পানের প্রায় ১০০ বিঘার বরজ
আগুনে পুড়ে গেছে। এতে নিঃস্ব হয়েছেন ৯০ জন পানচাষি। পানের বরজ পুড়ে প্রায় কোটি টাকার
ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৩ মে ) দুপুরে
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের পোড়াকয়া গ্রামের পান বরজে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
অগ্নিকাণ্ড নিয়ে পানচাষিরা
বলছেন, সিগারেটের আগুন থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, পোড়াকয়া
গ্রামের ইসাহাকের পান বরজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে
আশপাশের পান বরজে। খবর পেয়ে রাজশাহী, বাগমারা, মোহনপুর ও আত্রাইয়ের ফায়ার সার্ভিসের
চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।
গনিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান
মনিরুজ্জামান রঞ্জু বলেন, শতাধিক কৃষকের প্রায়
এক থেকে দেড়শ বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে গেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে চাষিদের কোটি টাকার
ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা চাষিদের তালিকা তৈরি করে উপজেলায় জমা দিব।
তিনি বলেন, তালিকা হওয়ার
পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। সরকারিভাবে
কিছু টাকা পেলে চাষিদের উপকার হবে। এ ঘটনায় অনেক চাষি একবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
এক পানচাষি বলেন, বছরের এ
সময়ে পানের দাম সবচেয়ে বেশি থাকে। এখন বাজারে নতুন পান বিক্রি হচ্ছে চার থেকে সাড়ে
চার হাজার টাকা পোয়া। আর পুরোনো পান বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা পোয়া।
এ সময় পানের বরজ পুড়ে যাওয়া মানে চোখের সামনে টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া আর পানের বরজ
এমনভাবে পুড়েছে তাতে কিছু অবশিষ্ট নেই। সব বরজ নতুন করে তৈরি করতে হবে। আমার আড়াই বিঘা
জমির পান বরজ পুড়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
(ইউএনও) মাহবুবুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে পুড়ে যাওয়া পানের বরজ
পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও ক্ষতির পরিমাণের তালিকা করতে কৃষি কর্মকর্তাদের
নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তালিকা তৈরির পর তা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল :
৪৩তম জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী ম্যাচে চমক দেখিয়েছে কুমিল্লা জেলা দল। কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী খুলনা জেলা দলকে ১৩৪ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছে কুমিল্লা।
টসে জিতে খুলনা কুমিল্লাকে ব্যাট করতে পাঠায়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা জেলা দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৮২ রান। দলের পক্ষে ইরফান দুর্দান্ত ব্যাটিং করে অপরাজিত ১১৪ রান করেন। এছাড়াও আবুবকর ৪৫, সাইফুল ৩০, রুবেল মিয়া ২৭, ইয়াসিন আরাফাত ২৬ এবং ইরাসির আরাফাত অপরাজিত ১৮ রান করেন।
বোলিংয়ে নেমে কুমিল্লা বোলারদের নিয়ন্ত্রিত আক্রমণে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। সব উইকেট হারিয়ে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ১৪৮ রান। দলের পক্ষে সিয়াম ৫২ এবং রিয়াজুল ৬০ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন।
কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে রোহান ৩২ রানে ৪ উইকেট, সবুজ ৩৬ রানে ৩ উইকেট, ইয়াসির আরাফাত ৩৫ রানে ২ উইকেট এবং সায়মন ১৪ রানে ১ উইকেট দখল করেন।
খুলনার বোলারদের মধ্যে সুজাত ৩৩ রানে ৩টি এবং তানভির ৮৭ রানে ৪টি উইকেট তুলে নেন।
কুমিল্লা জেলা দলের এই দুর্দান্ত জয়ে আনন্দিত দলটির ম্যানেজার, সাবেক ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটার ফখরুল আলম উল্লাস এবং কোচ মানিক কুমার দাস। তাঁরা দলীয় সাফল্য অব্যাহত রাখতে ক্রিকেটপ্রেমীসহ সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কর্তৃক
মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সময় ৪০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা
ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ বৌয়ারা বাজার বিওপি এর বিশেষ টহলদল মাদক ও চোরাচালান
বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক সীমান্ত পিলার ২০৮৫/২-এস
হতে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সূর্যনগর নামক স্থান হতে ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) পিস
ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে। জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের সর্বমোট মূল্য ১,২০,০০,০০০/- (এক কোটি
বিশ লক্ষ) টাকা।
মন্তব্য করুন
যশোরের শার্শার পল্লীতে গ্রামের টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকির ভেতরে মিললো ৩৮ কেজি গাঁজা। এ ঘটনায় আয়না মতি (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) ভোররাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ এ গাঁজা উদ্ধার করে।
শার্শার গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সালাউদ্দিন খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের হরিণাপোতা পূর্বপাড়া গ্রামের মুনসুর হোসেনের বসতবাড়িতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা মজুত রয়েছে।
এরই ভিত্তিতে তারা অভিযান চালিয়ে বাড়ির পেছনে টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকির মধ্যে গাঁজার একটি চালান দেখতে পায়। তারা টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকির নিচে থেকে প্লাস্টিকের দুটি ড্রামে ভর্তি ৩৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ গাঁজার ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় আয়না মতি (৪০) নামে এক নারী কারবারীকে আটক করে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল আলীমের স্ত্রী। এ ঘটনায় শার্শা থানায় মামলা হয়েছে ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার প্রাচীন সংগঠন- সুয়াগঞ্জ আদর্শ পাঠাগারের ২০২৫-২৬ সেশনের কার্যনির্বাহী
কমিটি ঘোষণা করা হয়।
উক্ত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন এনামুল হাসান শাফি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হলেন মো: রবিউল হাসান।
গত বুধবার (১৩ই আগস্ট) উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুফতী হাবিবুল বাশার কাসেমী(দা:বা)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. সাইফুল ইসলাম রুবেল,জাহিদুল ইসলাম আরাফাত।
এ সময় আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সাতক্ষীরায়
অনলাইন জুয়ার মাস্টার এজেন্ট সুমন হোসেনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ বুধবার
(২৫ ডিসেম্বর) ভোর রাতে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার
করা হয়। মাস্টার এজেন্ট সুমন হোসেন (২৪) শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া গ্রামের ফজলুল হকের
পুত্র।
সাতক্ষীরা
ডিবি পুলিশের ওসি নিজাম উদ্দীন মোল্যা আজ বুধবার রাত ৮ টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান,
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার এস আর ফ্যাশনের সামনে থেকে পুলিশ
সুমনকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে ১ টি অনলাইনে জুয়া খেলার মোবাইল ফোন উদ্ধার
করা হয়। সুমন অনলাইন জুয়ার মাষ্টার এজেন্ট। অয়ানএক্সবেড অ্যাপস মাধ্যমে একটি অনলাইন
জুয়ার সাইট ব্যবহার করে অনলাইন ক্যাসিনো জুয়া খেলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন
ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার উদ্দেশ্যে অনলাইনে জুয়া খেলায় উদ্বুদ্ধ করে মোবাইল
ব্যাংকিং (নগদ/বিকাশ) ব্যবহার করে অবৈধ ই-ট্রানজেকশন এবং নগদ টাকা লেনদেনর মাধ্যমে
বিপুল পরিমান টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায়
সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর ২৭(২)/৩০(২)/৩৩ (২) ধারা মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৩০ কেজি গাঁজা সহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
বুধবার
দুপুরে কোতয়ালী মডেল থানার ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই (নিরস্ত্র) আব্দুর রাহিম
ও সঙ্গীয় ফোর্স কোতয়ালী থানাধীন ৪ নং আমড়াতলী ইউনিয়নের পালপাড়া সাকিনস্থ ব্রীজের উত্তরপাশে
রাসেল এর ওয়ার্কসপের সামনে পাকা রাস্তার উপর তল্লাশি করে ৩০ কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী
মুছা আহম্মেদ মুন্না কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী হলো: মুছা আহম্মেদ মুন্না,(৪২),
পিতা-আবদুল মান্নান, মাতা-মনোয়ারা বেগম ,স্থায়ী: ইছাপাড়া গ্রাম- ভুবননগর, উপজেলা/থানা-
কুমিল্লা কোতয়ালী, জেলা -কুমিল্লা।
উক্ত
আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ধর্মপুর এলাকায় সেনাবাহিনী
২৩ বীর এর নেতৃত্বে সোমবার রাত দেড় টায় যৌথবাহিনীর একটি অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে ছাদের ট্যাঙ্ক থেকে ১
টি ওপেন বোল্ট শটগান, ২টি দা, ৬ টি ধারালো ছুরি এবং ১ টি স্মার্ট ফোনসহ অবৈধ অস্ত্রধারী
মোঃ সাইফুল ইসলাম আরিফ (২৬) কে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে উক্ত অবৈধ অস্ত্রধারীকে কুমিল্লা
কোতয়ালী থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, অস্ত্রধারী আসামী বিভিন্ন
সময়ে সহিংস কর্মকান্ড সহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালায়।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ
হতে যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং আইন শৃংখলা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মালু মিয়া(৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সিএনজি চালক সাগর মিয়া(২৭)কে মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) ভোররাতে কোম্পানিগঞ্জ-নবীনগর সড়কের টনকি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নিহত মালু মিয়া নবীনগর উপজেলার লাউরফতেপুর গ্রামের মৃত চান্দার আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিমসার বাজার থেকে নিয়ে আসা কাঁচামাল বোঝাই একটি সিএনজি নবীনগরের দিকে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আশা গরু বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় সিএনজির যাত্রী কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী মালু মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং আহত সিএনজি চালককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা বাঙ্গরা বাজার থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সিএনজি ও ট্রাক দুটি জব্দ করে এবং নিহতের লাশ থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও সিএনজিটি জব্দ করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ কুমেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মালু মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ২০১৮ সালের সড়ক ও পরিবহন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে হঠাৎ এ মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবারে গভীর শোক নেমে এসেছে। সড়কে অতিরিক্ত গতির কারণে বারবার এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে বলে এলাকাবাসী জানান। তারা দ্রুত সড়কে গতি নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
শিক্ষা,
সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমে নিবেদিত সংগঠন “আমরা কুমিল্লার তরুণ প্রজন্ম” দেবিদ্বার উপজেলা শাখার ৪১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন
করা হয়েছে। এই নবগঠিত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ আল আমিন
এবং সদস্য সচিব হয়েছেন শরীফ নাজিরী।
সংগঠনের
পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুমিল্লার দেবিদ্বার
উপজেলায় তারা সমাজসেবা, শিক্ষা প্রসার এবং মানবিক সহায়তার মাধ্যমে তরুণদের সম্পৃক্ত
করে গঠনমূলক কাজ করতে চায়। অচিরেই একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
আহ্বায়ক
মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, আমরা দেবিদ্বার উপজেলায়
আর্তমানবতার সেবায় কাজ করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং
তাদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।
সদস্য
সচিব শরীফ নাজিরী বলেন, কমিটি গঠনের পরপরই আমরা একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করব এবং সুবিধাবঞ্চিত
মানুষের জন্য কাজ শুরু করব।
সংগঠনের
জেলা আহ্বায়ক পিয়ারে মাহবুব এবং জেলা সদস্য সচিব সাজ্জাদ খান।
নবগঠিত
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন:
যুগ্ন
আহবায়ক আবুল খায়ের,সুবিল ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক আবু মূছা নিরব,বরকামতা ইউনিয়ন।
যুগ্ম
আহ্বায়ক পিবি হাবিব,ইউসূফপুর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহ্বায়ক সুজন আহমেদ,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহ্বায়ক মুনতাসির রাফি,দেবিদ্বার পৌরসভা।
যুগ্ন
আহ্বায়ক আবু জর গিফারী,রসূলপুর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক রফিকুল ইসলাম,গুনাইঘর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক বিল্লাল হোসেন আত্তারী,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ -দেবিদ্বার পৌরসভা
যুগ্ন
আহবায়ক মো.আসরার জাহিদ আলেমদার, ইউসূফপুর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক রবিউল ইসলাম -ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক মুহাম্মদ মনিরুল হক,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক মারুফ বিল্লাহ -পইয়াবাড়ি,এলহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক মিজানুর রহমান -সুবিল ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক নাহিদ হাছান -সুলতানপুর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক আল-আমিন -জাফরগন্জ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক ওলিউল্লাহ,বরকামতা ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক মুহাম্মদ মাহফুজ মিয়া,দেবিদ্বার পৌরসভা।
যুগ্ন
আহবায়ক মোঃ মেরাজ, সুলতান ইউনিয়ন।
সদস্য
মো:জোবায়ের
ইসলাম-গুনাইঘর
ইউনিয়ন।
সদস্য
মাওলানা মোহাম্মদ কবির হোসাইন রেজা কাদেরী।
সুবিল
ইউনিয়ন।
সদস্য
রানা মাহমুদ,বরকামতা ইউনিয়ন।
সদস্য
সাবিত রেজবী,রসূলপুর ইউনিয়ন।
সদস্য
রফিকুল ইসলাম
সদস্য
এনামুল আহমেদ, দেবিদ্বার পৌরসভা।
সদস্য
শাহ কামাল -সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
ইসমাইল আহমেদ মাহিন,দেবিদ্বার পৌরসভা।
সদস্য
ইলিয়াস,এলাহবাদ ইউনিয়ন।
সদস্য
জুবায়ের ইসলাম,গুনাইঘর ইউনিয়ন।
সদস্য
শরীফুল ইসলাম,ইউসুফপুর ইউনিয়ন।
সদস্য
কাইয়্যুম ইসলাম,ইউসুফপুর ইউনিয়ন
সদস্য
ওমর ফারুক,দেবিদ্বার পৌরসভা।
সদস্য
মাওলানা মোহাম্মদ আলী, সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
মুহাম্মদ রাকিব,সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
মুহাম্মদ রাব্বি, সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
দ্বীন ইসলাম, সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
হৃদয় আহমেদ সাগর -ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
সদস্য
মো.আরিফুল ইসলাম,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
সদস্য
আরিফ রেজা,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
সদস্য
সাইদুল ইসলাম সুমন, ইউসুফপুর ইউনিয়ন।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীতে ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। এসব তরমুজের বাজার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি করছেন জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
উৎপাদিত এসব তরমুজ উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষক। গত বছরের বৃষ্টিতে তরমুজ চাষের ক্ষতি পুষিয়ে এবার লাভবান চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ তরমুজ ক্ষেত। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তরমুজ। ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে জড়ো করে রেখেছেন বিক্রির জন্য। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা তরমুজ কিনতে ক্ষেতে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে দরদাম করে কিনে নিচ্ছেন। এই তরমুজ ট্রাক-ট্রলি ও ট্রলারে বোঝাই করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন শ্রমিকরা। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ক্ষেত থেকে তুলে বাজারজাতে ব্যস্ততা দেখা গেছে চাষিদের মাঝেও।
এসব দৃশ্য দেখা গেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা, দশমিনা, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার তরমুজ ক্ষেতে। চাষিরা জানান, জেলার গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীতে প্রচুর তরমুজ চাষ হয়েছে। তবে বরি মৌসুমে অল্প সময়ে তরমুজ আবাদ ও লাভজনক হওয়ায় পটুয়াখালীর চাষিদের মধ্যে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
একই এলাকার চাষি সেলিম হাওলাদার (৪২) বলেন, তরমুজ চাষের জন্য অন্যের কাছে থেকে এক বছরের চুক্তিতে দুই একর জমি লিজ নিয়েছি। এর মধ্যে চাষযোগ্য ১৬০ শতাংশ জমিতে তরমুজ আবাদ করেছি। এতে বীজ ও সার-ওষুধসহ মোট খরচ হয়েছে এক লাখ টাকার মতো। আর বিক্রি করেছি চার লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, আমি গত বছরগুলোতে তরমুজ চাষ করে তেমন লাভ করতে পারিনি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজ ভালো হয়েছে এবং লাভবান হয়েছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছর জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে গলাচিপা উপজেলায়। এ উপজেলায় আট হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রসালো ফলটির চাষ হয়েছে। এ ছাড়াও রাঙ্গাবালীতে ছয় হাজার ৩৫০ হেক্টর, বাউফলে তিন হাজার ৫২০ হেক্টর, কলাপাড়ায় এক হাজার ৭৫০ হেক্টর, দশমিনায় এক হাজার ৭২০ হেক্টর, সদর উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, দুমকি উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। উৎপাদিত এসব তরমুজ বাজারে বিক্রি দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ও গোলখালী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেতের পর ক্ষেতে তরমুজ। চাষিরা এখন বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আমখোলা ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামের তরমুজ চাষি ইউনুচ হওলাদার (৪০) ১৩ বছর ধরে রবি মৌসুমে তরমুজ চাষ করছেন। এ বছর নিজের ও অন্যের জমি মিলিয়ে দুই একর জমিতে ফলটি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, আমার ক্ষেতের কিছু তরমুজ গাছ মারা গেছে, তবুও যা ছিল ফলন ভালো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তরমুজ আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। ক্ষেত থেকে ব্যাপারীরা এখন পর্যন্ত তরমুজ কেটে নেয়নি।
বৌবাজার এলাকার কৃষক তাসলিমা বেগম মাঝেরচর এলাকায় আট একর জমি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, দুই একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজ উৎপাদন করে সাত লাখ টাকা বিক্রি করেছি। এখনও ছয় একর জমিতে তরমুজ রয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।তিনি আরও বলেন, প্রথমে দাম ভালো ছিল- এখন কিছুটা কম। আজকে রোদের তাপ অনেক, আবহাওয়া এভাবে থাকলে তরমুজের বাড়বে।
সুহুরী ব্রিজ এলাকার কৃষক আলআমিন জানান, মৌসুমের আগেই দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যাপারীরা অগ্রিম দাদন দিতে এলাকায় চলে আসেন এবং ফলনের পর তরমুজ সংগ্রহ করতে এলাকায় অবস্থান করেন। তিনি ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি শুরু করেছেন।
মৌসুম শুরুর আগেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আড়তদার ও ব্যাপারীরা এখানকার চাষিদের লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে রেখেছেন। এখন আড়তদাররা এলাকায় এসে চাষিদের কাছ থেকে তরমুজ সংগ্রহ করছেন। ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে ট্রলার কিংবা ট্রলি বোঝাই করে এনে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে তরমুজ চলে যাচ্ছে রাজধানীতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম মল্লিক বলেন, জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এতে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হবে। প্রায় সবগুলোই অধিক ফলনশীল হাইব্রিড জাতীয়। জেলার আগাম উৎপাদিত তরমুজ বাজারে ভালো দাম পেয়েছে। সেগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। উৎপাদিত তরমুজের বাজার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আবাদের পর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এ অঞ্চলে দোআঁশ মাটিতে তরমুজের ফলন ভালো হয়। বৃষ্টির কারণে মাটিতে প্রচুর রস থাকায় তরমুজ আকারে বড় ও উৎপাদন বেড়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। এ ছাড়াও দিনের বেলা প্রখর রোদে তরমুজের রং উজ্জ্বল ও সুস্বাদু হয়। ফলে এ অঞ্চলের তরমুজ খুব সুস্বাদু এবং ক্রেতাদের কাছেও জনপ্রিয়।
মন্তব্য করুন