কুমিল্লায় অস্থিতিশীল পেঁয়াজের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালিয়েছে কুমিল্লা জেলার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার সকালে কুমিল্লা নগরীর নিউ মার্কেট, টমছমব্রিজ, রানীর বাজারে তদারকি অভিযান অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম।
অভিযানে এক মাংস ব্যবসায়ী ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করার কারণে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজকে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বলে জানান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম
মন্তব্য করুন
মোঃ মাসুদ রানা, কচুয়া:
সোনার বাংলাদেশ ও সমৃদ্ধিশালী সমাজ গঠনে জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চাঁদপুর জেলা শাখার সাবেক আমীর অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম পাটোয়ারী। তিনি বলেন, বিগতে সময়ে এ দেশের মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকার। আওয়ামী লীগের ইতিহাস চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসী ও লুটপাটের ইতিহাস। হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছে তারা। আজকে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর ইঁদুরের গর্ত খুজে পাচ্ছে না নেতাকর্মীরা। একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য সৎ ও নিষ্ঠাবান যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। তাই একটি আদর্শ দেশ ও সমৃদ্ধিশালী সমাজ গঠনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের সক্ষমতা রয়েছে । তিনি শনিবার বিকালে কচুয়া উপজেলা রহিমানগর বিএবি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে ১১নং গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামী কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
১১নং গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের আমীর মোঃ জাকির হোসেন পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হেলাল উদ্দিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,চাঁদপুর জেলা শাখার সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল,হাজীগঞ্জ আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী,কচুয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমীর এডভোকেট আবু তাহের মেসবাহ,নায়েবে আমীর মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম,সেক্রেটারী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী,বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মোঃ শাহাদাত হোসাইন,বাংলাদেশ মাজলিসুল মোফাচ্ছিরীনের চাঁদপুর জেলা শাখার সহ- সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার,কচুয়া উপজেলা সাবেক আমীর খন্দকার মাওলানা হারুন রশিদ,চাঁদপুর সোনালী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ফিরোজ মামুন সহ আরো অনেকে।
এসময় জামায়াত নেতা ডা. গোলাম সারোয়ার,মাওলানা মিজানুর রহমান সহ গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
১০ম
প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৪-২৫-এর চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন
হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুল। বৃষ্টি-বিঘ্নিত ফাইনালে টস জিতে
শিরোপা নিশ্চিত করে তারা।
বসুন্ধরা
ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এই ফাইনালে কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলের প্রতিপক্ষ ছিল
বগুড়া পুলিশ লাইন হাই স্কুল। তবে প্রবল বৃষ্টির কারণে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ম অনুযায়ী, টস জয়ী দলকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয় — সে হিসেবে
চ্যাম্পিয়নের মুকুট যায় কুমিল্লার ঘরে।
পুরস্কার
বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল
বাশার সুমন, হাসিবুল হোসেন শান্ত, মেহরাব হোসেন অপি, দিপু রায় চৌধুরী, গেম ডেভেলপমেন্ট
ম্যানেজার আবু ইমাম কাওসার, গেম ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ কামরুল হাসান এবং
জাতীয় দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ।
এই
আসরে কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুল দুর্দান্ত পারফর্ম করে জেলা পর্যায়ে ৪টি, বিভাগীয় রাউন্ডে
৩টি এবং ন্যাশনাল রাউন্ডে আরও ৩টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে জায়গা করে নেয়। সেমিফাইনালে তারা
পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়কে ১০২ রানে হারায়। ঐ ম্যাচে ব্যাট হাতে আফনান ইন্তেহাদ
১২০ বলে করেন দারুণ ১৪৪ রান। বল হাতে সেরা ছিলেন প্রান্ত দেবনাথ, যিনি ২৫ রান দিয়ে
শিকার করেন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
আসরের
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পুরস্কারও গেছে কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলের আফনান ইন্তেহাদের
হাতে।
চ্যাম্পিয়ন
দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন আইয়ুব হোসেন ইমন এবং ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন মোঃ
নেওয়াজ খান। দলের সার্বিক সাফল্যের পেছনে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং জেলা ক্রিকেট
কোচ হাবীব মোহাম্মদ মোবাল্লেগ জেমসের অবদানও ছিল অনস্বীকার্য।
উল্লেখ্য,
এর আগেও ২০১৯ সালে জাতীয় স্কুল ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কুমিল্লা হাই স্কুল। সেই
ধারাবাহিকতায় আবারও দেশের সেরা হওয়ার কৃতিত্ব দেখাল কুমিল্লার স্কুল ক্রিকেট।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
২০১৫ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রোল বোমা হামলা ও কাভার্ডভ্যানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হত্যাসহ তিনটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া তৎকালীন সরকারের করা মামলাগুলো রাজনৈতিক মামলা বিবেচনায় প্রত্যাহারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাকি আসামিদের মামলাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. কাইমুল হক রিংকু।
তিনি জানান, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় আট যাত্রী নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা করে পুলিশ। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ মামলায় বাদী ছিলেন চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান হাওলাদার। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই মামলার শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা প্রমাণ না হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক সফিকুল ইসলাম তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কারণ সে সময় বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় বালুর ট্রাক দ্বারা অবরুদ্ধ ছিলেন।
অপরদিকে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুর এলাকায় কাভার্ডভ্যান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নাশকতার মামলায়ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় আরও ১০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এ মামলারও বাদী চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার। এ মামলাতেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা না পাওয়া যাওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আফরোজা শিউলি তাকে অব্যাহতি দেন।
কাইমুল হক রিংকু আরও জানান, মামলা তিনটি বিগত আওয়ামী সরকারের সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা বিবেচনায় প্রত্যাহারের জন্য আইন মন্ত্রণালয় আবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয় সেই আবেদন গ্রহণ করে মামলা তিনটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এখন থেকে খালেদা জিয়া ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় কোনো মামলা নেই।
মন্তব্য করুন
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকার জাকির হোসেন রাব্বি ১৪ বছরে ২৮৬টি বিয়ে করার রেকর্ড গড়ে আলোচনার ঝড় তুলেছেন । তার গ্রামের বাড়ি এলাকায় একজন দানশীল ব্যক্তি নামে পরিচিত ছিলেন। আত্মীয়-স্বজনরা জানতো তিনটি বিয়ের খবর। প্রতিবেশিরাও এতোগুলা বিয়ের খবর শুনে চমকে উঠেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জাকিরের।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সরেজমিনে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৃত পনির হোসেন বেপারীর ছোট ছেলে জাকির হোসেন বেপারী এলাকায় একজন দানশীল ও মার্জিত স্বভাবের ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ঢাকায় গিয়ে নাম পরিবর্তন করে জাকির হোসেন বেপারীর স্থলে জাকির হোসেন রাব্বি হয়ে যায়।
জানা যায় তিনি ঢাকায় বড় কোম্পানিতে চাকরি করেন এবং উচ্চ শিক্ষিত বলে পরিচয় দিতেন। ঈদ ও শীতসহ বছরের বিভিন্ন সময় এলাকায় এসে খাদ্যসামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ করতেন। গ্রামের অভাবি মানুষজনকে অর্থ সহায়তাও করতেন। এভাবেই জাকির এক সময় গ্রামের মানুষদের প্রিয় মুখ হয়ে যান।
জাকিরের বহু বিবাহের খবর এলাকাবাসী এখনো অনেকেই জানেন না। পোশাক পরিধানে ফিটফাট থাকা জাকিরের ভিতরের মানুষটিকে কখনোই চিনতে ও জানতে পারেনি এলাকার মানুষজন, এমনকি আত্মীয়-স্বজনও। জাকিরের বহু বিবাহের আড়ালে ছিল অর্থ আয় করা। আর ওই অর্থ দিয়েই গ্রামে গড়ে তোলেন দু’চালা টিনের ঘর থেকে পাকা বাড়ি। বোনদের বিয়ে দেয় ভালো ঘর দেখে। সম্প্রতি বেশ জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করে ছোট বোনেরও বিয়ে দেন জাকির।
প্রায় ১৪ বছর আগে বাবা পনির হোসেন বেপারীর মৃত্যু হয়। আর ৫ বছর আগে মারা যান তার মা। ৪ ভাই ও ৬ বোনের মধ্যে জাকির ছিল সবার ছোট। বাবা ছিলেন কোর্টের মুহুরি। ৪ ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই মারা গেছেন। এক ভাই ঢাকায় গার্মেন্টের চাকরি করেন। আর এক ভাই গ্রামের বাজারে মুরগীর ব্যবসা করেন। টানাপোড়েন সংসার। এক সময় বাবার আয়েই চলতো পুরো সংসার। দুচালা টিনের ঘরে গাদাগাদি করে থাকতো তারা।বাবা মারা যাওয়ার পর পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া শোনা করা জাকির এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ঢাকা চলে যায়। এক পর শুরু হয় তার কৌশলী জীবনযাপন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে দেখতে সুর্দশন জাকির নিজেকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করে নারীদের আকৃষ্ট করে বিয়ে করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যেতেন। আবার নতুন স্থানে গিয়ে পরিচয় গোপন রাখে, আবারও বিয়ে করে। এভাবেই চলতে থাকে তার প্রতারণার গল্প।
অবশেষে ঢাকা মিরপুরের এক নারীর করা ধর্ষণ মামলায় গত ২০১৯ সালে জাকির হোসেন রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। সেই থেকে জেলেই ছিলেন আলিশান জীবনযাপন করা জাকির। পরে একাধিক নারীর করা মামলায় তাকে রিমান্ডে নিলে জবানবন্দিতে ১৪ বছরে ২৮৬টি বিয়ে করার কথা স্বীকার করেন তিনি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রচারিত হলে জাকিরের আসল পরিচয় প্রকাশ পায় ।
তবে জাকিরের প্রতিবেশী হিরন প্রামাণিক জানান, জাকিরকে আমরা গ্রামবাসী ভালো মানুষ হিসেবেই জানি। মাঝে মধ্যে এলাকায় এসে গরীব মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা করতো। এতোগুলা বিয়ের খবর আমরা বলতে পারি না।
জাকিরের এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মেহেরুল ইসলাম জানান, জাকির এতোগুলা বিয়ে করেছে, এটি অবিশ্বাস্য। এমন খবর জানা নেই। আমরা জাকিরের ৩টি বিয়ের খবর জানি।
এদিকে গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাকির অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে, সে সুস্থ হলে আবার তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর, ১৮ জানুয়ারি কারাগারে পুণরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তখন ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে আনা হয়। সেখানেই গত ২০ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জাকির।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরের সদরপুর থানা থেকে লুট করা
অস্ত্র নিয়ে তিন তরুণ টিকটক করছিলেন। টিকটক করার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় পলাশ
হোসেন (১৮) নামে এক তরুণের।
সোমবার (১২ আগস্ট) ভোর ৬টার দিকে ঢাকার
নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত ৬ আগস্ট গুলিবিদ্ধ
হন ওই তরুণ।
নিহত পলাশ সদরপুর উপজেলার আটরশি গ্রামের
মোশারফ হোসেনের বড় ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ আগস্ট
