোগীর নাম ভাঙিয়ে চাঁদার টাকা তোলার সময় এক নারীসহ তিন ভুয়া সমন্বয়ককে আটক করে পুলিশ দিয়েছে স্থানীয়রা।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে পৌরসভার মুল বাড়ী রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সমন্বয়ক দাবি করা ব্যক্তিরা হলেন- সরিষাবাড়ী মাহমুদা সালাম মহিলা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বৈশাখী আক্তার। পোগলদিঘা ইউনিয়নের চর পোগলদিঘা গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে রিফাদ হাসান। তিনি সরবান হাসান টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী, একই ইউনিয়নের রুদ্র বয়ড়া একুশে মোড় এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে সিফাত আহমেদ। তিনি আলহাজ্ব মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: চাঁদ মিয়া জানান, বিকেলে তারা তিনজন সমন্বয়ক পরিচয়ে একজন ক্যানসার রোগীর সাহায্যের জন্য বিভিন্ন জায়গায় টাকা উত্তোলন করছিলেন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে তাদের থানায় আনা হয়। তারা সরিষাবাড়ীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থী। এমন প্রতারণা আর করবে না, এ মর্মে অভিভাবকরা তাদের জিম্মায় সন্ধ্যায় মুচলেকা দিয়ে আটকদের নিয়ে যান। এ সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মাসুদ হত্যা মামলা ও চাঁদাবাজি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হালিম মিয়া (৩০) নামে এক আসামি পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়েছে।
শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামে।
আসামি হালিম মিয়া ওই গ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, খাগাতুয়া গ্রামের মাসুদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হালিম মিয়া। হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও চাঁদাবাজি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন হালিম মিয়া। শনিবার সন্ধ্যায় খাগাতুয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে হালিমকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু তার হাতে হাতকড়া পড়ানোর আগেই এএসআই আশরাফুল আরিফের হাতে কামড় দিয়ে আসামি হালিম মিয়া পালিয়ে যান।
পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলে জানান নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় অটোরিকশা চুরির ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যেই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চোরাই অটোরিক্সাটি উদ্ধার করেছে। এসময় চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুমিল্লার কোতয়ালী থানার আনোয়ার হোসেন মজুমদারের ছেলে সিয়াম মজুমদার (২০), আবু হানিফের ছেলে মোঃ পরান (১৯) ও মৃত আলী গাজীর ছেলে মহব্বত গাজী (২৯)।
রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা।
ত্রিনাথ সাহা জানান, শুক্রবার গভীর রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শাহ আলমের বাড়ি থেকে অজ্ঞাতনামা চোরচক্র তার একটি অটোরিকশা চুরি করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে তিনি শনিবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক আবদুল কুদ্দুস তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার ১নং কাশিনগর ইউনিয়নের দাতামা বটতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা চোরাইকাজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি শেষে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মোঃ সুমন ভূঁইয়া, নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় রহস্যজনক আগুনে ১ হাজার ৫০০ শ' পোল্ট্রি মুরগিসহ একটি খামার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে এখনো অগ্নিকান্ডের কারণ জানাতে পারেনি সদর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তারা। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছে ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) ভোর রাতের দিকে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের নলপুর গ্রামে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো.আবদুল হালিম শাকিল বলেন, ভোর রাতের দিকে স্থানীয় লোকজন আবদুর রহীমের মুরগির খামারে আগুন জ্বলতে দেখে। সঙ্গে সঙ্গে তারা সদর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্থ মালিকের বরাত দিয়ে তিনি দাবি করেন এতে প্রায় ২ হাজার ৫শ' পোল্ট্রি মুরগি আগুনে পুড়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে খামার মালিক আবদুর রহীমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমদ বলেন, আগুন লাগার কারণ এখনই বলা যাবে না। তদন্ত সাক্ষেপে তা বলা যাবে। ধারণা হচ্ছে ১ হাজার অধিক মুরগি আগুনে পুড়ে মারা গেছে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করে নি। তবে খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মিথ্যা মামলায় কুমিল্লা আদালত থেকে
জামিন পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য সাদেকুর
রহমান।
মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ( আমলী আদালত নং ১১) মুমিুনুল হকের আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করে আগাম জামিন আবেদন
করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। এসময় আদালতে বাদী ও বাদী পক্ষের আইনজীবী অনুপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সিনিয়র সাংবাদিক সাদেকুর রহমানের
বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে
ডিআরইউ।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স
ইউনিটির সভাপতি সভাপতি আবু সালেহ আকন এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এক বিবৃতিতে
সাদেকুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে সাংবাদিক সাদেকুর
রহমান জানান, সম্প্রতি জনৈক শাহিনূর বেগম আমার বিরুদ্ধে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট ৮নং আমলী আদালতে ২০২৪ সালের ১৪ জানুয়ারি দ.বি. আইনের ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায়
মামলার অভিযোগ দায়ের করেন। তাকে আমি চিনি না। তার সাথে আমার কখনো দেখা বা কথা হয়নি।
বিজ্ঞ আদালতের আদিষ্ট হয়ে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ কথিত তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ১ জুলাই
আমার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে। অথচ তদন্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, বিপি-৮৮১৪১৬৭৬৫৮,
সাব-ইনস্পেক্টর (নিরস্ত্র), জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লা, আমার সাথে কথা বলেন নি বা
কোনো প্রকার যোগাযোগ করেন নি। মামলার আর্জি ও আদালতে দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনের ভাষা
প্রায় একই রকম, যেন অভিযোগকারী ও তদন্ত কর্মকর্তা একই ব্যক্তি বা গোষ্ঠী। আমি খোঁজ
নিয়ে জানতে পারি বাদী ও সাক্ষীগণ পতিত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। মামলার পুরো
প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিগত সরকারের আমলে সম্পাদিত হয়। আমার দাদার বাড়ি
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন হলেও জন্ম, বেড়ে উঠা ও কর্মসূত্রে
নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় বসবাস করে আসছি। চাচারা আমাদের জায়গা-সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে। এ
মামলায় তাদের ইন্ধন থাকতে পারে।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক সাদেকুর রহমানকে আদম বেপারী বানিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত করে এই মামলা থেকে সাদেকুর রহমানকে অব্যাহতি দেয়ার পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলাবাহীনির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি মানামী লঞ্চ থেকে এক তরুণী কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন ।
গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে বরিশাল নৌ বন্দরে এই ঘটনা ঘটে।
এক যুবক তাকে চড় দিলে অভিমানে ওই তরুণী লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ঘটনার পর পর নৌ পুলিশ ও ঘাটে উপস্থিত থাকা লোকজন ওই তরুণীকে নদী থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ সকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল।
তিনি বলেছেন, লঞ্চ পন্টুন ত্যাগ করার কিছুক্ষণ আগের ঘটনা। তরুণী নদীতে ঝাঁপ দেয়। নৌ পুলিশের সদস্য ও ঘাটে উপস্থিত থাকা লোকজন তাৎক্ষণিক নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এই কর্মকর্তা বলেছেন, ওই তরুণী কি কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা পরিবারের পক্ষ থেকে বলেনি।
এমভি মানামী লঞ্চের মাস্টার আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, এক যুবকের সঙ্গে ওই তরুণী লঞ্চের নিচতলার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। তারা দুজনে ঝগড়াও করছিলেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই তরুণীকে একটা চড় দেয় তরুণ। এরপরই তরুণী নদীতে ঝাঁপ দেন। তবে এক লোক সঙ্গেসঙ্গেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়া তরুণী এমভি মানামী লঞ্চের যাত্রী ছিলেন না বলে জানান তিনি।
মারুফ নামের এক যাত্রী বর্ণনা দেন, প্রথমে দুজনের মধ্যে উচ্চস্বরে কথাবার্তা শুনি। এরপর চড়-থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটলে মেয়েটি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে দেয়।
মন্তব্য করুন
মেহেরপুরের চকশ্যামনগর এলাকা থেকে ১৩২ বোতল ফেনসিডিলসহ দুইজনকে আটক করেছে র্যাব।
শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোরে
মেহেরপুরের গাংনী র্যাব ক্যাম্পের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হচ্ছেন- সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামের শামসুল হুদার স্ত্রী সুজান বেগম (৫৫) ও মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে লিজন মিয়া (১৯)। সম্পর্কে তারা দুজন নানি-নাতি।
র্যাব-১২ গাংনী ক্যাম্প কমান্ডার এএসপি মনিরুজ্জামান জানান, চকশ্যামনগরের শামসুল হুদার বাড়িতে মাদক কেনা-বেচা হচ্ছে মর্মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি টিম অভিযান চালায়। এ সময় ১৩২ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া গেলে সুজান বেগম ও লিজন মিয়া নামের দুজনকে আটক করা হয়। আটকরা দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক কারবার করছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৩৪ বোতল বিদেশী মদসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৬
ফেব্রুয়ারী রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন লালবাগ চৌমুহনী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান
পরিচালনা করে মোঃ সজীব হোসেন (১৯) নামক ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় ৩৪
বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী মোঃ সজীব হোসেন (১৯) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানার লালবাগ গ্রামের মোঃ ফিরোজ
মিয়া এর ছেলে।
র্যাব
জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য বিদেশী মদ সংগ্রহ
করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয়
করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় নিষিদ্ধ নেশার বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ আব্দুর রশিদ (৪৫) এবং আজিজুল ইসলাম (৪৪) নামে দুই মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা।
বুধবার জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা মাঠ এলাকা থেকে এবং চুয়াডাঙ্গা শহরের স্টেশন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আব্দুর রশিদ দামুড়হুদা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে এবং আজিজুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মৃত কাশেম মন্ডলের ছেলে আব্দুর রশিদের কাছ থেকে ৩শ অ্যাম্পুল এবং আজিজুল ইসলামের কাছ থেকে ১’শ এ্যাম্পুল ভারতীয় বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।
অপর একটি অভিযানে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের নিকট থেকে ১’শ পিচ বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজিজুলের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত হিলি সীমান্ত থেকে মাদক নিয়ে আনার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খানের নেতৃত্বে উপ পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদরে ভিত্তিতে দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালি সড়কের পাটাচোরা মাঠে অভিযান চালায়। এ সময় ব্যাটারিচালিত চলন্ত একটি ইজিবাইকের গতিরোধ করে আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করেশ। গ্রেফতার আব্দুর রশিদের কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ৩শ’ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয় ও চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনা গামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মৃত কাশিম মন্ডলের ছেলে আজিজুল ইসলামের নিকট থেকে ১’শ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান বলেন, আব্দুর রশিদ একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। বেশ কিছুদিন ধরে আমরা ছদ্ববেশে ক্রেতা সেজে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলাম। বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ৩শ’ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও বলেন, আব্দুর রশিদসহ আরও বেশ কিছু ব্যক্তি মাদক কারবারির সাথে জড়িত আছে।
চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলাসহ গ্রেফতার আব্দুর রশিদকে দামুড়হুদা মডেল থানায় ও আজিজুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা সদর থািনায় নিয়মিত মামলা দিয়ে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ১০ টায় র্যালি, কেক কাটা ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান মালার শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল হাকিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আবদুল্লাহ আল মাহবুব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী আগত অতিথি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিনন্দন ও নবীন শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আজকের এই দিনে আমি ঘোষণা দিচ্ছি, ২০২৫ সালের শুরুতেই দ্বিতীয় সমাবর্তন করবো। উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণায় জোরদার করার লক্ষ্যে আমরা ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছি এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি চালু করার। আমাদের ২৩ শতাংশ শিক্ষর্থীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো আগামী এক বছরের মধ্যেই নতুন ক্যাম্পাসের চারটি হল খুলে দেওয়ার জন্য, যেন আবাসন ব্যবস্থা কিছুটা হলেও লাঘব হয়।
সম্মানিত অতিথি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, একজন শিক্ষার্থীর জন্য তার বাবা-মায়ের যে অবদান সেটি কখনো ভুলার নয়। বিশ্ববিদ্যালয় একটা রঙিন জায়গা। একরাশ রঙিন স্বপ্ন নিয়ে তোমরা এখানে পা রেখেছো। এই রঙিন স্বপ্ন পূরণে তোমরা চলার পথে অনেক ভালো কিছু দেখবে, পাশাপাশি অনেক খারাপ কিছুও দেখবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু ভর্তি হয়েছো, তোমাদের এখনই লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। তাহলেই তোমার চলার পথ মসৃন হবে। আমরা চাই, তোমরা নবীন শিক্ষার্থীরা লক্ষ্য ঠিক করে পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যাও।
সবশেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৫৩ কেজি গাঁজা, ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিল এবং ১ বোতল মদসহ মো: ইসমাইল মিয়া (২৩) নামে এক মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড বিজিবি কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
আজ
সোমবার (৫ মে) দুপুরে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথপুর বিওপির ডিমাতলী এলাকা থেকে
আটক করেছে। আটককৃত ইসমাল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া এলাকার ডিমাতলী গ্রামের মৃত আব্দুর
রবের ছেলে।
এক
প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি)
অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ।
প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়-কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত
এলাকা প্রহরার মাধ্যমে দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব অত্যন্ত দৃঢ়তা ও
সফলতার সাথে পালনের পাশাপাশি পেশাদারিত্বের সাথে যেকোনো ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন
এবং চোরাচালানি ও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আওতাধীন জগন্নাথদিঘী বিওপির বিশেষ টহলদল সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান
পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিজিবি টহল দল কর্তৃক সীমান্ত শূন্য লাইন হতে আনুমানিক
৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ডিমাতলী নামক স্থান হতে মো. ইসমাইল মিয়া (২৩)কে আটক করে।
এ সময় তার কাছ থেকে ৫৩ কেজি গাঁজা, ৩৯৬ বোতল ফেন্সিডিল এবং ০১ বোতল মদসহ আটক করা হয়।
আটককৃত মাদকদ্রব্যের সর্বমোট মূল্য-৩ লাখ ৪৫ হাজার৪’শ
টাকা। আটককৃত আসামিকে মাদকদ্রব্যসহ চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন