

সিলেটে বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের
সংখ্যা। জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৭টিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটির অবস্থা
ভয়াবহ।
ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে ভারতের
মেঘালয় ও আসামের পাহাড়ি এলাকায় টানা ভারি বৃষ্টিপাত হয়। ফলে সীমান্তের ওপার থেকে নেমে
আসা পাহাড়ী ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জে বন্যা
দেখা দেয়। সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, লোভা, ধলাই ও পিয়াইন নদীর বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ
ভেঙে ও উপচে পড়ে ওই পাঁচ উপজেলর বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার
থেকে কুশিয়ারা নদীর পানি ঢুকতে থাকে বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন স্থান দিয়ে।
ফলে এ দুই উপজেলাও বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল
হাসান শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “বন্যা পরিস্থিতি আপাতত কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে
আমরা সার্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। বন্যা কবলিতদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে
নিয়ে আসা হচ্ছে এবং বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ চলছে।”
পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো সিলেটের
নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, শুক্রবার সিলেটের গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার
নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি
বিপৎসীমার দুই মিটার ও কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী,
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিলেটের ৭ উপজেলার ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন বন্যাকবলিত হয়েছেন। এর
মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ জন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার
৩ ইউনিয়নের ৯৩ হাজার জন, কানাইঘাট উপজেলার ৯ ইউনিয়নের ৮০ হাজার ৬০০ জন, জৈন্তাপুরের
৩ ইউনিয়নের ৬৫ হাজার জন, জকিগঞ্জের ৮ ইউনিয়নের ৩৯ হাজার ৮৫২ জন, বিয়ানীবাজারের ৫ ইউনিয়নের
৫ হাজার ৫০০ জন ও গোলাপগঞ্জের ১ ইউনিয়নের ৩৫০০ জন পানিবন্দি হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত জেলার ১৩টি উপজেলার
মধ্যে ৭টি বন্যাকবলিত হলেও সবকটি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার
১৩টি উপজেলায় মোট ৫৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এতে
আশ্রয় নিয়েছেন ৪ হাজার ৮০২ জন।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত
জকিগঞ্জের ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৯৫ জন, জৈন্তাপুরের ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৭৫ জন,
গোয়াইনঘাটে ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৩৫৬ জন, কানাইঘাটে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৪৬৬ জন,
কোম্পানীগঞ্জে ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩৫ জন, বিয়ানীবাজারের ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬০ জন,
গোলাপগঞ্জের ৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৫ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় আশ্রয়কেন্দ্রের
সংখ্যা হ্রাস বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
মন্তব্য করুন


সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ পেয়েছেন
প্রশাসনের আলোচিত কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম। উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা সারওয়ার
আলম বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত
সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) তাকে সিলেটের
ডিসি নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আলোচিত
ছিলেন সারওয়ার আলম।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া (চাঁদপুর):
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ও পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের সুন্দরী খাল কচুরিপানায় পরিপূর্ণ হয়ে এখন তা এলাকাবাসীর দূর্ভেগের কারণ।
ওই দু’ইউনিয়নটিতে ছোট বড় মিলেয়ে প্রায়ই অনেক খাল রয়েছে। তন্মধ্যে সুন্দরী খাল অন্যতম। এই খাল দিয়ে আগে নিয়মিত পরস্কিার পানি ও নৌকা যাতায়াত করত। এই খাল গুলোতে এলাকাবাসী গোসল সহ নানান রকম কাজ কর্ম করতো। কালের বিবর্তনে সেই দৃশ্য হারিয়ে গেছে এখন আর চোখে পড়ে না।
খাল গুলোতে এখন কচুরিপানায় দখলে চলে গেছে। এর ফলে পানি দুষিত হয়ে নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ ছড়াচ্ছে। এছাড়া দুর্গন্ধে মানুষ বসবাস করতে পারে না।
জানা যায়, কচুয়া উপজেলার বক্সগঞ্জ হয়ে মালচোয়া গ্রামে অতিবাহিত হয়ে পাশ্ববর্তী মতলব উপজেলা সংযুক্ত রয়েছে। তাছাড়া কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ও পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে এ সুন্দরী খাল বয়ে গেছে। এই সুন্দরী খালের মাধ্যমে দুটি ইউনিয়নের ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের অভ্যন্তরে পানি প্রবেশ করায় কৃষক বিনা সেচে রবি শস্য অবাদ করত। আস্তে আস্তে কচুরিপানায় খালটিকে গ্রাস করে ফেলায় ছোট নৌকাও চলাচল করতে পারে না।
স্থানীয় অধিবাসী গোলাপ শাহ, মহিউদ্দিন ও তাজুল ইসলাম সহ একাধিক লোকজন জানায়, সুন্দরী খাল দুটি ইউনিয়নের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটির এখন কচুরিপানায় ভরা। সাপ-বিচ্ছু সহ নানা বিষধর পোকামাকড়ে আতংকিত থাকি সবসময়। এক সময় দুই ইউনিয়নের মানুষের জেলা ও উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এটি।
এ ব্যাপারে পশ্চিম সহদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই খাল গুলোতে কচুরিপানা পরিস্কারের জন্য সরকারি ভাবে কোন বরাদ্দ আসে না। এই খাল গুলোর কচুরিপানা পরিস্কারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উদ্যোগ গ্রহন করা হবে। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীকে সম্পৃক্ততা করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সুন্দরী খালের কচুরিপানা পরিস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে নিরাপত্তা বিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সদর উপজেলার ঈশ্বর পাঠশালার মহেশাঙ্গন প্রাঙ্গণে সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউএনও ফাতেমা তুজ জোহরা। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অধিনায়ক, ২৩ বীর। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল মালিক, র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর এডমিন ডিএডি মহসিন, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম, আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট রাশেদুজ্জামান এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের জেলার আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সাহা।
সভায় বক্তারা বলেন, সেনাবাহিনী এবং সনাতন ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সবসময় আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। এই সমন্বয় সভা সেই সম্পর্কেরই প্রতিফলন। পূজাকে কেন্দ্র করে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করাই সবার অঙ্গীকার।
নিরাপত্তা জোরদার ও পূজা নির্বিঘ্ন করতে মণ্ডপ এলাকায় ব্যাগ চেকিং ব্যবস্থা, সিসি ক্যামেরা সচল রাখা ও পর্যবেক্ষণ, দ্রুত যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ সক্রিয় রাখা, ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপ চিহ্নিতকরণ ও নজরদারি বাড়ানো, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা ও ব্যবহার নিশ্চিতকরণের কথা জানানো হয়।
মন্তব্য করুন


বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন থেকে পঞ্চগড়গামী আন্তঃনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগির ছাদে সাপ ওঠে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। আর তা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তাৎক্ষণিক সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণসহ ট্রেনের স্টাফকে অবগত করেন যাত্রীরা।
বুধবার (২৬ জুন) রাতে ট্রেনের ছাদে সাপ ওঠে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বুধবার সকাল ১১টায় সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেন দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস। এসময় কিসমত স্টেশন পার হলে ট্রেনের একটি বগির ছাদে সাপটির উপস্থিতি দেখতে পায় ট্রেনের যাত্রীরা। এর পর ট্রেনে দায়িত্বরতদের অবগত করে। ট্রেনটি রাত ১১টার সময় পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে রাতেই ট্রেনের স্টাফসহ স্টেশন সংশ্লিষ্টরা খোঁজাখুঁজি করলে সাপটির উপস্থিতি পায়নি।
ট্রেনের এফ এ এস ডি এ পাওয়ার কার ড্রাইভার শাহিনুর ইসলাম জানান, সাপটি পাওয়ার কারের ইঞ্জিনের বগির উপর ছিল। যেই বগির উপর দেখা গিয়েছে সেই বগি আমাদের সান্তাহার ডগেই ছিল। কিন্তু আমরা রাতে কোনো কিছু দেখতে পাইনি।
স্টেশনের গ্রেড ফোর স্টেশন মাস্টার নিরঞ্জন রায় জানান, চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপটিকে দেখেতে পেয়ে ভিডিও করে আমাদের পাঠিয়েছে। একপর্যায়ে ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছালে আমরা তল্লাশি চালাই। কিন্তু সাপটিকে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন


চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মাছ ঘাট এলাকা থেকে ২২০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করেছে চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ড।
রোববার (৭ জুলাই) সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ড এর যৌথ অভিযানে বড় স্টেশন মাছ ঘাট থেকে এসব জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয়।
এসব তথ্য জানান, অভিযানে অংশ নেওয়া চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম।
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উপজেলা মৎস্য দপ্তর ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের যৌথ অভিযানে বড় স্টেশন মাছ ঘাট থেকে ২২০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয়। এবং জেলিযুক্ত চিংড়ি মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়। চিংড়ির মালিকানা কেউ দাবি না করায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযানেউপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী মো. জামিল হোসেন, কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনের চিফ পেটি অফিসার এম. শফিকুল ইসলামসহ কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
মন্তব্য করুন


মেহেরপুরের চকশ্যামনগর এলাকা থেকে ১৩২ বোতল ফেনসিডিলসহ দুইজনকে আটক করেছে র্যাব।
শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোরে
মেহেরপুরের গাংনী র্যাব ক্যাম্পের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হচ্ছেন- সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামের শামসুল হুদার স্ত্রী সুজান বেগম (৫৫) ও মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে লিজন মিয়া (১৯)। সম্পর্কে তারা দুজন নানি-নাতি।
র্যাব-১২ গাংনী ক্যাম্প কমান্ডার এএসপি মনিরুজ্জামান জানান, চকশ্যামনগরের শামসুল হুদার বাড়িতে মাদক কেনা-বেচা হচ্ছে মর্মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি টিম অভিযান চালায়। এ সময় ১৩২ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া গেলে সুজান বেগম ও লিজন মিয়া নামের দুজনকে আটক করা হয়। আটকরা দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক কারবার করছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে খিচুড়ি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আল-আমিনকে হত্যার দায়ে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা: ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন: কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন শালধর (সামারচর) গ্রামের মোঃ মোসলেম সরদারের ছেলে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮)।
মামলার বিবরণে জানাযায়, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মাগরিবের নামাজের শেষে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ভিকটিম আল-আমিন (৯) মাহফিলের কথা বলে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর পিতাসহ আত্মীয় স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে পরদিন কোতয়ালী মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে পরেরদিন শালধরের জৈনক দেলোয়ার হোসেন এর বাগানের পাশে পুকুরে ছোট শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে শোর চিৎকার করে মোঃ আল আমিন এর পিতা। আল-আমিন এর মরদেহ পুকুর থেকে উপরে তুলে দেখেন আল-আমিনের ঘাড়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ব্যাপারে ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ভিকটিম মোঃ আল আমিন এর পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন শালধর গ্রামের মৃত মালু মিয়ার ছেলে মোঃ ফয়েজ আহমেদ ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সারওয়ার আলম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮) ও মোঃ শাহ জাহানকে আটক করে।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসলে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০১ ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী এপিপি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আশা করছি উচ্চ আদালত উক্ত রায় বহাল রাখবেন।
মন্তব্য করুন


৭ই
নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লায়
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।
আজ
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা টাউন হলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির
উদ্যোগে এই কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ - ড্যাব কুমিল্লার সদস্যবৃন্দ। সকাল থেকেই চিকিৎসা
সেবার বুথ থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে আসেন শত শত মানুষ। পাশাপাশি তাদের বিনামূল্যে
ঔষধ প্রদান করা হয়। কুমিল্লা মহানগর বিএনপির
সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু ও বিএনপি নেতা নিজামুদ্দিন কায়সার অনুষ্ঠানের সূচনা
করেন।
ফ্রি
মেডিকেল ক্যাম্পে সাধারণ মানুষ ডায়বেটিস, চর্ম, নাক, কান, গলাসহ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায়
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারছেন। সকাল থেকে কুমিল্লা টাউন হলে বিভিন্ন শ্রেণী
পেশার ও নানান বয়সের মানুষ ভিড় করে চিকিৎসা সেবা নেন।
মহানগর
বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন,
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লায় ফ্রি
মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। চাহিদা সম্পন্নরা কুমিল্লা টাউন হল মাঠের চিকিৎসা
সেবা বুথ থেকে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে বিনামূল্যে সেবা পেতে পারবেন। এই কর্মসূচিতে ড্যাব কুমিল্লা শাখার চিকিৎসকরা ছাড়াও
অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ অংশ নিচ্ছেন।
বিএনপি
নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, আমরা চেষ্টা
করছি সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে। যে কারণে কেন্দ্রীয়
কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লাতেও চালু হয়েছে। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও মহানগর
বিএনপির উদ্যোগে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
জানা
গেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপি'র ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা
বিএনপির আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন এই কার্যক্রমের সম্পূর্ণ তত্ত্বাবধান করছেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার রসুলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৯৫ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় আতশবাজি জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বুধবার (৩০ জুলাই) ভোররাতে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)-এর একটি বিশেষ টহল দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, অত্র ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক এর নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত টহল ও চোরাচালানবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে সীমান্ত পিলার ২০৮০/এম হতে প্রায় ৭ কিলোমিটার অভ্যন্তরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার রসুলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আতশবাজি জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত বাজির সংখ্যা ৪,৭৫,৮৪০ পিস, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৯৫,৬৭,২০০ টাকা। বাজিগুলো বিভিন্ন প্রকার ও আকারের ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বিজিবি আরও জানিয়েছে, আটককৃত মালামাল যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ায় কুমিল্লা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বিজিবি কর্মকর্তা বলেন, “দেশীয় বাজারে অবৈধ ভারতীয় পণ্য প্রবেশ রোধে সীমান্ত এলাকায় আমাদের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান আরও জোরদার করা হবে।”
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের
কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে নগরীর শাসনগাছা এলাকায় অবস্থিত বাদশা মিয়ার বাজারে
নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) উক্ত অভিযানে
২টি দোকানকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং প্রায় ২০১ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং
ব্যাগ জব্দ করা হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন, কুমিল্লা জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শ্রী রতন কুমার দত্ত। কোর্টে প্রসিকিউশন প্রদান
করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক চন্দন বিশ্বাস এবং পরিদর্শক
জোবায়ের হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ রায়হান মোর্শেদ, নমুনা সংগ্রহকারী মোঃ মোবারক হোসেন এবং জেলা পুলিশ সদস্যরা।
মন্তব্য করুন