বাগেরহাট জেলায় ১২ কেজি গাজাসহ ৩ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
১২ নভেম্বর রোববার সকালে শহরের ভিআইপি মোড়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১টি কাভার্ড ভ্যানসহ এই ৩ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
কাভার্ড ভ্যানটি তল্লাশি করে পাঁচটি প্যাকেটে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: পালপাড়া গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে খালিদ হোসেন লিপু (২৫), বাগেরহাট সদর উপজেলার ফুলবাড়ী এলাকার মো. চাঁন মিয়ার ছেলে মো. মিজান হাওলাদার (২৫), কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার সরদারপাড়া গ্রামের মো. কাশে আলীর ছেলে কবির হোসেন (২৩)।
বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুরেশ চন্দ্র হালদার জানান, কুমিল্লা থেকে এসেছে কাভার্ড ভ্যানটি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাভার্ড ভ্যানটি চ্যালেঞ্জ করি আমরা। পরে কাভার্ড ভ্যানটি তল্লাশি করে জব্দ করা হয় ১২ কেজি গাঁজা। মাদক কারবারিরা কাভার্ড ভ্যানটি ৫০ হাজার টাকায় ভাড়া করেছিল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন-১০ বিজিবির অভিযানে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী
দুই ভারতীয় নাগরিককে মাদকসহ আটক করা হয়েছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির শাহাপুর
পোস্ট এর বিশেষ টহলদল এ অভিযান পরিচালনা করে শাহাপুর সীমান্ত পিলার ২০৮৪/৭-এস থেকে
২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৪টি বিয়ার ক্যানসহ অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ২ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সোনামুরা
থানার শুভাপুর গ্রামের মৃত দেলোয়ারের ছেলে
মো. রনি (২১) এবং একই এলাকার মৃত আইয়ূব আলীর ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (১৮)। আটককৃতদের কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের কাছে
হস্তান্তর করা হয়েছে।
রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন-১০ বিজিবি।
মন্তব্য করুন
মিলন হোসেন, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ মিরওয়ারিশপুর থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বৃহস্প্রতিবার রাতভর অভিযান চালিয়ের ৮ ডাকাত ও তাদের ১ সহযোগিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রিল কাটার, ৫টি বড় ছোরা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন স্থান থেকে স্বার্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে বেগমগঞ্জ থানায় প্রেস কনফারেন্স করে ডাকাতদের আটকের ঘটনা, অস্ত্র এবং স্বর্নালংকার উদ্ধারের ডাকাত চক্রের বিষয়ে বিস্তারিত জানান, বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিব।
এসময় বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার কৃষ্ণা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় পুলিশ পূর্ববর্তী ডাকাতি মামলা ছাড়াও নতুন করে ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শেখ কামাল অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা জেলা দল।
১ ডিসেম্বর শুক্রবার কুমিল্লা স্টেডিয়ামে এ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় কুমিল্লাা জেলা দল ও ফেনী জেলা দলের মধ্যে।
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ফেনী জেলা দলকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেটে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছাসিত ও আনন্দিত কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়বৃন্দ। এর অগে গত মঙ্গলাবার প্রথম সেমি ফাইনালে চট্টগ্রাম জেলা দলকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে কুমিল্লা জেলা দল।
শুক্রবার ফাইনালে ফেনী জেলা দল টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ৪২ ওভার ৩ বল খেলে ৯২ রানে অলআউট হয় ফেনী জেলা দল। কুমিল্লা জেলার পক্ষে মুশফিকুর ৯ ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেয়। ৯৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ৪ বল খেলে ৫ উইকেটে জয় পায় কুমিল্লা জেলা দল। ম্যান অফ দ্যা ফাইনাল হয় কুমিল্লা জেলা দলের মুশফিকুর।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে শেখ কামাল অনূর্ধ্ব-১৮ জোনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৩-২৪ এর কুমিল্লা ভেন্যুর খেলা গত ১৫ নভেম্বর কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে উদ্বোধন হয়।
খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা জেলা দল ও রানার্সআপ ফেনী জেলা দলের খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি তুলে দেন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারন সম্পাদক খায়রুল আলম সোহাগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিলেক্টর শামিম ফারুকী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোচ ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স, ফেনী জেলা দলের কোচ রিয়াজ উদ্দিন রবিন, কুমিল্লা জেলা দলের কোচ হাবিব মোবাল্লেগ জেমস, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য দেলোয়ার হোসেন জাকির। ফাইনাল ম্যাচে আম্পায়ার ছিলেন, কাজী শামিম ও আল আমিন ভূইয়া।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরের সদরপুর থানা থেকে লুট করা
অস্ত্র নিয়ে তিন তরুণ টিকটক করছিলেন। টিকটক করার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় পলাশ
হোসেন (১৮) নামে এক তরুণের।
সোমবার (১২ আগস্ট) ভোর ৬টার দিকে ঢাকার
নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত ৬ আগস্ট গুলিবিদ্ধ
হন ওই তরুণ।
নিহত পলাশ সদরপুর উপজেলার আটরশি গ্রামের
মোশারফ হোসেনের বড় ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ আগস্ট
সকালে পলাশ তার বাবার হোটেলে কাজ করছিলেন। এ সময় তার দুই বন্ধু সদরপুর সরকারি কালেজের
একাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী পলাশকে হোটেল থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তারা আড়াই রশি
গ্রামে পলাশের নানা মোসলেম মাতুব্বরের বাড়িতে যান। ওই বাড়ির একটি কক্ষে তারা তিনজন
একত্রিত হয়ে গত ৫ আগস্ট সদরপুর থানা থেকে লুট করে নেওয়া একটি শর্টগান নিয়ে টিকটক ভিডিও
করার জন্য অস্ত্রটি একে অপরের মাথায় তাক করে অভিনয় করতে থাকেন। হঠাৎ শর্টগান থেকে গুলি
বের হয়ে তা পলাশের মাথায় লাগে। গুলির শব্দ এবং পলাশের চিৎকার শুনতে পেয়ে বাড়ির লোকজন
ছুটে যান সেই কক্ষে। সেখানে গিয়ে তারা রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পরে থাকতে দেখেন পলাশকে।
পলাশকে প্রথমে তারা আটরশি বিশ্ব জাকের
মঞ্জিল হাসপাতালে নেন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান
থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে
ফরিদপুর থেকে ঢাকা নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে
ছয় দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার ভোরে মারা যান পলাশ।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, পলাশকে
গুলি করা অস্ত্রটি সদরপুর থানা থেকে লুট হওয়া একটি শর্টগান। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের
দিন বিকেলে সদরপুর থানা থেকে ওই শর্টগান লুট করা হয়েছিল। অস্ত্রটি আটরশির একটি পরিত্যক্ত
ভবন থেকে উদ্ধার করে সদরপুরের আনসার বাহিনী এবং সেটি পরে ফরিদপুর সেনাবাহিনীর কাছে
হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার পর পলাশের ওই দুই বন্ধু ও তাদের
পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপন করায় এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
তবে নিহত পলাশের মা পারুলি আক্তারের
দাবি, সদরপুর থানা থেকে লুট করা অস্ত্র দিয়ে তার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
থানার কাজকর্ম শুরু না হওয়ায় তাৎক্ষণিক এ ব্যাপারে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
সদরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় পলাশের মা পারুলী আক্তার বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম
উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পলাশের মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের
জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত
করলে জানা যাবে, থানা থেকে লুট করে নেওয়া অস্ত্র দিয়ে বন্ধুরা টিকটক করতে গিয়ে গুলি
বের হয়ে পলাশ মারা গেছেন নাকি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
মন্তব্য করুন
পার্বতীপুর-রংপুরের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মালবাহী বিজি ওয়াগন ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে আটটার দিকে পার্বতীপুর-রংপুর রেলপথের গুলপাড়া এলাকায় বিজি ওয়াগন বগি (১০০৩২৬) লাইনচ্যুত হয়।
এ ঘটনার পর থেকে পার্বতীপুরের সঙ্গে রংপুরের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রিলিফ ট্রেন উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। এ সময় বোনারপাড়াগামী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস পার্বতীপুরে রেল স্টেশনে, বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারী মেইল ট্রেন খোলাহাটি ও কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি রংপুর রেল স্টেশনে আটকা পড়ে।
পার্বতীপুর রেল স্টেশন সূত্র থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে গমভর্তি ৩১ বগি নিয়ে পার্বতীপুরে আসা মালবাহী ট্রেনটি রংপুরে যাচ্ছিল। দুপুর ১২টার দিকে মালবাহী উদ্ধার করে স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার পথে আবার তা লাইনচ্যুত হয়।
ট্রেনের লোকোমাস্টার (চালক) আব্দুস সাফী জানান, রেললাইনের স্লিপার পরিবর্তনের কাজ করায় ট্রেন লাইনচ্যুতের এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে ট্রেনের গতি কম ছিল।
রেল যোগাযোগ বন্ধ নিয়ে পার্বতীপুর রেল স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম জানান, দুর্ঘটনার পর থেকেই উদ্ধার কাজ চলছে। উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হলে ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তারা সম্পর্কে আপন ভাই-বোন।
মৃত দুই শিশু হলো: কামালপুর গ্রামের ব্যবসায়ী রাজু আহমেদের মেয়ে নাফিজা মোবারক মাদিহা (৮) ও মো. ওমর (৫)। নাফিজা স্থানীয় ফাতেমা আইডিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী আর ওমর ছিল প্লে শাখার শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সবার অগোচরে পুকুরের পানিতে পড়ে যায় নাফিজা ও ওমর। তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
ধারণা করা হচ্ছে, পানিতে পড়ার পর একজনকে উঠাতে গিয়ে আরেকজন পড়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) খুরশিদ আলম।
মন্তব্য করুন
এহসান আহমেদ (৩০) নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া এলাকার আব্দুর রবের ছেলে যিনি নিজেকে কানাডায় স্থায়ী বসবাসের গ্রিনকার্ড হোল্ডার ও পিএইচডিধারী এবং দেশের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকের সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতেন।
এহসান টার্গেট করতেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্চবিত্ত পরিবারের তরুণীদের । বিশেষত যারা বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যেতে ইচ্ছুক এমন তরুণীদের সঙ্গে পরিচিত হতেন। এরপর সরাসরি দেখা করতেন। দেখা করার সময় নিজের পরিচয় বিশ্বাসযোগ্য করতে ভালো বেশভূষা ও নামিদামি গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে যেতেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যয়নরত এক তরুণীকে টার্গেট করেন এহসান। কানাডায় স্ত্রী হিসেবে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভনে গড়ে তোলেন প্রেমের সম্পর্ক। নানা কৌশলে হাতিয়ে নেন ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও। এরপরই শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। সেসব ছবি-ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ও পরিচিতদের কাছে প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন এহসান।
এ ঘটনায় সম্প্রতি রাজধানীর মুগদা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। এরপর বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রমনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এহসানকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান,তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সাবেক এক ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় প্রতারক এহসানের। তিনি নিজেকে কানাডা প্রবাসী, পিএইচডি ডিগ্রিধারী ও বড় শিল্পপতি পরিবারের সন্তান পরিচয় দেন। তাদের গুলশানে বাড়ি ও বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে এমন তথ্য দেন। এসব পরিচয় ব্যবহার করে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রেমের সুযোগে ভুক্তভোগী তরুণীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও। পরে সেগুলো সামাজিক মাধ্যম ও স্বজনদের কাছে প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এর আগেও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ফারদিন ও সাকিবের মতো এ ধরনের অনেক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। এসব প্রতারক নিজেদের মন্ত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সচিব, বড় ব্যবসায়ীর সন্তান দাবি করে মেয়েদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নামিদামি বাড়ি-গাড়ির প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক ও আর্থিকভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন , গ্রেফতার এহসান পড়াশোনা না করেও নিজেকে পিএইচডিধারী পরিচয় দিতেন। এমনকি কোনোদিন বিদেশে না যাওয়া এহসান বলতেন তার কানাডায় গ্রিনকার্ড রয়েছে। বিভিন্ন তরুণীকে কানাডায় নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখাতেন। গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর আমরা এখন পর্যন্ত তার শতাধিক নারীকে ফাঁদে ফেলার তথ্য পেয়েছি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ বড়লোক, ব্যবসায়ী বা সরকারি চাকরিজীবী পরিচয় দিলে যাচাই করা উচিত। এছাড়া অনলাইনে বন্ধুত্বের নামে ব্যক্তিগত ছবি আদান-প্রদানে সতর্ক হতে হবে। তবে কেউ যদি কারও মাধ্যমে প্রতারিত হন তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিতে হবে।
মন্তব্য করুন
ভোলায় কোস্টগার্ডের অভিযানে একটি ডাকাতদলের সক্রিয় দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ভোরে সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের চর রাসেল এলাকা থেকে ১টি পিস্তল ও ৬টি দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো: ডাকাত সর্দার মো. মোফাজ্জল (৫৫) এবং তার সহযোগী আব্দুল বাতেন (৬৫)।
তারা লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলাধীন মধুচৌধুরি হাট ও মধ্যের চর রমনীর বাসিন্দা।
কোস্টগার্ড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে ইলিশা এলাকায় মেঘনা নদী এবং তৎসংলগ্ন চরে কুখ্যাত রাসেল বাহিনীর সক্রিয় সদস্য মো. মোফাজ্জল এবং আব্দুল বাতেন স্থানীয় জনসাধারণ এবং জেলেদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি, জমিদখল ও বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিলেন। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড এসব এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে ইলিশার চর রাসেল এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাসেল বাহিনীর দুই সক্রিয় ডাকাতকে ১টি পিস্তল, ৬টি দেশীয় অস্ত্র ও ১টি মোবাইল ফোনসহ আটক করা হয়।
পরে জব্দ করা অস্ত্রগুলোসহ আটককৃতদের ভোলা সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন
বিয়ে না করে পালিয়ে যাওয়ায় ছোট ভাই আর তার পরিবর্তে বড় ভাই নিজেই বর সেজে বিয়ে করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন কনেপক্ষের। পরে লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন বরপক্ষ।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের
জুয়ানপুর গ্রামে গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে চঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করে
কনের বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের ধুমধাম করে খাওয়ানো শেষ হলে বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নেন
দুই পক্ষই। এর মধ্যেই ঘটে যায় বিপত্তি। দেখা যায় বর হিসেবে ছোট ভাইয়ের জায়গায় বড় ভাই!
শুরু হয় হৈচৈ। তখন সবাই জানতে পারেন, বর বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় বড় ভাই নিজেই বিয়ে
করতে গেছেন। তবে কনেপক্ষ বড়জনের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় এক লাখ টাকা খরচ বাবদ
ক্ষতিপূরণ দিয়ে ফিরে যায় বরপক্ষ।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা হাসান আলী
জানান, পারিবারিকভাবে খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আরমান আলীর ছেলে মীর শহিদের
সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। সেই অনুসারে ছেলে পক্ষ বিয়ে করতে আসেন। মেয়েটি গরিব হওয়ায় আমরা
এলাকাবাসী নিজেরা টাকা দিয়ে বিয়ের আয়োজন করি। কিন্তু বিয়ে পড়ানোর আগমুহূর্তে দেখা যায়,
বর শহীদ না এসে তার বড় ভাই আব্দুল মোমিন বর সেজে এসেছেন। পরে রাত ৯টার দিকে দুই পক্ষের সিদ্ধান্তে খরচ হওয়া
এক লাখ টাকা দিয়ে তারা চলে যায় বর পক্ষ।
এ বিষয়ে বর সেজে আসা আব্দুল মোমিন বলেন,
বিয়ের জন্য ছোট ভাই শহীদ সব কিছু কিনে প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর)
রাত থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। তাই দুই পক্ষের সম্মানের কথা চিন্তা করে আমি নিজেই
বিয়ে করতে এসেছিলাম। যদি তাদের সম্মতি থাকত তাহলে বিয়ে করতাম।
কনের মা বলেন, আমরা যে ছেলের সঙ্গে
বিয়ে ঠিক করেছিলাম সে আসেনি। বড় ভাই বর সেজে আসায় আমরা মেয়েকে বিয়ে দেইনি।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার পর পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। দুই পক্ষ বসে নিজেদের
মধ্যে সমস্যার সমাধান করে নিয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌর এলাকার ফতেহাবাদে শবে বরাত রাতে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই-গ্রুপের সংঘর্ষের সময় বায়তুল আকসা নামে একটি মসজিদ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে মুসল্লিরা নামাজরত অবস্থায় অতর্কিতভাবে এই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় মসজিদের সেক্রেটারী ইব্রাহিম ও কামরুল নামে দুই ব্যাক্তি আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুউদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্র থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন