অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ব্যাংক বন্ধ করবে না । তিনি বলেন, কিছু ব্যাংক ভালো অবস্থায় ফিরে আসছে এবং কিছু ব্যাংক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলবে।
তবে বন্ধ হবে না কোনো ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের মাল্টি পারপাস হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু ব্যাংক ফিরে আসছে। ইসলামী ব্যাংক বিগেস্ট ব্যাংক। এটি ভালোর দিকে যাচ্ছে। তবে কিছু ব্যাংক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলবে। আমরা কোনো ব্যাংক বন্ধ করব না।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজেটের ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি কর্মকর্তা যারা আছেন, তাদের বেতন-ভাতা আটকাবে না। এডিপিতে কোন কোন প্রকল্প অপ্রয়োজনীয় এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মন্তব্য করুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে ৭৪৩ টন পেঁয়াজ এসেছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর ২০২৩ইং) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৭ ট্রাকে ৭৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ স্থলবন্দরে প্রবেশ করে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর ২০২৩ইং) ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ৭ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
শনিবার রাতে সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাঈনুল ইসলাম বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে। তবে এ ঘোষণার আগে যেসব পেঁয়াজের এলসি করা ছিল, সেগুলো এখন পর্যায়ক্রমে স্থলবন্দরে প্রবেশ করছে।
তিনি আরও জানান, শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২৭টি ট্রাকে ৭৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ স্থলবন্দরে এসেছে। তবে আর কতদিন এভাবে পেঁয়াজ আসবে, তা জানি না।
মন্তব্য করুন
ঈদ উপলক্ষে কুমিল্লা বিসিকে (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন) উৎপাদিত সেমাই বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, মুন্সীগঞ্জ, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুরসহ ২০-২২টি জেলায় যাচ্ছে।
সূত্রমতে, কুমিল্লা বিসিকের পাঁচটি কারখানায় সেমাই উৎপাদন করা হয়। সেগুলো হচ্ছে কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিল, রিয়াজ ফ্লাওয়ার মিল,মেট্রো কনফেকশনারি, খন্দকার ফুড ও মক্কা কনজুমার এন্ড ফুড প্রোডাক্টস। বিসিক ছাড়া কুমিল্লা আদর্শ সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় সেমাই উৎপাদন হয়ে থাকে। কারখানা গুলোতে বাংলা ও লাচ্ছা নামে দুই ধরনের সেমাই তৈরি করা হয়।
কুমিল্লা বিসিকের কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলে গিয়ে দেখা গেছে, মেশিনে গর গর শব্দে বাংলা সেমাই উৎপাদন করা হচ্ছে। সেই সেমাই ছাদে শুকানো হচ্ছে। শুকানোর পর সেটা উনুনে ভাজা হয়। ঈদ বাজারের চাহিদা মেটাতে দ্রুত প্যাকেটজাত করছেন শ্রমিকরা। ঘণ্টায় একজন শ্রমিক দুই থেকে আড়াইশ’ প্যাকেট করছেন। কেউ প্যাাকেট, কেউ ওজন, কেউ মুখ লাগানোর কাজ করছেন। কেউ কার্টনে সেমাই ভরছেন।
কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলের সেমাই কারখানার সুপারভাইজার মো. মহসীন, শ্রমিক ফজলে রাব্বী ও হালিমা আক্তার বলেছেন, ঈদের অল্প কয়েকদিন বাকি। এখন বাজারে সেমাইয়ের চাহিদা রয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে দ্রুত কাজ করতে হচ্ছে।
নগরীর কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ী টিপু সুলতান বলেছেন, কুমিল্লা বিসিকে উৎপাদিত সেমাইয়ের সুনাম রয়েছে। তাই স্থানীয় বাজারে এর চাহিদাও ভালো।
কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলের পরিচালক সৈয়দ গোলাম কাদের তানিন বলেছেন, আমরা ৩ দশক ধরে মান সম্মত উপায়ে সেমাই তৈরি করি। এখানে সেমাই তৈরিতে কৃত্রিম কিছু ব্যবহার করা হয় না। আমাদের সেমাই বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বেশি বিক্রি হয়। বাংলা সেমাই আল-নূর, কুলসুম নামে এবং লাচ্ছা সেমাই তানিন নামে বাজারজাত করি। চরাঞ্চলে বাংলা সেমাইয়ের চাহিদা বেশি।
বিসিক কুমিল্লার ডিজিএম মো. মুনতাসির মামুন বলেছেন, কুমিল্লা বিসিকের খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনে সুনাম রয়েছে। তার একটি সেমাই। এখানে উৎপাদিত সেমাই ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। এখানের সেমাই মান সম্মত। মান রক্ষায় আমরা নিয়মিত কারখানা পরিদর্শন করি।
মন্তব্য করুন
দেশের ইতিহাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আজ নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও
খনিজ
সম্পদ
মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য
কর্মকর্তা মীর
মোহাম্মদ আসলাম
উদ্দিন
সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, আজ সোমবার (২২
এপ্রিল)
রাত
৯টায়
১৬
হাজার
২৩৩
মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের এ
রেকর্ড
হয়।
আজকের দিনের এর
আগে পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড
ছিল
গতকাল
রবিবার
১৫
হাজার
৬৬৬
মেগাওয়াট।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা
হয়, দেশের ইতিহাসে
বিদ্যুৎ উৎপাদনে
রেকর্ড হয়েছে। এ
সময় ১৬ হাজার
২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে
দেশব্যাপী চলছে
তীব্র দাবদাহ। জনজীবনে
স্বস্তি বজায়
রাখতে এই মুহূর্তে
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ
উৎপাদনে আন্তরিকভাবে
কাজ করে যাচ্ছে
বিদ্যুৎ বিভাগ।
মন্তব্য করুন
প্রায় দেড় যুগ ধরে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামের নারীদের হাতে তৈরি টুপি মধ্য প্রাচ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। বাহারি রঙের সুতা আর রেশমার উপরে আঁকা বিভিন্ন নকশাকৃত বানানো টুপির চাহিদা বেড়েই চলছে। এই টুপি তৈরি করে এখানকার হাজারো নারীদের হয়েছে কর্মসংস্থান, সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা। তবে এমন আয় আর সুনামের গল্পের পিছনে মুল নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমকে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা পথ। বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করায় নারীদের আইকন হিসেবে পরিচিত তিনি। মোর্শেদা বেগম কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার পাতিলাপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিপুণ হস্ত শিল্প সম্ভার নামে টুপি তৈরির প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি।
জানা গেছে মোর্শেদা বেগম যখন দশম শ্রেণির ছাত্রী, তখন তার বিয়ে হয়। সংসারে অভাব থাকায় ১৯৯৫ সালে বিয়ের পর স্বামী জাবেদ আলীর সঙ্গে চলে যান টাঙ্গাইলে।সেখানে একটি টাওয়াল ফ্যাক্টরিতে কাজ নেন। ভাড়া বাসার পাশে পরিচয় হয় প্রতিবেশি কমলা বেগমের সাথে। কমলা বেগমের টুপি তৈরির কাজ দেখে দেখে রপ্ত করেন কলা-কৌশল। দিনে ফ্যাক্টরির কাজ আর রাতে টুপি বানানো শুরু করে প্রথম টুপি তৈরি করে মজুরি পান ৩৫০ টাকা। পরে তার নিখুঁত কাজ দেখে মুগ্ধ হন এক বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা। প্রথম অর্ডারে ৫০টি টুপি তৈরি করে পেয়েছিলেন ১৭ হাজার টাকা। এরপর ২০০৪সালে মোর্শেদা বেগম নিজ গ্রামে ফিরে আসেন।প্রথমে এলাকার ৭ জন নারীকে নিয়ে শুরু করেন দারিদ্র্য জয়ের সংগ্রাম।তার হাতে বানানো টুপি ২০০৮সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি হচ্ছে। হাতে বানানো টুপি তৈরি করে এখন স্বাবলম্বী মোর্শেদা। তার সফলতার গল্প শুনে দলে দলে অনান্য নারীরা টুপি বানানো কাজে ছুটে আসেন। বর্তমানে তার সাথে প্রায় ৫ হাজার নারী কাজ করছেন।মোর্শেদা বেগম নিজ গ্রাম পাতিলাপুরের নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন নাই আশপাশে প্রায় ৪০-৫০ টি গ্রামের নারীদের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।বিভিন্ন বয়সী নারী পাশাপাশি পুরুষরাও এ কাজ করে সংসারের আয় যোগাচ্ছেন ।
মোর্শেদা জানান, ফেনীর দুজন ব্যবসায়ীর কাছে তিনি তৈরি করা টুপি বিক্রি করেন। আর এই টুপি মধ্যপ্রাচ্যের বাহারাইন, সৌদি আরব,দুবাইয়ে বিক্রি হয়। ওই ব্যবসায়ীরা তার কাছে রেশমা সরবরাহ করেন। এরপর তিনি নারীদের সঙ্গে নিয়ে স্রেফ সুঁই সুতা দিয়ে তৈরি করেন নানা ধরনের নকশাখচিত টুপি।টুপি তৈরির দেখভাল করতে বিভিন্ন গ্রামে বেতনভুক্ত প্রায় ১৫ জন সুপার ভাইজার রেখেছেন। হাতে বানানো প্রকার ভেদে প্রতিটি টুপি তৈরির জন্য নারীরা পারিশ্রমিক পান ৮০০/১৬০০ টাকা। এতে সুই সুতার খরচ দেড়শ টাকা। প্রতি টুপিতে তিনি কমিশন পান ৭০/৯০ টাকা। প্রতি মাসে ৮/১০ হাজার টুপি বিক্রি করেন তিনি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নিপুণ হস্ত সম্ভারের টুপি তৈরির পরিধি আরো বাড়াতে পারবেন বলে জানান তিনি।পাতিলাপুর গ্রামের হাওয়া বেগম জানান,চার বছর আগে মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে টুপি তৈরির কাজ শুরু করেন।এখন তার আর অভাব নেই। সংসারের স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি টুপি তৈরি করে ভালো আয় করছেন তিনি।অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তা খাতুন বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি আমি মোর্শেদা আন্টির টুপি তৈরির কাজ করি।এখান থেকে যা উপার্জন করি।লেখাপড়ার খরচ মিটিয়ে বাবাকে সহযোগিতা করতে পারি। শুধু আমি না আমার মত বিভিন্ন বয়সের নারীরা এখানে কাজ করে ভালো টাকা পাচ্ছেন।
সাত দরগাহ গ্রামের মৌসুমি বলেন, সারা বছর আমরা টুপি তৈরির কাজ করি।বিশেষ করে রমজান মাস ও কোরবানি ঈদের সময় টুপির চাহিদা বেশি থাকে।এসময় টুপি বানিয়ে জন প্রতি ৮/১০হাজার টাকা পাই। কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে খুব সুন্দর ঈদ কাটাতে পারছি।
কুড়িগ্রাম বিসিক এর উপ ব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ জোনায়েদ বলেন,পাতিলাপুর গ্রামের নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমের টুপি মধ্য প্রাচ যাচ্ছে এটি কুড়িগ্রাম জেলার জন্য ভালো খবর।হাজার হাজার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন তিনি। সরকারি কোন প্রশিক্ষণ, আর্থিক ঋন অথবা তৈরি টুপির বাজারজাত করণে কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে কুড়িগ্রাম বিসিক শিল্প মোর্শেদা বেগমকে সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি ।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন
মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম
সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার কোনো উন্নয়ন কাজ বন্ধ করেনি, করবেও না।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুইদিনের
বিশেষ সফরে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি একথা বলেন।
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন,
অনেকেই মনে করেছিলেন কী না কী হয়, প্রকল্পগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে আমরা কোনো কাজ
বন্ধ করিনি। অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো প্রকল্প গ্রহণ করবে না। বাংলাদেশ সরকার বিদেশ থেকে যেসব পণ্য
আমদানি করে, তার মধ্যে থেকে ২০-৩০ শতাংশ পায়রা বন্দরের মাধ্যমে করা যায় কি না, সে বিষয়ে
পদক্ষেপ নিতে হবে। তা করতে পারলে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের চাপ কমবে। পায়রা সমুদ্র
বন্দরে যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে, সেগুলো নিজস্ব গতিতেই চলবে। এছাড়া বন্দরের সার্বিক
উন্নয়ন এবং অগ্রগতির বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ রেলওয়ে কোটা সংস্কার
আন্দোলনকে ঘিরে চলমান পরিস্থিতিতে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ট্রেন চলাচল
বন্ধ রেখেছে ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে
বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি গণমাধ্যমকে
নিশ্চিত করে বলেছে, চলমান পরিস্থিতিতে এ অবস্থায় যারা অগ্রিম টিকিট কিনেছেন তাদের টাকা
ফেরত দিচ্ছে প্রতিষ্ঠান।
গত ১৮ জুলাই রাজধানীর নাখালপাড়া
রেলগেট এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীরা রেললাইনের ওপর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করলে জননিরাপত্তার
স্বার্থে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমও জানান, ট্রেন না চলার কারণে টিকিট রিফান্ড করতে হচ্ছে।
এটা সবচেয়ে বড় ক্ষতি। এখন পর্যন্ত ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার বেশি টিকিট রিফান্ড করা হয়েছে
যাত্রীদের। এ ছাড়া পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মিলিয়ে রেলওয়ের মোট ক্ষতি হয়েছে ২২ কোটি
৩ লাখ ৮ হাজার টাকা।
এদিকে গত ১৯ তারিখ থেকে সারা
দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওইদিন থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত ট্রেনের
টিকিটের টাকা যাত্রীদের রিফান্ড করা হচ্ছে।
তরে যাদের টিকিট অনলাইন থেকে
কেনা হয়েছে, তাদের অনলাইনে এবং যারা কাউন্টার থেকে কিনেছেন, তাদের কাউন্টারের মাধ্যমে
টিকিটের বিপরীতে টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
আর এই সম্পূর্ণএই সময়ের মধ্যে
যেসব আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে, সেসব ট্রেনের টিকিটের টাকা আন্তঃদেশীর কাউন্টার
থেকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
উত্তরাঞ্চলের বড় বড় হাট-বাজারগুলোয় ধান-চালের দাম কমতে শুরু করেছে । তার মধ্যে জাত ও মানভেদে ধানের দাম মণে কমেছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া চালের দাম মণে কমেছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় বাজার বগুড়ার নন্দীগ্রামের রণবাঘা হাট। গতকাল শুক্রবার হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ করে চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা অর্থাৎ মণে ৮০-১২০ টাকা কমে যায়। এর প্রভাব পড়ে ধানের দামে। জাত ও মানভেদে ধানের দাম মণে কমেছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা। ধানের দাম কমে যাওয়ায় গতকাল ওই হাটে যেমন কম ছিল পাইকারি ক্রেতা, তেমনি কম ছিলেন ক্ষুদ্র চাষিরা।
কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, প্রশাসনিক উদ্যোগের পাশাপাশি অটোরাইচ মিলগুলো হঠাৎ ধান কেনা বন্ধ করে দেওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
পাইকারি ক্রেতারা জানান গত সপ্তাহে এই হাট থেকে ৯০ জাতের চিকন ধান কিনেছিলেন ২ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। এখন একই মানের ধানের দাম কমে হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ টাকা। অর্থাৎ মণে কমেছে ৩৫০ টাকা।
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় ধান উৎপাদনকারী এলাকা নাটোরের সিংড়া উপজেলা। ধান নিয়ে রণবাঘা হাটে এসে ক্ষুদ্র চাষিরা নজরুল ইসলাম প্রতিমণ ধান ১ হাজার ৩১০ টাকা দরে বিক্রি করেন। গত সপ্তাহে তিনি এ হাটেই একই জাতের ধান বিক্রি করেছেন ১ হাজার ৩৬০ টাকা দরে। বাজারে চালের দাম কমে যাওয়ায় পড়ে গেছে ধানের দর। তাদের আশঙ্কা ধানের দাম আরও কমবে।
এদিকে গতকাল দিনাজপুরের বির উপজেলার ওরিয়েন্টাল এগ্রো নামে এক প্রতিষ্ঠানের গুদামে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। তাদের গুদামে জব্দ করা হয় ৬৫ কেজি ওজনের ৫ হাজার বস্তা ধান।
জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন জানান, অবৈধ ভাবে মজুত করায় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দিনাজপুরে ধানের দাম কমেছে মণে মান ও জাতভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
বগুড়ায় নন্দীগ্রামে মায়ামানির অটো রাইস মিল মালিক মিজানুর রহমান জানান, প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ায় বাজারে ধানের দাম কমেছে। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
পবিত্র রমজান মাস প্রায় শেষ। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মুসলিমদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর।
প্রতি বছর এই সময়টায় কলকাতায় বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায়, বিশেষ করে বাংলাদেশিদের। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। ঈদের ছুটিতে পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণে এসেছেন বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি। কিন্তু তাদের জন্য এবার নতুন বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়িয়েছে টাকা-রুপির বিনিময় মূল্য।
ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে সীমান্তে দীর্ঘ লাইন ছাড়াও ভিসা পেতে বিলম্বসহ নানা হয়রানির অভিযোগ করে থাকেন পর্যটকরা। এর সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে মানি এক্সচেঞ্জের সমস্যাও।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় রুপির বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান ব্যাপকভাবে কমে গেছে। ফলে আগের তুলনায় বেশি টাকা খরচ হচ্ছে পর্যটকদের। যদিও কেউ কেউ বলছেন, বাংলাদেশি টাকার পরিবর্তে মার্কিন ডলার নিয়ে গেলেই লাভ হচ্ছে।
আগের চেয়ে কলকাতায় বেড়েছে বাংলাদেশি পর্যটকদের সংখ্যা। তবে সেই সঙ্গে বেড়েছে নানা কাজে আসা বাংলাদেশিদের মুদ্রা বিনিময়ে চরম প্রতারিত হওয়ার অভিযোগও ।
শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত কলকাতার মার্কুইজ স্ট্রিটে ১০০ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশিরা পাচ্ছেন ৬৮ অথবা ৬৯ রুপি। আবার একই দিন পেট্রাপোল সীমান্তে মুদ্রা বিনিময় করে পাওয়া যাচ্ছে ৭০ থেকে ৭১ রুপিও।
শুধু তাই নয়, কলকাতার মানি এক্সচেঞ্জের দোকানগুলোতে সকাল, বিকেল এবং সন্ধ্যায় দামের বড় ধরনের ব্যবধানের অভিযোগও উঠেছে। কোথাও আবার মানি এক্সচেঞ্জ করা যাবে না বলেও জানানো হয়।
চিকিৎসা, কেনাকাটা, ঘুরতে এবং পড়াশোনার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার বাংলাদেশি পর্যটককে ভারতে আসতে হয়। আর তাদের পুরো পরিকল্পনা সাজাতে হয় মুদ্রা বিনিয়মের হারের ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে বসে এক পরিকল্পনা করে কলকাতায় পৌঁছে টাকার মানের জন্য বদলাতে হচ্ছে আগের পরিকল্পনা। এতে যেমন ভোগান্তিতে বাংলাদেশি পর্যটকরা, তেমন বিষয়টি নিয়ে বিব্রত কলকাতার মুদ্রা বিনিময় ব্যবসায়ীরাও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরে এই সময়ে টাকার বিপরীতে বেসরকারিভাবে রুপি পাওয়া যেতো ৭৫ থেকে ৭৭ রুপি। তবে এ বছর রুপির বিপরীতে বেসরকারিভাবে টাকার মান কমেছে ৬ থেকে ৮ রুপি।
মন্তব্য করুন
দিনাজপুরের খানসামায় অনুকূল পরিবেশে আশানুরূপ লাভজনক হওয়ায় চলতি বছর বেড়েছে পপকনের চাষ। পপকনকে ঘিরে কৃষক দেখতে শুরু করেছেন রঙিন স্বপ্ন। ধান, সরিষা, আলু ও ভুট্টার পাশাপাশি এ ফসল অধিক লাভজনক।
অন্য ফসলের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচ, উৎপাদন ভালো, লাভজনক হওয়ায় স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য ও সরাসরি পাইকারি বাজার সৃষ্টি হওয়ায় পপকন চকষে ঝুঁকেছেন সাধারণ কৃষকরা। এছাড়া নিয়মিত কৃষি বিভাগ থেকে উদ্বুদ্ধকরণ, পরার্মশ প্রদান, সরকারি সহায়তার ফলে চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েই চলছে। সব মিলিয়ে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় প্রতি মৌসুমে বাড়ছে পপকন চাষ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ১৫২০ হেক্টর জমিতে পপকন চাষের লক্ষমাত্রা থাকলেও ১৬৬০ হেক্টর অর্জন হয়েছে।
গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পপকন চাষি মোস্তফা কামাল ডাবলু শাহ্ বলেন, আমি এ এলাকায় সর্বপ্রথম পপকন চাষ করি। আমাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এখন চাষ করছেন পপকনের। প্রথমের দিকে ৬০ থেকে ৬৫ বিঘা চাষ করেছি। গতবার ও এইবার ২০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। গতবার ২০ বিঘা জমিতে শুকনা দেড় টন পপকন পেয়েছি। আশা করছি এবার আরো বেশি পাবো।
একই এলাকার পপকন চাষি লতিফ হাজ্বী বলেন, পপকন চাষে বেশ লাভবান হয়েছি। গতবারের ন্যায় এবারো ৫ বিঘা চাষ করেছি। সব কিছু ঠিক থাকলে ভাল ফলন হবে বলে মনে করছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোপাল রায় বলেন, পুরো উপজেলার মধ্যে গোয়ালডিহি ইউনিয়নে ৭০ ভাগ ও বাকী ৫ ইউনিয়নে ৩০ ভাগ পপকন চাষ হয়। পপকন চাষে চাষিদের পাশে থেকে ভালো ফলন পেতে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, দিনাজপুরের শস্যভান্ডারখ্যাত এ উপজেলা। ভুট্টার পাশাপাশি এ অঞ্চলের কৃষক পপকন চাষে বেশ আগ্রহী। পপকন চাষে উদ্ভুদ্ধকরণসহ সার্বক্ষণিক কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বছর শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত জিডিপির চূড়ান্ত হিসাবে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া আরো জানানো হয়েছে , ডলারের হিসাবে কমলেও টাকার অঙ্কে মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা।
বিবিএস আরো জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৭ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ২ লাখ লাখ ১৯ হাজার ৭৩৮ টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ১ লাখ ৯৭ হাজার ১৯৯ টাকা। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে টাকায় প্রকাশ করা হয়েছে মাথাপিছু আয়
মন্তব্য করুন