মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস (IAUP)-এর ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সেমি-অ্যানুয়াল কনফারেন্স ২০২৫-এ অংশগ্রহণ করেছে কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (CCN University of Science & Technology)।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দুই শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ও গ্লোবাল এডুকেশন লিডারদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের অনারারি ডিরেক্টর (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ইফতেখারুল ইসলাম চৌধুরী সিয়াম।
এ সম্মেলনে বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা সহযোগিতা, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়। সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন
ময়মনসিংয়ের এক তরুণীর সঙ্গে কুমিল্লার
নাঙ্গলকোটের আরিম নামে এক তরুণের ৬ মাস আগে রং নাম্বারে পরিচয় হয় । তারপর ঢাকায় বিয়ে
করে।
এরপর স্ত্রীকে নিয়ে আরিফ কুমিল্লার
নাঙ্গলকোটে তার গ্রামের বাড়িতে আসলে পরিবার এ বিয়ে মানতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে বাড়ি
থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে রেলস্টেশনে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী আরিফ। স্ত্রীর দাবি নিয়ে
সেই তরুণী এখন অনশন করছে স্বামীর বাড়িতে।
প্রেমিক আরিফ (২১) কুমিল্লার নাঙ্গলকোট
উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের উরুকচাউল গ্রামের আবদুস ছাত্তারের ছেলে।
শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী তরুণী জানান,
৬ মাস আগে রং নম্বরে তাদের দুজনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের দেখা হয়। তারপর প্রেম। আরিফের
সঙ্গে তার বাড়িতে যান তিনি। কিন্তু আরিফের বাবা তাদের দুজনকে বের করে দেয়। এরপর প্রেমিক
তাকে নিয়ে রেলস্টেশনে যায়। সেখানে রেখে পালিয়ে যায় আরিফ। পরে স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে
অনশনে বসেছেন তিনি। স্ত্রীর অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন।
আরিফের মা সেলিনা বেগম জানান, মেয়েটি
যদি বিয়ের প্রমাণ দেখাতে পারে তাহলে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেবেন তারা।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী
বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলায় গত জুলাই মাসে ১১টি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া জুলাই মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৩২টি। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে ৮ টি। বিভিন্ন অপরাধে জুলাই মাসে জেলায় মোট মামলা করা হয়েছে ৪৭৫টি।
রবিবার (১০ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল কায়সার। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিবরণীতে জানানো হয়, ডাকাতি, দস্যুতা, খুন, নারী ও শিশু নির্যাতন, চাঁদাবাজি, চুরি, দ্রুত বিচার, মাদকদ্রব্য আইনে মামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ধর্ষণ, আহত, অস্ত্র উদ্ধার ও চোরাচালানের মামলা কমেছে।
এ ছাড়া জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত হন এবং সাতজন আহত হন। এই মাসে ৩৫৯টি মামলা করেন ২১১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসব মামলায় ২৪ লাখ ৮০ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া ২৮৪ জনকে অর্থদণ্ড, পাঁচজনকে কারাদণ্ড, ৭০ জনকে উভয় দণ্ডসহ মোট ৩৫৯ জনকে বিভিন্ন অপরাধে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় যানজট নিরসন, মহাসড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা, শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা, ভাঙাচোরা সড়ক মেরামত, পরিবেশ দূষণ, পলিথিনের ব্যবহার রোধসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সমাধানে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি কদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল মালিক বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, মাদকদ্রব্য উদ্ধারে অভিযান এবং যানজট নিরসনে নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার উল্লেখিত এবং আলোচিত বিষয়গুলো দ্রুত নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
হাইওয়ে
পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের কুমিল্লা হাইওয়ে থানা ১টি যাত্রীবাহী বাসসহ ১ জন বাস চোর আটক
করেছে।
আটককৃত
চোর হলেন- চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানাধীন কানুনগো পাড়া এলাকার মৃত রশিদ আলির ছেলে বাস
গাড়ির চালক শহিদুল ইসলাম (৩২)।
মঙ্গলবার
(৭ জুলাই) ভোর অনুমান ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে একজন মিনি বাসের
জনৈক শরীফ হোসেন নামক যাত্রী মোবাইল ফোনের
মাধ্যমে অফিসার ইনচার্জ কুমিল্লা হাইওয়ে থানার সরকারি মোবাইল ফোনে ফোন করে জানান যে,
মিনি বাসের চালক বেসামাল হয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে যাত্রীদের জীবন বিপন্ন করার
হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। উক্ত যাত্রীর মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান জানার পর অফিসার ইনচার্জ তাৎক্ষণিক
ভাবে রাত্রীকালীন মোবাইল পার্টিকে গাড়িটিকে আটক করার জন্য নির্দেশ প্রদান করি। ইনচার্জ
এসআই (নিঃ) মোঃ ফারুক আজম সংঙ্গীয় ফোর্স সহ সীতাকুন্ড থানাধীন উত্তর ইদুলপুর সাকিনস্ত
হোটেল কিছুক্ষন এর সামনে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী রাস্তার পাশে ভোর অনুমান
৫টা ৫ মিনিটে অবস্থান নিয়ে বাসটিকে আটক করে। বাসের চালককে গাড়ির কাগজ পত্র প্রদান করার
জন্য বললে দেখাইতে ব্যর্থ হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে
ড্রাইভার একেক সময় একেক ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে। তখন পার্টি ইনচার্জ এর মনে সন্দেহ
হয় যে, এই ধরনের গাড়ি সাধারণত চট্টগ্রাম সিটির মধ্যে চলাচল করে। নিশ্চয় চালক চুরি করে
গাড়িটি ঢাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তখন গাড়িসহ চালক শহিদুল ইসলামকে আটক করে।
উক্ত
বাসের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে যাত্রীরা একেখান, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থান
হইতে বাসে উঠেন এবং তাদের গন্তব্যস্থল মীরসরাই, মহিপাল, ফেনীসহ বিভিন্ন স্থানে বলে
জানান। আটককৃত চালককে আরো জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে সে উক্ত গাড়িটি চুরি করে ঢাকায়
নিয়ে যাচ্ছিল।পরবর্তীতে কুমিল্লা হাইওয়ে থানা চট্টগ্রামের বাস মালিক সমিতির মাধ্যমে
বাসের প্রকৃত মালিককে খোজ করে তার নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে যোগাযোগ করে। উক্ত বাসের মালিক
ভানুদে জানান যে, সে তার মিনি বাসটি প্রতিদিনের
ন্যায় যাত্রী পরিবহন শেষে ৬ জুলাই ২০২৫ইং তারিখ রাত্রি অনুমান ১১টায় তার বাড়ির পাশে
রাস্তায় রেখে বাড়িতে অবস্থান করেন। ভোর অনুমান ৬.০০ ঘটিকার সময় রাস্তায় এসে দেখেন তার
গাড়িটি নাই। তখন উক্ত এলাকার নাইট গার্ডকে জিজ্ঞাসা করলে রাত অনুমান ১টা ৩০ মিনিটে
অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাসটি চালিয়ে নিয়ে যায় বলে মালিককে জানায়। তিনি সকালে বোয়ালখালী
থানায় গিয়ে বাস চুরির বিষয়টি থানাকে অবহিত করেন এবং বাসটি খুজতে থাকেন। পরবর্তীতে অত্র
কুমিল্লা হাইওয়ে থানার ফোন পেয়ে নিশ্চিত হন যে, গাড়িটি তার। আটককৃত চালক রাতের বেলায়
চুরি করে তার বাসটি চট্টগ্রাম হতে ঢাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো। এই সংক্রান্তে চট্রগ্রাম
জেলার বোয়ালখালী থানায় ১টি নিয়মিত মামলা রুজু করে আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এবার ধস নেমেছে। এবার বোর্ডটিতে পাসের হার মাত্র ৪৮.৮৬ শতাংশ। যা গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এবার কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের নয় কলেজে কেউ পাস করেনি৷ অপরদিকে শতভাগ পাস করেছে ৫টি কলেজ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর শামছুল ইসলাম সকাল ১০টায় এ ফল ঘোষণা করেন।
২০২১ সালে কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৪৯, ২০২২ সালে ৯০ দশমিক ৭২, ২০২৩ সালে ৭৫ দশমিক ৩৯, ২০২৪ সালে ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
এবার এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ১ হাজার ৯৯৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী।
বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার সবচেয়ে বেশি। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে অংশ নেয় ২৬ হাজার ২৭৪ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৬ হাজার ২৫১ জন পাস করেছে। পাসের হার ৬২ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
মানবিক বিভাগে ৪৮ হাজার ১২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২০ হাজার ৫৯০ জন। পাসের হার ৪৪.০৮ শতাংশ।
বিজনেস স্টাডিজে (ব্যবসায় শিক্ষা) অংশ নেয় ২৭ হাজার ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থী; এর মধ্যে ১১ হাজার ৮১৬ জন পাস করেছে। যা ৪৩ দশমিক ৯০ শতাংশ।
তবে এ বছরের ফলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক ভাল করেছে। এবারের ফলে ছেলেদের পাসের হার ৪২ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ৫৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। জিপিএ-৫-এ এগিয়ে আছে মেয়েরা। ছেলেদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৫৮ জন আর এবার মেয়েদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৭৪৯ জন শিক্ষার্থী।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
১০ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৩ নভেম্বর দুপুরে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন নূরপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে
আসামী মোঃ সুজন নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১০
কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ সুজন (২৯) দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার মধ্য বাঁশদূতপুর গ্রামের মৃত হাকিম এর
ছেলে।
র্যাব জানান, সে
দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার
বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে
আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
এনসিপির
দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন,
কুমিল্লাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামীলীগ ফিরে আসলে ৪ কোটি
সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখবে না তারা। আপনি বিএনপি-জামাত করেন আমার সমস্যা নাই, কিন্তু আওয়ামীলীগের সাথে সখ্যতা আমরা মেনে নিবো না। বুধবার বিকালে
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউনহল মাঠে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই
পদযাত্রার ২৩ তম দিনে কুমিল্লা জেলা ও মহানগর এনসিপি এ সভার আয়োজন করে।
হাসনাত
আবদুল্লাহ আরো বলেন, হাসিনা দম্ভ করে বলেছিলো,
কুমিল্লার নামের আগে কু রয়েছে, এই কুমিল্লা
নামে বিভাগ করা যাবে না। আমরা হাসিনাকে উৎখাত করেছি এবং কুমিল্লা নামেই বিভাগ হবে।
আমরা বলতে চাই, কুমিল্লা হবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র ক্যান্টনমেন্ট।
তিনি
বলেন,
রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের শিকার হয়েছে কুমিল্লা। কুমিল্লার মানুষ
আত্মনির্ভরশীল। কুমিল্লার উন্নয়ন কুমিল্লার মানুষের টাকাতেই হয়েছে। কুমিল্লার
মানুষ রেমিটেন্সযোদ্ধা। কুমিল্লায় উন্নয়নের নামে যে বিনিয়োগ হয়েছে তা একটি দলের
পকেট ভারী করার জন্য। আমরা কুমিল্লার মানুষেরা রাষ্ট্রীয় বঞ্চিতের শেষ চাই।
তিনি
আরো বলেন,
আমরা আগে উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত মনে করতাম। কিন্তু, উত্তরবঙ্গ ঘুরে আমরা কুমিল্লায় এসে দেখি কুমিল্লায় ঠিক করে টানা দুই
কিলোমিটার রাস্তা ঠিক নাই। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সরকার
এগুলো ঠিক না করলে আমরা নিজেরা টাকা তুলে তা ঠিক করবো। ক্যান্টনমেন্ট থেকে সিলেট
রোড নাকি মহাসড়ক। কিন্তু এখানে দুটো বাস একসাথে ক্রস করতে পারে না।
কুমিল্লাবাসীকে
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন,
আমাদের লড়াই শেষ হয় নাই। কুমিল্লাবাসী আপনারা ঐক্যবদ্ধ হোন।
তিনি
বলেন,
হাসিনার দূশ্চিন্তার বিষয় ছিলো কুমিল্লা। কুমিল্লাতে সম্প্রীতির
বন্ধন নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। কুমিল্লাবাসী আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে৷
কুমিল্লা হবে এনসিপির ক্যান্টনমেন্ট।
এসময়,
জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির উত্তরবঙ্গের মুখ্য সমন্বয়ক সার্জিস
আলমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম
সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিপা, সিনিয়র যুগ্ম মূখ্য
সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন
মোহাম্মদ, যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, জাতীয় যুবশক্তির আহবায়ক এডভোকেট তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম
মূখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ, কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য
হাফসা জাহান, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা সালাউদ্দিন জামিল সৌরভ,
এনসিপির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম।
এর
আগে সভার শুরুতে, ঢাকায় এসময় মাইলস্টোন
স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দূর্ঘটনার প্রতি শোক জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়৷
এবং, সভাটিকে শোকসভা ঘোষণা করা হয়।
এর
আগে বিকাল ৫ টার দিকে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়ে
কুমিল্লা টাউনহলে এসে শেষ হয়। এসময় কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শিক্ষার্থীরা
মিছিলে মিছিলে টাউনহল মাঠে জড় হয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানায়।
