

বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রায় ৯০ জন অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সামুদ্রিক সীমান্তের কাছাকাছি ভেঙে ডুবে গেছে। প্রায় ৯০ জন করে যাত্রী বহনকারী ২ টি নৌকা নিখোঁজ রয়েছে। এ পর্যন্ত ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আর মিয়ানমারের এক নারী মৃত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
কেদাহ প্রদেশের পুলিশ প্রধান “আদজলি আবু শাহ” জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৩০০ যাত্রী বহনকারী একটি বড় জাহাজ থেকে আলাদা করা ৩ টি ছোট নৌকার একটি ছিল ডুবে যাওয়া নৌকা। মানবপাচারকারীরা মালয়েশিয়ার জলসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর পর যাত্রীদের ৩ ভাগে ভাগ করে ছোট নৌকায় তোলে। তিনি বলেন, ‘৩ দিন আগে সীমান্তের কাছে পৌঁছালে পাচারকারী চক্র যাত্রীদের ৩ টি ছোট নৌকায় ভাগ করে দেয়। প্রতিটি নৌকায় প্রায় ৯০ জন করে ছিলেন।’ ধারণা করা হচ্ছে, এই নৌকাগুলোর মধ্যে একটি ডুবে গেছে। অন্য ২ টি এখনো নিখোঁজ। আদজলি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া ৬ জনের মধ্যে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের নাগরিক রয়েছেন। তাদের মধ্যে কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থীও আছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে মিয়ানমারের ৩ জন পুরুষকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আরও ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়। তার মধ্যে ২’জন রোহিঙ্গা ও ১ জন বাংলাদেশি। এ ছাড়া সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় এক রোহিঙ্গা নারীর মৃতদেহও পাওয়া গেছে।’ জাতীয় দৈনিক হারিয়ান মেট্রো’কে তিনি আরও জানান, প্রত্যেক যাত্রী মালয়েশিয়ায় পৌঁছাতে প্রায় ১৩,০০০ রিঙ্গিত করে পাচারকারী চক্রকে দিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মূল জাহাজটি প্রায় এক মাস আগে ৩০০ জনকে নিয়ে রওনা হয়। এর মধ্যে মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা নাগরিক ছিলেন।’ তারা প্রত্যেকে প্রায় ১৩,০০০ রিঙ্গিত করে দিয়েছেন। কেউ কেউ এ টাকা জোগাড় করতে নিজেদের জমি পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। পুলিশ প্রধান আরও জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে মালয়েশিয়ান মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি এবং মেরিন পুলিশ ফোর্সের সহায়তায় সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে পাঁচটি কূটনৈতিক দলিলে স্বাক্ষর করা হয়েছে। এর
মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্র
রয়েছে।
শুক্রবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারাসহ প্রমুখ।
বৈঠকের আগে থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে
স্বাগত জানান। এরপর থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী
স্রেথা থাভিসিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব দলিলে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি,
পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্তবাণিজ্য
চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অব ইন্টেন্ট সই হয়।
দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানীর গভর্নমেন্ট হাউজে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসকল
তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ
পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক
বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি
বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান
জানান। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক
জোন করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ
আশ্রয় দিয়েছে। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে
বলে জানান ড. হাছান।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও
এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এ সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের
একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে
জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ)
৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সফর শেষে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা
রয়েছে।
মন্তব্য করুন


দাওয়াত না পেয়ে বরের ভগ্নিপতি
দলবল নিয়ে হামলা চালিয়েছে বিয়ের আসরে।
গতকাল বুধবার (৬ আগস্ট)
বিকেলে বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের এসকেবি কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- জমির উদ্দিন
(২৮) ও ফজল কাদের (৩৫)।
এদের মধ্যে জমির বরের ভাই
এবং ফজল কাদের বরের আরেক ভগ্নিপতি।
জানা যায়, সৌদি প্রবাসী
জসিম উদ্দিন দেশে ফিরে মাত্র ১০ দিনের মাথায় বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার
জেরে বোনকে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় তার ভগ্নিপতি রশিদ মিয়া দলবল নিয়ে বিয়ের আসরে হামলা
চালায়।
ভুক্তভোগী বর জসিম উদ্দিন
বলেন, বিদেশ যাওয়ার সময় বোনের স্বর্ণ বিক্রি করা টাকা ধার নিয়ে ছিলাম। পরে বিদেশ থেকে
টাকা পাঠিয়ে ঋণও শোধ করা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে আমার বোন ও ভগ্নিপতি।
দেশে এসে বিয়ের কথা শুনার পর থেকে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছিল। সেজন্য তাকে বিয়েতে
দাওয়াতও দেওয়া হয়নি। বিয়ের আসর থেকে বউ নিয়ে বের হওয়ার আগ মুহুর্তে আমার ভগ্নিপতি রশিদ
তার দলবল নিয়ে হামলা চালায়। এসময় নববধূর গলায় থাকা দুই ভরি ওজনের গলার হার, আংটি সহ
আমার মোবাইল ফোন, নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আমরা থানায় এসে লিখিত অভিযোগ
দিয়েছি। আশা করছি পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এ
বিষয়ে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, বিয়ের আসরে ঝামালে নিয়ে বর ও বরের স্বজনরা থানা
এসেছে। তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা/নীতিমালার বিষয়ে লার্নিং সেশন এর আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার কুমিল্লা জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে লার্নিং সেশন এর আয়োজন করা হয়।
উক্ত লার্নিং সেশনে উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সিজেএ সাউদ হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক।
লার্নিং সেশনের শুরুতে সভাপতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার বর্তমান ও অতীত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে অবহিত করেন। সিজিএম মাদক মামলার জব্দ তালিকা প্রস্তুত, সাক্ষী গ্রহণ ও স্বাক্ষ্য প্রদান এবং বিধিমালা/নীতিমালার বিষয়ে উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথিকে সম্মাননা স্মারক ও মাদকের ক্ষতিকর দিক লেখা সম্বলিত বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন


গাজীপুরের টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা (৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।
আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শাহিন আলম বলেন, গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) টঙ্গীর সাহারা মার্কেট এলাকায় একটি কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সময় টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। তার শরীরের প্রায় ১০০ ভাগ পুড়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ দুপুরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী এই যোদ্ধার মৃত্যুতে সহকর্মীসহ পুরো ফায়ার সার্ভিস পরিবার শোকাহত। তারা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
গতকাল একই ঘটনায় আরেক ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ মারা যান। তার শরীরেরও ১০০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। বর্তমানে একজন ৪২ শতাংশ ও আরেকজনের পাঁচ শতাংশ দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর নিবন্ধন এবং "শাপলা কলি" প্রতীক প্রাপ্তি উপলক্ষে কুমিল্লা নগরীতে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর পুলিশ লাইন মোড় থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়ে ফৌজদারী হয়ে কুমিল্লা জিলা স্কুলের সামনে শেষ হয়।
আনন্দ মিছিলটিতে অংশগ্রহণ করেন এনসিপি'র বিভিন্ন স্তরের নেতা–কর্মী, ছাত্র–জনতা ও সাধারণ জনগণ। এসময় বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।

নাভিদ নওরোজ শাহ বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির নিবন্ধন ও প্রতীক প্রাপ্তি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি জনগণের অধিকার রক্ষা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দেশব্যাপী উন্নয়নমূলক রাজনীতির ধারক হয়ে উঠবে। "শাপলা কলি" প্রতীক ঐক্য, শান্তি ও নবজাগরণের প্রতীক। দেশের তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতির ইতিবাচক ধারা ও নৈতিক নেতৃত্বে উদ্বুদ্ধ করাই এনসিপির প্রধান লক্ষ্য। এটি মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনও বয়ে আনবে।
মন্তব্য করুন


৮০২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে ইসির চিঠি
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে পাঠানো নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে সারাদেশে ২৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনার্থে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আর এ লক্ষ্যে ৩০০ নির্বাচনী এলাকায় ২৮ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা উল্লিখিত সংখ্যার কম-বেশি করতে পারবেন। এছাড়া প্রত্যেক জেলায়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন ১/২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োজিত রাখতে হবে। যাতে জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
চিঠিতে ইসি আরো জানিয়েছে, ভোট গ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণের ২ দিন পর পর্যন্ত অথবা কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবি বা অনুরূপ বাহিনীর প্রতি টিম বা প্লাটুনের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে। ওই সময় আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সংখ্যা হ্রাস করার প্রয়োজন হবে।
চিঠিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালনে উপরের বর্ণনা মোতাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসি।
মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ছাড়াও ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পর পর্যন্ত কিছু সংখ্যক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্বাচনী এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও নিয়োজিত করার প্রয়োজন হবে।
এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ধরনের বিষয়ে চিঠিতে ইসি জানায়, প্রতি উপজেলায় ১ জন, তবে ১৫টি ইউনিয়নের অধিক (পৌরসভাসহ) ইউনিয়ন বিশিষ্ট উপজেলায় ২ জন, জেলা সদরের এ ক্যাটাগরির পৌরসভায় ১ জন, তবে ৯ ওয়ার্ডের অধিক হলে ২ জন। আর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ১১, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫, চট্টগ্রাম সিটিতে ১০, খুলনা সিটিতে ৬, গাজীপুর সিটিতে ৪ এবং অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে ৩ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে হবে।
মন্তব্য করুন


সন্ধান মিলেছে এক ভয়ঙ্কর বৃক্ষনারীর কিন্তু এ নারীদেহের বেশির ভাগ অংশই গাছ দিয়ে তৈরি। জনশ্রুতি আছে ছাড়া পেলে নাকি জঙ্গলের মধ্যে দৌড়ে বেড়ায় এ অশরীরী ।
কানাডার লাব্রাডর এবং নিউফাউন্ডল্যান্ডের কাছে কোন্নে নদীর কাছে গ়ড়ে উঠেছে মিয়াওপুকেক ফার্স্ট নেশন রিজ়ার্ভ। আর এখানকার ঘন জঙ্গলের মধ্যেই খোঁজ মিলেছে ভয়ঙ্কর এ নারীরূপী গাছের।
নারীর দেহের সঙ্গে গাছটিকে আলাদা করা যাচ্ছে না। পা দুটিও যেন গাছেরই অংশ। কোমর, পেট থেকে গলা পর্যন্ত যেন গাছের মধ্যে ঢুকে রয়েছে। তবে নারীদেহটি মু্ণ্ডহীন। গাছটি সোজা দাঁড়িয়ে থাকলেও নারীর দেহটি বেঁকে গিয়ে বাঁদিকে হেলে রয়েছে। যেন গাছ থেকে নিজেকে আলাদা করার চেষ্টায় ছিলেন ওই নারী। মাথা আলাদা করতে পারলেও দেহের সর্বাংশ আটকে পড়েছে গাছের ভিতর। গাছের বাইরের দিকে মাথা বার করতে গিয়ে তা কাটা পড়েছে বলেও মনে করা হয়। জঙ্গলের ভিতর বহু দিন এই গাছ থাকলেও তা নজরে পড়ে ২০২২ সালে।
মিয়াওপুকেক রিজ়ার্ভে ঘন জঙ্গলের ভিতর এমন একটি গাছ রয়েছে যার বাকল, গুঁড়ি বেরিয়ে এমন আকার ধারণ করেছে এক নজরে যা দেখলে মনে হয় গাছটি কোনও নারীকে নিজের ভিতরে টেনে রাখার চেষ্টা করছে।
অনেক আগে মিয়াওপুকাক রিজ়ার্ভে ঘুরতে গিয়েছিলেন শেন ম্যাকডোনাল্ড এবং অ্যাডা জন নামে দুই পর্যটক। জঙ্গলের ভিতর হাইক করতে গিয়ে এই অদ্ভুত গাছ নজরে পড়ে তাঁদের। দেখামাত্রই অবাক হয়ে যান তাঁরা।
শেন এবং অ্যাডা দুজনেই তখন নারীর নকল মাথা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। শ্যাওলা দিয়ে নারীর চোখ, মুখও তৈরি করেন। মাথার সঙ্গে নকল চুল তৈরি করে গাছের সঙ্গে নকল মাথাটি লাগিয়ে দেন তাঁরা। এরপর গাছের ছবিটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন শেন এবং অ্যাডা। তারপরেই সমাজমাধ্যমে শুরু হয় ঝড়। আবার অনেকেই ভয় পেয়ে যান ,কেউ আবার অনেকে বিষয়টি নিয়ে মজা করতে শুরু করেন।
নেটব্যবহারকারীরা এক চরিত্রের সঙ্গে মুখের মিল খুঁজে পান ।‘দ্য ওয়াকিং ডেড’নামের এক জনপ্রিয় জ়ম্বি ধারাবাহিকের একটি চরিত্র আলফা। বিষয়টি নজরে পড়ে মিয়াওপুকেকের পর্যটন এবং সংস্কৃতি বিভাগের ডিরেক্টর কোলিন লাম্বার্টের। এরপরই কোলিন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন। কোলিন এক পুরনো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এই ধরনের গাছ যে জঙ্গলের ভিতর ছিল তা আমিও জানতাম না। কোলিন চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, জঙ্গলের ঠিক কোন জায়গায় গাছটি রয়েছে তা খুঁজে বার করতে হবে। গাছটি খুঁজে পেলে তার সামনে দাঁড়িয়ে একটি ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতে হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী হাইকারদের জন্য আকর্ষণীয় উপহারেরও বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।
কোলিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিযোগিতার আয়োজন অবশ্য ফলপ্রসূ হয়। গাছের সন্ধানের জন্য হাইকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সমাজমাধ্যমেও হাইকারদের তোলা ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এখন এই বৃক্ষনারীকে দেখতেই জঙ্গলে হাইক করছেন অনেকে।
মন্তব্য করুন


বন্যা দুর্গত অঞ্চলে ও কুমিল্লা মহানগরীর আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করে যাচ্ছেন বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু।
উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে, কুমিল্লা জিলা স্কুলের আশ্রয় কেন্দ্রে চাহিদা মত রান্না করা খাবার, শুকনো খাবার, মেডিসিন, ওরস্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় সকল সামগ্রী দিয়ে যাওয়ার কাজ করে যাচ্ছে বিবেক ।
কুমিল্লাতে এরই মধ্যে কুমিল্লা হাই স্কুল, সংরাইশ সালেহা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,ধর্মপুর মহিলা সরকারি কলেজর আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রত্যেকের চাহিদা অনুযায়ী উপহার সামগ্রী বন্টন করেছে আত্ম মানবতার সেবায় নিয়োজিত সংগঠন বিবেক ।
পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনেও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের কাজ করে আসছে সংগঠনটি ।
সহযোগিতা প্রদানের কাজ নিয়ে ইতিমধ্যেই ইউসুফ মোল্লা টিপু আশ্বস্ত করেছেন বন্য পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসন সহ অনেক উদ্যোগ বিবেক হাতে নিয়েছে যার কার্যক্রম কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে।
এখানে
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বিবেক সংগঠন থেকে যা কিছু করা হয় সেগুলোর আর্থিক অনুদান একমাত্র
বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু'র নিজ অর্থায়নে করা হয়।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল মাদ্রাসাতুস সাহাবা ও হাজী মর্জিনা মহিলা মাদ্রাসায় পবিত্র কুরআন শরীফ বিতরণ ও পানির মোটর প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার সামাজিক সংগঠন রেড রিলেশন যুব সমাজকল্যান সংস্থার উদোগে এসব কুরআন শরীফ বিতরণ করা হয়।
তাছাড়া এ সংগঠনের মাধ্যমে গরীব অসহায় মানুষকে আর্থিক সহায়তা,ঘর নির্মান,খাদ্য সহায়তা,বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয়,রক্তদান, অসুস্থ রোগীদের আর্থিক সহায়তা সহ নানান কর্মসূচী করে আসছেন। বিশেষ করে করোনার সময়ে প্রান্তিক পর্যায়ে অক্সিজেন সেবা,খাদ্য সহায়তা সহ বিভিন্ন সেবার কার্যক্রম করেছেন।
এসময় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হাজী আব্দুর নুর মজুমদার,অধ্যক্ষ মুফতী মাহাবুবুর রহমান মজুমদার,রেড রিলেশন যুব সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি আশরাফুল আলম রিজন পাটওয়ারী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় দুটি নতুন সেতু নির্মানে বদলে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন ও পালাখাল মডেল ইউনিয়নের মানুষের জীবনযাত্রার মানও বদলেছে। বিশেষ করে মেঘদাইর-নাংলা নতুন ব্রীজ ও সহদেবপুর মোড় এলাকায় নতুন বীজের পাশ্ববর্তী এলাকাবাসীরা খুশি। বৃদ্ধি পেয়েছে জীবনযাত্রার মান ও অর্থনীতির চিত্র।
জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ওই ইউনিয়নের মেঘদাইর-নাংলা ব্রীজ ও সহদেবপুর মোড় এলাকায় ব্রীজটি ছিলো অকেজো। ফলে দুই ইউনিয়নের যানবাহন চালক, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা চলাচলে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এলজিইডি’র আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এ দুটি ব্রীজ। ফলে বর্তমানে সেতু নির্মান করায় দীর্ঘদিনের চরম ভোগান্তির অবসান হয়েছে। পাল্টে গেছে দুটি ইউনিয়নের যোগাযোগের চিত্র। সেতু নির্মাণ হওয়ায় ভাগ্য বদলেছে দুই ইউনিয়নের মানুষের।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ব্রীজ দুটি চলাচলে অনুপযোগী ছিল। এতে করে সাধারন মানুষেরা খুবই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। সেতুটি নির্মানের ফলে যাতায়াতের সুবিধা হয়েছে বলেও জানান তারা।
যানবাহন চালকরা জানান, সেতুটি অকোজা হওয়ার ফলে যানবাহন চলাচল করতে আমাদের খুব ভোগান্তি পোহাতে হতো। সেতু নির্মানের ফলে এখন সহজেই বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে যাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ব্রীজ গুলো নষ্ট হওয়াতে আমরা বিদ্যালয়ে যেতে অনেক সময়ে হিমসিম পোহাতে হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলে কাদাযুক্ত কাপড় নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়েছে। ব্রীজ দুটি নির্মান হওয়ার পর থেকে আমরা খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারছি।
কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলিম লিটন বলেন, দুটি সেতু নির্মানের ফলে দুটি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে পালাখাল মডেল ও পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রামের স্থানীয়রা খুবই ভোগান্তিতে ছিলেন। দুটি ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট ভোগান্তি দুর হয়ে বদলে গেছে জীবনযাত্রা ও যোগাযোগের ব্যবস্থা।
মন্তব্য করুন