বাগেরহাট জেলায় ১২ কেজি গাজাসহ ৩ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
১২ নভেম্বর রোববার সকালে শহরের ভিআইপি মোড়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১টি কাভার্ড ভ্যানসহ এই ৩ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
কাভার্ড ভ্যানটি তল্লাশি করে পাঁচটি প্যাকেটে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: পালপাড়া গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে খালিদ হোসেন লিপু (২৫), বাগেরহাট সদর উপজেলার ফুলবাড়ী এলাকার মো. চাঁন মিয়ার ছেলে মো. মিজান হাওলাদার (২৫), কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার সরদারপাড়া গ্রামের মো. কাশে আলীর ছেলে কবির হোসেন (২৩)।
বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুরেশ চন্দ্র হালদার জানান, কুমিল্লা থেকে এসেছে কাভার্ড ভ্যানটি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাভার্ড ভ্যানটি চ্যালেঞ্জ করি আমরা। পরে কাভার্ড ভ্যানটি তল্লাশি করে জব্দ করা হয় ১২ কেজি গাঁজা। মাদক কারবারিরা কাভার্ড ভ্যানটি ৫০ হাজার টাকায় ভাড়া করেছিল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ার মনপুরা-নয়াকান্দি মাঠে ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি কাটার অভিযোগে ভেকু বিকল করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি।
জানা গেছে, উপজেলার মনপুরা-নয়াকান্দি উত্তর পূর্ব বিলে সরকারি খাল বন্ধ করে একই এলাকা চকমোহাম্মদ গ্রামের ছিকু মিয়ার ছেলে ইউসুফ মিয়া ও মনপুরা গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র ইউনুস মিয়া ভেকু বসিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে। এ সংবাদ পেয়ে প্রশাসনের লোকজন তা বিকল করে দেয়।
কচুয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত রনি জানান, ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি বিক্রি করা বেআইনী। কোথাও অবৈধ ভাবে মাটি বিক্রি করলে অভিযানের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কালের বির্বতনে হারিয়ে
যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এক সময়ের ধান চাল ভাঙার একমাত্র অবলম্বন ঢেঁকি। গ্রাম বাংলার
ঐতিহ্য ঢেঁকি এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না। সময়ের বির্বতনে বিলীন হতে চলেছে ঢেঁকি।
উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে দেখা মিলতো ঢেঁকির। এখন ঢেঁকির কদর
কমে যাওয়ায় তেমন আর দেখা মেলে না। অনেক দরিদ্র পরিবার ঢেঁকিতে চাল ভাঙিয়ে
হাটে-বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। আর ঢেঁকিতে ভাঙা চাল খুব সুস্বাদু ও
পুষ্টি সমৃদ্ধ হওয়ায় ওই চালের খুব কদর ছিল কিন্তু কালের বিবর্তনে ধান, গম, ভাঙার
মেশিনের কারণে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আজ বিলপ্তির পথে। গ্রাম-গঞ্জে গেলে
এখনো দু-একটি বাড়িতে ঢেঁকি দেখা গেলেও ভবিষ্যতে ঢেঁকির প্রচলন থাকবে না বলে মনে
করেন সচেতন মহল। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামের কয়েকটা বাড়ি ঘুরলে দেখা মেলে ঢেঁকির।
সেগুলো আবার রয়েছে অযন্তে। অথচ একদিন ঢেঁকি ছাড়া গ্রাম কল্পনা করাও কঠিনতর ছিল। যেখানে
বসতি সেখানেই ছিল ঢেঁকি। কিন্তু আজ তা আমাদের আবহমান গ্রামীণ সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে
যাচ্ছে। এক সময় বোয়ালমারী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে প্রতিটি পরিবারেই
ধান-চাল গুঁড়ো করার ঢেঁকির প্রচলন ছিল। ঢেঁকি থেকে উৎপাদিত চালের ব্যাপক প্রচলন।
তখনকার সময়ে পরিবারের নারীরা ধান, গম, চালসহ বিভিন্ন খাদ্য শস্য ভাঙার কাজ
ঢেঁকিতেই করতেন। বিশেষ করে ঈদ, নবান্ন উৎসব পৌষ পার্বনসহ বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে
পিঠা-পুলি খাওয়ার জন্য অধিকাংশ বাড়িতে ঢেঁকির নতুন ধানের চালের গুঁড়া তৈরির ধুম
পড়ে যেত।
কেওয়াগ্রাম বাসিন্দা আবু সায়েদ মৃধা বলেন, একসময় এই অঞ্চলে ঢেঁকিতে ধান ভাঙার ব্যাপক প্রচলন ছিল। ঢেঁকি ভাঙার চালের ভাতে অনেক পুষ্টি ও অনেক সুস্বাধু ছিলো। এখন মেশিনের ধান ভাঙার চালে ও ভাতে কোনো স্বাদ নেই। বিভিন্ন উৎসবের সময় প্রতিটি বাড়িতে নতুন জামাই মেয়ে ও অতিথিদের উপস্থিতিতে বাড়ি ছিল কোলাহল পূর্ণ। গভীর রাতে ঢেঁকিতে ধান ভাঙার শব্দ শুনা যেত। কিন্তু কালের বির্বতনে ও সময়ের চাহিদা অনুয়ায়ী আধুনিক যন্ত্রপাতির ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে ঢেঁকি। তারপরও সেই ঢেঁকির কদর বোয়ালমারী প্রত্যন্ত অঞ্চলে দু-একটি বাড়িতে এখনো দেখা গেলেও অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় বিদেশি পিস্তলসহ আদর্শ সদর উপজেলা পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আজ (শুক্রবার) সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনী।
গ্রেপ্তারকৃত খোকন মিয়া (৫৫) পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। সে আদর্শ সদর উপজেলা পাঁচথুবী ইউনিয়ন চাঁনপুর গ্রামের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার ভোর ৫টায় অভিযান চালিয়ে তার কাছ থেকে ১টি ৭.৬৫ মিমি. পিস্তল ও একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানতে পারে, চাঁনপুর এলাকার খোকন মিয়া অবৈধ একটি পিস্তল তার বাসায় না রেখে এক শিশুর মাধ্যমে পাশের বাড়ির জহিরুল হকের বাসায় পাঠান। পরে অভিযান চালিয়ে জহিরুল হকের বাসা থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল হক স্বীকার করেন পিস্তলটি খোকন মিয়ার। বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায় অস্ত্রটির প্রকৃত মালিক খোকন মিয়া।
সেনাবাহিনী জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও অস্ত্র কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে। কুমিল্লাকে অবৈধ অস্ত্রমুক্ত রাখতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জ
জেলায় প্রেমঘটিত কারণে হতাশা থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার ও মঙ্গলবার (১৩
ও ১৪ মে) জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার
(১৪ মে) সকালে গাছে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় যুবক পল্লব বাড়ৈর (২২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার শিকির বাজার গ্রামের গণেশ বাড়ৈর ছেলে।
সোমবার
(১৩ মে) নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় অশ্রু বিশ্বাসের (২৪) মরদেহ উদ্ধার হয়। তিনি উপজেলার ছিকটিবাড়ী গ্রামের আশুতোষ বিশ্বাসের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে গাছে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পল্লব বাড়ৈ (২২) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ। এর আগে সোমবার
(১৩ মে) সকালে নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র অশ্রু বিশ্বাস (২৪)।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র পল্লব বাড়ৈর বরিশালের একটি মেয়ের সঙ্গে ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু মেয়েটি হটাৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন পল্লব। সোমবার ভোরে তাকে ঘরে না পেয়ে তাকে খুঁজতে বের হন পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশে একটি গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পাই পরিবারের মানুষ। এরপর পুলিশে খবর দেয় তারা। পুলিশ এসে পল্লব বাড়ৈর মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার পকেট থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। সেখানে লেখা ছিল, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
অন্যদিকে, সোমবার (১৩ মে) ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পল্লব বাড়ৈর বন্ধু অশ্রু বিশ্বাস গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। প্রতিবেশী এক মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সর্ম্পক ছিল। মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কিছুদিন ধরে বিয়ের জন্য পরিবারকে চাপ দিচ্ছিলেন অশ্রু বিশ্বাস। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ করতেন তিনি। সোমবার সকালে নিজ কক্ষে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
কোটালীপাড়া থানার এসআই আতাউর রহমান জানান, এ ঘটনায় দুইটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পল্লব বাড়ৈ প্রেমে ব্যর্থ হয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানতে পেরেছি। অপরদিকে, অশ্রু মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বরগুনা জেলায় অনেকেই অংশগ্রহণ করেছিল তাদের মধ্যে অন্যতম ছাত্র সমন্বয়ক মীর রিজন মাহমুদ নিলয় ও ফৌজিয়া তাসনীন আনিকার অংশগ্রহণ করেছিলেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই দুজনের সাথে দুজনের পরিচয় হাতে হাত রেখে একসাথে মিছিলে তারা অংশগ্রহণ করেছিল। আন্দোলন থেকে শুরু হয়েছে প্রেম, তারা গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) একে অপরের সঙ্গী হিসেবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে হাতে হাত রেখে লড়াই চালিয়ে যেতে যেতেই ভালো লাগা থেকে শুরু হয় তাদের প্রেম। এরপর প্রায় ৫ মাস পর বিয়ের পিঁড়িতে বসে প্রেমকে পূর্ণতা দিলেন তারা।
আনিকা ও নিলয় জানান,
আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সবার সঙ্গে একত্রে থাকলেও গত ৫ আগস্ট
থেকে দু’জনার ভালো লাগা শুরু হয়। পরবর্তীতে ৭ আগস্ট ভালোবাসা
প্রকাশের পর ২৫ আগস্ট
দুজনের সম্পর্কের বিষয়টি তাদের পরিবারকে জানান। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে প্রণয়ে রূপ নেয় তাদের প্রেম।একদিকে আন্দোলনের ফলে অনেকেই তাদের স্বজন হারিয়েছেন, অপরদিকে নতুন একটি পরিবারও গঠন হয়েছে।
মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বরগুনা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের আমতলারপাড় এলাকার মরহুম মীর মোয়াজ্জেম হোসেন নিপুর ছেলে। নিলয় বর্তমানে আনোয়ার খান মর্ডান ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে বরগুনা পৌরসভার কলেজ রোড এলাকার মনোয়ারুল ইসলাম শামীমের মেয়ে ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা। সে বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন কলেজের রসায়ন বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা বলেন, আন্দোলনের সময় নিলয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ওই সময় আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হতো। তখন সাহস এবং সততা দেখে নিলয়ের ওপর আমি দুর্বল হই।
এ বিষয়ে মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বলেন, আনিকার সঙ্গে আন্দোলনের মাধ্যমেই পরিচয় হয়। এমনিতে ওকে আগে দূর থেকে চিনলেও কখনও কথা হয়নি। আন্দোলন চলাকালে সবার সঙ্গেই আমার কথা হতো। সবাইকে সাহস দিয়ে আন্দোলন বেগবান করার জন্য বলতাম। এই কারণেই ওর সঙ্গে আমার কথা বলা শুরু হয়। তবে সেই সময়ে আমাদের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। গত ৫ আগস্ট যখন একত্রে বিজয় মিছিলে আনন্দ উল্লাস করছিলাম তখন আমাদের মধ্যে ভালো লাগা শুরু হয়।
মন্তব্য করুন
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীতে ক্যানসার রোগীর নাম ভাঙিয়ে চাঁদার টাকা তোলার সময় এক নারীসহ তিন ভুয়া সমন্বয়ককে আটক করে পুলিশ দিয়েছে স্থানীয়রা।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে পৌরসভার মুল বাড়ী রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সমন্বয়ক দাবি করা ব্যক্তিরা হলেন- সরিষাবাড়ী মাহমুদা সালাম মহিলা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বৈশাখী আক্তার। পোগলদিঘা ইউনিয়নের চর পোগলদিঘা গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে রিফাদ হাসান। তিনি সরবান হাসান টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী, একই ইউনিয়নের রুদ্র বয়ড়া একুশে মোড় এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে সিফাত আহমেদ। তিনি আলহাজ্ব মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: চাঁদ মিয়া জানান, বিকেলে তারা তিনজন সমন্বয়ক পরিচয়ে একজন ক্যানসার রোগীর সাহায্যের জন্য বিভিন্ন জায়গায় টাকা উত্তোলন করছিলেন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে তাদের থানায় আনা হয়। তারা সরিষাবাড়ীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থী। এমন প্রতারণা আর করবে না, এ মর্মে অভিভাবকরা তাদের জিম্মায় সন্ধ্যায় মুচলেকা দিয়ে আটকদের নিয়ে যান। এ সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ৭ বোতল ভারতীয় মাদকদ্রব্য (ফেনসিডিলের বিকল্প) এস্কাফসহ পিতা পুত্রকে গ্রেফতার করেছে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় (২ মে) উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালারহাট বাজারে নিজ দোকান থেকে মাদক কারবারি জাহাঙ্গীর আলম ও তার পুত্র জাহিদ হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়,দীর্ঘদিন ধরে বালাহাট বাজারে নিজ দোকানে গোপনে মাদকের ব্যবসা করে আসছে মাদক কারবারি জাহাঙ্গীর আলম এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মাদককারবারি জাহাঙ্গীর আলমের চায়ের দোকানে তল্লাশি করে ৭ বোতল এস্কাফসহ জাহাঙ্গীর আলম ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারি জাহাঙ্গীর আলম ওই ইউনিয়নের কুরুষা ফেরুষা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের পুত্র ও জাহিদ হাসান জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র ।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান, মাদকসহ গ্রেফতারকৃত পিতা ও পুত্রের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ শামসুল ইসলাম বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাবাডি খেলা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। কিন্তু এই খেলাটি আমাদের জাতীয় খেলা। অথচ কাবাডি হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির খেলার তালিকা থেকে। এই কাবাডিকে রক্ষা করতে হবে। গ্রাম-বাংলার জনপ্রিয় কাবাডি খেলার ঐতিহ্য রক্ষায় আমাদেরকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার (২৪মে) সকাল ১০টায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের আয়োজনে আন্তঃকলেজ কাবাডি প্রতিযোগিতা উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কুমিল্লা স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে আন্তঃকলেজ কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
ক্রীড়া নৈপুন্যে গড়বো দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ”ক্রীড়াঙ্গন’ স্লোগানে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড আয়োজিত আন্তঃকলেজ কাবাডি প্রতিযোগিতার ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক আবু সালেহ মোঃ তারিক মাহমুদ,জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা সুমন কুমার মিত্র। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের উপ-সচিব (একাডেমি) ও ক্রীড়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাফায়েত মিয়া।সভাপতিত্ব করেন কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ নূরুন্নবী আলম।
উপস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক আবুল হাসনাত বাবুল ও ক্রীড়া সংগঠক দরুল হুদা জেনু।
আন্তঃকলেজ কাবাডি প্রতিযোগিতায় ৯টি কলেজ অংশগ্রহণ করে। কলেজগুলো হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ, সোনার বাংলা কলেজ,কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ, শশীদল আলহাজ মুহাম্মাদ আবু তাহের কলেজ,ক্যান্টনমেন্ট কলেজ,মোশারফ হোসেন খান চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ, কুমিল্লা রেসিডেন্সিয়াল কলেজ, চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। একই দিনে বিকেলের পর্বে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের উপ-সচিব (একাডেমি) ও ক্রীড়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাফায়েত মিয়া।
মন্তব্য করুন
প্রবল বর্ষণের কারণে কক্সবাজারের উখিয়ার
৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে পাহাড় ধসে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮ জন রোহিঙ্গা ও একজন
স্থানীয়।
বুধবার (১৯ জুন) ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উখিয়ার বালুখালীর ৮ নম্বর
রোহিঙ্গা শিবিরের মো: আনোয়ারের ছেলে মো: হারেজ (৫), ৯ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাসরত
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া কেরানীহাটের আলী জহুরের ছেলে মো: হোসেন আহম্মেদ (৫০), একই শিবিরের
রোহিঙ্গা আলী জোহারের মেয়ে আনোয়ারা বেগম (১৮), জামালের ছেলে মো. সালমান (৩), ১০ নম্বর
বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের আবুল কালাম (৫৭), মতির রহমানের মেয়ে সলিমা খাতুন (৪২), আবুল
কালামের ছেলে আবু মেহের (২৪), শরিফ হোসেনের মেয়ে জানু বিবি (১৯) ও থাইংখালীর ১৪ নম্বর
রোহিঙ্গা শিবিরের শাহা আলমের ছেলে আব্দুল করিম (১২)।
কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ
ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো: শামসু দ্দৌজা বলেন, প্রবল বর্ষণের কারণে উখিয়ার ৪টি রোহিঙ্গা
শিবিরে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ৮ জন রোহিঙ্গা ও একজন স্থানীয় বাসিন্দা মারা গেছেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি ও প্রত্নতত্ত্ব
বিভাগের যৌথ উদ্যোগে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১০ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্মেলন শুরু হয়। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের হল রুমে দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান চলবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য
অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর
ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। আরও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব
উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম।
সম্মেলনে উপস্থিত গুণী ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের স্বাগত জানিয়ে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল শিক্ষাদানের
জায়গা নয়। এখানে দুটি কাজ হয়, একটি জ্ঞান সৃষ্টি, আরেকটি জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া। আজকের
আয়োজন জ্ঞান সৃষ্টি ও ছড়িয়ে দেওয়া। এর মাধ্যমে উপকৃত হবে আমাদের ছাত্র ও উপস্থিত সকলেই।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব কেবলমাত্র অতীতের উপাত্ত সংগ্রহের একটি
পন্থা নয়, বরং এটি আমাদের সভ্যতার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সামাজিক বিকাশের এক অমূল্য
দৃষ্টান্ত। আমাদের দেশের সমৃদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যকে চিহ্নিত করা এবং তা বিশ্বমঞ্চে
তুলে ধরা আমাদের সকলের একান্ত দায়িত্ব।
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, পুরনোকে নতুনভাবে উপস্থাপন
না করে, পুরনোকে পুরনোভাবে রেখে ইতিহাসকে খোঁজা, সহযাত্রী হওয়া, শিক্ষা নেওয়া, উপস্থাপন
করা, লালন করা এবং আত্মস্থ করা প্রত্নতত্ত্বের জ্ঞান। আমরা ছাত্রজীবনে এই পাঠগুলো পাইনি,
যার ফলে একটা বড় গোষ্ঠী এগুলো নিয়ে সচেতন নয়। আমরা জাতি হিসাবে পিছিয়ে আছি, কেননা আমাদের
এই জিনিসগুলো নিয়ে আমরা সচেতন নই।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক যুগ পূর্তিতে এই আয়োজন আন্তর্জাতিক
মানসম্পন্ন জ্ঞান বিনিময় প্লাটফর্ম তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে শুধু
গবেষণার গুণগত মানই বৃদ্ধি পাবে না, বরং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দেশি এবং বিদেশি
গবেষকদের আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম বলেন, আমার কাছে মনে হয়,
ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে কষ্টিপাথরে যাচাই করা জ্ঞান সৃষ্টি করে প্রত্নতত্ত্ব। আমরা
যদি ইতিহাসকে বিভিন্ন লেয়ারে ভাগ করি, প্রাচীণ, মধ্য, আধুনিক, তাহলে ফাউন্ডেশন লেয়ারে
আমরা প্রত্নতত্ত্বকে পাবো।
তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশে ময়নামতি সংক্রান্ত বিষয় জানতে পারার জন্য ময়নামতির
কাছে এসে এই সম্মেলন হওয়ায় আমরা কৃতার্থ। এই যে
ল্যান্ড অফ ভ্যারাইটিজ যেখানে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিষয় আছে, সেখানে আসতে পেরে
আমরা আসলেই গর্বিত।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ এবং অনুষ্ঠানে
স্বাগত বক্ত্য রাখেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া
চৌধুরী।
উল্লেখ্য, সম্মেলনে দেশি-বিদেশি শিক্ষক, প্রত্ন-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের
শতাধিক প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
মন্তব্য করুন