পুষ্পা টিমের বিপদ যেন কাটছেই না!
ভারতের তুমুল হাইপ তোলা চলচ্চিত্র পুষ্পা’র ২য় কিস্তি আসার আগেই একের পর এক বাধার
সম্মুখীন হচ্ছেন সিনেমাটির নায়ক, নির্মাতা ও পুরো টিম। তার আগেও দুর্ঘটনার কারণে
বন্ধ ছিল সিনেমাটির শুটিং। সেই দুর্ঘটনায় সিনেমার একাধিক তারকা আহত হয়েছিলেন। তবে এবার
সিনেমাটির নায়ক আল্লু অর্জুন পড়লেন আঘাতের কবলে। ফের বন্ধ হলো পুষ্পার’
সিক্যুয়েলের শুটিং।
সিনেমাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র
ভারতীয় বিনোদন মাধ্যম পিঙ্কভিলাকে জানিয়েছে, ভারী পোশাক পরে অ্যাকশন দৃশ্যে
স্টান্ট করার কারণে কোমরে ও কাঁধে চোট পেয়েছেন আল্লু অর্জুন। চিকিৎসক জানিয়েছেন,
তাকে কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে। সে কারণেই আপাতত বন্ধ ‘পুষ্পা ২’-এর শুটিং। অর্জুন
সুস্থ হলেই ফের শুরু হবে শুটিং।
ইন্ডাস্ট্রি সূত্র অনুসারে, ‘পুষ্পা’র
দ্বিতীয়ভাগে চিত্রনাট্যে আসবে বড়সড় পরিবর্তন। এমনকি সিনেমাটির ক্লাইম্যাক্স
একেবারে চমকে দেবে দর্শকদের! এর আগে পরিচালক সুকুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন,
‘পুষ্পা’ যেভাবে গোটা দেশে দারুণ সাফল্য পায়, সে কথা মাথায় রেখেই এর দ্বিতীয়ভাগ
সাজানো হচ্ছে।
আল্লু অর্জুন অভিনীত পুষ্পা ২০২১ সালে
মুক্তি পায়। করোনা-পরবর্তী পর্যায়ে এই সিনেমাটির হাত ধরে ভারতীয় বিনোদন সংস্থা
সাফল্যের মুখ দেখেছিল।
মন্তব্য করুন
আগামী ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন। এরই মধ্যে প্যানেল প্রস্তুতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। মিশা-ডিপজল প্যানেল প্রস্তুত হলেও নিপুণের প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী কে হচ্ছেন তা স্পষ্ট নয়।
তবে এর আগে, গুঞ্জন উঠেছিল আলোচিত চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলকে সভাপতি করে নিজের প্যানেল গোছানোর চেষ্টা করছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।
এ প্রসঙ্গে অনন্ত গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচন করলেও হয়তো ভালো হতো, কিন্তু আমার সমস্যা হলো সময়। চলচ্চিত্রকে ভালোবাসি, সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সবার বিপদে পাশে থাকব। কিন্তু নির্বাচন করার মতো এত সময় আমার নেই।
গত কয়েকদিন ধরেই শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবে অনন্ত জলিল নির্বাচন করছেন এবং নিপুণকে সেক্রেটারি করে তিনি প্যানেল গড়ছেন, এমন খবর শোনা যাচ্ছিলো।
সর্বশেষ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে রাজি করাতে অনন্ত জলিলের সঙ্গে বসেছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বসেছিলেন তারা। বিষয়টি গত ৪ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে অনন্ত জলিল নিজেই জানান ।
মন্তব্য করুন
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমণি মাত্র তিন বছর বয়সে মাতৃহারা হন। ২০১২ সালে তার বাবাও না ফেরার দেশে চলে যান।
মাতৃহারা হওয়ার পর থেকেই নানার কাছেই বড় হয়েছেন তিনি। তবে এবার প্রিয় সেই নানা শামসুল হক গাজীকে হারালেন তিনি।
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ২টা ১১ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) ।
এই নির্মাতা আরো জানান, পরীমণির নানার মরদেহ গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের শিংখালীতে নেওয়া হচ্ছে। সেখানেই পরীর নানির কবরের পাশে তাকে শায়িত করা হবে।
গেল অক্টোবর মাসের ছিল পরীমণির জন্মদিন। প্রতিবার ঘটা করে দিনটি উদযাপন করলেও এবার নানার অসুস্থতার কারণে আয়োজন থেকে বিরত ছিলেন তিনি।
তখন পরীমণি বলেছিলেন, বেশ কদিন ধরেই নানা বেশ অসুস্থ। তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি। আপনারা জানেন প্রতিবার জন্মদিনে নানুর হাত ধরে কেক কাটি। আমার নানু আমার জন্য কী সেটা সবাই জানেন। তিনি কদিন ধরেই অসুস্থ। তার অসুস্থতার জন্য আমি শুটিংও বাদ দিয়েছিলাম। তাই এবার জন্মদিনটি পালন করছিনা।
মন্তব্য করুন
রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি ( শারমিন আক্তার নিপা) আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) আপিল শুনানিতে তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সম্প্রতি ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছিল। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।
মন্তব্য করুন
অভিনেত্রী-সংগীতশিল্পী
কুইনজী চেং শুটিং সেটে মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় মালয়েশিয়ান এ অভিনেত্রীর বয়স ছিল ৩৭
বছর।
গেল
২৮ নভেম্বর অভিনেত্রীর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো
হয়।
চায়না
প্রেসের বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ান সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার জানিয়েছে, চেং ব্রেন অ্যানিউরিজমে
ভুগছিলেন।
স্থানীয়
আর্টিস্ট চাই জি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সকাল ৮টা সময়ে আমরা দামানসারাতে
উপস্থিত হই। সকালের নাস্তা শেষ করে সাড়ে ৮টার দিকে শুটিং শুরু করি। ওই সময়ে চেং পুরোপুরি
সুস্থ ছিলেন। বিরতি নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফের শুটিং শুরু করি। ওই সময়ে চেং জানান,
তার মাথা ঘুরাচ্ছে, মাথা ব্যথা করছে, বমিবমি লাগছে। এক পর্যায়ে চেং বমি করেন; দ্রুত
অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়। চেংয়ের স্টাফরা তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। চেং যখন জ্ঞান হারান
তখন তার শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত চলছিল। দ্রুত তার ঠোঁট, হাত-পা বেগুনি বর্ণ ধারণ করে।
কল করার পাঁচ মিনিটের মধ্যে অ্যাম্বেলেন্স ঘটনাস্থলে চলে আসে। মেডিক্যাল টিম এসে তার
জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়; পরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
জানা
যায়, ১৮টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন কুইনজী চেং। ২০১৫ সালে ‘ব্যাড স্টুডেন্টস’ সিনেমার
মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন কুইনজী চেং।
মন্তব্য করুন
অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন টালিউড অভিনেতা দেব। হেলিকপ্টারযোগে পশ্চিমবঙ্গের মালদা থেকে রানীনগরে যাচ্ছিলেন টালিউড অভিনেতা দেব। আর পথে হেলিকপ্টারে আগুন লাগে। তবে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই হেলিকপ্টারটিতে আগুন লেগেছে বলে ধারণা পুলিশের।
শুক্রবার (৩ মে) রাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে,
মালদা হেলিপ্যাড থেকে উড্ডয়নের পরপরই দেবকে বহন করা হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে যায়।
পাইলট জরুরি অবতরণ করেন। অক্ষত অবস্থায় হেলিকপ্টার থেকে নামেন অভিনেতা দেব।
দুর্ঘটনার পর সড়কপথে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন দেব।
গণমাধ্যমকে দুর্ঘটনার বিষয়ে দেব জানান, কিছুটা ট্রমায় আছি আমি। অশান্তি, ধোঁয়া ও গন্ধ আমার ওপর মানসিক প্রভাব ফেলেছে।
মন্তব্য করুন
বয়স ৭৩ বছর। কিন্তু সিনেমায় তার চালচলন যেনো ২৫ বছরের নায়কদেরও হার মানায়। যেকোনো ইয়াং সুপারস্টারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এখনো তিনি এগিয়ে থাকছেন তিনি রজনীকান্ত। দক্ষিণী সিনেমার শক্তিমান সুপারস্টার ।
গত বছর তার অভিনীত ‘জেলার’ চলচ্চিত্র দিয়ে পেয়েছেন তুমুল সাফল্য। বছরের শীর্ষ আয় করা সিনেমার তালিকায় জায়গা করে নেয় তার ওই ছবি। এ বছরও চমকে দেওয়ার অপেক্ষায় তিনি। বছর শুরুতেই নিজের মেয়ের পরিচালনায় পর্দায় আসছেন এই সুপারস্টার। তার অভিনীত‘লাল সালাম’ এই শুক্রবার মুক্তি পাবে।
মেয়ে ঐশ্বরিয়ার পরিচালনায় ‘লাল সালাম’ নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনায় রয়েছেন রজনীকান্ত। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন তাঁর পারিশ্রমিক নিয়ে। শোনা যাচ্ছে, সিনেমাটির জন্য বিপুল পরিমাণে পারিশ্রমিক নিয়েছেন অভিনেতা।
ভারতীয় বিনোদন মাধ্যম কইমই ডটকম অনুসারে, লাল সালামে রজনীকে তাঁর বর্ধিত ক্যামিওর জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ প্রদান করা হয়েছে। ট্র্যাক টলিউডের প্রতিবেদন অনুসারে, সিনেমাটিতে অভিনেতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও রয়েছে এবং তাঁর স্ক্রিন টাইম ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। আর এ জন্য তিনি ৪০ কোটি রুপি চার্জ করেছেন।
অর্থাৎ প্রতি মিনিটে ১ কোটি রুপি নিয়েছেন অভিনেতা যা একটি নতুন রেকর্ড। দীর্ঘ ৯ বছর পর পরিচালনায় ফিরেছেন ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত। তাই মেয়ের সিনেমায় বিশেষ ক্যামিওর প্রস্তাব ফেরাতে পারেননি রজনীকান্ত। আর রজনীকে ঘিরেই সিনেমাটি এখন তুমুল হাইপ তৈরি করেছে। লাল সালামে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিষ্ণু বিশাল এবং বিক্রান্ত এবং সংগীত পরিচালনা করেছেন এ আর রহমান।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয়
অভিনেত্রী তানজিন তিশা ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট নাটক উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সক্রিয়।
আর
এবার শোনা যাচ্ছে, শিগগিরই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতায় পাড়ি জমাচ্ছেন অভিনেত্রী তানজিন
তিশা। গণমাধ্যমে বিষয়টি অভিনেত্রী তিশা নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
অভিনেত্রী
তিশা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই টালিউডের বিভিন্ন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও নির্মাতার কাছ থেকে
প্রস্তাব পাচ্ছিলাম। কিন্তু ব্যাটে-বলে না মেলায় কাজ করা হয়নি। কখনও শিডিউল নিয়ে জটিলতা
হয়েছে আবার কখনও গল্প কিংবা নির্মাতা পছন্দ হয়নি। এবার সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। আমিও
সম্মতি দিয়েছি কাজ করার জন্য। নির্মাতা কে, আমার সঙ্গে কে অভিনয় করবেন, সেটা এখনই বলছি
না। তবে এতটুকু বলতে পারি, চলতি বছরই পশ্চিমবঙ্গের সিনেমায় আমাকে দেখতে পাবেন দর্শক।
জানা
যায়, কয়েক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছিল কলকাতার সিনেমায় যুক্ত হচ্ছেন অভিনেত্রী তিশা। মূলত
বেশ কয়েকবার কলকাতায় যাওয়া-আসায় গুঞ্জনটি ছড়িয়েছিল। তবে এতে ব্যাপক খুশিই হয়েছিলেন
অভিনেত্রীর ভক্তরা।
মন্তব্য করুন
সংসদ সদস্য পদ থেকে ‘পদত্যাগ’ করেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এসেছেন তিনি। যদিও মমতা এখনও সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। বিষয়টি জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী নিজেই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, আজ বিধানসভায় মমতা বক্তব্য দেওয়ার সময় তার কক্ষে ঢোকেন মিমি। কিছুক্ষণ পর ওই কক্ষে ঢোকেন তৃণমূলের দুই তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী এবং জুন মালিয়া। বক্তব্য শেষ হলে নিজের কক্ষে যান মমতা। তারপর তিনি মিমি এবং বাকিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক থেকে বের হয়ে মিমি বলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে এমপি পদ থেকে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। তবে মমতা এখনো সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে তিনি ভারতীয় লোকসভার স্পিকারের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়ে আসবেন।
সম্প্রতি সংসদের দুটি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছে মিমি। সংসদের শিল্পবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ছিলেন কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রণালয় এবং নবীন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের যৌথ কমিটির সদস্যও। এই দুটি পদ থেকেই তিনি পদত্যাগ করেন।
এরপর জানা যায়, যাদবপুর লোকসভার অধীন নলমুড়ি এবং জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপারসন পদও ছেড়ে দিয়েছেন মিমি। তারপর থেকেই তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়।
প্রশ্ন উঠেছে, ২০২৪ সালে যাদবপুর থেকে আবারও কি প্রার্থী হবেন মিমি? নিজের ধারাবাহিক পদত্যাগ প্রসঙ্গে অবশ্য এর আগে তিনি মুখ খোলেননি। আজ জানিয়ে দিলেন, আর এমপি থাকতে চান না তিনি। মিমি বলেন, আমার যা বলার ছিল, দিদিকে (মমতা) বলেছি। অনেকে বলছিলেন, আমি পরবর্তী টিকিট পাকা করার জন্য এটা করছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়।
এর ব্যাখ্যা দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, রাজনীতি করলে আমার মতো মানুষকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় লোকে। মিমি চক্রবর্তী যদি খারাপ কিছু করত, সবার আগে শিরোনামে উঠে আসত। আমি জেনে জীবনে কারও কোনো ক্ষতি করিনি। আমি রাজনীতিক নই। কখনো রাজনীতিক হবো না। সবসময় আমি মানুষের জন্য কর্মী হিসাবে কাজ করতে চেয়েছি। আমি অন্য দলের কারও বিরুদ্ধেও কখনো খারাপ কথা বলিনি।
মন্তব্য করুন
গানবাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের কর্ণধার কৌশিক হাসান তাপসের স্ত্রী ফারজানা মুন্নি এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছিলেন, তাপসের সঙ্গে শবনম বুবলীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
তারপর অপু বিশ্বাসের সঙ্গে তার একটি কলরেকর্ডও ফাঁস। সে সময় শাকিব খান ছিলেন ‘দরদ’সিনেমার শুটিংয়ে দেশের বাইরে।
তাপস-বুবলী বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে শাকিব খান বলেন, কথাগুলো বলতে চাই না। মুন্নি ভাবিকে আমি যত স্ট্রং পারসোনালিটির মানুষ হিসেবে দেখেছি, তার মতো মানুষকে আমি এত অসহায়ভাবে আশা করিনি। আর এমন একটা মানুষকে নিয়ে কথা, যার সঙ্গে একটা সময় আমার সম্পর্ক ছিল। মুন্নি ভাবির অডিও আমি শুনেছি এবং আমাকেও যা বলেছেন, এটা আমি আশা করিনি।কখন কার রূপ যে মিডিয়াতে চেঞ্জ হয়, বলা যায় না। এটা আমার কোনো ম্যাটার না। এই ব্যাপারে আমি জড়াতেও চাই না।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময় বুবলি প্রসঙ্গ এড়িয়ে না গিয়ে মুখ খুললেন শাকিব খান।
তিনি বলেন, বুবলীর কোনো অস্তিত্ব আমার জীবনে নেই। যার সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই, তাকে নিয়ে অনধিকার চর্চা কেন করতে যাব।অনেকে হয়ত মনে করছে, আমার সঙ্গে তার (বুবলী) কিছু একটা সম্পর্ক আছে। শাকিবকে বললে হয়ত এর কোনো সলিউশন হবে। হয়ত কোনো হোপ নিয়ে বলেছে। কিন্তু আমি বলেছি, আমার লাইফে তো এই ভদ্রমহিলার কোনো অস্তিত্ব নাই। তার ব্যাপারে আমাকে বলে কোনো লাভ নাই।
এর আগেও অনেকের সঙ্গে বুবলী সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে জানান শাকিব। সেজন্য তাকে সাবধানও করেছিলেন তিনি। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে দোষ নিজের কাঁধেও নিয়েছেন বলে জানান এই অভিনেতা।
জীবনে অনেকবার মানুষ চিনতে ভুল করেছেন বলে জানান শাকিব। বিশেষ করে বুবলীকে তিনি চিনতে পারেননি।
শাকিব বলেন, তার তো এর আগেও অনেক স্ক্যান্ডাল শুনেছি। এই স্ক্যান্ডালটা তো তাপসের ওয়াইফ নিজে বললেন। আমি আসলে বরাবরই মানুষ চিনতে ভুল করেছি। বিশেষ করে দ্বিতীয়বার (বুবলীকে বিয়ে) আমি মানুষ চিনতে ভুল করেছি।
মন্তব্য করুন
বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে দারুণ সাড়া পান প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। সেই ছোট্ট দিঘী এখন পুরোদস্তুর নায়িকা। নায়িকা হিসেবে অভিষেক হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৪টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে দিঘীর। তবে আশানুরূপ আলোচনা বা ব্যবসা কোনোটাই এ নায়িকার কপালে জোটেনি। তবে বর্তমান সময়ে
দিঘী কী করছেন? ব্যস্ততা নিয়ে এ অভিনেত্রী
দিঘী বলেন, সত্যি কথা বলতে, বর্তমানে হাতে তেমন কোনো কাজ নেই। অনেকটাই ফ্রি সময় কাটাচ্ছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেক সময় পার করছি। বলা
যায় এক ধরনের অলস সময় পার করছি। ছোটবেলা থেকেই শুটিং করে আসছি। এখন লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন ছাড়া কীভাবে সময় কাটবে- বুঝতে পারছি না। এ ছাড়া চলতি মাসে আরও কিছু কাজ করার কথা রয়েছে। অনেকগুলো স্টেজ শোতে অংশ নেওয়ারও কথা। সেগুলোও একের পর এক বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া অচিরেই নতুন একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং করার কথা। যদি এটাও পিছিয়ে যায় হরতাল-অবরোধের কারণে- তাহলে বলেন কী করব! সবাই এখন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন।
মন্তব্য করুন