ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন ভারতীয় মডেল-অভিনেত্রী
হিনা খান। সম্প্রতি তার ব্রেস্ট ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে তার। এরইমধ্যে চিকিৎসা শুরু
হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই।
সামাজিকমাধ্যমে গুঞ্জন চাউর হয়, ক্যানসারে
আক্রান্ত হয়েছেন অভিনেত্রী হিনা খান। কিন্তু এ নিয়ে নীরব ছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু শুক্রবার
(২৮ জুন) ইনস্টাগ্রাম পোস্টে গুঞ্জনকে সত্য বলে জানান হিনা খান।
ইনস্টাগ্রাম বিবৃতিতে হিনা খান লেখেন,
চলমান গুঞ্জন আমার নজরে পড়েছে। যারা আমার ভক্ত, যারা আমাকে ভালোবাসেন, সবার সঙ্গে একটি
গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ শেয়ার করছি। আমি ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত, এখন তা তৃতীয় পর্যায়ে
রয়েছে। এমন একটি রোগ শনাক্ত হওয়ার পরও বলছি, আমি ভালো আছি। ক্যানসারমুক্ত হওয়ার বিষয়ে
আমি বেশ আত্মবিশ্বাসী। এরইমধ্যে আমার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ক্যানসারমুক্ত হওয়ার জন্য
যা যা করণীয় তা করার জন্যও আমি প্রস্তুত। আপনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলছি, এই সময়ে
আমার প্রাইভেসি রক্ষায় সহযোগিতা করুন। আমার জন্য দোয়া করবেন।
মন্তব্য করুন
বয়স ৭৩ বছর। কিন্তু সিনেমায় তার চালচলন যেনো ২৫ বছরের নায়কদেরও হার মানায়। যেকোনো ইয়াং সুপারস্টারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এখনো তিনি এগিয়ে থাকছেন তিনি রজনীকান্ত। দক্ষিণী সিনেমার শক্তিমান সুপারস্টার ।
গত বছর তার অভিনীত ‘জেলার’ চলচ্চিত্র দিয়ে পেয়েছেন তুমুল সাফল্য। বছরের শীর্ষ আয় করা সিনেমার তালিকায় জায়গা করে নেয় তার ওই ছবি। এ বছরও চমকে দেওয়ার অপেক্ষায় তিনি। বছর শুরুতেই নিজের মেয়ের পরিচালনায় পর্দায় আসছেন এই সুপারস্টার। তার অভিনীত‘লাল সালাম’ এই শুক্রবার মুক্তি পাবে।
মেয়ে ঐশ্বরিয়ার পরিচালনায় ‘লাল সালাম’ নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনায় রয়েছেন রজনীকান্ত। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন তাঁর পারিশ্রমিক নিয়ে। শোনা যাচ্ছে, সিনেমাটির জন্য বিপুল পরিমাণে পারিশ্রমিক নিয়েছেন অভিনেতা।
ভারতীয় বিনোদন মাধ্যম কইমই ডটকম অনুসারে, লাল সালামে রজনীকে তাঁর বর্ধিত ক্যামিওর জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ প্রদান করা হয়েছে। ট্র্যাক টলিউডের প্রতিবেদন অনুসারে, সিনেমাটিতে অভিনেতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও রয়েছে এবং তাঁর স্ক্রিন টাইম ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। আর এ জন্য তিনি ৪০ কোটি রুপি চার্জ করেছেন।
অর্থাৎ প্রতি মিনিটে ১ কোটি রুপি নিয়েছেন অভিনেতা যা একটি নতুন রেকর্ড। দীর্ঘ ৯ বছর পর পরিচালনায় ফিরেছেন ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত। তাই মেয়ের সিনেমায় বিশেষ ক্যামিওর প্রস্তাব ফেরাতে পারেননি রজনীকান্ত। আর রজনীকে ঘিরেই সিনেমাটি এখন তুমুল হাইপ তৈরি করেছে। লাল সালামে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিষ্ণু বিশাল এবং বিক্রান্ত এবং সংগীত পরিচালনা করেছেন এ আর রহমান।
মন্তব্য করুন
বিদিপ্তা
চক্রবর্তী ওপার বাংলার শোবিজ অঙ্গনের পরিচিত মুখ। তিনি নাটক থেকে সিনেমা সকল জায়গাতেই
অভিনয়ের ছাপ ফেলেছেন। ব্যক্তিজীবনে পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তকে বিয়ে করেছেন বিদিপ্তা।
বিদিপ্তার
শাশুড়ি ওপার বাংলার জনপ্রিয় সঞ্চালিকা চৈতালী দাশগুপ্ত। বিরসার সঙ্গে বিয়ের অনেক আগে
থেকেই শাশুড়ির সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল তার। এক সাক্ষাৎকারে সেটাই জানালেন এই অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী
বিদিপ্তা বলেন, তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত ছিল। তখন তো বিরসাকে (বর্তমান স্বামী) ছোট
দেখেছি। হয়তো কখনও গালও টিপে দিয়েছি আদর করে, ঠিক মনে নেই। স্বামীর চেয়ে বয়সে প্রায়
৭ বছরের বড় তিনি। কিন্তু বয়সের এই ফারাক কোনোদিন তাদের সম্পর্কে বাধা হয়নি।
তবে
বিরসাকে বিয়ের আগেই বিবাহিত ছিলেন বিদিপ্তা। প্রথম সংসারে একটি কন্যা সন্তানও ছিল বিদিপ্তার।
কিন্তু সেই সংসার টেকেনি। ডিভোর্সের পর মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতেন অভিনেত্রী বিদিপ্তা।
তখনই বিরসা দাশগুপ্তের সঙ্গে পরিচয়। ২৫ বছর বয়সী বিরসার তখন প্রেমের সম্পর্ক ভেঙেছিল।
আমিও বিচ্ছেদ নিয়ে ভেঙে পড়েছিলাম। একটা সময়ে দুজনের সম্পর্ক প্রেমে রূপ নেয়। আমাদের
পরিবারও বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
অভিনেত্রীর
শাশুড়ি চৈতালী দাশগুপ্ত বলেন, বন্ধু কখন বউমা হয়ে গেল, সেটা একদম চমকপ্রদ গল্প।
মন্তব্য করুন
আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পশু
বিক্রির হাটগুলো জমজমাট হয়ে উঠেছে। পশুর হাটে প্রায়ই দেখা যায় পশুদের নাম রাখা হয় বিশ্বের
বিভিন্ন তারকাদের নামে। তবে এই তালিকায় রাজত্ব করছে অভিনেতা জায়েদ খান। প্রায়ই দেখা
যাচ্ছে গরুর নাম রাখা হয় জায়েদের নামে। এই বিষয় নিয়ে জায়েদ খান নিজেই মুখ খুললেন।
সংবাদমাধ্যমে জায়েদ খান বলেন, আমার
নাম যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আর সে নামকে কাজে লাগিয়ে যদি কেউ জীবনে ভালো কিছু করতে চায়,
দুটো টাকা ইনকাম হয়, লাভবান হয়, করুক না। আমার এতে কোনো সমস্যা নেই। কোরবানির হাটে
প্রিয় জিনিসটাকে বিক্রি করছে আমার নাম দিয়ে, করুক। একজন শিল্পীর ক্ষেত্রে এটা হয়, ব্যাপার
না। এর আগে আরও সেলিব্রেটিদের নামের ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে দেখেছি। আমার নাম ব্যবহার
করে, আমার কাঁধের ওপর ভর করে কেউ যদি ভালো কিছু করতে চায় এটাকে আমি নেগেটিভভাবে দেখি
না। কারণ নেগেটিভভাবে দেখলে আমি আমার কাজে মনোযোগ দিতে পারব না। কোরবানির পশুর হাট
নিয়েই আমায় পড়ে থাকতে হবে।
মন্তব্য করুন
নতুন বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন বলিউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আরমান মালিক। দীর্ঘদিনের প্রেমিকা আশনা শ্রফের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি।
সামাজিকমাধ্যমে বিয়ের ছবি প্রকাশ করে নিজেই সুখবরটি জানিয়েছেন। নিজের ইনস্টাগ্রামে বিয়ের ছবি প্রকাশ করে আরমান লেখেন, ‘তু হি মেরা ঘার (তুমিই আমার ঘর)’।
২০২৩ সালের আগস্ট মাসে বাগদান সেরেছিলেন আরমান মালিক ও আশনা শ্রফ। তাদের বাগদানের ছবিতেও মুগ্ধ হয়েছিলেন অনুরাগীরা। বিয়েতেও সেই ধারা বজায় থাকল। দিনের আলোয় পালিত হলো বিবাহ অনুষ্ঠান।
বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন, দুজনের পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনরা।
মন্তব্য করুন
বলিউড অভিনেতা সোনু সোদ মানবিক কাজের জন্য বরাবরই প্রশংসিত । এই অভিনেতাকে গরীবের ‘মাসিহা’ (ত্রানকর্তা) বলা হয়ে থাকে। করোনাকালীন সময় তিনি দুই হাত উজাড় করে সাহায্য করেছেন অসহায়দের।
তাছাড়াও বিভিন্ন সময় নিজের মানবিক কাজের জন্য শিরোনামে উঠে আসে তার নাম। এবারও তিনি এলেন লাইমলাইটে। জয়পুরের একটি ২২ মাস বয়সী ছেলের জীবন বাঁচানোর উদ্যোগ নিয়েছেন অভিনেতা সোনু সোদ। শিশুটির জীবন বাঁচাতে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ইনজেকশনের ব্যবস্থা করলেন এই অভিনেতা।
আর সেই ইনজেকশেনর দাম ১৭ কোটি টাকা বলে জানা যাচ্ছে।
জানা গেছে, জয়পুরের এই শিশুটি ‘স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি টাইপ-২’রোগে আক্রান্ত। পেশির সঞ্চালনকে নিয়ন্ত্রণ করে যে মোটর নিউরোন, তা নষ্ট হওয়ার কারণেই মেরুদণ্ডের এই বিরল রোগ হয়। এই রোগের চিকিৎসা খুবই খরচসারপেক্ষ।
২২ মাসের এই শিশুটি এমনই জটিল রোগে ভুগছে। সেই শিশুর চিকিৎসা সাহায্যের হাত বাড়ান সোনু সুদ। বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থের ব্যবস্থা (ক্রাউডফান্ডিং) করেন অভিনেতা। মাত্র তিন মাসের মধ্যে নয় কোটি টাকা জোগাড় করেন তিনি। শিশুটিকে সুস্থ জীবন দান করার জন্য এভাবেই ১৭ কোটি টাকার ইনজেকশনের ব্যবস্থা করেন তিনি।
খুবই অল্প সময়ের মধ্যে এই বড় অঙ্কের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন অভিনেতা সোনু সোদ। আর তাই বরাবরের মতোই ভক্ত অনুরাগীদের প্রশংসায় ভাসছেন অভিনেতা।
এর আগেও বিভিন্ন ভাবে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সোনু সোদ। চিকিৎসায় সাহায্য করে প্রায় ৯ জনের জীবন বাঁচিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
জাহ্নবী কাপুর, সুহানা খান, সারা আলি খান, অনন্যা পাণ্ডে, দীপিকা পাড়ুকোন, ক্যাটরিনা কাইফের মতো তারকাদের সঙ্গে একই ছবিতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু সিনেমার মানুষ নন তিনি। অবাক করা
বিষয় হলো- বিভিন্ন তারকার সঙ্গে ছবি তুলেই লাখ লাখ রুপি উপার্জন করছেন তিনি। এমনকি কিছু কিছু দিন তার আয় ৫০ লাখও
ছাড়িয়ে যায়।
ইন্ডাস্ট্রির নায়ক-নায়িকাদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন ওরহান অবত্রমানি নামের এই তরুণ। তবে বলিউড স্টারদের কাছে ওরি নামেই বেশি পরিচিত তিনি।
বলিপাড়ার পার্টি, বিয়েবাড়ি কিংবা জন্মদিনসহ সব অনুষ্ঠানেরই ডাক পান ওরি। তিনি ছাড়া ওসব আয়োজন যেন অসম্পূর্ণই থেকে যায়। নেটিজেনদের কাছে বেশ পরিচিত তিনি। তার নিত্যনতুন দামি পোশাক, ফোনের কভার অথবা চুলের কাটিং নিয়ে নেটিজেনদের আগ্রহের কমতি নেই।
ওরি নিজেই আয়ের ফিরিস্তি জানালেন। সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শোয়ে এসে জানিয়েছেন, ছবি তুলেই নাকি লাখ লাখ রুপি আয় করেন। তার এই কাজ দেখভাল করে করণ জোহরের এজেন্সি।
তবে তারকাদের সঙ্গে ওঠাবসা থাকলেও কোনো সিনেমা করতে রাজি নন ওরি। কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, অত খাটাখাটনি করতে পারবেন না তিনি। তারকাদের সঙ্গে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেই নাকি তিনি লাখ রুপি উপার্জন করেন। তাই বাড়তি খাটুনি খাটতে নারাজ ।
ওরির ভাষ্য, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে যেসব ছবি তোলেন, সেগুলো পোস্ট করার জন্য তিনি রুপি পান। এক রাতে সব ছবি পোস্ট করে ২০ থেকে ৩০ লাখ রুপি রোজগার করেন তিনি। তা ছাড়া বিয়েতে লোকজন তাকে ডাকে। তাদের বিয়েতে ছবি তোলার জন্য ১৫ থেকে ২০ রুপি পান তিনি। সেই ছবি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে রুপির অঙ্ক নাকি আরও বাড়ে। শুধু অর্থ উপার্জনই নয়, মানুষকে আনন্দ দিতেও সেলফি তোলেন তিনি।
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় স্বামীর পদবি মুছে সিঙ্গেল চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি । কারণ তিনি তার দ্বিতীয় স্বামীর পদবি মুছে দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি নিজেই এই ঘোষণা দেন।
দ্বিতীয় বিয়ের পর স্বামী রকিব সরকার ও একমাত্র ছেলে ফারিশকে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই দিন কাটছিল চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির। কিন্তু অভিনেত্রীর সেই সংসারেও বেজে ওঠে ভাঙনের সুর। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে বসেন মাহি। এবার স্বামীর পদবি মুছে দিলেন এই চিত্রনায়িকা।
২০১২ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় মাহির। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শারমীন নিপা থেকে হয়ে ওঠেন মাহিয়া মাহি। এরপর থেকে এই নামেই পরিচিতি লাভ করেন তিনি। রকিব সরকারকে বিয়ের পর নিজের নাম রেখেছিলেন মাহিয়া মাহি সরকার। তবে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার পরই তার নামের সঙ্গে সংযুক্ত ‘সরকার’ পদবি বদলে ফেললেন মাহি।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তায় মাহি জানান, আমরা দুজন মিলেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে রকিব খুব ভালো মানুষ। তাকে ভীষণ সম্মান করি আমি। অনেক কেয়ারিং সে। খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি। কবে আর কীভাবে হবে সেটাও দুজন মিলেই ঠিক করব।
বর্তমানে চলচ্চিত্রে আগের মতো নিয়মিত নন মাহি। রাজনীতিতেও নিজের শক্ত অবস্থান গড়তে পারেননি। একদিকে দ্বিতীয় সংসারও ভাঙল, অন্যদিকে অভিনেত্রীর ছেলের গায়ের রং নিয়েও রয়েছে নানান সমালোচনা। সব মিলিয়ে মানসিক অবসাদেই যেন ভুগছেন মাহি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান তিনি। পরে ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি।
মন্তব্য করুন
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমণি মাত্র তিন বছর বয়সে মাতৃহারা হন। ২০১২ সালে তার বাবাও না ফেরার দেশে চলে যান।
মাতৃহারা হওয়ার পর থেকেই নানার কাছেই বড় হয়েছেন তিনি। তবে এবার প্রিয় সেই নানা শামসুল হক গাজীকে হারালেন তিনি।
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ২টা ১১ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) ।
এই নির্মাতা আরো জানান, পরীমণির নানার মরদেহ গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের শিংখালীতে নেওয়া হচ্ছে। সেখানেই পরীর নানির কবরের পাশে তাকে শায়িত করা হবে।
গেল অক্টোবর মাসের ছিল পরীমণির জন্মদিন। প্রতিবার ঘটা করে দিনটি উদযাপন করলেও এবার নানার অসুস্থতার কারণে আয়োজন থেকে বিরত ছিলেন তিনি।
তখন পরীমণি বলেছিলেন, বেশ কদিন ধরেই নানা বেশ অসুস্থ। তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি। আপনারা জানেন প্রতিবার জন্মদিনে নানুর হাত ধরে কেক কাটি। আমার নানু আমার জন্য কী সেটা সবাই জানেন। তিনি কদিন ধরেই অসুস্থ। তার অসুস্থতার জন্য আমি শুটিংও বাদ দিয়েছিলাম। তাই এবার জন্মদিনটি পালন করছিনা।
মন্তব্য করুন
ছোট পর্দার এই সময়ের অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি । ইতোমধ্যে শোবিজে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন এ অভিনেত্রী। বিভিন্ন সময় ব্যক্তিজীবন ও কাজ নিয়ে আলোচোনায় এসেছেন তিনি। নতুন বছরে আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন মাহি।
তবে এবার আলোচনা কাজ দিয়ে নয়, মেকাপ ছাড়া তার একটি ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এ নিয়েই চলছে বিভিন্ন প্রকার মন্তব্য।
ফেসবুকে মাহির নো-মেকআপ লুক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে । তারপর থেকে তার গায়ের রং নিয়ে ট্রল করছেন নেটজনতা। চলছে বর্ণবৈষম্য। ভিডিওটি দেখে বোঝা যাচ্ছে কোন একটি নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে মেকাপ ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এই অভিনেত্রী। আর সে সময় তার এক সহকর্মী মজার ছলেই ভিডিও করে। পরে যা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে অনেকেই মাহির গায়ের রঙ নিয়ে বিভিন্ন প্রকার কটূক্তি করছেন।
সোশ্যাল সাইটে নাতিদীর্ঘ এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সেই অনুভূতির কথা জানিয়েছেন মাহি।গায়ের রঙ নিয়ে ট্রল করায় কষ্ট পেয়েছেন তিনি। মাহি লিখেছেন, প্রায়ই অভিনেত্রীদের স্কিন কালার নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য শোনা যায়। নিজের বাইরেও অনেকের পোস্টেই এসব মন্তব্য চোখে পড়ে। কিন্তু একজন অভিনেতার ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটে না। এর কারণ আসলেই অজানা। হয়ত আমরা অনেকেই মধ্যযুগীয় চিন্তা-চিতনা নিয়েই চলছি।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে কাজকে গুরুত্ব দিয়েছেন জানিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বরাবরই কাজকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছি। বর্তমান যে জায়গায় দাঁড়িয়ে সেখানেও অনেক চেষ্টা, কষ্ট, পরিশ্রম আছে। মানুষের ভালোবাসা রয়েছে। কিন্তু তারপরও মাঝে মধ্যে রঙ নিয়ে মানুষের এমন ট্রল করা আমাকে ভীষণ ভাবায়। যদিও কিছু মানুষই কেবল এমনটা করে থাকে। অথচ একজন মানুষকে, একজন অভিনেত্রীকে তার কাজের মাধ্যমে বিচার করা উচিত। অন্য কোনো কিছু দিয়ে বিচার করা নয়।আমার কাজের সমালোচনা করুন, আমি মাথা পেতে নেব। নিজেকে আরও শুধরানোর জন্য চেষ্টা করব। কিন্তু এভাবে গায়ের রঙ নিয়ে মন্তব্য করে নিজের পরিচয় দেবেন না। আমি আপনাদের জন্যই কাজ করছি, আর করে যাব। আপনাদের সবার ভালোবাসায় থাকতে চাই এবং বাঁচতে চাই।
এর আগে গত বছর মাহি তার সোশ্যাল মাধ্যমে এক যুবকের সাথে ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেন। প্রেমিক হিসেবে ঘোষণা না দিলেও তাদের অন্তরঙ্গতা প্রেমের আভাসই দিচ্ছিল যেন। মাহি অবশেষে প্রেমের কথাও স্বীকার করেন।
প্রেমের বিষয়টি স্বীকার করে মাহি জানান ,কোভিডের আগে, ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে আমাদের পরিচয় হয়। কোভিডের সময় যোগাযোগ বাড়ে, সেখানে থেকেই আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। ওর নাম সাদাত শাফি নাবিল। আর পারিবারিকভাবেই ওদের গাড়ির ব্যবসা আছে।
মন্তব্য করুন
পবিত্র ওমরাহ হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গিয়েছেন ,ঢাকাই সিনেমার আলোচিত তারকা দম্পতি চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল ও চিত্রনায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা।
বুধবার রাতে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তারা। সেখানে আগামী দশদিন থাকবেন এ তারকা দম্পতি।
বৃহস্পতিবার ফেসবুকে এক ভিডিও পোস্ট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা ও প্রযোজক এমডি ইকবাল। ওই ভিডিওতে সবার কাছে দোয়া চান অনন্ত জলিল ও বর্ষা।
উল্লেখ্য, গত রোজার ঈদে ‘কিল হিম’ সিনেমার মাধ্যমে সবশেষ পর্দায় দেখা যায় অনন্ত জলিল ও বর্ষাকে। এমডি ইকবাল পরিচালিত এ সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শকদের প্রশংসা কুড়ায়। বর্তমানে মুক্তি অপেক্ষায় রয়েছে এ দম্প্রতির ‘নেত্রী দ্যা লিডার’ সিনেমাটি।
মন্তব্য করুন