মন্তব্য করুন
আন্তঃজেলা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের মূল হোতাসহ আরো ৮ সদস্য গ্রেফতার এবং চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত ২৪ জানুয়ারি রুজুকৃত বুড়িচং থানার মামলা নং-১৮, তারিখ-২৪/০১/২০২৪, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫ এর রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ মনির হোসেন (৩২), ২। মোঃ সোহেল (৩০), ৩। কামরুল হাসান (৩২), ৪। মাঈনউদ্দিন (২৮), ৫। রুবেল আহমেদ @মিন্টু (২৯) দের গত ০৪/০২/২০২৪খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে আসামি সোহেল ও মাঈনউদ্দিন ফোজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে, তারা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানায় ট্রান্সফরমার চুরি সংক্রান্তে রুজুকৃত ৮টি মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো এবং তাদের দেওয়া তথ্য তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণে সত্যতা পাওয়া যায়।
আসামী মাঈন উদ্দিন (২৮) এর দেওয়া বিজ্ঞ আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মোতাবেক কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় চোর চক্রের চোরাই মাল ক্রয় -বিক্রয়ের মূল মধ্যস্থতাকারী রুবেল (২৮) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ দোকানের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। কুমিল্লার অধিকাংশ চোরাই মাল ক্রয়কারী মাঈন উদ্দিন ঢাকায় চোরাই মাল বিক্রয় করে। ঢাকায় চোরাইমাল ক্রয় চক্রের মূলহোতা ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর মালিক দেলোয়ার ও ম্যানেজার মনসুর। তার দেওয়া তথ্য মতে চোরাই মালামাল ক্রয়কারী ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম মনছুর কে ঢাকা মিডফোর্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মনসুরের দেখানো মতে ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ নামক দোকান হতে ৫০ কেজি চোরাই তামার তার উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক দেলোয়ার পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কুমিল্লায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সাথে জড়িত অনেক সদস্যের নাম প্রকাশ করে। প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে লালমাই থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৩/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫/৪১ এর পলাতক আসামী চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য ১। রবিউল আলম @ রফিক (২৬) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয় । তার দেখানো স্থান হতে ২টি ট্রান্সফরমারের খালি খোসা, ৩৩ কেজি ষ্টিলের পাত, ২টি ট্রান্সফরমারের ঢাকনা ও ২টি লোহার তৈরি কয়েলের ঢাকনা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। রবিউল আলম রফিককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে অত্র মামলার সাথে জড়িত আসামী ২। মেহেদী হাসান শাকিল (২৩), ৩। রুবেল (২৬), ৪। মাসুদ রানা (২৩) দেরকে ভূশ্চি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয় এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত অটোটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলের দেওয়া তথ্য মতে, তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে সদর দক্ষিণ থানার মামলা নং-৭, তারিখ- ০২/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ৩৭৯ দন্ডবিধি এর পলাতক আসামী জহিরুল ইসলাম (২৮) কে সদর দক্ষিণ থানাধীন সুয়াগাজি থেকে গ্রেফতার করা হয়। জহিরুল ইসলাম (২৮) এর দেওয়া তথ্য মতে, অত্র মামলার আর এক পলাতক আসামী মোঃ কবির হোসেন (৩০) কে জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তারা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ৩/৪ বছর যাবৎ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার, সদর দক্ষিণ থানাসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় এবং পাশর্^বর্তী জেলা চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি করে আসছে। তারা দিনের বেলায় টার্গেট ট্রান্সফরমারের স্থানে রেকি করে এবং রাতের বেলা গিয়ে ট্রান্সফরমারের ঢাকনা খুলে তামার তার নিয়ে চলে আসে। ট্রান্সফরমার থেকে তামার তার চুরি করতে তাদের মাত্র ২০ থেতে ২৫ মিনিট সময় লাগে। চুরি করার পরে ট্রান্সফরমারের খালি খোলস (বক্স) সাধারণত ঘটনাস্থলেই ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য যে, আসামী মোঃ কবির হোসেন এর বিরুদ্ধে পূর্বে ৬টি মাদক মামলা রয়েছে। আসামী জহিরুল ইসলাম জহির এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ৩টি মাদক মামলা, ২টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মাসুদ রানা এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মেহেদী হাসান শাকিল এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী রবিউল আলম রফিক এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মাদক ও ১টি মারামারি মামলা রয়েছে। আসামী রফিকুল ইসলাম মনছুর এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মারামারি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো:
১। মোঃ কবির হোসেন (৩০), পিতাঃ মোঃ জসিম উদ্দিন, সাং-কাদির বক্স বাড়ী, গ্রাম- সৈয়দপুর, থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা,
২। জহিরুল ইসলাম (২৮), পিতাঃ মৃত মোঃ জাকির হোসেন, সাং- পূর্ব পাড়া, গ্রাম- বড় দৌলতপুর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- কুমিল্লা
৩। রুবেল (২৬), পিতাঃ মিজান, সাং- চৌকিদার বাড়ী, গ্রাম- দূর্গাপুর, ওয়ার্ড- ১, থানা- সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা।
৪। মাসুদ রানা (২৩), পিতাঃ আব্দুল গফুর, সং- গ্রাম- ভুচ্চি (নুরপুর) মুক্তিযোদ্ধা জহির সাহেবের বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৫। মেহেদী হাসান @শাকিল (২৩), পিতাঃ শুক্কুর আলী,সাং- মোহরী বাড়ী, গ্রাম- চেংহাটা, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৬। রবিউল আলম @রফিক (২৬), পিতাঃ মৃত সুরুজ, সাং- ভুচ্চি( নুরপুর) ডাক্তার বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
৭। রুবেল (২৮), পিতাঃ মৃত ফোরকান মিয়া, সাং- আহাম্মদপুর(ধানুর বাড়ী), থানা-নবীনগর, জেলা- ব্রাহ্মনবাড়ীয়া
৮। মোঃ রফিকুল ইসলাম @মনছুর (৪৮), পিতাঃ মোঃ শাহজাহান আলী , সাং- পায়না (প্রামানিক বাড়ী), থানা- ভেড়া, জেলা- পাবনা
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় মোবাইল ফোন ও মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (১০ বিজিবি)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ।
বিজিবি সূত্র জানায়, চোরাচালান প্রতিরোধ ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আজ ভোরে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের যশপুর বিওপি’র টহলদল সদর দক্ষিণ উপজেলার সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে সীমান্তের ৫০০ গজ ভেতরে ধনপুর মাঠ নামক স্থানে মালিকবিহীন অবস্থায় ৯০টি ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন এবং ৩৪৮টি মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত এসব পণ্যের আনুমানিক বাজারমূল্য ৬০ লাখ ৮৬ হাজার ৮৬৮ টাকা।
বিজিবি জানায়, জব্দকৃত মালামাল পরবর্তীতে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
লে. কর্নেল বলেন, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধে বিজিবি’র সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। দেশের অর্থনীতি রক্ষা ও অবৈধ পণ্য প্রবাহ বন্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা/নীতিমালার বিষয়ে লার্নিং সেশন এর আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার কুমিল্লা জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে লার্নিং সেশন এর আয়োজন করা হয়।
উক্ত লার্নিং সেশনে উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সিজেএ সাউদ হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক।
লার্নিং সেশনের শুরুতে সভাপতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার বর্তমান ও অতীত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে অবহিত করেন। সিজিএম মাদক মামলার জব্দ তালিকা প্রস্তুত, সাক্ষী গ্রহণ ও স্বাক্ষ্য প্রদান এবং বিধিমালা/নীতিমালার বিষয়ে উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথিকে সম্মাননা স্মারক ও মাদকের ক্ষতিকর দিক লেখা সম্বলিত বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২৮ কেজি ৫শত গ্রাম গাঁজাসহ
দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন
কালাকচুয়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। রিপন শেখ এবং ২। জিহাদ
মোল্লা নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ২৮ কেজি
৫ শত গ্রাম গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। রিপন শেখ (৫১)
গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ থানার কুয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আমানত শেখ এর ছেলে এবং ২।
জিহাদ মোল্লা (২৪) গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ থানার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের সিরাজ মোল্লা
এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন