

দীর্ঘ ৪১ বছরের কর্মময় জীবন শেষে মসজিদের
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় জানালেন গ্রামবাসী। সে সাথে তার হাতে তুলে দিলেন নগদ
পৌনে এক লাখ টাকা এবং উপহার সামগ্রী।
শুক্রবার (৩১ মে) জুমার নামাজ শেষে
ব্যতিক্রমী এ ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বাগাতিপাড়ার ক্ষিদ্রমালঞ্চি গ্রামে। বিদায়ী ইমাম
মো. মুনসুর আলী পার্শ্ববর্তী শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, ক্ষিদ্রমালঞ্চি কেন্দ্রীয়
জামে মসজিদের ইমাম মো. মুনসুর আলী ১৯৮৩ সালে ইমামের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। একই মসজিদে
দীর্ঘ ৪১ বছর দায়িত্ব পালনের পর বয়সজনিত কারণে তিনি অবসর নেন। আর প্রিয় ইমামের অবসরজনিত
বিদায় জানাতে গ্রামবাসীরা ওই মসজিদে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির
সভাপতি আরশেদ আলীর সভাপতিত্বে এবং আব্দুল হালিমের পরিচালনায় ইমাম মুনসুর আলীর কর্মময়
জীবনের ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য দেন মসলেম উদ্দিন, আলাউদ্দিন, আসমত আলী, সেলিম রেজা,
আব্দুল আজিজ, সাইদুর রহমান প্রমুখ। শেষে ওই মসজিদসহ আশেপাশের ৫ মসজিদের অধীনের গ্রামবাসীরা
পৌনে এক লাখ টাকা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। এছাড়াও ইমামের বিদায় উপলক্ষে মসজিদে
উপস্থিত মুসুল্লিদের মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়। শেষে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে পুরো এলাকা
ঘুরিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় ইমাম মুনসুর আলীকে। এসময় গ্রামের সকল নারী-পুরুষরা রাস্তার
পাশে দাঁড়িয়ে বিদায় জানান প্রিয় ইমামকে। ব্যক্তিগত জীবনে মুনসুর আলী ৩ কন্যা ও ২ ছেলের
পিতা।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি আরশেদ
আলী বলেন, অন্যান্য চাকরি শেষে চাকুরিজীবীদের জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায় দেওয়া
হয়। তাছাড়াও তারা পেনশন পান। কিন্তু মসজিদের ইমামের বিদায়ে তা করা হয় না। এ কারণেই
গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ইমামের বিদায়ে এই আয়োজন করা হয়েছে।
বিদায়ী ইমাম মো. মুনসুর আলী বলেন, জীবনের
শুরুতে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মুহুরীর কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু দুই-তিন দিন পর ভালো
না লাগায় সেকাজ ছেড়ে এসে এই মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। দীর্ঘদিন পর অবসর নেওয়ায় গ্রামবাসীর
এমন বিদায়ে তিনি মুগ্ধ।
তবে তিনি কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন
গড়া এবং ইমান ও আমলের ওপর জীবনকে পরিচালিত করার আহবান জানান।
মন্তব্য করুন


রমজান মাসকে সামনে রেখে পর্যটক কমে যাওয়ার আশঙ্কায় কক্সবাজারের উখিয়া থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) উখিয়ার ইনানীর নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ ২টি চলাচল করবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে নিরাপত্তা বিবেচনায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটেও পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরপর কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানীর নৌবাহিনী জেটি থেকে এমভি বারো আউলিয়া ও কর্ণফুলী নামের ২টি জাহাজ চলাচল করে আসছিল।
বারো আউলিয়ার পরিচালক মাহাবুব হোসেন জানিয়েছেন, পর্যটক চাহিদার কারণে এক মাস ইনানী-সেন্টমার্টিন রুটে দুটি জাহাজ চলাচল করেছিল। রমজানে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাবে। এ কারণে সোমবার থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার(১০ মার্চ) সবশেষ জাহাজ দুটি সেন্টমার্টিনে গেছে। আগের দিন এবং এর আগে দ্বীপে থেকে যাওয়া পর্যটকদের নিয়ে জাহাজ দুটি ইনানীতে নৌ-বাহিনীর জেটিঘাটে ফিরে এসেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেছেন, জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ হয়তো ব্যবসায়িক কারণে লোকসান এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা মহানগরী কালিয়াজুড়ি পিটিআই সংলগ্ন ‘তানজিমুল উম্মে হাফিজিয়া মাদ্রাসা’— নামের আড়ালে চলছে ভয়ঙ্কর প্রতারণা ও ধর্মীয় ব্যবসা। স্থানীয়ভাবে ‘ইলিয়াস হুজুর’ নামে পরিচিত মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন-এর বিরুদ্ধে উঠেছে ভয়াবহ অভিযোগ।
দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের অনুসন্ধানী টিম রোগী সেজে প্রবেশ করলে শুরু হয় ইলিয়াস হুজুরের কথিত “আধ্যাত্মিক চিকিৎসা”। তিনি রোগীকে ভয় দেখিয়ে বলেন— ‘শয়তান, পুরি, জ্বিন ও যাদু টোনায় আক্রান্ত’। এরপর চিকিৎসার নামে দাবি করেন ৩৩ হাজার ৫ শত টাকা, এবং ‘যাদু কাটার রশিদ’ হিসেবে হাতে তুলে দেন নিজস্ব সিলমোহরযুক্ত কাগজ।
তদন্তে বেরিয়ে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে ৫০, ১০০, ২০০ ও ৫০০ টাকার অবিকল নোট ছাপিয়ে “চাঁদ তোলার” নামে টাকার লেনদেন চলে। যা স্পষ্টভাবে রাষ্ট্রীয় মুদ্রা আইনে গুরুতর অপরাধ।
প্রশ্নের মুখে ইলিয়াস হুজুর প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ভুল স্বীকার করেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি ধর্মের নামে মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। কেউ কেউ চিকিৎসার নামে একাধিকবার টাকা দিয়েও প্রতারিত হয়েছেন।
এলাকাবাসী ও সচেতন মহল বলছে, ধর্মের পোশাকে লুকানো এই ধরনের প্রতারণা সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত। তারা দ্রুত প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ধর্মের নামে প্রতারণা ও শিশুদের দিয়ে অবৈধ কর্মকাণ্ড— এ যেন এক অমানবিক ব্যবসা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে এমন ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় জরায়ুমুখে ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে জেলা সিভিল সার্জন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য দেন জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার নাছিমা আকতার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ মেহেদী হাসান, সারভিল্যান্স ইমিউনাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাবিজা ইয়াসমিন, ইউনিসেফ এর ডাক্তার ব্যার্ণাজী সুলতানাসহ অন্যরা।
সভায় সিভিল সার্জন বলেন, জরায়ুমুখে ক্যান্সার প্রতিরোধে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ জেলার ১৭টি উপজেলায় তিন লাখ ৭৯ হাজার ৬৬৯ জনকে সরকারের উদ্যোগে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্কুলগামী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৩৪০জন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ হাজার ৩২৭জন কিশোরীকে বিনামূল্যে এ টিকা দেওয়া হবে। পাঁচ হাজার ২১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নয় হাজার ৯৪২টি কেন্দ্রে এ টিকা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ মিয়া,কচুয়া :
ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থী হ্রাস ও স্কুলমুখী করতে কাজ করছেন পোভার্টি ইরাডিকেশন প্রোগ্রাম (পিইপি)। সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পড়াশুনা ও শিক্ষাসামগ্রীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিচালনায় সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমাতে কাজ করছে পিইপি’র আওতাধীন কচুয়া সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প (কেআইডিপি)। পিইপি প্রকল্পের অধীনে সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় স্কুল থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার হ্রাস করার লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে।
জানা যায়, ১৯৮৩ সালে কেআইডিপি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১০টি প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করে। তন্মধ্যে শিক্ষা,গবাদিপশু,ঘর মেরামত, স্যানিটেশন,কৃষি কাজে সহায়তা,কাঠ ও ফলজ চারা বিতরণ,রাস্তা বনায়ন,ল্যাসিম কর্মসূচি,পোল্ট্রি ও ক্ষুদ্রঋন পরিচালিত হয়। যার মধ্যে শিক্ষা কর্মসূচি এ উপজেলায় ৭টি ও মতলব উপজেলা ১টি সহ মোট ৮টি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (সিডিসি) স্কুল রয়েছে। প্রতিটি স্কুলে ৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ৮জন শিক্ষক নিয়মিত ভাবে পাঠদান করাচ্ছেন। ওই প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই থেকে শুরু করে শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষার্থীকে টিফিন করা হয় ও যার গড় প্রতি শিক্ষার্থীদের ব্যয় ১৫ টাকা এবং সপ্তাহে ৫দিন টিফিনের ব্যবস্থা রয়েছে। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে নৃত্য,গান,কবিতা আবৃতি সহ নানামূখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে কচুয়া উপজেলা ৭টি স্কুলে ২১০জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। এ বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেনি থেকে দ্বিতীয় শ্রেনি পর্যন্ত পড়াশুনা করা হয় এবং প্রতিদিন তাদের টিফিন করা হয় । এছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে এ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে এমন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।
স্থানীয় অভিভাবকরা জানান, দক্ষ শিক্ষদের মাধ্যমে এ স্কুলে আমাদের সন্তানদের পাঠদান করানো হচ্ছে। তাছাড়া এখনো নানা ধরনের সুবিধা রয়েছে। বিনামূল্যে তাদের পড়াশুনা খরচ ও অন্যান্য সামগ্রী প্রদান করেন। এছাড়া বিদ্যালয় আঙ্গিনায় অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই আমাদের সন্তানদের সিডিসি স্কুলে পড়াশুনা ও ভর্তি করা হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাথী আক্তার,রাবেয়া আক্তার ও কোহিনুর সহ অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, আমরা সবসময় চেষ্টা করি এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে। তাছাড়া এসব শিক্ষার্থীরা দুপুরের টিফিন পেয়ে খুশি। নিয়মিত ভাবে তাদের পাঠদান করানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনায় আমরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শেনিকক্ষে আরো কিভাবে ভালো কিছু করা যায় সেই লক্ষে কাজ করব।
কেআইডিপি’র চাঁদপুর জেলা মাঠ সমন্বয়কারী মো. আলাউদ্দিন বলেন, কেআইডিপির অনেক ধরনের কর্মসূচি রয়েছে তার মধ্যে শিক্ষা কর্মসূচি অন্যতম। সুবিধা বঞ্চিত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া থেকে রক্ষা ও তাদের স্কুলমূখী করার জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রতি শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষ করে তারা শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন। দারিদ্র্য দূরীকরনের পাশাপাশি শিক্ষার হার অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে এ সংস্থা।
মন্তব্য করুন


কক্সবাজারের রামু উপজেলায়
পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার রাজারকূল ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার ইউনিয়নের পশ্চিম
রাজারকূল মৌলভী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
দুই শিশুর ব্যাপারে জানা
যায় তারা খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল ।
মৃত মো. রিহাব (৭) ও মারিয়া
(৫) পশ্চিম রাজারকূল মৌলভী পাড়ার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সন্তান।
স্থানীয়দের বরাতে ইউপি চেয়ারম্যান
মুফিজুর বলেন, “সন্ধ্যার ঠিক আগে বাড়ির আশেপাশে প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল
রিহাব ও মারিয়া। এক পর্যায়ে তারা বাড়ির পাশের রেললাইনের সেতুর দিকে চলে যায়। সন্ধ্যার
পরেও দুই ভাই-বোন বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের
সন্ধান পাচ্ছিল না। পরে হাসমত আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি মাছ ধরে বাড়ি ফেরার পথে
রেললাইন সংলগ্ন একটি সেতুর মুখে পানিতে ভরে থাকা গর্তে জাল ফেলেন। এ সময় দুই ভাই-বোনের
মৃতদেহ জালে উঠে আসে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান
বলেন, রেললাইন ও সেতু নির্মাণের সময় বেশ কয়েকটি গর্ত তৈরি হয়। সম্প্রতি বৃষ্টিপাতের
সময় ওই গর্তগুলোতে পানি জমে যায়। আর ওই পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, গর্ত বা কূপের পানিতে পড়ে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে এবং তাদের লাশ স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে বাড়িতে নেওয়া হয়েছে ।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর মিরপুরে একটি পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছেন।
আজ , মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেনেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগুনের ঘটনায় বেশ কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন। গার্মেন্টসের দ্বিতীয় তলা থেকে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা “ তালহা বিন জসিম”। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একে একে যোগ দেয় ১২টি ইউনিট।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করে পোশাক কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই পাশে থাকা রাসায়নিকের গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এরপর তাদের সঙ্গে সহায়তায় যোগ দেন আশপাশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি।
মন্তব্য করুন


আজ রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গোয়েন্দা সংস্থা ও রেলওয়ে পুলিশের সহায়তায় রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি নির্দিষ্ট বগি তল্লাশি করে ৮টি বিদেশী পিস্তল, ১৬টি ম্যাগাজিন, ২৬ রাউন্ড অ্যামুনিশন, ২.৩৯ কেজি গান পাউডার এবং ২.২৩ কেজি প্লাস্টিক বিস্ফোরক উদ্ধার করে।
উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে চারজন ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। সন্ত্রাস, নাশকতা ও অপরাধ দমনে এ ধরনের সমন্বিত অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় এক দিনে ০১ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী মালামাল আটক করে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় বিজিবি কয়েকটি চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযান সমূহে বিজিবি টহলদল কর্তৃক দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পৃথক পৃথক স্থান হতে গত এক দিনে সর্বমোট ১,১০,১৯,৭৯৪/- (এক কোটি দশ লক্ষ উনিশ হাজার সাতশত চুরানব্বই) টাকা মূল্যের মোবাইল, মোবাইল ডিসপ্লে, বাজি এবং মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাচালানী পণ্য সামগ্রী আটক করা হয়।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫ ফার্মেসিকে সর্বমোট ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) কুমিল্লা লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল জাতীয় ঔষধ এবং Over the counter ঔষধ ছাড়া রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত এন্টিবায়োটিক মজুদ ও বিক্রয়ের অপরাধে হাসান মেডিকেলকে ২০ হাজার টাকা, ফিরোজ মেডিকেলকে ২০ হাজার টাকা, ওসমান মেডিকেল হলকে ২০ হাজার টাকা, আনোয়ারা মেডিকেল হলকে ৩০ হাজার টাকা এবং ইসলামী মেডিকেল হলকে ৫ হাজার টাকা (সর্বমোট ৯৫ হাজার টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
উক্ত অভিযানে সহযোগিতা করেন কুমিল্লা ঔষধ
প্রশাসনের সহকারী পরিচালক সালমা সিদ্দিকা এবং লালমাই থানা পুলিশ।
জানা গেছে, জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসন, লালমাই কর্তৃক মোবাইল কোর্টের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
প্রচন্ড শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার গরিব-অসহায় শীতার্ত মানুষ। এই শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছেন সমাজের ছিন্নমূল মানুষেরা। গরিব-দুঃখী শীতার্ত মানুষের শীতের কষ্ট লাঘবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে শীতার্ত মানুষের মাঝে রাতের আঁধারে কম্বল নিয়ে হাজির হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী।
ঢাকা পিজি হাসপাতালের রেন্ট কালেক্টর ইনচার্জ মো. সাজেদুল হাসান কামালের উদ্যোগ ও সার্বিক তত্ত্ববধানে শুক্রবার রাতে উপজেলার সফিবাদ নূরানীয়া হাফিজিয়া ফোরকানীয়া মাদ্রাসা ও এতিখানা এতিম শিশুদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শীতের কম্বল বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী। শীতের রাতে কম্বল পেয়ে হাসি ফুটেছে এতিম ও অসহায় শিক্ষার্থীদের মুখে।
এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম,এতিমখানার সভাপতি ডা. মো. সফিকুল ইসলাম লনী,বিএনপি নেতা মো. জুয়েল,বাবুল হোসেন,মহসিন মোল্লা,জামাল মোল্লা ও রুবেল বেপারী অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, হঠাৎ শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শীতের প্রকোপে সমাজের অসহায় দুস্থ মানুষের অবর্ণনীয় কষ্ট হচ্ছে। শীতার্ত কোনো মানুষ যেন কষ্ট না পায় সেজন্য কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন