ময়মনসিংহের তারাকান্দায় আলু বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে চিনি বোঝাই পিকআপের চালকসহ ৩
জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কের তারাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ঘোষবেড় গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে পিকআপ চালক কামরুল ইসলাম (২৫), সন্ধাপুড়া গ্রামের অশন আলীর ছেলের কাদির মিয়া (৪৫), আকদপাড়া গ্রামের মৃত রঞ্জন আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪৫)। তারা সবাই হালুয়াঘাট উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা
যায়, একটি চিনি বোঝাই পিকআপ হালুয়াঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে ঢাকা-শেরপুর সড়কের তারাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা আলু বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপ চালক কামরুল ইসলাম মারা যান। এ সময় আহত হন পিকআপের আরও ২ আরোহী। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত মিজানুর রহমান ও কাদিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
তারাকান্দা থানার ওসি মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে পিকআপ চালক ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চালক পালিয়েছে
তবে ট্রাক জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
জমে উঠেছে দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারী ফুলের বাজার যশোরের গদখালী,
দেশের ফুলের চাহিদার ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ফুল সরবরাহ হয় এই গদখালী থেকে। ফুলের ভালো দাম
পেয়ে খুশি ফুল চাষীরা।
গত বছরের তুলনায় এ বছর ফুলের দাম অনেক বেশি। প্রাকৃতিক
দূর্যোগ আর বৃষ্টির কারণে ফুলের দাম বেশি বলে জানান গদখালী ফুল চাষী ও ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে তারা সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন। দাম
বেশি হওয়ায় ফুলের চাহিদা কমে গেছে, বিশেষ করে এই সময়ে ফুলের দাম বেশি হওয়ায়
দোকানদারেরা ফুলের অর্ডার দিচ্ছেন অনেক কম।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে ফুলের বিক্রি বাড়ার
প্রত্যাশা থাকলেও বাস্তবে তা ঘটছে না। ফুলের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারাও ফুল
কিনছেন অনেক কম। বিশেষ করে আগে রাজনৈতিক নেতাদের জন্য ফুলের চাহিদা থাকলেও, এখন
সেই চাহিদাও কমে গেছে।
আর দেড় মাস পরে বিজয় দিবস, সামনে শীত, বাগানে নতুন ফুল ফুটবে, আর রাজনৈতিক
স্থিতিশীলতা ফিরলে ফুলের চাহিদা আরও বাড়বে। তখন ফুলের বাজারে আবার প্রাণচাঞ্চল্য
ফিরে আসব।
গদখালীর সৈয়দপাড়া, নীলকন্ঠ নগর, পটুয়াপাড়া, নিমতলা, হাড়িয়া,
পানিসারা ও টাওরা গ্রামে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ফুলের চাষ হয়। মোহর আলী বলেন আমি দুই
বিঘা জমিতে গোলাপ চাষ করেছি, দাম বেশি হলেও চাষের খরচের টাকা উঠবে না, কারন হিসেবে
জানান অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ফুল পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে।
মিনারুল ইসলাম বলেন, এ বছর এক বিঘা জমিতে গোলাপ চাষ করেছি
দামে আমি অনেক খুশি।
মিলন হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে আমার গোলাপ ফুল, গাধা ফুল প্রায়
নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
গদখালী বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রকারভেদে প্রতি পিছ গোলাপ
বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকা থেকে ১৪ টাকা পর্যন্ত, প্রতি পিছ রজনীগন্ধা বিক্রি
হচ্ছে ১১ টাকা থেকে ১৬ টাকা পর্যন্ত। এক হাজার গাধা ফুল বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে ৩০০ থেকে
৬০০ টাকা পর্যন্ত।
চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অতি মাত্রায় বৃষ্টি হওয়ার কারণে
বেশিরভাগ ফুলের ডাল পঁচে গেছে। তাদের আশা সামনে ফুলের দাম আরও বেশি হবে।
যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, গাছে ফুল না থাকলেও দামে চাষীরা খুশি। চাষীরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন খরচের টাকা তোলার জন্য।
উল্লেখ্য যশোরের গদখালী এলাকায় প্রায় ১২০০ হেক্টর জমিতে প্রায় এগারো রকমের ফুলের চাষ হয়। এ এলাকার ৬ হাজার পরিবারের প্রায় দেড় লাখ মানুষ ফুল চাষের সাথে জড়িত। প্রতি বছর তিনশো কোটি টাকার বেশি ফুল উৎপাদন হয় এই অঞ্চলে।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের চান্দনায় আজ সকালে নয়টার দিকে একটি পোষাক তৈরির কারখানায় শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন।
এ ঘটনার পর নাওজোড় এলাকায়ও শ্রমিকরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। ধীরে ধীরে আশপাশের আরো কয়েকটি এলাকায় ছড়িয়েছে এই শ্রমিক বিক্ষোভ।
এসময় মহাসড়কে টায়ার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়, শ্রমিক ও পুলিশ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এছাড়াও কালিয়াকৈর, কোনাবাড়ী, বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর, জামগড়া, ছয়তলা ও নরসিংহপুরের একাধিক এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
এদিকে এ পরিস্থিতি বিবেচনায় গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর, কোনাবাড়ী, জরুন, ভোগরাসহ বেশ কিছু এলাকার কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অন্য সব এলাকায় কারখানা স্বাভাবিকভাবে চলছে।
শ্রমিক বিক্ষোভ পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ বলেন, সকালে চান্দনা এলাকায় একটি কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করলে তাদেরকে বুঝিয়েসুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পরবর্তীতে নাওজোর এলাকাসহ আশপাশের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা ভাঙচুর করে এবং সড়কে কাঠ ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এর আগে সকালে বাসন থানাধীন জয়দেবপুর-শিববাড়ি রোডেও শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ার হরিপুর গ্রামে শুক্রবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নবীর হোসেন নামের এক প্রবাসীর ৪টি ছোট-বড় ঘর, ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য জমারাখা নগদ ৬ লক্ষ টাকা ও পাসপোর্ট সহ মূল্যবান মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রবাসীর স্ত্রী পারভীন বেগম জানান নগদ টাকাসহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে তাদের।
সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে প্রবাসীর বসতঘরে আগুনের লেলিহান দেখে প্রবাসীর স্ত্রীর ডাক চিৎকার দিলে লোকজন ছুটে এসে প্রায় ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন আনলেও ততক্ষনে নগদ টাকা, মূল্যবান কাগজপত্রসহ আসবাবপত্র পুড়ে যায়। আগুন নিভাতে গিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী পারভীন বেগম, প্রতিবেশী শওকত হোসেন সহ ৫জন গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে কচুয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মীরা প্রায় ঘন্টা পর ঘটানাস্থলে পৌছানোর আগেই এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
অগ্নিকান্ডের সঠিক কারন জানা না গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসীর স্ত্রী পারভীন বেগম একই বাড়ির সফিউল্যা’র স্ত্রী সায়েরা বেগমের গোয়াল ঘরে কয়েলের আগুন থেকে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে দাবি করেন। এদিকে সফিউল্লাহর স্ত্রী সায়েরা বেগম ওই রাতে তাদের গোয়াল ঘরে মশার কয়েল জ¦ালানোর কথা শিকার করলেও কিভাবে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে তা বলতে পারেননি। তাদেরও একটি গরু ওই অগ্নিকান্ডে মারা যায় এবং অপর একটি গরু অগ্নিদগ্ধ হয় বলে জানান।
কচুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি এবং অগ্নিকান্ডের রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ মিয়া,কচুয়া:
ইউটিউব দেখে ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা বিতারা গ্রামের যুবক আক্তার বেপারী। প্রথমে ৬০টি ড্রাগন চারা রোপন করে বছর খানেক পর ২ লক্ষ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন। একদিকে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছেন অপরদিকে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন। প্রথমে একটু কষ্ট ও পরিশ্রম হলেও এখন সফলতার স্বপ্ন দেখছেন।
জানা যায়, বিতারা গ্রামের অধিবাসী ইসমাইল বেপারীর ছেলে আক্তার বেপারী ৩ বছর পূর্বে প্রথমে ইউটিউব দেখে যশোরের বেনাপোল থেকে সখের বশে ড্রাগন চারা ক্রয় করে বাড়ির আঙ্গিনা রোপন করেন। পরে নিজেই এবং শ্রমিকদের দিয়ে পরিচর্চা করেন। বছর খানেক যেতেই ফল ধরা শুরু হয়। এতে নিজের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন তিনি। তার এ ড্রাগন বাগান থেকে এলাকার স্থানীয়রা চারা সংগ্রহ করছেন।
ড্রাগন চাষী যুবক আক্তার বেপারী বলেন, প্রথমে অনেকের ভুল ধারনা থাকলেও এখন আর নেই। পরিশ্রম ও পরিচর্চার কারনে প্রতি বছর ভালো ফলন আসছে। গত বছর প্রায় ২লক্ষ টাকা বিক্রি করেছি। আশা করছি চলতি মৌসুমে ভালো ফলন হবে। তাছাড়া অনেক যুবক বেকার না থেকে ইচ্ছা ও উদ্যমী হলে ড্রাগন ফল চাষ করলেও তারা লাভবান হতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা
আদর্শ সদর উপজেলায় বিভিন্ন বেকারি ও খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে বিএসটিআই-এর
অভিযানকালে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ
বুধবার দুপুর থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা
প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন আক্তার শিফা, সালমান ফার্সি
এবং মো. আনিসুল হক।
এ
সময় বিএসটিআই কুমিল্লার মাঠ কর্মকর্তা ইকবাল আহাম্মদ, পরিদর্শক (মেট) আরিফ উদ্দিন প্রিয়,
পরীক্ষক (রসায়ন) মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লায়
বিএসটিআই-এর উপ-পরিচালক কে এম হানিফ জানান, মানসনদ গ্রহণ ব্যতীত পণ্যের মোড়কে স্ট্যান্ডার্ড
মার্ক (মান চিহ্ন) ব্যবহার, বিস্কুট, পাউরুটি ও কেক পণ্য উৎপাদন এবং মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর
তথ্য প্রদানসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নগরীর দেশয়ালিপট্টির মেসার্স বিক্রমপুর শশী ভান্ডারকে
২৫ হাজার টাকা, বিক্রমপুর ঘি স্টোরকে দুই হাজার টাকা এবং রাজগঞ্জ বাজার এলাকার মেসার্স
নিউ প্রিমিয়াম সুইটসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মন্তব্য করুন
দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। তবে এমন
অবস্থায় দেশের দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দিনের তাপমাত্রা
বাড়বে বলেও আভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী
৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার ও বুধবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের
দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই
সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে
আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, যশোর
ও রাজশাহী জেলা ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ,
পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে
যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ
ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি
ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আর আগামী বুধবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ
অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সিলেটে বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের
সংখ্যা। জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৭টিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটির অবস্থা
ভয়াবহ।
ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে ভারতের
মেঘালয় ও আসামের পাহাড়ি এলাকায় টানা ভারি বৃষ্টিপাত হয়। ফলে সীমান্তের ওপার থেকে নেমে
আসা পাহাড়ী ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জে বন্যা
দেখা দেয়। সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, লোভা, ধলাই ও পিয়াইন নদীর বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ
ভেঙে ও উপচে পড়ে ওই পাঁচ উপজেলর বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার
থেকে কুশিয়ারা নদীর পানি ঢুকতে থাকে বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন স্থান দিয়ে।
ফলে এ দুই উপজেলাও বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল
হাসান শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “বন্যা পরিস্থিতি আপাতত কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে
আমরা সার্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। বন্যা কবলিতদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে
নিয়ে আসা হচ্ছে এবং বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ চলছে।”
পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো সিলেটের
নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, শুক্রবার সিলেটের গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার
নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি
বিপৎসীমার দুই মিটার ও কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী,
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিলেটের ৭ উপজেলার ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন বন্যাকবলিত হয়েছেন। এর
মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ জন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার
৩ ইউনিয়নের ৯৩ হাজার জন, কানাইঘাট উপজেলার ৯ ইউনিয়নের ৮০ হাজার ৬০০ জন, জৈন্তাপুরের
৩ ইউনিয়নের ৬৫ হাজার জন, জকিগঞ্জের ৮ ইউনিয়নের ৩৯ হাজার ৮৫২ জন, বিয়ানীবাজারের ৫ ইউনিয়নের
৫ হাজার ৫০০ জন ও গোলাপগঞ্জের ১ ইউনিয়নের ৩৫০০ জন পানিবন্দি হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত জেলার ১৩টি উপজেলার
মধ্যে ৭টি বন্যাকবলিত হলেও সবকটি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার
১৩টি উপজেলায় মোট ৫৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এতে
আশ্রয় নিয়েছেন ৪ হাজার ৮০২ জন।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত
জকিগঞ্জের ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৯৫ জন, জৈন্তাপুরের ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৭৫ জন,
গোয়াইনঘাটে ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৩৫৬ জন, কানাইঘাটে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৪৬৬ জন,
কোম্পানীগঞ্জে ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩৫ জন, বিয়ানীবাজারের ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬০ জন,
গোলাপগঞ্জের ৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৫ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় আশ্রয়কেন্দ্রের
সংখ্যা হ্রাস বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার কুমিল্লা জেলার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনশুমারির কুমিল্লা জেলার রিপোর্ট ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার)।
কুমিল্লা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. অমৃত কুমার দেবনাথ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং স্বাগত বক্তব্যসহ জনশুমারির জেলার তথ্য তুলে ধরেন জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান।
পরে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান জনশুমারি ও গৃহগণনার কুমিল্লা জেলার রিপোর্টের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠানে উপস্থিত সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের বইটি ব্যবহারের ওপর গুরত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে জনশুনানির রিপোর্টে বলা হয়, ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী কুমিল্লার বর্তমান জনসংখ্যা ৬২ লাখ ১২ হাজার ২শ ১৬ জন। জনসংখ্যায় পুরুষের তুলনায় নারী সংখ্যা বেশি।
বর্তমানে কুমিল্লা মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার কারী ৭১ দশমিক ৪২ ভাগ। এর মধ্যে নারী চেয়ে পরুষ ব্যবহারকারী সংখ্যা বেশী। ইন্টারনেট ব্যবহার কারী কুমিল্লায় ৫০ দশমিক ২৯ ভাগ।নারী চেয়ে পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেশী।
এদিকে কুমিল্লায় বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন জেলার ৯৯ দশমিক ৩৪ ভাগ মানুষ। যেখানে ১৯৯১ সালে ছিলো ১২ দশমিক ১৪ ভাগ। এছাড়াও জনশুমারিতে উঠে আসা জেলার নানা তথ্য তুলে ধরা হয় এই রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে।
মন্তব্য করুন
ঈদযাত্রায় নিরাপত্তায় সাইবার নজরদারীসহ গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে এসে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এ কথা জানান।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে প্রতিটি স্টেশনে বাড়িয়েছি গোয়েন্দা নজরদারি। চালু রাখা হয়েছে মোবাইল ট্র্যাকিং। বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশনে আমাদের টিম কাজ করছে। টিকিট কালোবাজারি চক্রের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। এ বছরের পর এগুলো (কালোবাজারি) আর থাকবে না।
এ বছর দূরপাল্লার (আন্তঃনগর) ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া যাত্রার দিন ২৫ ভাগ আসনবিহীন টিকিট বিক্রি চলছে।
যেকোনো ধরনের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, যাত্রীদের অনুরোধ করবো আপনাদের কোনো অভিযোগ থাকলে জানান, র্যাব আপনার পাশেই আছে।
তিনি আরও জানান, যাত্রীদের হয়রানি বিশেষ করে নারী হয়রানি, বিভিন্ন অজ্ঞানপার্টি, মলম পার্টির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।
ঝুঁকি কমাতে যাত্রীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, অপরিচিত মানুষের সঙ্গে অযথা কথা বলা বা সম্পর্ক গড়ে তুলবেন না। যাত্রাপথে কারও কাছ থেকে খাবার গ্রহণ করা থেকেও বিরত থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ৩ নং কালিকাপুর ইউনিয়নের ছুপুয়া গ্রামে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিদেশী পিস্তলসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের আবদুল মোতালেবের ছেলে নাজমুল হাসান(২০) ও একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাকিব হোসেন(২০)। ছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা।
চৌদ্দগ্রাম থানার কর্মরত এসআই(নিঃ)লিটন চাকমা ও এএসআই(নিঃ)মোঃ নজরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সনিয়ে (৬ই মার্চ) দুপুর ১২.১৫ মিনিটে উপজেলার ৩নং কালিকাপুর ইউনিয়নের ছুপুয়া বাজারের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একটি কাগজের বক্সের ভেতর কসটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১ টি বিদেশী পিস্তল, ০২টি ম্যাগজিন, ২২ রাউন্ড গুলি সহ ২ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, উপজেলার ৩নং কালিকাপুর ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের আব্দুল মোতালেব এর ছেলে মোঃ নাজমুল হাসান (২০)ও আব্দুল কালাম এর ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন(২০)। পলাতক আসামি মোঃ রাহাত(২০) ০৮নং মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।
বুধবার সন্ধ্যায় তথ্যটি নিশ্চিত করে বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহা তন্ময় বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন