

চাঁদপুরের চরভৈরবী থেকে ষাটনল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় বসবাস করেন প্রায় অর্ধলক্ষাধিক জেলে। দেশের ৬টি অভয়াশ্রমে ইলিশ সহ সব ধরনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত মধ্যরাতে।মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর সহ নদী অঞ্চলে জেলেদের ইলিশ ধরতে দেখা গেছে।
যৌথ
অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় এবার ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক
টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অফিস।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই জেলেরা জাল, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ইলিশসহ অন্য মাছ শিকারে প্রস্তুতি নেন।
জেলা
মৎস্য অফিস জানিয়েছে, এবার ৫৭৫টি অভিযান, ১২৮টি মোবাইল কোর্ট, ৩৩৪ জন জেলেকে আটক করে
বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ৫৩ দশমিক ৯১০ লাখ মিটার কারেন্ট
জাল জব্দ করা হয়েছে। এদিকে, ৩ দশমিক ৪১৬ মেট্রিক টন জাটকা আটক করে দুস্থ ও এতিমদের
মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ছয় লাখ ৫০৫ টাকা।
নিষেধাজ্ঞা
শেষে মাছ শিকার নিয়ে নৌ পুলিশ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সময় ১ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল
পর্যন্ত ইলিশ অভয়াশ্রমে অভিযান চালিয়ে ১৯ কোটি ১৩ লাখ মিটার অবৈধ জাল, ১৭ হাজার ৮১৯
কেজি মাছ, ২৪৪টি নৌকাসহ এক হাজার ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁদপুর জেলার নৌ থানা পুলিশ।
তাদের বিরুদ্ধে ১৭০টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ২২৬ আসামিকে ৪৮টি মোবাইল কোর্টের
মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ২১৩ জনকে ছয় লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা
করা হয়েছে। ১৫২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
জেলা
মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ৪০
কেজি করে চার কিস্তিতে মোট ১৬০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ফলে জেলা প্রশাসন,
পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও জেলা টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল
হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। তাছাড়া অসাধু
জেলেদের আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
দেশের
ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাসের কর্মসূচি ঘোষণা
করে। এই নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে ।
মন্তব্য করুন


রোববার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব সাইট সুপারভিশন বিভাগ থেকে একটি সার্কুলার জারি করে সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো হয়েছে।
আগামী শুক্র, শনি ও রোববার (৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল) ৩দিন ব্যাংক খোলা থাকবে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কারখানার কর্মীদের বেতন-বোনাস দেওয়ার সুবিধার্থে পোশাকশিল্প এলাকায় । তবে পূর্ণ দিবসের বদলে ওই তিনদিন সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে নির্ধারিত সময়ে লেনদেন চলবে।
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারী/কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা ও রপ্তানি বিল ক্রয়ের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো ঈদের আগের সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে।
এলাকাগুলো হলো—ঢাকা মহানগরী, সাভার, ভালুকা, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম। এসব এলাকার তফসিলি ব্যাংকের তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ছুটির দিন সংশ্লিষ্ট শাখা খোলা থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থিত শাখার অফিস সময়সূচি হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এর মধ্যে ৫ এপ্রিল (শুক্রবার) লেনদেন হবে সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং অফিস চলবে ৩টা পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন


এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভোক্তা-অধিকার জানিয়েছে, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ঢাকাসহ সারাদেশে অভিযান চালানো হবে।
গত বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। যা গতকাল শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়। ভারত সরকারের এ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বাজারে রাতারাতি পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে শুরু করে।এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নামছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভোক্তা-অধিকারের বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ঢাকায় অধিদপ্তরের চারজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে চারটি পৃথক টিম বাজার অভিযান পরিচালনা করবে। এছাড়া দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করবে।
এর আগে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দেশে আমদানি করা পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। ফলে ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় তেমন প্রভাব পড়বে না।
ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয় বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, নিজেদের দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে পণ্যটি রপ্তানির ওপর আগামী মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ অক্টোবর টনপ্রতি পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ দেওয়া হলেও সময়সীমার শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহ আগেই নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।
এদিকে, ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরই দেশের বাজারে হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১২০ টাকা। রাজধানীর খুচরা বাজারে এখন এ পেঁয়াজের কেজি ২৪০ টাকা। আর কেজিতে ৯০ টাকা বেড়ে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। কেউ কেউ ২২০ টাকাও দাম হাঁকছেন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে কোনোভাবেই উদ্বিগ্ন নয় বিশ্বব্যাংক। বরং বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে চায় সংস্থাটি। অন্তর্বর্তী সরকারকে সব বিষয়ে সহায়তা দিয়ে পাশে থাকতে চায় বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। তিনি জানান, আমরা বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জেনেছি। যার ফলে আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতির সংস্কারে কীভাবে সহযোগিতা করবো সেটিও আলোচনা করেছি। কারণ জটিল কিছু সংস্কার বাংলাদেশের প্রয়োজন। এখানে আর্থিক খাতে সংস্কার প্রয়োজন, বাণিজ্যে সংস্কার প্রয়োজন- আমরা এগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, আমরা এখন এ দেশে বেসরকারি খাতে চাকরির বাজার সৃষ্টিতে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে যুবকরা এখানে বড় সম্পদ। এছাড়া এখানে জলবায়ু পরিবর্তন অনেক বড় ঝুঁকি, সেখানে অন্তর্বর্তীমূলক বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমরা বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে সম্পর্ক গড়তে কাজ করছি আর আমরা মোটেই বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। আমি অনেক দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, এটি কখনোই আমাদের উদ্বেগের বিষয় নয়।
অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের স্থবির অর্থনীতিকে চালু করার জন্য যত রকমের সহযোগিতা দরকার বিশ্বব্যাংক তা দেবে। আইএফসি ও বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা চেয়েছি আমরা। তারা বলেছে, বাংলাদেশের মানুষের জন্য তারা যে কোনো কিছুই করতে পারে। নিয়মকানুন মেনে তারা বিনিয়োগ করবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শিক্ষার্থীদের জন্য শোক জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি এ সময়ে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সংস্কারেও পাশে থাকবে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন


আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার
টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
উপসচিব সুলতানা আক্তার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে
বিভিন্ন রপ্তানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে তিন
হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলো।
সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর
দুপুর ১২টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর (উপসচিব, রপ্তানি-২ শাখা, কক্ষ নম্বর ১২৭,
ভবন-৩, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা) আবেদন করতে বলা হয়েছে। উল্লিখিত
তারিখের পর আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। আর যারা আগেই আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদন
করার প্রয়োজন নেই।
সম্প্রতি ভারতের ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন
সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এক চিঠিতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিতে অনুরোধ করে।
এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
থেকে এ ব্যাপারে সুপারিশ আসতে হয়। তবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবার ভারতে ইলিশ রপ্তানি
হবে না এমনটিই ইঙ্গিত দিয়েছিল।
গত ১১ আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ফরিদা আখতার জানিয়েছিলেন, দেশবাসী ইলিশ পাবে না, আর বিদেশে রপ্তানি হবে, এটা হতে পারে
না। আগে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর রপ্তানি করা হবে।
মন্তব্য করুন


রোববার (১৪ জুলাই) জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ থেকে প্রত্যয় স্কিম নিয়ে দেওয়া এক
নির্দেশনায় জানানো হয়েছে , সরকারি কর্মচারীদের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব স্ব-শাসিত,
স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের কর্মচারীরা নতুন কর্মচারী হিসেবে ১
জুলাই ২০২৫ সাল বা তার পরবর্তীসময়ে চাকরিতে যোগদান করবেন ,তারা বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন
পেনশন স্কিমের আওতায় আসবেন।
সরকার এ মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব স্ব-শাসিত,
স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীরাও সরকারি
কর্মচারীদের মতো যারা নতুন কর্মচারী হিসেবে ১ জুলাই ২০২৫ সাল বা তৎপরবর্তী সময়ে চাকরিতে
যোগদান করবেন তারা বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসবেন।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই পেনশন
ব্যবস্থায় আনার লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর আওতায় গত ১৭ আগস্ট
২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা (একনেক) আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আজকের এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, একনেকে অনুমোদনের জন্য পাঁচটি প্রকল্প উত্থাপন করা হবে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
একনেকের কার্যতালিকায় ছয়টি প্রকল্প থাকলেও অনুমোদনের জন্য পাঁচটি উত্থাপন করা হবে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৩ হাজার ৪৫৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অন্য উপদেষ্টারা উপস্থিত থাকবেন। যদিও এর আগে শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হতো।
এগুলোর মধ্যে তিনটি সংশোধিত এবং দুটি নতুন প্রকল্প রয়েছে।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা কমিশনে সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে তা অবগত করবেন।
মন্তব্য করুন


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ
মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ইলিশ ভারতে উপহার হিসেবে যাচ্ছে
না, রপ্তানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা ইলিশ চাচ্ছেন, তারাও
কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ওপার থেকে অনেক সমর্থন দিয়েছেন। ইলিশ রপ্তানি করা
হচ্ছে, রপ্তানির টাকা বাংলাদেশ সরকার পাবে। সেটা খুব ছোট করে দেখার মতো টাকা না।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার
দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর রেগুলেটর এলাকা পরিদর্শন শেষে সুইডেন
প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী একে জুয়েলের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা
বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন,
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এখনো যায়নি। শুধু একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার আগেই তো দাম বেড়ে গেছে।
কাজেই রপ্তানি হলে দাম বাড়বে এ কথাটা ঠিক না। যেটা সরকারের বিবেচনায় আছে। যারা ইলিশটা
চাচ্ছে, তারাও কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ওপার থেকে অনেক সমর্থন দিয়েছে। সেটা
আমরা সবাই দেখেছি। আমরা খুব সহজে কথা বলে ফেলি। সব সময় মনে রাখতে হবে, প্রতিবেশীর সঙ্গে
অনেক বিষয়ে আমাদের আলাপ আলোচনা করতে হবে। সেই আলোচনার ধারাটা ছোট ছোট বিষয়ে বন্ধ হয়ে
যাক, সেটা আমরা চাই না।
রেগুলেটর এলাকা পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টার
সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, নোয়াখালী জেলা
প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার
হোসেন পাটোয়ারীসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপূজা উপলক্ষে তিন হাজার
মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মন্তব্য করুন


ত্রাণ ও পুনর্বাসনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম বলেছেন, ‘ত্রাণ ও
পুনর্বাসন কর্মসূচি সমন্বয় কমিটি প্রতিনিয়ত মনিটরিং করবে। সেটি আবার মানুষের
কাছে প্রকাশ্য তুলে ধরা হবে। তাই ১০ টাকার জিনিস এখন আর ১০০ টাকা দিয়ে কেনা যাবে
না।’
মন্তব্য করুন


ঈদ উপলক্ষে কুমিল্লা বিসিকে (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন) উৎপাদিত সেমাই বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, মুন্সীগঞ্জ, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুরসহ ২০-২২টি জেলায় যাচ্ছে।
সূত্রমতে, কুমিল্লা বিসিকের পাঁচটি কারখানায় সেমাই উৎপাদন করা হয়। সেগুলো হচ্ছে কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিল, রিয়াজ ফ্লাওয়ার মিল,মেট্রো কনফেকশনারি, খন্দকার ফুড ও মক্কা কনজুমার এন্ড ফুড প্রোডাক্টস। বিসিক ছাড়া কুমিল্লা আদর্শ সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় সেমাই উৎপাদন হয়ে থাকে। কারখানা গুলোতে বাংলা ও লাচ্ছা নামে দুই ধরনের সেমাই তৈরি করা হয়।
কুমিল্লা বিসিকের কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলে গিয়ে দেখা গেছে, মেশিনে গর গর শব্দে বাংলা সেমাই উৎপাদন করা হচ্ছে। সেই সেমাই ছাদে শুকানো হচ্ছে। শুকানোর পর সেটা উনুনে ভাজা হয়। ঈদ বাজারের চাহিদা মেটাতে দ্রুত প্যাকেটজাত করছেন শ্রমিকরা। ঘণ্টায় একজন শ্রমিক দুই থেকে আড়াইশ’ প্যাকেট করছেন। কেউ প্যাাকেট, কেউ ওজন, কেউ মুখ লাগানোর কাজ করছেন। কেউ কার্টনে সেমাই ভরছেন।
কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলের সেমাই কারখানার সুপারভাইজার মো. মহসীন, শ্রমিক ফজলে রাব্বী ও হালিমা আক্তার বলেছেন, ঈদের অল্প কয়েকদিন বাকি। এখন বাজারে সেমাইয়ের চাহিদা রয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে দ্রুত কাজ করতে হচ্ছে।
নগরীর কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ী টিপু সুলতান বলেছেন, কুমিল্লা বিসিকে উৎপাদিত সেমাইয়ের সুনাম রয়েছে। তাই স্থানীয় বাজারে এর চাহিদাও ভালো।
কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলের পরিচালক সৈয়দ গোলাম কাদের তানিন বলেছেন, আমরা ৩ দশক ধরে মান সম্মত উপায়ে সেমাই তৈরি করি। এখানে সেমাই তৈরিতে কৃত্রিম কিছু ব্যবহার করা হয় না। আমাদের সেমাই বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বেশি বিক্রি হয়। বাংলা সেমাই আল-নূর, কুলসুম নামে এবং লাচ্ছা সেমাই তানিন নামে বাজারজাত করি। চরাঞ্চলে বাংলা সেমাইয়ের চাহিদা বেশি।
বিসিক কুমিল্লার ডিজিএম মো. মুনতাসির মামুন বলেছেন, কুমিল্লা বিসিকের খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনে সুনাম রয়েছে। তার একটি সেমাই। এখানে উৎপাদিত সেমাই ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। এখানের সেমাই মান সম্মত। মান রক্ষায় আমরা নিয়মিত কারখানা পরিদর্শন করি।
মন্তব্য করুন


চাল বিক্রি করার জন্য এখন থেকে বস্তায় ধানের জাত ও মিল গেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও। চালের উৎপাদনকারী মিল মালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।
চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব প্রকার চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।
এ বিষয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।
এমন নির্দেশনা সোমবার (১৪ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হবে।
ইতোমধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, সব জেলা প্রশাসক, সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সব উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষর করা এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজারমূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।
মন্তব্য করুন