সকালে পলাশ তার বাবার হোটেলে কাজ করছিলেন। এ সময় তার দুই বন্ধু সদরপুর সরকারি কালেজের
একাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী পলাশকে হোটেল থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তারা আড়াই রশি
গ্রামে পলাশের নানা মোসলেম মাতুব্বরের বাড়িতে যান। ওই বাড়ির একটি কক্ষে তারা তিনজন
একত্রিত হয়ে গত ৫ আগস্ট সদরপুর থানা থেকে লুট করে নেওয়া একটি শর্টগান নিয়ে টিকটক ভিডিও
করার জন্য অস্ত্রটি একে অপরের মাথায় তাক করে অভিনয় করতে থাকেন। হঠাৎ শর্টগান থেকে গুলি
বের হয়ে তা পলাশের মাথায় লাগে। গুলির শব্দ এবং পলাশের চিৎকার শুনতে পেয়ে বাড়ির লোকজন
ছুটে যান সেই কক্ষে। সেখানে গিয়ে তারা রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পরে থাকতে দেখেন পলাশকে।
পলাশকে প্রথমে তারা আটরশি বিশ্ব জাকের
মঞ্জিল হাসপাতালে নেন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান
থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে
ফরিদপুর থেকে ঢাকা নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে
ছয় দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার ভোরে মারা যান পলাশ।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, পলাশকে
গুলি করা অস্ত্রটি সদরপুর থানা থেকে লুট হওয়া একটি শর্টগান। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের
দিন বিকেলে সদরপুর থানা থেকে ওই শর্টগান লুট করা হয়েছিল। অস্ত্রটি আটরশির একটি পরিত্যক্ত
ভবন থেকে উদ্ধার করে সদরপুরের আনসার বাহিনী এবং সেটি পরে ফরিদপুর সেনাবাহিনীর কাছে
হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার পর পলাশের ওই দুই বন্ধু ও তাদের
পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপন করায় এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
তবে নিহত পলাশের মা পারুলি আক্তারের
দাবি, সদরপুর থানা থেকে লুট করা অস্ত্র দিয়ে তার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
থানার কাজকর্ম শুরু না হওয়ায় তাৎক্ষণিক এ ব্যাপারে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
সদরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় পলাশের মা পারুলী আক্তার বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম
উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পলাশের মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের
জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত
করলে জানা যাবে, থানা থেকে লুট করে নেওয়া অস্ত্র দিয়ে বন্ধুরা টিকটক করতে গিয়ে গুলি
বের হয়ে পলাশ মারা গেছেন নাকি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৮ কেজি ৫শত গ্রাম গাঁজা ও ৩০১ বোতল ফেন্সিডিলসহ
দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
২৩ ডিসেম্বর রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে
আসামী ১। মোঃ সোহেল এবং ২। মোঃ আমির হোসেন নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৮.৫ কেজি গাঁজা, ৩০১ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে
ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা
হলো- ১। মোঃ সোহেল (২৬) লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানার চরমেহার গ্রামের আব্দুল মমিন এর
ছেলে এবং ২। মোঃ আমির হোসেন (৩১) নারায়নগঞ্জ জেলার সদর থানার সৈয়দপুর গ্রামের মোঃ রমজান
আলী এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে
মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকা থেকে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা মোঃ সাব্বির
হোসেন সহ ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২। এ সময় পাসপোর্ট,
পাসপোর্ট ডেলিভারী স্লীপ, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-২
এর একটি আভিযানিক দল সোমবার (২২ জানুয়ারী) সকালে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
নোয়াপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা সহ সর্বমোট
১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে। পাসপোর্ট দালাল চক্রের আসামীদেরকে কাছ থেকে ৪ টি
পাসপোর্ট, ৮৭ সেট ডেলিভারি স্লীপ, ১২ টি মোবাইল সেট ও নগদ ১২,৬০০ টাকা সহ পাসপোর্ট
সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীগণ হলোঃ-
১। মোঃ সাব্বির
হোসেন (২৪), পিতা-মোঃ নজরুল ইসলাম, সাং-হাড়াতলী, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
২। মোঃ সাফি মাহমুদ
(২৮), পিতা-মৃত মঈন উদ্দিন, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৩। মোঃ সুজন
(৪২), পিতা-মৃত ইদ্রিস মিয়া, সাং-ছোটরা, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৪। তানজিদ হাসান
(৩০), পিতা-তোফাজ্জল হোসেন, সাং-শিকারপুর, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
৫। মোঃ জয়নাল
আবেদীন (৫৩), পিতা-মৃত সুলতান মিয়া, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৬। মোঃ ইমরুল
হক (৩২), পিতা-মোঃ মঞ্জুরুল হক, সাং-মোনসেফ বাড়ী, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৭। মোঃ আলী (২৭),
পিতা-সুলতান আহমেদ, সাং-মোহনপুর, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা।
৮। মোঃ শাহাদাত
হোসেন প্রিন্স (২৮), পিতা-মোঃ দেলোয়ার হোসেন রোমান, সাং-নতুন চৌধুরী পাড়া, থানা-কোতয়ালী
মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৯। মোশারফ হোসেন
সাকিব (২০), পিতা-মৃত আব্দুল মতিন, সাং-শাসনগাছা, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১০। মোঃ রনি
(২৩), পিতা-মোঃ রুক মিয়া, সাং-শংকরপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১১। ফয়সাল আহমেদ
ইমন (২১), পিতা-বিল্লাল হোসেন, সাং-রাজাপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১২। জহির আহম্মেদ
(২৬), পিতা-খোরশেদ আলম, সাং-দক্ষিণ ধনপুর, থানা-লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
১৩। পারভেজ (২২),
পিতা-আবুল হোসেন, সাং-বরহাতুয়া, থানা-বরুড়া, জেলা-কুমিল্লা।
১৪। সিয়ামুল ইসলাম
সৈকত (২০), পিতা-আলাউদ্দিন, সাং-মানিকারচর, থানা-মেঘনা, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান,
তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার নাম করে ভুক্তভোগী লোকজনের নিকট থেকে
সরকার নির্ধারিত রেট এর অধিক বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে।
মূলতঃ তারা ৩টি গ্রুপে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার একটি গ্রুপ সাধারণ মানুষকে সহজভাবে
পাসপোর্ট তৈরী করার নাম করে বিভিন্ন এজেন্টের নিকট নিয়ে আসে। এই এজেন্টের গ্রুপ ভুক্তভোগীদের
অনলাইন আবেদন ও ব্যাংক ড্রাফট করে দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুতসময়ে পাসপোর্ট দিবে বলে ডেলিভারী
স্লীপ নিজেদের নিকট রেখে দেয়। অপর গ্রুপ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাসপোর্ট ডেলিভারী
করার নির্দিষ্ট তারিখ নিধারণ করে। এভাবেই তাদের কাছে টাকা জমা দিলে তারা বিভিন্নভাবে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জালিয়াতি মাধ্যমে প্রস্তুত করে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে পাসপোর্ট
অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করে আসছিল।
উক্ত
বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বড় ভাই আর ছোট ভাই ছিলেন বন্ধুর মতো।
কিন্তু তাদের বয়সের ব্যবধান ছিল পাঁচ বছরের। হঠাৎ জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান
বড় ভাই। কিন্তু ছোট ভাই সেই মৃত্যুর শোক সইতে পারলেন না। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে
মারা গেলেন ছোট ভাইও।
কোরবানির দিন গরু জবাই করার পর ছোট
ভাই সাখাওয়াত গরুর মাংস নিয়ে চলে যান বড় ভাইয়ের কবরের পাশে। কবরের পাশে বসে বসে
অশ্রুসিক্ত নয়নে বড় ভাইকে ডাকতে ডাকতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে স্থানীয়রা
উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১৮ জুন)
সন্ধ্যায় মারা যান ছোট ভাই সাখাওয়াত।
ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড
উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বগাচতর গ্রামের আব্দুল গাফফার চেয়ারম্যানের বাড়িতে।
মারা যাওয়া দুই ভাই হলেন, ওই এলাকার
মৃত নুরুল আফছারের বড় ভাই মোবারক হোসেন (৩৫) ও ছোট ভাই সাখাওয়াত হোসেন (৩০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর
বয়সের ব্যবধান বড় ভাই মোবারক হোসেন ও ছোট ভাই সাখাওয়াত হোসেনের। সম্পর্কে দুইজনই
ছিল বন্ধুর মতো। বড় ভাই মোবারক হোসেন হঠাৎ জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হন। অনেক চিকিৎসা
করিয়েও মুক্তি পাননি জন্ডিস থেকে। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর বড় ভাই মোবারক হোসেন গত
রবিবার (১৬ জুন) নিজ বাড়িতে মারা যান। ওই দিনই বড় ভাইয়ের দাফন শেষে শোকাবহ হৃদয়ে
ঘরে ফিরে যান ছোট ভাই সাখাওয়াত হোসেন। পরদিন মারা গেলেন তিনিও।
সৈয়দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত)
মমিনুল ইসলাম মামুন জানান, এটি খুবই হৃদয়বিদারক ঘটনা। তারা তিন ভাই। মোবারক ও সাখাওয়া
দুইজন ছিল বন্ধুর মতো। তাই বড় ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে এক দিনের ব্যবধানে
মারা গেল ছোট ভাইও। তারা দুইজনই বিবাহিত। মোবারক হোসেনের দুই বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
এলাকার মধ্যে তারা খুব নম্র-ভদ্র ও পরিচিত মুখ ছিল। তাদের এই মৃত্যুতে এলাকায় শোক বইছে।
মন্তব্য করুন
মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় অটোরিকশা চালক মো. সাব্বির হোসেন (১৮) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও ঘটনা জড়িত ৭জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, লুন্ঠিত অটোরিকশা ও চালকের ব্যবহত মোবাইল ফোন।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
গ্রেফতার আসামীরা হলেন-চাঁদপুর সদরের তরপুরচন্ডী এলাকার মো. জহির বাবলা (৪৫), মতলব দক্ষিন উপজেলার মো. আনিছুর রহমান (২৫), একই উপজেলার মো. রাজু বেপারী (২৫), মো. রাকিব (২৩) ও মো. আমির হোসেন হানজালা (২৫), নরসিংদী জেলার পলাশ থানার চরসিন্দুরের কবির হোসেন (৩৫) এবং দিনাজপুর জেলার কোতয়াালী থানার মতুল্লাপুর এলাকার হামিদুর রহমান (৪১)।
পুলিশ সুপার জানান, কচুয়া পালাখাল ইউনিয়নের ভুঁইয়ারা গ্রামের অটোরিকশা চালক মো. সাব্বির হোসেন গত ২৪ জানুয়ারি বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ী থেকে বের হন। এরপর রাতে বাড়ীতে ফিরেননি। পরদিন ২৫ জানুয়ারি তার মা জাহানারা বেগম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ওই দিন বিকেলে পুলিশ স্থানীয় সংবাদের ভিত্তিতে ওই ইউনিয়েনর সেঙ্গুয়া নামক স্থান থেকে হাত পা বাধা সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় চালকের মা জাহানারা বেগম ২৬ জানুয়ারি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি গ্রহনের পর কচুয়া থানা পুলিশ একটি চৌকস দল গঠন করে তদন্ত শুরু করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন রাজিবসহ দলটি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে আসামী হানজালাকে গ্রেফতার করেন। তার তথ্যের ভিত্তিতে ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদপুর ও নারায়নগঞ্জে অভিযান চালিয়ে বাকী আসামীদের গ্রেফতার করেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, অটোরিকশা চালক সাব্বির হত্যায় জড়িত ছিলেন ৯জন। এর মধ্যে ৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তারা অন্য কোন অপরাধে জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসামীদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার প্রায় শতাধিক পরিবারের মাঝে ধানের চারা, টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থেকে এসব বিতরণ করেন ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বুড়িচং উপজেলার ভরাসার বাজার সংলগ্ন দরগা বাড়ির সামনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮০ জন কৃষকের মাঝে বি আর ২২ ও কাটারিভোগ জাতের ধানের চারা বিতরণ করা হয়। একজনকে ৩০ শতাংশ পরিমাণ জমিতে ধান চাষ করার মতো ধানের চারা বিতরণ করা হয়। এছাড়া তাদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
পরে ইছাপুর ও বুড়িচং উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ঘর নির্মাণের জন্য বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৮টি পরিবারের মাঝে টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
উপজেলা এলাকায় খুঁজে খুঁজে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মাঝে ধানের চারা ও ঘর নির্মাণের জন্য টিন বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন