দীর্ঘ ৪১ বছরের কর্মময় জীবন শেষে মসজিদের
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় জানালেন গ্রামবাসী। সে সাথে তার হাতে তুলে দিলেন নগদ
পৌনে এক লাখ টাকা এবং উপহার সামগ্রী।
শুক্রবার (৩১ মে) জুমার নামাজ শেষে
ব্যতিক্রমী এ ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বাগাতিপাড়ার ক্ষিদ্রমালঞ্চি গ্রামে। বিদায়ী ইমাম
মো. মুনসুর আলী পার্শ্ববর্তী শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, ক্ষিদ্রমালঞ্চি কেন্দ্রীয়
জামে মসজিদের ইমাম মো. মুনসুর আলী ১৯৮৩ সালে ইমামের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। একই মসজিদে
দীর্ঘ ৪১ বছর দায়িত্ব পালনের পর বয়সজনিত কারণে তিনি অবসর নেন। আর প্রিয় ইমামের অবসরজনিত
বিদায় জানাতে গ্রামবাসীরা ওই মসজিদে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির
সভাপতি আরশেদ আলীর সভাপতিত্বে এবং আব্দুল হালিমের পরিচালনায় ইমাম মুনসুর আলীর কর্মময়
জীবনের ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য দেন মসলেম উদ্দিন, আলাউদ্দিন, আসমত আলী, সেলিম রেজা,
আব্দুল আজিজ, সাইদুর রহমান প্রমুখ। শেষে ওই মসজিদসহ আশেপাশের ৫ মসজিদের অধীনের গ্রামবাসীরা
পৌনে এক লাখ টাকা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। এছাড়াও ইমামের বিদায় উপলক্ষে মসজিদে
উপস্থিত মুসুল্লিদের মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়। শেষে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে পুরো এলাকা
ঘুরিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় ইমাম মুনসুর আলীকে। এসময় গ্রামের সকল নারী-পুরুষরা রাস্তার
পাশে দাঁড়িয়ে বিদায় জানান প্রিয় ইমামকে। ব্যক্তিগত জীবনে মুনসুর আলী ৩ কন্যা ও ২ ছেলের
পিতা।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি আরশেদ
আলী বলেন, অন্যান্য চাকরি শেষে চাকুরিজীবীদের জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায় দেওয়া
হয়। তাছাড়াও তারা পেনশন পান। কিন্তু মসজিদের ইমামের বিদায়ে তা করা হয় না। এ কারণেই
গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ইমামের বিদায়ে এই আয়োজন করা হয়েছে।
বিদায়ী ইমাম মো. মুনসুর আলী বলেন, জীবনের
শুরুতে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মুহুরীর কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু দুই-তিন দিন পর ভালো
না লাগায় সেকাজ ছেড়ে এসে এই মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। দীর্ঘদিন পর অবসর নেওয়ায় গ্রামবাসীর
এমন বিদায়ে তিনি মুগ্ধ।
তবে তিনি কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন
গড়া এবং ইমান ও আমলের ওপর জীবনকে পরিচালিত করার আহবান জানান।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৩০ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৭ অক্টোবর রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন শিমপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ শাকিব আহমেদ
(২২) নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা
উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ শাকিব আহমেদ (২২) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার চরপাড়া গ্রামের মৃত বাবুল
মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত
আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা
হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের
নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক
অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে
র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ করার জন্য কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
রবিবার কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা কর্তৃক একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ।
এই বিশেষ অভিযানে ১জন আসামীকে গ্রেফতার করাসহ ৫০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৫২গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করা হয় ।
আজ সকাল আনুমানিক ৭টার সময় জেলা গোয়েন্দা শাখা,কুমিল্লায় কর্মরত এসআই(নিঃ) মোঃ
আরেফুল ইসলাম, এএসআই(নিঃ) মোঃ মাসুদ রানা,
এএসআই মোঃ ইকবাল হোসেন ফোর্সসহ কুমিল্লা জেলার সকল থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও
বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার পশ্চিম চান্দিশকড়া
সাকিনের মোঃ সোহাগ (৩৪) কে তার নিজ বাড়ি থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট ও সাদা রঙের আইসসহ গ্রেফতার করে ।
আসামীর নিজ বসত ঘরে ২টি সাদা এয়ার টাইট পলিপ্যাক পাওয়া যায় যার ১টি পলিপ্যাক
এর ভেতর রাখা প্রতি প্যাকেটে ২৬(ছাব্বিশ) গ্রাম করে মোট ৫২(বায়ান্ন) গ্রাম সাদা রংয়ের
মাদকদ্রব্য আইস (ক্রিস্টাল মেথ) এবং স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ২৫(পঁচিশ)টি কালো রংয়ের
এয়ার টাইট পলিপ্যাকেট এর প্রতিটি পেকেটের ভেতরে লুকানো ২০০(দুইশত) পিস করে ৫০০০ (পাঁচ
হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় ।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করলে চৌদ্দগ্রাম থানার মামলা নং- তারিখ- ২৮/০৪/২০২৪ খ্রিঃ; ধারা- ২০১৮ সালের
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর টেবিল ১০(ক)/১০(গ) রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)গত ৩১ মার্চ বেসরকারি
স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলো
এ ধাপে এবার মোট ৯৬ হাজার ৭৩৬ পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে
স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬ পদে এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার
৪৫০ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের
আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদন গ্রহণ চলবে ৯ মে পর্যন্ত। আর ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের
ফি দেওয়া যাবে।
অনলাইনে আবেদন ফি দেওয়া সংক্রান্ত নিয়ম টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড
এর http://ngi.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে এবং এনটিআরসিএ এর www.ntrca.gov.bd ওয়েবসাইটে
স্বতন্ত্রভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত
সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। প্রার্থীকে কেবলমাত্র
তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে
পারবে।
কিন্তু আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে চূড়ান্ত সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে ৩৫ বছর বা
তার কম হতে হবে।
প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র
আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পছন্দ দিতে পারবেন। এই পছন্দ প্রদানের পর কোন প্রার্থী যদি তার
পছন্দ বহির্ভূত দেশের যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছুক হন তবে তাকে
e-Application ফরমে প্রদর্শিত Other Option নামক বক্সে Yes Click করতে হবে। যদি ইচ্ছুক
না হন তবে No Click করতে হবে।
কোনো প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয়
পর্যায়ের পদে আবেদন করেন তবে প্রথমে তাকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে
নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত হলে স্কুল
পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে না।
সব আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত এক হাজার টাকা ফি প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত
ফি পরিশোধ না করলে আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
তবে যারা একবার ইতিমধ্যে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা পরবর্তীতে আর দেশের কোন
স্কুলে (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) সমপদে আবেদন করার সুযোগ পাবেন না।
তবে স্কুল পর্যায়ে যদি কোনো নিবন্ধন সনদধারী (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) প্রাপ্ত
প্রার্থীর কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি কলেজ পর্যায়ে এমপিওভুক্ত
না হন তবে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত কলেজ পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন
করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ। এবছর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে কচুয়া উপজেলা কলেজগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে এই কলেজ। মোট ৪১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ৩৮৬জন পরীক্ষার্থী উর্ত্তীণ হয়। তন্মধ্যে জিপিএ৫ পেয়েছে ৫৩জন। পাশের হার শতকরা ৯৩.৬৯%। বিশেষ করে ওই কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৩জন জিপিএ৫ পেয়েছে। শুধু এ বছর নয়, প্রতিবছর এ কলেজ থেকে ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে।
এদিকে ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকগন আনন্দে মেতে উঠেন। পরে কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা কলেজের শিক্ষকদের মিষ্টি খাওয়ান। এসময় কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. বিল্লাল হোসেন মোল্লা, আবুল খায়ের, আব্দুল কুদ্দুস, বিল্লাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, ধনঞ্জয় চক্রবর্তী, প্রভাষক সাইফুল ইসলাম সবুজ, ইউনুছ মোল্লা, ইয়াছিন মিয়া, শিক্ষানুরাগী মাহবুব আলম, ডা. জাহাঙ্গীর, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সৌরভসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম জানান, কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে। শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায়, শ্রেনিকক্ষে পাঠদানের কারনে এ বছর ভালো ফলাফল অর্জণ সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করেছেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. সেলিম মাহমুদ। প্রতিনিয়ত কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছেন তিনি। তাঁর এই প্রচেষ্টাকে শতভাগ ধরে রেখে আমরা মানসম্মত শিক্ষার দিকে নজর দেই। এ কারণেই প্রতি বছর আমরা নিজেদেরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি। শিক্ষকদের পরিশ্রম সাফল্যে উদ্ভাসিত হচ্ছে। আগামীতে এই ধারায় নিজেদেরকে ছাড়িয়ে জেলা ও বিভাগের মধ্যে স্থান করে নিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
তীব্র গরমে তৃষ্ণার্ত শ্রমজীবী পথচারী
মানুষের পাশে দাঁড়ালেন রোটারি ক্লাব অব রেনেসাঁস, কুমিল্লা।
বুধবার (১ মে) সকালে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ
মোড়ে ঠান্ডা পানির বোতল ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন ডিস্ট্রিক কো-অর্ডিনেটর,
আরআইডি ৬৫,বাংলাদেশ রোটারিয়ান ডা. তৃপ্তিশ চন্দ্র ঘোষ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রোটা. লুৎফুল বারি চৌধুরী, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ রায়হান আহমেদ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, রোটারি ক্লাব
অব রেনেসাঁস কুমিল্লার চাটার প্রেসিডেন্ট, চাটার সেক্রেটারি, প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট, চাটার
ট্রেজারার সহ ক্লাবের প্রায় সকল রোটারিয়ান।
উক্ত প্রজেক্টের চেয়ারম্যান ছিলেন,
রোটা. আনোয়ার হোসেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
ক্লুলেস পপি (১৭) হত্যা মামলার
রহস্য উদঘাটন, মূলহোতাসহ ২ জনকে গ্রেফতার
করেছে বরুড়া থানা
পুলিশ।
গত
(১৩ ডিসেম্বর) বরুড়া থানার মোঃ আলী হোসেন
(৪৫) এর মেয়ে পপি
আক্তার (১৭) বরুড়া থানাধীন
সোনাইমুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে
বাড়িতে এসে ছাগল চরাতে
জমিতে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুজির
এক পর্যায়ে বরুড়া থানাধীন ১৩নং অদ্রা ইউপির
সোনাইমুড়ী সাকিনের চান মিয়ার জমি
সংলগ্ন খালের পানি থেকে পপি
আক্তার (১৭) কে মৃত
অবস্থায় উদ্ধার করার করা হয়। পরে (১৫ডিসেম্বর) পপি আক্তার
এর পিতা মোঃ আলী
হোসেন বরুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উক্ত
অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার কুমিল্লার সার্বিক দিকনির্দেশনায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, এ, কে, এম
এমরানুল হক মারুফ এর
নেতৃত্বে বরুড়া থানা পুলিশের একটি
চৌকস টিম তদন্ত কার্যক্রম
শুরু করে স্থানীয় সোর্স
ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ
করে বরুড়া থানা এলাকায় বিভিন্ন
স্থানে অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে
জড়িত ফারুক হোসেন শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উক্ত ঘটনার সাথে
জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে
এবং এই ঘটনার সাথে
জড়িত অপর আসামী কাশেম
হোসেন এর নাম জানান। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার সোনাইমুড়ি মহিষ
পুকুরিয়া এ লাকার মিজানুর রহমান এর ছেলে ফারুক হোসেন শামীম এবং একই এলাকার মৃত মনু মিয়ার ছেলে কাশেম হোসেন।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় সহ ঘটনাস্থলে গেলে হত্যাকান্ডের সময় ব্যবহৃত বাঁশের টুকরাটি আসামীদের দেখানো মতে পাশের জঙ্গলের ভিতর থেকে উদ্ধার করেন।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রামে দুর্বার তারুণ্য বাংলাদেশের আয়োজনে সকল বয়সের নারী পুরুষদের নিয়ে কুড়িগ্রামে দিনব্যপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলা দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় করছে।
আজ সকালে কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়নে কালে ডাক্তার পাড়া গ্রামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সকাল থেকেই বেশ কৌতূহল নিয়ে ডাক্তারপাড়া গ্রামে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধ বয়সী মানুষদের আগমনে মিলন মেলায় পরিণত হয় অনুষ্ঠানটি। এসব খেলা দেখতে এলাকার সব বয়সী মানুষের অংশ গ্রহণে সৃষ্টি হয় এক আনন্দঘন পরিবেশ। কিছুক্ষণের জন্য অনেকে যেন নিজের বয়স ভুলে ফিরে যান অতীতে কিংবা শৈশবে।
গ্রামীণ খেলাধুলার মধ্যে ছিল বিস্কুট দৌড়, হাড়িভাঙ্গা, বালিশ খেলা, সুঁই সুতা, সাঁতার, চোখ বেঁধে হাঁস ধরা, তৈলাক্ত কলা গাছ বেয়ে চড়া, পানিতে বলিশ খেলা ও যেমন খুশি তেমন সাজ। সকল বয়সের শতাধিক নারী পুরুষ ৯টি খেলায় অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ী ৩০জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও পিপি এস এম আব্রাহাম লিংকন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সাঈদ হাসান লোবান, কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান মাসুদ, কুড়িগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তরুণ কুমার রায়, বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ লিটন মিয়া, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক মাহফুজার রহমান খন্দকার, ক্রীড়া সম্পাদক হুমায়ুন কবীর সূর্য, দৈনিক মানবজমিন ও করতোয়ার সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিন্টু, উলিপুর ডট কমের সিনিয়র রিপোর্টার অমিত চন্দ্র পাল প্রমুখ।
খেলা দেখতে আসা মোঃ আব্দুল হাই বলেন, এসব খেলা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ১০-১৫ বছর পর গ্রামের অতীত খেলা দেখে খুবই আনন্দ পেলাম।
শিক্ষার্থী মোঃ নুর মামুন বলেন, টিভিতে মাঝে মধ্যে এসব খেলা দেখি।আজ স্বচোখে দেখে খুব মজা করছি। আগে গ্রাম গঞ্জে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসে বৈশাখী মেলায় গ্রামে গ্রামে এসব খেলা হতো।এখন এগুলো প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ও নতুন প্রজন্মদের জন্য এসব খেলা অবহ্যত রাখা উচিৎ।
দুর্বার তারুণ্য বাংলাদেশের সভাপতি রেজওয়ানুল হক নুরনবী বলেন, গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আহবায়ক শ্যামল ভৌমিক বলেন, কালের বিবর্তনে গ্রামীণ খেলাধুলা হারিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক যুগে মোবাইল ইন্টারনেটের কারনে এসব খেলা থেকে মানুষজন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সরকার ও সচেতন মহলের উচিৎ গ্রামীণ খেলাধুলাকে বাচিয়ে রাখতে সু দৃষ্টি রাখা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৫৫ কেজি গাঁজা ও একটি অটোরিক্সাসহ
৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি), কুমিল্লা।
গতকাল (১১ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লা কোতয়ালী
মডেল থানার পূর্ব ভাটপাড়া এলাকায় একটি অটোরিক্সা তল্লাশি করে ৫৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ জহির, রনজিৎ
চন্দ্র শীল, মোঃ ফয়সাল ও আহসানুল হককে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো-
১। মোঃ জহির (৩৫), পিতা-আব্দুল আলী,
মাতা-কুসুম বেগম, গ্রাম-খারেরা ,থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
২। রনজিৎ চন্দ্র শীল (২৫), পিতা- জিতেন্দ্র
চন্দ্র শীল, মাতা-লিপি বালা শীল, গ্রাম-খারেরা, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
৩। মোঃ ফয়সাল (২২), পিতা-আব্দুস সালাম,
মাতা- তফুরা বেগম, গ্রাম- লোহাইমুড়ি , থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
৪। আহসানুল হক (২৩), পিতা-ইমাম হোসেন,
মাতা- মায়া বেগম, গ্রাম-লোহাইমুড়ি , থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায়
মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় ১২ কেজি গাঁজাসহ তিন নারী মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার শ্রীরাপুর এলাকা থেকে কচুয়া থানার এসআই মামুন সরকার,দেলোয়ার হোসেন ও এমসআই মোরশেদ আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তল্লাসি চালিয়ে গাঁজাসহ তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলো, কুমিল্লার শাসনগাছা এলাকার ফয়সাল মিয়ার স্ত্রী হেলেনা বেগম (৩৫),কোতয়ালী উপজেলার আড়াইওড়া গ্রামের জামাল হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম ও একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রুপা আক্তার।
আটককৃত মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় মামলা দায়েরের পর চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।
কচুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীরা কুমিল্লার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গাঁজাসহন করে অধিকমূল্যে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাসি চালিয়ে গাঁজাসহ তাদের আটক করা হয়।
মন্তব্য করুন
জাতীয়
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে কুমিল্লার সদর
উপজেলার দিদার মার্কেট এলাকায় তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আজ (২৭ডিসেম্বর) নানা অনিয়মের অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একে আজাদ ও জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মন্তব্য করুন