কুমিল্লায় অভিনব কৌশলে ব্যাটারী চালিত
ভ্যানে করে মাদক পরিবহনকালে ৭২ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে
র্যাব-১১ সিপিসি-২।
গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন চট্টগ্রাম হতে ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর বেলতলী ইউনিভার্সিটি
গেট এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আসামী মোঃ সালাউদ্দিন (২৪)
নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৭২ কেজি গাঁজা ও
মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি ভ্যান গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
আসামী মোঃ সালাউদ্দিন (২৪) কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শুভপুর গ্রামের মোঃ হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর
মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো
সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার প্রাথমিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন কুমিল্লার সুপরিচিত ডায়াবেটিস, হরমোন ও মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাক্তার অজিত কুমার পাল।
তিনি কুমিল্লা ময়নামতি মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি তিনি কুমিল্লা ডায়াবেটিক হসপিটালের সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
অধ্যাপক অজিত কুমার পাল ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বারডেম একাডেমি থেকে এন্ডোক্রিনোলজিতে এমডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ২০১৪ সালে এমআরসিপিএস (গ্লাসগো) এবং ২০২০ সালে এফআরসিপি (গ্লাসগো) এবং এফআরসিপি (এডিন) লাভ করেন।
তিনি আমেরিকান কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস (এফএসিপি) এবং ২০১৫ সালে আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজি (এফএসিই) থেকে ফেলোশিপ অর্জন করেছিলেন। ২০২৪ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে অধ্যাপক ডাঃ আব্দুস সালেক মোল্লা এবং ড. মো. আব্দুল মালেকের তত্বাবধানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি, বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের একজন আজীবন সদস্য।
তিনি অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজিস্ট অ্যান্ড ডায়াবেটোলজিস্ট বাংলাদেশ (এসিইডিবি) এর সহ-সভাপতি। তিনি ৮৪টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল এবং ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রিনোলজি সম্পর্কিত ৫০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক মৌখিক এবং পোস্টার উপস্থাপন করেছেন। রোগীদের আন্তরিক ও যাদুকরী চিকিৎসা সেবা দিয়ে বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক কুমিল্লা সহ বৃহত্তর কুমিল্লার নানা শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
ডা. অজিত কুমার পাল বলেন, সুগার স্বল্পতা ডায়াবেটিস রোগীদের সাধারণ একটি সমস্যা। ডায়াবেটিস নীল বা সুগার স্বপ্লতা হলে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। রোগীরা যদি সচেতন থাকেন এবং এ বিষয়ে আগে থেকে ধারনা রাখে তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে জটিলতা এড়ানো সম্ভব। তিনি পিএইচডি ডিগ্রী সম্পন্ন করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পাশাপাশি কুমিল্লাবাসী সহ অগনিত রোগীদের কাছে দোয়া প্রার্তনা করেছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সীমান্তে ১ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকার
ভারতীয় কিং কোবরা বাজি জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ
বুধবার (১২ মার্চ) ভোরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার
সীমান্তবর্তী মিয়াবাজার এলাকা থেকে বাজিগুলো জব্দ করা হয়।
বিজিবির কুমিল্লা ক্যাম্পের ১০ ব্যাটালিয়নের
অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজিবি সূত্র জানায়,
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) অধীনস্থ
কটকবাজার পোস্টের বিশেষ টহলদল বুধবার ভোর ৫টার দিকে সীমান্ত এলাকায় মাদক ও
চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালায়। এসময় সীমান্ত শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ৬ কিলোমিটার
বাংলাদেশের ভেতরে মিয়াবাজার ফুড প্যালেস সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮০০
পিস কিং কোবরা বাজি জব্দ করা হয়।
যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ কোটি ১৯ লাখ ৫৬
হাজার টাকা।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লে.
কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে দেশে অবৈধ অনেক মালামাল প্রবেশ করছে। আমরা সে বিষয়ে নজর
রাখছি। তারই অভিযানের ধারাবাহিকতায় ১ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকার কিং কোবরা বাজি
আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হই। জব্দকৃত মালামাল বিধি মোতাবেক কাস্টমস এ জমা দেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
২৮ এপ্রিল (রবিবার) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে বুধবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির আয়োজনে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কুমিল্লা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি বর্ণাঢ্য র্যালী, আলোচনা সভা, দিনব্যাপী লিগ্যাল এইড মেলা ও ২০২৪ সেরা প্যানেল আইনজীবী পুরস্কারসহ ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান, জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মোছাঃ নাসরিন জাহান এর সভাপতিত্বে এবং জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব এফ এম শেফায়েত ছালাম এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা বিশেষ জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বিশেষ জজ (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) বেগম সামছুন্নাহার, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা জজ ও দায়রা জজ) মোছাঃ মরিয়ম-মুন-মুঞ্জুরী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, শ্রম আদালত কুমিল্লার চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) হাবিবুর রহমান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রোজিনা খান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছাঃ ফরিদা ইয়াসমিন, যুগ্ম জেলা জজ তাওহীদা আক্তার, যুগ্ম জেলা জজ মোঃ ইমাম হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান বিপিএম, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার সোনিয়া হক, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মেহেদী হাসান, জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির নব-নির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া, অতিরিক্ত জিপি সাহিদা আনোয়ার, সিনিয়র তথ্য অফিসার নাছির উদ্দিন ও সিনিয়র জেল সুপার মোঃ আব্দুল্লাহ-আল-মামুন প্রমুখ।
সভায় জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এবং জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মোছাঃ নাসরিন জাহান বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ২৮ এপ্রিল রবিবার দেশের আপামর জনসাধারণকে সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২৪ উদযাপিত হবে।
তিনি অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের বিচার প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারি আইনগত সহায়তা কার্যক্রম ও জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য দিবসটি কার্যকরভাবে পালন করতে সকলকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
সভায় বিজ্ঞ বিচারকগণ, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, সিনিয়র জেল সুপার, সিনিয়র তথ্য অফিসারসহ রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ দিবসটি সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপনসহ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সার্বিক সহযোগীতার অঙ্গীকার করেন।
মন্তব্য করুন
বস্ত্র ও পাট এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সপ্তাহখানেক আগেও
কুমিল্লায় ত্রাণ দিয়েছি। আজ জরুরি ওষুধ যা বন্যা পরবর্তী সময় দরকার হয় ও একদল বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসক নিয়ে এসেছি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির নিরূপণ
ও বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। ক্ষতির পরিমাণ দেখে বন্যায়
ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে
শনিবার (৩১ আগস্ট) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম
উপজেলা ও বুড়িচং উপজেলায় বন্যার্তদের জরুরি চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণের পর এসব কথা
বলেন তিনি। এসময় শিশু ও গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশনের হেলথ কেয়ার
প্রজেক্ট কনসালটেন্ট ডা. রেহানা খানমের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিনিধি দল বন্যায়
অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে
আহত হয়ে কুমিল্লার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ৬ জনের চিকিৎসার
খোঁজ-খবর নিলেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। পরে বন্যার কারণে অসুস্থদের পরিদর্শন ও
চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
বস্ত্র ও পাট এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নিজ উদ্যোগ ও এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশন, পিএসও, এস এস
গ্রুপের ও অন্যান্য সংগঠনের সহায়তায় প্রায় ৭০ হাজার ওষুধ এবং ১০০০ প্যাকেট শিশুখাদ্য
বিতরণ করা হয়েছে, এর মধ্যে পাউডার দুধ, চকোলেট, ম্যাংগো বার,বিস্কুট, চিপস, চানাচুর
ইত্যাদি প্রদান করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম সেনা
ক্যাম্পের লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রহমতুল্লাহ, সার্কেল
এএসপি জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহেদা বেগমসহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তা
ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার
চাঞ্চল্যকর ৩য় শ্রেণীর পড়ুয়া ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ এর ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মাওলানা
নাছির পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গত ৪ জুলাই
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন খালিশা এলাকায় ৮ বছরের এক মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশুকে
ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দিাদ থানায় নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হলে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। উক্ত
ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ ও র্যাব-১০
এর যৌথ অভিযানে গত ১১ জুলাই রাতে ঢাকা জেলার হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা
করে ধর্ষক মাওলানা নাছির পাটোয়ারী কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো- কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন খালিশা এলাকার মৃত আব্দুস সামাদ পাটোয়ারীর
ছেলে মাওলানা নাছির পাটোয়ারী (৪২)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে
গ্রেফতারকৃত আসামী ধর্ষণের ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
স্থানীয় সূত্রে
জানা যায়, ভিকটিমের পিতা মালেশিয়া প্রবাসী এবং তার মা একজন গৃহিনী। ভিকটিম এবং তার
ভাই স্থানীয় খালিশা মোহাম্মাদিয়া মিসবাউল উলুম মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত
রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী মাওলানা নাছির পাটোয়ারী উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালক।
প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন গত ৪ জুলাই ২০২৪ইং তারিখে ভিকটিম ও তার ভাই মাদ্রাসায় যায়।
ঘটনার দিন প্রবল বর্ষণের কারণে মাদ্রাসার অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল। গ্রেফতারকৃত
আসামী নাছির পরিবারসহ মাদ্রাসার পিছনের একটি বাড়িতে বসবাস করতো এবং ঘটনার দিন আসামীর
পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে অনুপস্থিত ছিল। মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের কম উপস্থিতি এবং
গ্রেফতারকৃত আসামীর পরিবারের অনুপস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসামী নাছির মাদ্রাসার
পিছনে অবস্থিত তার বাসা ঝাড়ু দেয়ার জন্য ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে যায়। ভিকটিম বাসায় প্রবেশ
করলে গ্রেফতারকৃত আসামী তার বাসার দরজা লাগিয়ে দেয় এবং ভিকটিমকে তার খাটের উপর নিয়ে
ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের একপর্যায়ে ভিকটিম চিৎকার করলে
গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে উক্ত ঘটনা গোপন রাখতে বলে এবং প্রকাশ করলে তাকে মেরে ফেলার
হুমকি দেয়। বাড়িতে আসার পর ভিকটিমের কান্নাকাটির কারণ ভিকটিমের পরিবার জানতে চাইলে
একপর্যায়ে ভিকটিম মাদ্রাসায় ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা বর্ণনা করে। ঘটনার পর গ্রেফতারকৃত
আসামী নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে যায় এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে সেখানে
আত্মগোপন করে।
উক্ত বিষয়ে
গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
২০ ফেব্রুয়ারী রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন রামপুর
এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ তুহিন (৩৫) এবং মোঃ জুয়েল নামক ২
জন মাদক ব্যবসায়ীদ্বয়কে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা এবং মাদক
পরিবহন কাজে ব্যবহৃত ১ টি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ১নং আসামী মোঃ তুহিন (৩৫)
ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার দৌলা গ্রামের আজাহার উদ্দিন এর ছেলে এবং ২নং আসামী মোঃ
জুয়েল (২৮) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার পাচরা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ হতে ৪/৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে কুমিল্লা জেলার নিরীহ ছাত্র জনতার উপর আক্রমনকারী সন্ত্রাসীসহ সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আটক, অবৈধ মাদক কারবারী এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ নভেম্বর ২০২৪ মাদক ব্যবসায়ী ব্যক্তির অবস্থান সম্পর্কে প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী কর্তৃক মোল্লা কান্দি, দাউদকান্দি নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উক্ত অভিযানে মাদক সরবরাহকারী মোঃ বাদলকে গ্রেফতার করতে গেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার স্ত্রী মোছাঃ তাসলিমা বেগম এবং মোছাঃ মুক্তা বেগম নামক ০২ জন ব্যক্তিকে আটক করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে ৭,৬০০/- পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ রোল ইয়াবা সেবন ফয়েল পেপার, ০৭ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, ১ টি সীম কার্ড ও নগদ ২,২৯,৩০০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও উদ্ধারকৃত দ্রব্যসামগ্রী দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদেরকে আটক করার এরূপ অভিযান যৌথ বাহিনী কর্তৃক অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
ডিএনসি-কুমিল্লার মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে ৫০ পিস ইয়াবা, ৫০০ গ্রাম গাঁজা ও মাদক বিক্রির ১ লাখ ১৩ হাজার ৯শত টাকাসহ দুইজনকে আটক।
সোমবার ( ১৪ অক্টোবর) সকাল ৪:৪৫ মিনিট থেকে ৬:৪৫ মিনিট পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে লাকসাম থানাধীন খুন্তা দক্ষিণ পাড়াস্থ আসামী মোহাম্মদ আলীর নিজ ঘর এবং মিশ্রী মধ্যম পাড়াস্থ আসামী মো: মামুন এর নিজ ঘর থেকে ইয়াবা,গাঁজা ও টাকা সহ তাদের আটক করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সার্বিক তত্বাবধানে ও পরিদর্শক মো: সাইফুল ইসলাম ভূঁঞা এর নেতৃত্বে এবং লাকসাম উপজেলা ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এর সার্বিক সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ডিএনসি কুমিল্লা, সেনা সদস্য, লাকসাম থানার পুলিশ সদস্য ও লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি মেডিকেল টিম অংশগ্রহণ করেন।
আটককৃত আসামীরা হলো-১/ লাকসাম থানাধীন মিশ্রী(মধ্যপাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক এর ছেলে মো: মামুন (৪৪), ২/ খুন্তা দক্ষিণ পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ এর ছেলে মোহাম্মদ আলী(৫০)।
আসামীদের বিরুদ্ধে পরিদর্শক মো: সাইফুল ইসলাম ভূঁঞা বাদী হয়ে লাকসাম থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১০ কেজি গাঁজাসহ
একজনকে আটক।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার
উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মনির হোসেন এর নেতৃত্বে ডিএনসি- কুমিল্লা
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে চান্দিনা থানাধীন চান্দিনা উপজেলা মোড় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের
দক্ষিণ পাশে রাস্তার উপর থেকে ১০ কেজি গাঁজাসহ আসামী মো: জীবনকে আটক করে।
আটককৃত আসামী হলো- শরিয়তপুর জেলার চরপায়াতলী
এলাকার মৃত নুরুজ্জামান এর ছেলে মো: জীবন (২৩)।
আসামীদের বিরুদ্ধে সহকারী উপপরিদর্শক
মোহাম্মদ মনির হোসেন বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণীর ১৯(খ)
ধারায় চান্দিনা থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৬ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ
থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রনি ভূইয়া
কে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর হেফাজত হতে ০৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রনি ভূইয়া (৩৯)
নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার বুরুন্দী গ্রামের মোঃ বাদল ভূইয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন